গুণবতী স্ত্রী ঈশ্বর যোগাবেন - মাইকেল মিন্টু সরদার

ads20

    লেখক: মাইকেল মিন্টু সরদার

    গুণবতী স্ত্রী ঈশ্বর যোগাবেন

    বয়সের একটি সময় এসে ছেলে মেয়ে উভয়কে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে হয়। গঠন করতে হয় একটি নূতন পরিবার। এটাই সামাজিক প্রথা বা রিতি। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এটিই ঈশ্বরের ঐকান্তিক ইচ্ছা। ঠিক এমন একটা উপযুক্ত বয়সে এসে পৌঁচেছি, যখন সবাই ভাবছে বিবাহের কথা। পরিবারও একটু একটু করে প্রস্তুতি নিচ্ছে ছেলের বিবাহের জন্য। মা তার আগতপ্রায় নবপুত্র বধূর জন্য গলার স্বর্ণের হার বানিয়েছে, বাবা বানিয়েছে নাকের নলক বা নাকফুল আর দিদি বানিয়েছে কানের দুল। এসব দেখে বেশ আনন্দই পাচ্ছিলাম। ভাবতে মজা লাগছিল যে, যার জন্য এতো আয়োজন,স্বর্ণালংকার সুসজ্জিভূত হবার জন্য সেই রমনী কোথায়? আমার এই প্রশ্নটির সাথে পবিত্র বাইবেলের একটি প্রশ্নের গভীর মিল খুঁজে পাই। তাহল অব্রাহমের ছেলে ইসহাকের প্রশ্ন -“এই দেখুন, অগ্নি ও কাষ্ঠ কিন্তু হোমের নিমিত্ত মেষশাবক কোথায়?” (পড়ুন আদিপুস্তক ২২:৭)। আর আমাদের দুজনের এই দুটি প্রশ্নের একটি উত্তর হলো “ঈশ্বর যোগাইবেন” (আদি ২২:৮পদ)। আর সত্যিই সেদিন ঈশ্বর হোমের জন্য মেষ অনেক আগে থেকেই ঝোপের মধ্যে প্রস্তুত করে রেখেছিলেন। ঠিক তেমনি ঈশ্বর তাঁর পরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁর সন্তানদের জন্য উপযুক্ত জীবন সঙ্গী অনেক আগে থেকেই প্রস্তুত করে রাখেন।তাই রাজা শলোমন বলেছেন “বাটী ও ধন পৈত্রিক অধিকার;কিন্তু বুদ্ধিমতী স্ত্রী সদাপ্রভু হইতে পাওয়া যায়।”(- হিতোপদেশ১৯:১৪)। একজন আদর্শ,উপযুক্ত,সৎ,চরিত্রবান,উত্তম জীবন সঙ্গী ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছ থেকে আসে। যেমনটি আদম পেয়েছিলেন।আদম তার স্ত্রী হবাকে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে বলেছিলেন “- এইবার হইয়াছে; ইনি আমার অস্থির অস্থি ও মাংসের মাংস;”(আদি২:২৩)।আদমের বলা এই লাইনটি পড়লেই আমরা বুঝতে পারি যে, হবাকে পেয়ে আদম কতটা খুশি হয়েছিলেন! কারণ আদম তার শ্রেষ্ঠ উপহার উত্তম জীবন সঙ্গী হবাকে ঈশ্বররে কাছ থেকে পেয়ে ছিলেন। এটি আদমের জন্য মহা অনুগ্রহ ছিল। কারণ পবিত্র বাক্যে বলে “-যে স্ত্রী পায়,সে উৎকৃষ্ট বস্তু পায়,এবং সদাপ্রভুর কাছে অনুগ্রহ প্রাপ্ত হয়।”