পবিত্র বাইবেলের ইতিহাস

ads20

    ‘যিশু’ ইংরেজিতে Jesus , সময় কাল আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৪ অব্দ থেকে আনুমানিক ৩০ খ্রিস্টাব্দ, যাকে “যিশু খ্রিস্ট” নামে অভিহিত করা হয়েছে ।  মূলত ছিলেন ইহুদি ধর্মপ্রচারক, পরবর্তীতে যিনি খ্রিস্টধর্মের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। খ্রিস্টানগণ বিশ্বাস করেন, তিনি হলেন ঈশ্বরপুত্র  এবং  তিনিই সে খ্রিস্ট অভিষিক্ত ব্যক্তি ‘মসিহ’, ওল্ড টেস্টামেন্টে যার সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল। প্রভু যিশুর আর্দশ, শিক্ষা এবং প্রদর্শিত পথ THE HOLY BIBLE/পবিত্র বাইবেল দ্বারা নির্দিষ্ট যা তাদের কাছে GOD’S WORD ঈশ্বরের বাক্য। পৃথিবীর নানা প্রান্তের প্রায় ৪০ জন সাধু ১৬০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাইবেল রচনা করেছেন । ঈশ্বর পুত্র যিশু, বাইবেলের কেন্দ্রীয় চরিত্র তবে লেখক এবং রচনাকাল ভিন্নতায় রচনা সমূহের মধ্যে ভিন্নতা পরিলক্ষিত করা গেছে। সর্বপ্রথম মুদ্রিত বাইবেল হল গুটেনবার্গ বাইবেল। পৃথিবীতে বিদ্যমান ৭০০০ ভাষার মধ্যে প্রায় ২৮০০ ভাষায় অনুদিত হয়েছে পবিত্র বাইবেল । প্রতি বছর ছাপা হচ্ছে ১০ কোটি, এই পর্যন্ত মুদ্রিত হয়েছে প্রায় ৫০০ কোটিরও অধিক।

    gutenberg_bible
    বাইবেল, গ্রিক βιβλία (biblia) শব্দটির অর্থ ‘‍একটি পুস্তক’ যা প্যাপিরাস গাছের ছালে লিখিত হয়েছিল। পবিত্র বাইবেল প্রধান দুটি অংশে বিভক্ত- ওল্ড টেস্টামেন্ট তথা পুরাতন নিয়ম  ও নিউ টেস্টামেন্ট তথা নতুন নিয়ম । পুরাতন নিয়মের অধিকাংশ পুস্তক হিব্রুতে লেখা অল্প কিছু অরামীয় Aramaic প্যালেষ্টাইন ভাষায়,  পুরাতন নিয়মের পুস্তক সংখ্যা হল ৩৯টি। নতুন নিয়মের সব পুস্তকই গ্রিক ভাষায় লেখা হয়েছে, নতুন নিয়মের পুস্তক সংখ্যা ২৭টি। নতুন নিয়মের পুস্তকগুলোতে পাঁচটি ভাগ আছে যার অন্যতম প্রধান অংশটির নাম সুসমাচার ‘Gospel’।  প্রভু যিশুর মাধ্যমে ঈশ্বর প্রেরিত সংবাদ সমূহকে ইংরেজি বলা হয় ‘Gospel’। এই শব্দটি মূলত god (good) – spel  থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ শুভ সংবাদ কিংবা সুসমাচার । প্রভু যিশুর জীবন, মৃত্যু ও পুনরুজ্জীবনের বিবরণ  ‘Gospel’ দ্বারা প্রকাশিত। মথি, মার্ক, লুক ও যোহান (Matthew, Mark, Luke & John) দ্বারা লিখিত নূতন নিয়মের চারটি Gospel সুসমাচার কে যিশুর  ঐতিহাসিক সত্যতা অনুসন্ধানের  জন্য অধিক মর্যাদা সম্পন্ন এবং শ্রেষ্ঠ সূত্র হিসাবে বিবেচনা করা হয়।  Matthew 1:18  বলতে বোঝায় সাধু মথি লিখিত সুসমাচার, অধ্যায় সংখ্যা ১ এবং স্তবকসংখ্যা ১৮।

    খ্রিস্টানগণ বিশ্বাস করেন, এই বাইবেল রচনা হয়েছিল খ্রিস্টীয় ‘ত্রিত্ববাদ’-এর অন্যতম পবিত্র আত্মার সহায়তায় । ‘ত্রিত্ব মতবাদ’ হচ্ছে  খ্রিষ্ট ধর্মের ঈশ্বর বিষয়ক মূল মতবাদ । এক ঈশ্বর, কিন্তু তাঁর মধ্যে তিনটি ব্যক্তি-সত্তা’র কার্যকারিতা ।


    ১। পিতা ঈশ্বর – সবকিছুর পরিকল্পনাকারি।
    ২। পুত্র ঈশ্বর -পরিকল্পনার বাস্তবায়নকারি।
    ৩। পবিত্র আত্মা ঈশ্বর- পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ক্ষমতা বা শক্তি যোগানকারি।

    পণ্ডিত এবং গবেষকগণ মনে করেন  ‘যিশু’  ছিলেন এমন একজন রহস্যোদঘাটনবাদী  ধর্মপ্রচারক যিনি ইহুদি ধর্মের মধ্যেই একটি সংস্কার আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটিয়েছিলেন । যদিও কয়েকজন বিশিষ্ট গবেষক বলেন যে, ‘যিশু’  আদৌ রহস্যোদঘাটনবাদী ছিলেন না । ঈশ্বরের ইচ্ছা পালনের শ্রেষ্ঠ পদ্ধতি কী, তা নিয়ে ‘যিশু’ ইহুদি ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিতর্কে অংশ নিতেন, রোগীদের রোগমুক্ত করতেন, নানাবিধ অলৌকিক ঘটনা সম্পাদন করতেন, নীতিগর্ভ কাহিনীর  মাধ্যমে শিক্ষা দিতেন এবং শিষ্য সংগ্রহ করতেন । যিশুর অনুগামীরা বিশ্বাস করতেন যে, তিনি মৃত্যুর পর পুনর্জীবন লাভ করেছিলেন এবং তাঁরা যে সমাজ গঠন করেছিলেন, সেটিই পরবর্তীকালে খ্রিস্টীয় চার্চে পরিণত হয়।


    ছবি ও তথ্যঃ উইকিপিডিয়া



    পরিচিতদেরকে জানাতে শেয়ার করুন

    আপনার জন্য আরো কিছু পোস্ট

    RELATED ARTICLES

      ADS