শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য বিশ্বব্যপী আজ উঠেছে হাহাকার, ঘন ঘন বসছে শান্তি পরিষদের বৈঠক। কিন্তু ধ্বংশ যে শীঘ্র ঘনিয়ে আসছে সে সম্বন্ধে বাইবেলে আছে সতর্ক বাণী (১ থিষ: ৫:৩ পদ) শান্তি কিন্তু চিরকাল মরিচিকাময়। মানব জাতির অন্তর যে ঘৃনা, হিংসা ও লোভে পূর্ণ সে কথা জেনেই প্রভু যীশু জগৎ শেষের আগে যুদ্ধ এবং যুদ্ধের জনবর সম্বন্ধে ভবিষ্যৎ বাণী উচ্চারণ করেছিলেন (মথি ২৪:৬পদ)। বহু প্রবন্ধ ও বক্তৃতায় ইতিহাসের অন্তিমকাল সম্বন্ধে পরোক্ষভাবে উল্লেখ আছে যা লক্ষ্য করা যায়। লোকে আজ প্রশ্ন করছেন, জগতের অন্তিকাল কি আসন্ন ? কি ভাবে তা ঘটবে ? ইতিহাস থেমে যাবে কি করে ? এরপর যদি কিছু থেকেই থাকে, তবে সেটা কি ? ইতিহাসের অতীত কি আছে কিছু ? ইত্যাদি নানা প্রশ্ন । আর সেই প্রশ্নের উত্তর খুজে পাই আমরা পবিত্র বাইবেলে। পবিত্র বাইবেল আমাদের নানা বিষয় শিক্ষা দিয়ে থাকে, দিয়ে থাকে শান্তি ও তাঁর ভালবাসা।
উদ্দেশ্য বিহীন জীবন : সমস্ত মানুষের মনে আজ একটা আতঙ্কের ছায়া নেমে এসেছে। যে কোন সময় বা স্থানেই পরিভ্রমন করা যাক না কেন সর্বত্রই হতাশার একটা কালো ছায়া দৃষ্টি গোচর হয়। খবরের কাগজের শিরোনামে, দুশ্চিন্তায় কুঁচকানো কপালের ভাঁজে ভাঁজে পরিপূর্ণতা লাভের ব্যর্থ অন্বেষণে এবং উদ্দেশ্যবিহীন জীবনের মাঝে সেই অশুভ কালো ছায়াটার দেখা পাওয়া যায়। সমগ্র পরিবেশ দূর্ভেদ্য হতাশায় পরিপূর্ণ হয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের বেঁচে থাকার সব আনন্দ যেন চুপসে দিয়েছে। আজ পৃথিবীর অবস্থা ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত রোগীর মত । রোগ সেরে গেলেও অন্য অংশে ক্যান্সারের চিহ্ন প্রকাশ পায়। যুক্তরাষ্ট্রের এক নম্বর জাতীয় সড়ক। সেই দেশের দক্ষিণ অংশের বিপদ সংকুল জলাভুমির উপর দিয়ে গিয়েছে। জায়গাটি সাপ ও নানা ধরনের সরিসৃপ এবং চোরাবালিতে পরিপূর্ণ থাকাতে বহু জনের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। মনে করুন কোনও গাড়ীর চালক জলাভুমির উপর দিয়ে যাবার জন্য পথের খোঁজ খবর নেওয়াতে সেই এক নম্বর জাতীয় সড়কের কথা তাকে জানানো হলো। সেই সঙ্গে আরও বলা হলো যে, বহু অর্থ এবং ত্যাগের ফলেই বিপদ সংকুল জলাভুমির মধ্যদিয়ে নিরাপদে যাবার জন্য সড়কটি তৈরী করা হয়েছে। কিন্তু বেপরোয়া স্বভাবের যাত্রীটির সব সাবধানবাণী তুচ্ছ করে মাঠের উপর দিয়ে সোজা পথ ধরেই চলতে থাকে। পরে খবরের কাগজে মূর্খ অভিযাত্রীটির নিরুদ্দেশের সংবাদ পড়ে আপনি তার বোকামির জন্য দূ:খ প্রকাশই করবেন। বিপদমুক্ত নিরাপদ রাস্তা ছেড়ে বিপদসংকুল রাস্তার যাওয়ার অর্থ আত্মঘাতী হওয়া। পৃথিবীর সর্বত্র এমন বহু ব্যক্তি আছেন যাদের দেহে পাপের ব্যাধিতে আজ মারাত্বভাবে কলঙ্কিত। আধ্যাতিক সত্য উপলব্ধি করবার দৃষ্টি আজ মানুষের অন্তরে নেই। বিরক্তি এবং কামনার জ্বরে অন্তর সেই সব ব্যক্তির উত্তপ্ত, অহংকারেস্ফীত। বিবেক গিয়েছে জড় হয়ে। ইচ্ছাশক্তিও আজ পঙ্গু। যে কাজ করবার জন্য আপনি পরিকল্পনা করছেন, সেই কাজ সম্পন্ন করবার কোনও শক্তি আপনার নাই। আপনি হয়তো চাইছেন অনুগত খ্রীষ্টিয় জীবন যাপন করতে, কিন্তু সে জীবন আপনার পক্ষে যাপন করা দেখেছেন অসম্ভব। খ্রীষ্টের শিক্ষাও যেন অতিমাত্রায় আপনার কাছে আদর্শবাদি, তাই যেন আপনার নাগালের বাইরে। তাইতো গীত রচয়িতা লিখেছেন-----:এক স্রোত আছে শোণিতে
তায় পাপী ডুবিলেন,
যায় সব কলঙ্ক পাতকের
সেই স্রোত ইম্মানূয়েলে”
হতাশার উপত্যকা থেকে খ্রীষ্ট যীশুতে মহিমাময় আশার চূড়া পর্যন্ত বিস্তৃত এক অপূর্ব বিশ্বাস সেতুর কথা বাইবেল ব্যক্ত করে। বাইবেলে জানা যায় খ্রীষ্টের সঙ্গে কোথায় আমরা অবস্থিতি করতে পারি, কিন্তু এখন খ্রীষ্ট যীশুতে, পূর্বে দূরবর্তী যে তোমরা, খ্রীষ্টের রক্তের গুণে তোমরা নিকটবর্তী হইয়াছ-----যেন উভয়কে লইয়া আপনারই মধ্যে এক নতুন সৃষ্টি করিয়া শান্তি স্থাপন করেন, এবং ক্রুশে শত্রুতাকে নাশ করিয়া সেই ক্রুশ দ্বারা উভয়কে এক দেহে ঈম্বরের সহিত পুনর্মিলিত করেন-ইফিষীয় ২:১৩-১৬ পদ ।
ঈশ্বরের প্রেম / ভালবাসা: বাইবেলে দেখি ঈশ চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট হলো প্রেম। ঈশ্বরের প্রেমের প্রতিশ্রুতি এবং ক্ষমা মানুষের ভাষায় যতটা পরিষ্কার এবং স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করা সম্ভব তত বাস্তব দৃঢ় এবং প্রত্যক্ষ । চোখে না দেখা পর্যন্ত সমুদ্রের সৌন্দর্য্য যেমন উপলব্ধি করা যায় না, তেমনি ঈশ্বরের মহিমা বা প্রেম উপভোগ না করলে, ধারনা না থাকলে অন্যের কাছে তার মহিমা ব্যক্ত করা সম্ভব নয়। ঈশ্বরের প্রেম ছাড়া ভবিষ্যৎ জীবনে প্রবেশ করা কারও পক্ষে সম্ভব হতো না। ঈশ্বর প্রেম। এবং আমাদের প্রতি তাঁর প্রেম চিরস্থায়ী। ঈশ্বর পবিত্র, সেই জন্য তিনি পাপ উপেক্ষা করতে বা পাপ কাজে উৎসাহ দিতে পারেন না, কিন্তু পাপীদের তিনি ভালবাসেন।
