আমরা যা খেয়ে বেঁচে থাকি, যা আমাদের শরীরের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে, শরীরের বৃদ্ধি সাধন করে এবং বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা করে তাই খাদ্য। অন্য কথায় যা খেলে শরীরের বৃদ্ধি ঘটে ও ক্ষয়পূরণ হয়, শক্তি যোগায়, তাপ উৎপাদন করে এবং রোগ প্রতিরোধ করে তাকে খাদ্য বলে। যেমন-ভাত, মাছ, ডাল, তেল, সব্জি, ফল ইত্যাদি।
অপরদিকে খাদ্যের সংগে স্বাস্থ্যের সম্পর্কই হল পুষ্টি । সঠিক নিয়মে খাদ্য গ্রহণ করলে সেই খাদ্য আমাদের শরীরে শক্তি দেয়, শরীর বৃদ্ধি করে, শরীর ভাল রাখে এবং বিভিন্ন রোগের হাত থেকে বাঁচায়। স্বাস্থ্য গঠনে খাদ্যের ভুমিকা অর্থাৎ খাদ্যের সঙ্গে সুস্থ্য সবল ও কাজ করার ক্ষমতা বজায় রাখার যে সম্পর্ক তাকেই পুষ্টি বলতে পারি । শরীরের ক্ষয় পূরণকারী, শক্তিদায়ক, রোগ প্রতিরোধক সহায়ক খাদ্যই পুষ্টি কর খাদ্য। পবিত্র বাইবেলের সাথে খাদ্য ও পুষ্টির সাথে তুলনা করলে দেখা যায় পবিত্র বাইবেলের প্রতিটি বাক্যই হলো দেহের খাদ্যরুপ আর প্রার্থনা হলো পুষ্টি , যা শক্তি যোগায় । পবিত্র বাক্য হলো স্বর্গীয় খাদ্য আর প্রার্থনা শক্তি যা মানুষের আত্মিক জীবনকে গঠনে সহায়ক ভুমিকা রাখে ।
আমাদের জিজ্ঞাসা ;
আমরা মোটাসোটা মানুষ দেখলেই বলি স্বাস্থ্যবান মানুষ। দৈহিক গড়নই কি সুস্বাস্থ্যের পরিচারক ? আমরা জানতে চাই স্বাস্থ্য বলতে আমাদের ধারনা কি ? প্রকৃত পক্ষে স্বাস্থ্য মানে শুধুমাত্র নীরোগ শরীর নয়; স্বাস্থ্য হচ্ছে-পরিপূর্ণ দৈহিক, মানসিক ও সামাজিক কল্যানের একটি অবস্থা । আর এই নিজের স্বাস্থ্য নিজেরই পরিচর্য্য করা দরকার এবং নিজেদের উদ্যোগে কিভাবে নিজের স্বাস্থ্যের যতœ নেয়া যায় সেটা জানা আমদের জন্য জরুরী । আমরা অনেকেই মনে করে থাকি সুস্বাস্থ্যের জন্য বুঝি বিশেষ ব্যবস্থার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা প্রত্যেকেই আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চলার মধ্য দিয়ে আমাদের স্বাস্থ্যেকে নিরোগ বা সুস্থ্য রাখতে পারি। এতে নিজের কাছে যেমন নিজেকে ভাল লাগে তেমনি পরিবেশও থাকে নির্মল । আমরা নিজেদের শরীরকে সুস্থ্য সবল রাখতে প্রতিদিন কিছুূ নিয়ম নীতি মেনে চলি। যেমন নিয়মিত গোসল করা, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, বিশ্রাম নেয়া, ইত্যাদি। অর্থাৎ বলা যায়, ব্যক্তিগতভাবে যে সব নিয়ম নীতি মেনে চললে শরীর সুস্থ্য ও সবল থাকে, তা হচ্ছে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পরিচর্য্যা । তেমনি দেহের সাথে পবিত্র বাইবেল এর তুলনা করলে দেখা যাবে আমরা খাদ্য গ্রহন করলে শরীর বা দেহ বৃদ্ধি পায়, তেমনি পবিত্র বাক্য আমাদের দেহের খাদ্যস্বরুপ । আর পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহন করলে , শরীরের বৃদ্ধি সাধনের পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা করে, ক্ষয়পূরণ হয়, শক্তি যোগায়, তাপ উৎপাদন করে এবং রোগ প্রতিরোধ করে, তেমনি প্রার্থনা আমাদের মনকে শক্তি যোগায়, সাহস যোগায়,।
