ক্যাথলিক ও প্রটেস্ট্যান্ট মত পার্থক্য

ads20

     ক্যাথলিক ও প্রটেস্ট্যান্ট মত পার্থক্য

    এই দুই গোষ্ঠী’র খৃষ্টানগণই যিশু খ্রিস্ট প্রদর্শিত ধর্মের বেসিক প্রিন্সিপালগুলো মেনে চলেন, তথাপি তাদের মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রযেছে। প্রোটেস্ট্যান্টগন মনে করেন ঈশ্বর কর্তৃক প্রদত্ত পবিত্র বাইবেল হলো একটি সম্পূর্ণ বিধান এবং একমাত্র বাইবেলের শিক্ষাই জগতের পাপীগনের মুক্তিলাভ করার জন্য যথেষ্ট। তাদের মতে সকল ধর্মীয় বিশ্বাস ও নৈতিকতার চূড়ান্ত কর্তৃপক্ষ হল বাইবেল। প্রোটেস্ট্যান্টদের এই ধারনার উৎস হল পাঁচ প্রত্যাদেশ । যার একটি  প্রত্যাদেশ ‘Sola Scriptura’ যার মানে পবিত্র বাইবেল অনুসরণ করা ছাড়া আর দ্বিতীয় কোন নির্দেশিত পথ নাই । এছাড়া পাবিত্র বাইবেলের বিভিন্ন জায়গায়ও একাধিকবার তাদের মতবাদের পক্ষে যুক্তি আছে বলে প্রোটেস্ট্যানগন মনে করেন। কিন্তু ক্যাথলিকগন এই ধারণা সঠিক মনে করেন না। তাদের মতে পবিত্র বাইবেলের পাশাপাশি রোমান ঐতিহ্যগত অনুশাসনও একজন খ্রীস্টানের জন্য সমান ভাবে প্রযোজ্য । ক্যাথলিকরা সার্বজনীনতায় বিশ্বাসী , তারা মনে করেন ‘রোমান ক্যাথলিক চার্চ’

    হচ্ছে সেই গির্জা যা মূলত যীশু’র মনোনীত শিষ্য দ্বারা প্রতিষ্টিত। তারা প্রভু যীশু এবং বাইবেল নির্দেশিত পথ মেনে চলেন এবং যুগপৎ  খ্রীষ্ট সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রধান হিসাবে পোপের কর্তৃত্বকে স্বীকার করেন । ক্যাথলিকগন মনে করেন ‘পোপ’ তিনি সকল গির্জার প্রধান,  Vicar of Christ অর্থাৎ যীশুর প্রতিনিধি । তারা মনে করেন  পোপ নির্দেশিত সকল শিক্ষা ও বাণী নির্ভুল এবং খ্রীস্ট  ধর্মবিশ্বাস ও  জ্ঞান চর্চায় ‘পোপ’ কোন ভুল করতে পারেন না । অন্যদিকে প্রোটেস্ট্যান্টগন তা মানতে নারাজ , তাদের বক্তব্য পোপ একজন মানুষ, তিনি ঈশ্বর প্রেরিত কোন দূত নন , তাই তিনি ভুলের উর্ধ্বে নন । প্রোটেস্টানরা ক্যাথলিকদের মতো পৌরহিত্য করেন না । সামাজিক আচার , রীতি কিংবা অনুষ্ঠান পালনে যাজক হিসাবে তারা সর্বজন বিশ্বাসভাজন কারও উপর তার দায়িত্ব অর্পন করতে চান । ক্যাথলিকরা ঈশ্বর-যীশু ছাড়াও অনেক সাধু সন্তদের উদ্দেশ্য প্রার্থনা করেন। প্রোটেস্ট্যান্টরা সাধু সন্তদের উপর বিশ্বাস রাখলেও তাদের উদ্দেশ্যে  প্রার্থনা করেন না । এছাড়া আরও কিছু ধর্মাচার , যেমন হলিওয়াটার, সেলিবাচি, যন্ত্রনাভোগ ও নানে শুধুমাত্র ক্যাথলিকরা বিশ্বাস করেন। প্রোটেস্ট্যান্টরা মনে করেন পাপমোচন বা মুক্তি লাভের লাভের একমাত্র উপায় ঈশ্বরের উপাসনা । ক্যাথলিকরাও তেমনটাই বিশ্বাস করেন তবে পাশাপাশি সাতটি পবিত্র স্যাকরাম্যন্টের / গির্জা কর্ত্তৃক নির্দেশিত ধর্মাচার  দ্বারা অনুগ্রহ লাভের প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করেন  ক্যাথলিকগণ । তন্মধ্যে ব্রিটিশ ব্যাপ্টিস্ট গণ মনে করেন একজন শিশু জন্মের পরেই প্রভু যিশুকে হৃদয়ঙ্গম কিংবা ধারন করার যোগ্য হয়ে উঠে না । 

    শুধু মাত্র প্রাপ্তবয়স্ক হলে সে জীবন দর্শণ পাপ-পুণ্য সম্পর্কে সম্যক ধারনা অর্জনে সক্ষম হয় । তাই তারা ‘Adult baptism’  -এ বিশ্বাস করে । ব্যাপ্টিস্টগণ বিশ্বাস করেন ‘infant baptism’ বাইবেলের কোথাও বর্ণিত হয় নি । কিন্তু ক্যাথলিকরা ইনফ্যান্ট ব্যাপ্টিজম বা অভিসিঞ্চনে বিশ্বাস করে ।

    ছবি ও তথ্যঃ উইকিপিডিয়াৃ

    Christo Sangeet Presenter

    খ্রীষ্ট সঙ্গীত অ্যাপ

    আপনার উপাসনার সঙ্গী, এখন আপনার হাতের মুঠোয়।

    সহজ ও নিরাপদ এবং সম্পূর্ণ অফলাইন সুবিধা।

    আজই ডাউনলোড করুন

    পরিচিতদেরকে জানাতে শেয়ার করুন

    আপনার জন্য আরো কিছু পোস্ট

    RELATED ARTICLES

      ADS