(- হিতোপদেশ১৮:২২)। যেহেতু এদন উদ্যানে আদম-হবাকে ছাড়া আমরা আর কাউকে দেখতে পাই না। তাই আমরা বলতেই পারি, আদমকে তার জন্য ঈশ্বর নিরূপিত সেই জীবন সঙ্গী হবাকে খুঁজে নিতে বেশি কষ্ট পেতে হয়নি। কিন্তু এদন উদ্যান থেকে বের হয়ে এসে বর্তমান সময়ে আমাদের সমাজে, মন্ডলীতে অত:পর আমাদের চারিপাশে দেখলে অনেক আদম হবা অর্থাৎ যুবক যুবতীকে দেখতে পাই। প্রশ্ন একটা এসে যায় যে, এতো শত যুবক যুবতীর মাঝে আমরা কিভাবে বুঝবো কে আমার অস্থির অস্থি ও মাংসের মাংস; বা ঈশ্বর কাকে আমার জন্য মনোনিত করে রেখেছেন? আমাদের সামাজিক রিতি নিতি অনুযায়ী, বিবাহের জন্য ছেলে মেয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রথমে পারিবারিক ভাবে পাত্র/পাত্রী দেখার কাজ সম্পাদিত হয়। দেখা হয় চেহারা,গায়ের রং,উচ্চতা,শারিরীক গঠন,যোগ্যতা,চাকরী,বেতন,অর্থ-সম্পদ,সামাজিক পদমর্যদা ইত্যাদি বিষয়। বাহ্যিক বিষয় গুলো বিবেচনা করেই বিবাহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও এসবের প্রয়োজন রয়েছে, তথাপি ঈশ্বরের ইচ্ছা কি তা জানা অধিক গুরপ্তর্পূণ। সেই ছেলে বা মেয়ের আত্মিক জীবন রয়েছে কি না? প্রভুর সাথে তার সম্পর্ক রয়েছে কি না? মন্ডলীর সাথে তার সম্পর্ক কেমন? তার হৃদয়ে ঈশ্বরের বাক্য রয়েছে কি না? এসব বিষয় গুলোকে কোন তোওয়াক্কাই করা হয় না। যে কারণে একটি নূতন পরিবার গঠিত হলেও তা খ্রীষ্টীয় পরিবার হয় না। পরবর্তীতে পরিবার গুলোর মধ্যে বিভিন্ন সমস্যা তৈরী হয়। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অমিল,অশান্তি,ঝগড়া বিবাদ,স্বামীর পরস্ত্রী কাতরতা, স্ত্রীর পরকিয়া প্রেম, ডিভোর্স ইত্যাদি।আরো একটি বিষয় অন্ত:নিহিত থেকে যায় তাহল স্বামী স্ত্রী কেউ একে অন্যের উপরে সন্তুষ্ট না হয়েও অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনরকম একসাথে থাকে এবং বলা যায় জোরপূর্বক সংসার করে। এমন পরিবারের সংখ্যাও কম নয়। খুব কম পরিবারে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঈশ্বরের ঐশ্বরিক ভালোবাসার বন্ধন দেখতে পাওয়া যায়।