ঈশ্বর অন্ধ নন : মানব জাতীর জন্য ঈশ্বরের প্রেম শ্রেষ্ঠভাবে প্রকাশিত হয়েছে প্রভুর ক্রুশের মাধ্যমে। ক্রুশারোপিত যীশু খ্রীষ্ট ঈশ্বরের করুনার মুর্ত প্রকাশ। ঈশ্বর খ্রীষ্ট আপনার সহিত জগতের পূর্নমিলন সাধন করেছিলেন ( করিন্থীয় ৫:১৯পদ)। ঈশ্বরের প্রেম কালভেরীতে শুরু হয়নি। প্রাক এদোন যুগের সূচনাতে ঈশ্বরের প্রেম বিদ্যমান ছিল। নিজের প্রতিমূর্তিতে ভালবাসার নিদর্শন স্বরুপ তিনি মনুষ্য নির্মান করিলেন। এবং তাঁর মহান প্রেমের কারনেই মানুষকে ¤্রষ্টেত্ব ও অধিকার দিয়ে তিনি বলেছিলেন, তুমি এই উদ্যানের সমস্ত বৃক্ষের ফল স্বচ্ছন্দে ভোজন করিও, কিন্তু সদসদ জ্ঞান দায়ক যে বৃক্ষ, তাহার ফল ভোজন করিও না, কেননা যে দিন তাহার ফল খাইবে, সেই দিন মরিবেই মরিবে। আবার ভ্রষ্ট মানুষ যখন যীশুকে ক্রুশে দিয়ে ছিল তখনও যীশুর মুখে তার প্রেমের বাণী উচ্চারীত হয়েছিল, পিত ইহাদিগকে ক্ষমা কর, কারণ কি করিতেছে তাহা ইহারা জানে না (লুক২৩:৩৪পদ)। আপনি যতই ঘৃণ্য, কুৎসিত, লজ্জাজনক বা ভয়ানক যে ধরনের পাপই করে থাকুন না কেন ঈশ্বর আপনাকে ভালবাসেন। নরকদ্বারের অতি নিকটবর্তী হলেও ঈশ্বর আপনাকে অনন্ত প্রেমে প্রেম করেন। তাই ঈশ্বরের পেমের কাছে নিজকে সমর্পন এবং উৎসর্গ করা অবশ্যই প্রয়োজন। ঈশ্বর প্রেম করেন বিধায় প্রভু যীশু নিজেই বলেছেন----তুমি তোমার সমস্ত অন্তকরণ, তোমার সমস্ত প্রাণ, তোমার সমস্ত শক্তি ও তোমার সমস্ত চিত্ত দিয়ে তোমার ঈশ্বর সদা প্রভুকে প্রেম করিবে।
সৃষ্টির প্রথম প্রভাতে যেমন, তেমনি এখনও আপনার সঙ্গ লাভের জন্য ঈশ্বর আপনায় ডাকছেন। তাঁর বিস্তৃত অন্তর যাদের জন্য তাঁর পুত্র মৃত্যু বরণ করেছেন তাদের সঙ্গ লাভের জন্য ব্যকুল।
আমি পাপি নগন্য যীশুর হয়েছি গণ্য,
তাই যীশু ধন্য,যীশু ধন্য , গায় মম প্রাণ ।
বর্তমান পৃথিবীতে অনেকে বলে থাকেন কোনও কোনও অবস্থায় নীতি হীনতায় কোনও অন্যায় হয় না। কিন্তু আমি বলছি ঈশ্বরের বাক্য অনুসারে নীতি হীনতা কোন অবস্থাতে সঠিক নয়। বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল দেবার জন্য আপনার নৈতিক মান আপনি নামিয়ে আনতে পারেন, কিন্তু সর্বশক্তিমান ঈশ্বর কখনও তার মান নিচুতে নামতে দেন না। ইচ্ছা করলে আপনি ঈশ্বরের নিয়মের বিরুদ্ধে যেতে পারেন, কিন্তু এই নিয়মেই ঈশ্বরের বিচার দিনে আপনাকে এই জীবনে এবং আগামী জীবনেও চুর্ণ বিচুর্ণ করবেন। জাগতিকতা আমাদের ঘিরে রাখে, অনেক সময় ন্যায় অন্যায় পর্যন্ত বুঝতে আমাদের অসুবিধে হয়। যীশুর প্রদত্ত আদেশ আমরা ভুলে যাই, আমাদের আচার আচরন বলে দেয় ঈশ্বর নাই বা তিনি আমার অপকর্ম দেখেন না, এমন কি আমারা আমাদের প্রতিবাসীর প্রতি ভালবাসা প্রদর্শন বা প্রতিবাসীকে কিভাবে আপনারমত করে ভালবাসা যায় তা ভুলে যাই। কিন্তু পবিত্র বাইবেল বলে, খ্রীষ্টের সঙ্গে পরিচিত হলে পবিত্র আত্মা আপনার সঙ্গে সহবাস করবেন। প্রলোভন এবং মন্দশক্তিকে পরাভুত করার জন্য অলৌকিক শক্তি তিনি আপনাকে দান