পবিত্র বাইবেলে অনেক জায়গাতেই প্রার্থনার বিষয় বলা হয়েছে । তার মধ্যে প্রকাশিত বাক্যের ৩: ২০ পদ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দেখ আমি দ্বারে দাড়াইয়া আছি,ও আঘাত করিতেছি; কেহ যদি আমার রব শুনে ও দ্বার খুলিয়া দেয়, তবে আমি তাহার কাছে প্রবেশ করিব ও তাহার সহিত ভোজন করিব; এবং সেও আমার সহিত ভোজন করিবে। প্রার্থনা সম্বন্ধে আমাদের নানাজনের নানা ধারনা থাকতে পারে। কিন্তু একটু ভাল করে চিন্তা করলে আমরা সঠিক ধারনা পেতে পারি। খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের প্রার্থনা হচ্ছে একমাত্র চাবি কাঠি, যার সাহায্যে আমাদের আকাঙ্খিত সেই পবিত্র দেশের প্রবেশ পথ খুলে যাবে। প্রার্থনার উদ্দেশ্য হলো আমাদের হৃদয় মন্দিরে প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে আসতে দেয়া । তিনি আঘাত করেন আমাদের হৃদয়ে, সেখানে দাঁড়িয়ে দ্বারে আঘাত করে জানিয়ে দেন তাঁর ইচ্ছা, যে তিনি অন্তরে একেবারে আমাদের কাছে আসতে চান। যিশাইয় পুস্তকে ৬৫: ২৪ পদে বলা আছে তাহাদের ডাকিবার পূর্বে আমি উত্তর দিব, তাহারা কথা বলিতে না বলিতে আমি শুনিব। সত্যই, আমরা তাঁকে ডাকার আগেই পরম করুনাময় করুনাভরে আমাদের জানিয়ে দেন কি উপায়ে আমাদের দিতে মনস্ত করেছেন। তাই তিনি আমাদের হৃদয় দুয়ারে আঘাত করেন, যেন আমরা প্রার্থনার মাধ্যমে হৃদয় দুয়ার খুলে আমাদের জন্য তাঁর মনোনীত সেই মহামূল্য উপহার গ্রহন করতে পারি।
দেহের মত আমাদের আত্মার জন্য যে বাতাস অতিব জরুরী, সেই বাতাসও সব দিক থেকে আমাদের সর্বক্ষণ ঘিরে রাখে। প্রভু যীশু খ্রীষ্টে ঈশ্বর, তাঁর বহূমূখী এবং সর্বতোভাবে পর্যাপ্ত অনুগ্রহ ও করুণা দিয়ে আমাদের ঘিরে রেখেছেন। প্রার্থনা আমাদের আত্মার শ্বাস-প্রশ্বাস, প্রার্থনা আমাদের শ্বাস গ্রহণ করার যন্ত্র, যার সাহায্যে আমরা সংসার দাব-দাহে দগ্ধ, হলেও প্রভু যীশুকে গ্রহন করতে পারি । পবিত্র বাইবেলে দেখতে পাই তিনি বলেন ”কেহ যদি দ্বার খুলিয়া দেয় আমি তাহার কাছে প্রবেশ করিব। তিনি নিজে থেকেই আমাদের বদ্ধ দ্বারের কাছে এসে দাঁড়িয়েছেন। তিনি চান প্রবেশ পথ । পবিত্র বাক্যের আলোতে আমরা দেখতে পাই প্রার্থনাই হলো মানুষ ও ঈশ্বরের মধ্যে আনন্দময় সাহচর্য ও অন্তরঙ্গতা স্থাপনের ঈশ্বর নির্ধারিত উপায় । ঈশ্বরের বাক্য বিশ্বাসীর পরিপক্ক হইবার উপায় । ২য় তীমথিয় ৩: ১৫-১৬ পদে বলা আছে- তুমি শিশুকাল অবধি পবিত্র শাস্ত্রকলাপ জ্ঞাত আছ, সেই সকল খ্রীষ্ট যীশু সম্বন্ধীয় বিশ্বাস দ্বারা তোমাকে পরিত্রানের নিমিত্ত জ্ঞানবান করিতে পারে। ঈশ্বর-নিশ্বসিত প্রত্যেক শাস্ত্রলিপি আবার শিক্ষার, অনুযোগের, সংশোধনের, ধার্মিকতা সম্বন্ধীয় শাসনের নিমিত্ত উপকারী, যেন ঈশ্বরের লোক পরিপক্ক, সমস্ত সৎকর্মের জন্য সুসজ্জিভুত হয় ।