    প্রিয়জন,আমাদের দৃষ্টিতে দেখা বাহ্যিক কোন কিছুই একটি আদর্শ সুখি সমৃদ্ধ খ্রীষ্টীয় পরিবার গঠনে সাহায্য করে না। স্বরণ করিয়ে দিতে চাই অব্রাম ও লোটের অঞ্চল ভাগের কথা। লোট তার দৃষ্টিতে যর্দন থেকে সোয়র পর্যন্ত জাগতিক বিষয় গুলো দেখে ঐ অঞ্চলকে বেছে নিয়ে ছিলেন। কারণ তাহা দেখতে সর্বত্র সজল,সদাপ্রভুর উদ্যানের ন্যায়,মিসর দেশের ন্যায় ছিল। তবে পরে তা গন্ধক ও অগ্নির বর্ষণে স্বংস হয়ে ছিল। কিন্তু সদাপ্রভু অব্রামকে প্রচুর পরিমাণে আশির্বাদ করেছিলেন।(পড়ুন -আদি১৩:৮-১৮;১৯;১২-২৬পদ)। তাই আমাদের দেখা আর ঈশ্বরের দেখা এক নয়।তাই পবিত্র বাক্য আমাদের এই কথা বলে যে“ লাবণ্য মিথ্যা, সৌন্দর্য অসার, কিন্তু যে স্ত্রী সদাপ্রভুকে ভয় করেন,তিনিই প্রশংসনীয়া"(হিতোপদেশ ৩১:৩০)। কারণ সদাপ্রভু কহেন ,আমার সংকল্প সকল ও তোমাদের সংকল্প সকল এক নয়, এবং তোমাদের পথ সকল ও আমার পথ সকল এক নয় ।”( -যিশাইয়৫৫:৮)।দেখুন ঈশ্বর আমাদেরকে আরও বলেন “...ভূতল হইতে আকাশমন্ডল যত উচ্চ,তোমাদের পথ হইতে আমার পথ,ও তোমাদের সঙ্কল্প হইতে আমার সঙ্কল্প তত উচ্চ।”(যিশাইয়৫৫:৯পদ)। সুতরাং আমাদের জীবনের প্রত্যেকটা পদক্ষেপে ঈশ্বরের সংকল্পের কাছে নত হওয়া অতান্ত প্রয়োজন।বিশেষ করে বিবাহের ক্ষেত্রে,কারণ পবিত্র বাক্যে বলে বুদ্ধিমতী স্ত্রী সদাপ্রভু হইতে পাওয়া যায়।যা আমাদের অধীনস্থ নয়, ঈশ্বর নিরুপীত, তা পেতে হলে অবশ্যই প্রার্থনা সহকারে ঈশ্বরের কাছ থেকে আমাদেরকে চেয়ে নিতে হবে। তবেই আমরা আমাদের অস্থির অস্থি ও মাংসের মাংস,উত্তম জীবন সঙ্গী খুঁজে পাব। আমরা একটি উজ্বল দৃষ্টান্ত দেখতে পাই অব্রাহমের ছেলে ইস্হাকের বিয়ের ক্ষেত্রে। অব্রাহাম তাঁর ছেলে ইস্হাকের বিবাহের জন্য উপযুক্ত পাত্রী খোঁজার দায়িত্ব দিয়েছিলেন তাঁর বিশ্বস্ত দাসের উপরে। যিনি ছিলেন অব্রাহামের গৃহের অধ্যক্ষ এবং প্রাচীন।তিনি তাঁর সেই দাসকে প্রতিজ্ঞা করিয়ে বলেছিলেন কোন কনানীয় কন্যাকে পুত্রবধূ হিসাবে গ্রহণ না করতে বরং অব্রাহামের নিজের দেশের জ্ঞাতি কুটুম্বদের মধ্যে গিয়ে খোঁজ করতে। এটি অব্রাহামের দাসের জন্য বেশ কঠিন এবং কষ্ট সাধ্য কাজ ছিল। তাই অবাহাম তাঁর দাসকে সাহস দিয়ে বলেছিলেন তোমার আগে ঈশ্বর তাঁর আপন দূত পাঠিয়ে তোমাকে এক উপযুক্ত কন্যা পেতে সাহায্য করবেন।আর তখন সেই দাস ঈশ্বরের উপরে বিশ্বাস রেখে প্রার্থনা পূর্বক অরাম-নহরয়িম দেশে,নাহোরের নগরে যাত্রা করলেন।তিনি প্রার্থনা করলেন “...হে সদাপ্রভু,আমার কর্তা অব্রাহামের ঈশ্বর,বিনয় করি,অদ্য আমার সম্মুখে শুভফল উপস্থিত কর, আমার প্রভু অব্রাহামের প্রতি দয়া কর।”(-আদি ২৪:১২)। ক‚পের নিকটে দাঁড়িয়ে তিনি ঈশ্বরের কাছে একটি চিহ্ন দেখতে চাইলেন। “...যে কন্যাকে আমি বলিব, আপনার কলশ নামাইয়া আমাকে জল পান করাউন, সে যদি বলে, পান করুন, আপনার উষ্ট্রদেরও পান করাইব, তবে তোমার দাস ইস্হাকের জন্য তোমার নিরূপিত কন্যা সে-ই হউক; ইহাতে আমি জানিব যে, তুমি আমার প্রতি দয়া করিলে।”