করবেন। সুতরাং ঐ সমস্ত প্রলোভনের সম্মুখে আপনাকে আর একাকী দাঁড়াতে হবে না। ঈশ্বরের আত্মাই ভাল কিছু করার জন্য শক্তি যোগাবে। ঈশ্বর এখন বলেছেন, যীশু তোমার জন্য যা করেছেন তার জন্যই আমি তোমাকে ক্ষমা করতে পারি। দ্বিতীয়ত ঈশ্বরের সঙ্গে আপনার হৃদয়ের সম্পর্ক শুধু স্বাভাবিক হয়েছে তাই নয়, কিন্তু আপনার হৃদয় যে ঈশ্বরের চরণে নিবেদিত হয়েছে এ সম্বন্ধে দৃঢ় ভাবে নিশ্চিত হওয়া কর্তব্য।
রক্ষার পথ একটি আছে :
বর্তমান অশান্ত এই পৃথিবীতে প্রতিবাসীকে কিভাবে আপনার মত করে ভালবাসা যায়, সে সম্পর্কে প্রভু যীশু দয়ালু শমরীয়ের গল্পটি দিয়ে বুঝিয়েছিলেন। এক ব্যক্তি যিরুশালেম হইতে যিরীহোতে নামিয়া যাইতেছিল, এমন সময় দস্যুদলের হস্তে পড়িল; তাহারা তাহার বস্ত্র খুলিয়া লইল, এবং তাহাকে আঘাত করিয়া আধমরা অবস্থায় ফেলিয়া চলিয়া গেল। ঘটনাক্রমে একজন যাজক সেই পথ দিয়া নামিয়া যাইতেছিল, সে তাহাকে দেখিয়া এক পার্শ¦ দিয়া চলিয়া গেল। পরে সেইরুপে একজন লেবীয় ও সেই স্থানে আসিয়া দেখিয়া এক পার্শ¦ দিয়া চলিয়া গেল। কিন্তু এক জন শমরীয় সেই পথ দিয়া যাইতে যাইতে তাহার নিকটে আসিল; আর তাহাকে দেখিয়া করুনা বিষ্ট হইল,এবং নিকটে আসিয়া তৈল ও দ্রাক্ষারস ঢালিয়া দিয়া তাহার ক্ষত সকল বন্ধন করিল; পরে আপন পশুর উপরে তাহাকে বসাইয়া এক পান্থশালায় লইয়া গিয়া তাহার প্রাতি যতœ করিল। পর দিবসে দুইটি সিকি বাহির করিয়া পান্থশালার কর্তাকে দিয়া বলিল, এই ব্যক্তির প্রতি যতœ করিও অধিক যাহা কিছু ব্যয় হয়, আমি যখন ফিরিয়া আইসি,তখন পরিশোধ করিব। যীশু তখন সেই ব্যবস্থাবেত্তাকে প্রশ্ন করিলেন, এই তিন জনের মধ্যে কে ঐ দস্যুদের হস্তে পতিত ব্যক্তির প্রতিবাসী হইয়া উঠিল ? উত্তরে সে কহিল, যে ব্যক্তি তাহার প্রতি দয়া করিল, তখন যীশু কহিলেন যাও তুমিও সেইরুপ কর। এই গল্পের মধ্যদিয়ে আমরা দয়ার কথা শিক্ষা পাই, ভালবাসার বহি:প্রকাশ দেখতে পাই, প্রতিবাসীর প্রতি আমাদের কি করনীয় তাও কিন্তু দেখতেপাই।
তোমরা প্রতিবেশীকে নিজের মত ভালবাস।
বর্তমানে ডিজিটাল যুগ। বর্তমান সময়ে নীতিজ্ঞান এমন এক বিকৃত অবস্থায় পৌছেছে যে, আসল এবং নকলের প্রভেদ নির্ণয় করা কঠিন। মন্দকে ভাল বলার জন্য আমাদের একটা ঝোঁকের কারণ আত্মকেন্দ্রিকতা। যদি কোনও কিছু আমাদের লাভের বা সুখের কারণ হয়, সম্পুর্ণ অন্যায় জেনেও সেই কারণকে মন্দ না বলে ভাল বলবার একটা প্রবনতা আমাদের মাঝে প্রকাশ পেয়ে থাকে। আমরা এতই আত্ম কেন্দ্রিক যে, প্রতিবাসী তো দুরের কথা আমরা আমাদের কোন আত্মীয়ের পার্শে¦ও দাড়াতে সাহস পাই না। যুক্তি তর্কের সাহায্যে মন্দকে অতি সহজে ভাল বলে চালিয়ে দেওয়া একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি। অপরের ঘাড়ে, অবস্থা বা ভাগ্যের উপরে দোষ চাপিয়ে দেওয়া কত সহজ। ঈশ্বরের সৃষ্টির প্রথম মানুষ আদমও বলেছিলেন, তুমি আমার সঙ্গিনী করিয়া যে স্ত্রী দিয়াছিলে, সে আমাকে ঐ বৃক্ষের ফল দিয়াছিল, তাই খাইয়াছি।
