প্রটেস্ট্যান্ট কী ?

ads20
    মার্টিন লুথার লিখিত পোপ বরাবরে পত্র।

    প্রটেস্ট্যান্ট

    ষোড়শ শতাব্দীতে ‘রোমান ক্যাথলিক চার্চ’-এর  প্রথা, নিয়মকানুন, বিধি-বিধান এবং রীতি-নীতির প্রতি দ্বিমত পোষণ এবং তার সংস্কার আন্দোলনের মধ্যদিয়েই প্রটেস্ট্যান্ট’দের  আবির্ভাব । জার্মানীর ক্যাথলিক পুরোহিত মার্টিন লুথার প্রটেস্ট্যান্ট মন্ডলীর একজন অন্যতম প্রবক্তা । ১৫১৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি পুণ্যপিতা পোপ মহোদয়কে ৯৫ দফা সম্বলিত একখানা পত্র লিখেছিলেন। তিনি সেখানে  ক্যাথলিক মন্ডলীর বিভিন্ন ত্রুটি বিচ্যুতি সমূহ তুলে ধরেন এবং মন্ডলীর স্বার্থে তা সংশোধনের আহ্বান জানান। কিন্তু পোপ মহোদয় গ্রহণ করতে অস্বীকার জানান । এই দ্বিধা বিভক্তিকে ঘিরেই পুণ্য পিতা পোপ মহোদয়ের পরিচালনাধীন একক মন্ডলীতে একটি লক্ষণীয় বিভাজন জন্ম গ্রহণ করে । উদ্ভব হয় প্রটেস্ট্যান্ট , আন্দোলনটি  প্রথম শুরু হয় জার্মানিতে। ১৫২৭ সালে মার্টিন লুথার প্রণিত প্রন্থ ‘দ্য নাইন্টি ফাইভ থিসিস’ গ্রন্থে তিনি রোমান যাজকীয় নীতি, তাদের প্রচলিত খ্রীস্ট বিশ্বাস নিয়ে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ভিন্ন মতামত প্রকাশ করেন । ষোড়শ শতকে  তার অনুসারীরারা  ইউরোপের জার্মান থেকে আশেপাশের স্ক্যান্ডিনেভীয় এলাকা সমূহ ডেনমার্ক , নরওয়ে , ফিনল্যান্ড এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে,  প্রতিষ্ঠা করে লুথিয়ান চার্চ । হাঙ্গেরি, স্কটল্যান্ড, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড প্রভৃতি দেশেও একই আদলে চার্চের সংস্কার করা হয় । ১৫৫৩ সালে চার্চ অব ইংল্যান্ড পোপের কর্তৃত্ব থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়। পরবর্তীতে এই সংস্কার আন্দোলন প্রতিষ্ঠা লাভ করে ,গঠিত হয়  প্রটেস্ট্যান্ট মন্ডলী । তাদের দ্বারা  শিক্ষা, জ্ঞান বিজ্ঞান, মানবতা,  রাজনীতি, সমাজনীতি , অর্থনীতি, শিল্পকলায় প্রভূত অর্জন সাধিত হয় ,  বিকশিত হয় সভ্যতা । ব্যাপ্টিস্টগণ মূলত একক বিশ্বাসী কোন গ্রুপ নন , তাদের কার্য পদ্ধতি , ধর্ম রীতি পালন ও বিশ্বাসের রকমফেরে তাদের মধ্যেও বিভিন্ন অনুসারী আছেন । বিশ্বজুরে ব্যাপ্টিজমে বিশ্বাসী লোক সংখ্যা খ্রিস্টান জনসংখ্যা ২৪০ কোটি’র প্রায় ৩৭%, ৯০ কোটি।


    ছবি ও তথ্যঃ উইকিপিডিয়া



    পরিচিতদেরকে জানাতে শেয়ার করুন

    আপনার জন্য আরো কিছু পোস্ট

    RELATED ARTICLES

      ADS