(-আদি২৪:১৪ পদ)। ঈশ্বর সেই দাসের প্রার্থনার তৎক্ষণাৎ উত্তর দিয়েছিলেন। তিনি দেখলেন,বথূয়েলের কন্যা রিবিকা কলশ কাঁধে নিয়ে কূপ থেকে উঠে আসছেন। যিনি অব্রাহামের বংশজাত ছিলেন। সেই দাস দৌঁড়াইয়া রিবিকার কাছে গেলেন এবং জল পান করতে চাইলেন। রিবিকা অতান্ত্য ভক্তি ভরে তাঁকে এবং তাঁর সেই উট দশটিকে জল পান করালেন। বলা বাহুল্য যে কূপ থেকে জল তুলে উটদের পান করানো কাজটি রিবিকার জন্য মোটেও সহজ বিষয় ছিল না। কারণ গুগল আমাদের এই তথ্য দেয় যে, একটি উট এক বারে ১০মিনিটে ১৩০লিটার জল পান করতে পারে অর্থাৎ ১০টি উটের জন্য ১৩০০লিটার জলের প্রয়োজন ছিল যা আনুমানিক ৩০টি গাড়ির ফুয়েল ট্যাঙ্কের সমান। বুঝতেই পারি কেউই এই কাজ স্বেচ্ছায় করতে চাইবে না কিন্তু রিবিকা খুশি মনেই করে ছিলেন। সেই দাস রিবিকার এই ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে সদাপ্রভুর কাছে কৃতজ্ঞ চিত্তে মাথা নত করে প্রণিপাত করলেন “-আর কহিলেন,আমার কর্তা অব্রাহমের ঈশ্বর সদাপ্রভু ধন্য হউন, তিনি আমার কর্তার সহিত আপন দয়া ও সত্য ব্যবহার নিবৃত্ত করেন নাই; সদাপ্রভু আমাকেও পথঘটনাতে আমার কর্তার জ্ঞাতিদের বাটীতে আনিলেন।(-আদি২৪:২৭) । সেই দাস যখন দেখলেন তার দেখতে চাওয়া চিহ্ন অনুযায়ী ঈশ্বর তাঁর নিরূপিত কন্যাকে দেখালেন, তখন সে উপঢৌকন নিয়ে রিবিকার কাছে গিয়ে তাঁর পিতৃ পরিচয় নিলেন। তিনি রিবিকার বাসায় আতিথ্য গ্রহণ করলেন এবং ঈশ্বরের এই আশ্চর্য ঘটনার সমস্ত বিবরণ তাদেরকে খুলে বললেন। রিবিকার পরিবারও ঈশ্বরের ইচ্ছাকে সর্বপেক্ষা প্রাধান্য দিয়ে সেই দাসের হাতে তাদের কন্যা রিবিকাকে তুলে দিলেন। আর ইস্হাকও রিবিকাকে তাঁর স্ত্রী হিসাবে সাদরে গ্রহণ করলেন।আর এই সমস্ত ঘটনার মধ্যে দিয়ে আমরা ঈশ্বরের আর্শিবাদ দেখতে পাই, কারণ সবাই এই বিশেষ কাজ নিজেদের বিবেচনায় না করে ঈশ্বরকে প্রথম স্থান দিয়ে ছিলেন। মনে রাখা দরকার যে প্রত্যেকের ব্যক্তি জীবনে বিবাহ হলো একটি বিশেষ আর্শিবাদ। কারণ এদন উদ্যানে ঈশ্বর নিজেই প্রথম আদম হবার মধ্যে মিলন ঘটিয়ে ছিল অর্থাৎ বিবাহ কার্য সম্পর্ন করে ছিলেন আবার নূতন নিয়মে দেখতে পাই গালীলের কান্না নগরে বিবাহ বাড়িতে অতিথি হিসেবে প্রভু যীশু খ্রীষ্ট স্বয়ং তিনি উপস্থিত থেকে আর্শিবাদ করে ছিলেন এবং প্রথম জলকে দ্রাক্ষা রসে পরিণত করেছিলেন (-পড়–ন যোহন২:১-১১পদ)। প্রশ্ন হলো- আমাদের বিয়েতে কি আমরা প্রভু যীশুকে প্রধান অতিথি হিসেবে নিমন্ত্রণ করি? অব্রাহমের দাসের মতো বিয়ের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ঈশ্বরের পরিকল্পনার কাছে সর্মপিত হই? আমাদেরকে এই দাসের জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা অতান্ত্য প্রয়োজন। আমরা নিঃসন্দেহে বুঝতে পারি যে,সেই দাস খুবই ঈশ্বর ভয়শীল,বিশ্বাসী এবং বিশ্বস্ত ছিলেন যে কারণে, অব্রাহাম তাঁর একমাত্র পুত্রের জন্য পুত্রবধূ খুঁজে আনার কাজ তাঁকে দিয়ে ছিলেন।