ভালবাসা, প্রেম , মহত্ত এ বিষয়গুলো যেন বই বা বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থের পাতাতেই আছে, বাস্তবে নাই। আমাদের বাসার পাশে কে থাকেন তা আমরা জানি না বা জানার চেষ্টা করি না, শহরের মানুষ আমরা মনে করি এত কিছু জানার প্রয়োজন কি, জানতে গিয়ে আবার কোন সমস্যার মধ্যে পড়ি, এ বিষয়গুলো আমাদের ভাবিয়ে তুলে। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে খ্রীষ্টের পক্ষে কাজ করা কঠিন বিষয়, সেখানে যাতনা থাকবে, কষ্ট থাকবে, দু;খ থাকবে, কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হবে। এত কিছু পেরিয়ে যখন আমারা আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছাতে পারব তখনই কেবল মাত্র আমাদের খ্রীষ্টের ভালবাসা দেখাতে সক্ষম হব। শমরীয় লোকটি আহত সেই ব্যক্তিকে তৈল ও দ্রাক্ষারস দিয়া প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছিলেন, তার পরে সে তার পশুর পিঠে বসিয়েছিলেন, নিজে হয়তো পায়ে হেটেছিলেন, তার পর পান্থশালায় রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন, এতে তার অর্থ ব্যয় করতে হয়েছিল, সময় নষ্ট হয়েছিল, শারীরিকভাবে কষ্ট ভোগ করতে হয়েছিল। এভাবেই সেই শমরীয় লোকটি মানুষের প্রতি তার ভালবাসা দেখিয়েছিলেন। আর যীশু সেই কথাই বলেছিলেন যাও তোমরাও কর।
উপসংহার :
আমাদের প্রভু যীশুর ভালবাসা অতুলনীয় যা পৃথিবীর কোন ভালবাসার সাথে তুলনা করা যায় না। তিনি ক্রুশে ঝুলে থেকেও ঈশ্¦রকে বলেছেন পিত: ইহাদিগকে ক্ষমা কর। ভালবাসার নিদর্শন আর কি হতে পারে। বর্তমান এই অশান্ত পৃথিবীতে খ্রীষ্টের ভালবাসা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। তাই খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হিসেবে আপনার আমার সকলের জীবন খ্রীষ্টের হাতে সমর্পন করে এখনই জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়া উচিৎ। তাই সকলে লেখকের সাথে তাল মিলিয়ে বলি----------খ্রীষ্টের জন্য গাইতে ভালবাসি, খ্রীষ্টের জন্য নাচতে ভালবাসি। পাহাড় সরে যাবে, ঝড় থেমে যাবে, মৃত জীবন পাবে, দু:খ চলে যাবে, হতাশা দূরে যাবে, বেদনা থেমে যাবে- যদি ভালবাসি আমার যীশুকে।
আমেন ।