আমাদের সমাজের যারা বিবাহ সম্বন্ধ স্থাপনকারী রয়েছে তাদেরকে ঘটক বলা হয়। পিতা মাতা অনেক সময় ছেলে/মেয়ের জন্য ভাল সম্বন্ধ পেতেবিভিন্ন ঘটক বা পরিচিত জনদের দারস্থ হন। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখা হয়, যার মাধ্যমে বিবাহের মতো পবিত্র গুরুপ্তপূর্ন কাজ সম্পন্য হবে সে কি খ্রীষ্টে বিশ্বাসী বা তার আত্মিক জীবন কেমন? আমার পরিবার থেকে যখন কোন সম্বন্ধের কথা শুনি, তখন আমার ঘটক সম্পর্কে নানাবিধ প্রশ্ন থাকে। আর পরিবার থেকে যে উত্তর আসে তাহলো, ঘটক দিয়ে কি করবো? আমাদের প্রয়োজন একটা ভাল মেয়ে। প্রিয়জন, বিষয়টা একটু হাস্যকর মনে হলেও এটা সত্য যে একজন আত্মিক প্রভুর সন্তান, প্রার্থনা সহকারে আর একজন প্রভুর মনোনিত সন্তানকে খুঁজে বের করতে পারেন। তাই পিতা মাতা হিসাবে সন্তানের বিবাহের জন্য সম্বন্ধ দেখার ভার যাকে-তাকে না দিয়ে অব্রাহমের দাসের মতো, একজন আদর্শবান পালক অথবা ঈশ্বর ভয়শীল, বিশ্বাসী এবং সৎ, বিশ্বস্ত লোকের উপরে দায়িত্ব দেওয়া। লমূয়েল রাজা বলেছেন,“গুনবতী স্ত্রী কে পাইতে পারে? মুক্তা হইতেও তাঁহার মূল্য অনেক অধীক।”(-হিতোপদেশ ৩১:১০পদ)। প্রিয়জন বাংলায় একটি প্রবাদ রয়েছে “সৎ পাত্রে কন্যা দান” অর্থাৎ একজন যোগ্য ছেলের হাতে মেয়েকে অর্পিত করা।কোন মেয়ের বাবা কখনো চাইবে না তার মেয়ের সারাজীবনের ভার কোন অসৎ, দুশ্চরিত্রের ছেলের উপরে দিতে। ঠিক তেমনি আমাদের পিতা ঈশ্বরও কখনো অনুপযুক্ত পাত্রে উত্তম, মূল্যবান জিনিস রাখেন না। প্রভু যীশু খ্রীষ্টও একটি উদাহরণ দিয়ে বলেছেন “আর লোকে পুরাতন ক‚পায় নূতন দ্রাক্ষারস রাখে না; রাখিলে কূপাগুলি ফাটিয়া যায়,তাহাতে দ্রাক্ষারস পড়িয়া যায়, ক‚পাগুলিও নষ্ট হয়; কিন্তু লোকে নূতন ক‚পাতেই টাট্কা দ্রাক্ষারস রাখে,তাহাতে উভয়েরই রক্ষা হয়।”(-মথি৯:১৭)।অতএব আমরা যেমনটি ঈশ্বরের কাছে আশা করি,ঠিক তেমনটি যেন নিজেকেও যোগ্যরূপে গঠন করি।গুনবতী স্ত্রী কে পাইতে পারে? প্রশ্নটির উত্তরে বলবো একজন ঈশ্বরের উপর নির্ভরশীল,সরল,ন¤্র,বাধ্য, সৎচরিত্রবান পুরুষ তাহা পেতে পারে। এজন্য আমাদেরকে অব্রাহমের মতো ঈশ্বরের উপর অটুট বিশ্বাস,নির্ভরতা এবং প্রচুর প্রার্থনা করা প্রয়োজন। তবেই,ঈশ্বর আমাদের জীবনে যাকে যুক্ত করবেন বলে পূবেই প্রস্তুত করে রেখেছেন, ঝোঁপে আটকে থাকা সেই মেষের মতো উপযুক্ত সময়েই তাকে আমাদের জীবনে যোগাবেন যীশু নামে-আমেন।।

    Christo Sangeet Presenter

    খ্রীষ্ট সঙ্গীত অ্যাপ

    আপনার উপাসনার সঙ্গী, এখন আপনার হাতের মুঠোয়।

    সহজ ও নিরাপদ এবং সম্পূর্ণ অফলাইন সুবিধা।

    আজই ডাউনলোড করুন

    পরিচিতদেরকে জানাতে শেয়ার করুন

    আপনার জন্য আরো কিছু পোস্ট

    RELATED ARTICLES

      ADS