প্রার্থনার কথা :
যাঞ্চা কর, তোমাদিগকে দেওয়া যাইবে; অন্বেষন কর, পাইবে, দ্বারে আঘাত কর, তোমাদের জন্য খুলিয়া দেওয়া যাইবে। কেননা যে কেহ যাঞ্চা করে, সে গ্রহন করে,এবং যে অন্বেষন করে ,সে পায়; আর যে আঘাত করে,তাহার জন্য খুলিয়া দেওয়া যাইবে। তোমাদের মধ্যে এমন ব্যক্তি কে যে, আপনার পুত্র রুটি চাহিলে তাহাকে পাথর দিবে, কিম্বা মাছ চাহিলে তাহাকে সাপ দিবে? অতএব তোমরা মন্দ হইয়াও যদি তোমাদের সন্তানদের উত্তম উত্তম দ্রব্য দান করিতে জান, তবে ইহা কত অধিক নিশ্চয় যে, তোমাদের স্বর্গস্থ পিতা, যাহারা তাঁর কাছে যাঞ্চা করে, তাহাদিগকে উত্তম উত্তম দ্রব্য দান করিবেন। অতএব সর্ব বিষয়ে তোমরা যাহা যাহা ইচ্ছা কর যে, লোকে তোমাদের প্রতি করে, তোমরাও করিও, কেননা ইহাই ব্যবস্থার ও ভাববাদি গ্রন্থের সার। আমরা অনেক সময় মনে করি আমার প্রার্থনার উত্তর কেন পাই না ? তিনি আপনার আমার প্রার্থনার উত্তর দিয়েছেন, আপনি আমি হয়তো তা বুঝতে পারি না। আপনার অসহায়তায় বদ্ধ দুয়ার খুলে গিয়েছে, সেখান দিয়ে আপনার জীবনে প্রবেশ করেছেন প্রভু। তিনি আপনার হ্রদয়ে আসন পেতেছেন স্থায়ীভাবে এবং সেখানে বসে তিনি তাঁর কাজ শুরু করে দিয়েছেন। তাঁর কাজ অথবা তাঁর উত্তর হয়তো এখনও আপনি সত্যি বুঝতে পারেন নাই, তাই আর অন্যান্যদের মতো আপনি প্রার্থনা করে চলেছেন অবিরাম। আমরা প্রার্থনা করি এবং সে প্রার্থনার উত্তরও পাই; কিস্তু প্রার্থনার সঙ্গে সঙ্গেই সেই উত্তর পাই না, আবার কথনও কথনও সে প্রার্থনার উত্তর পাই অনেক দেরীতে ।
প্রার্থনার ফল :
শস্যক্ষেত্রে মালিককে অনুরোধ কর তিনি যেন তাঁর শস্যক্ষেত্রে কাজ করার লোক পাঠিয়ে দেন--(মথি ৯: ৩৮ পদ )। প্রভু যীশু তাঁর এগারোজন প্রেরিতের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে স্বর্গারোহন করলেন । যাবার বেলায় তাঁদের উপর দিয়ে গেলেন এক মহান অতিমানবীয় কাজ, যে কাজ সাধারন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। বলে গেলেন, সমস্ত পৃথিবীর মধ্যে খ্রীষ্টভক্ত তৈরী করতে এবং সেই সঙ্গে যিরুশালেম থেকে তাঁদের এই মহান কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়ে গেলেন। কারণ যিরুশালেম বেশী দুরে নয় । জৈতুন পাহাড়ে যেখানে তাঁরা দাঁড়িয়েছিলেন সেখান থেকে বেশ স্পষ্ট দেখা যায় শহরটি । এখানেই আছে প্রভু যীশুর হত্যাকারীরা যাদের নির্মম হাতে তাঁর পবিত্র নিস্পাপ রক্ত ঝরে ঝরে পড়েছে এই শহরটিতে। এই শহরেই নিষ্ঠুর, নির্দয় মানুষ তৈরী হয়ে আছে প্রকাশ্য দিবালোকে তাদের নির্মূল করে দেবার জন্য যারা প্রভু যীশুর নাম মুখে আনবে । এই এগারোজন শিষ্য নিতান্ত ভাগ্যের জোরেই এই ঘাতকদের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন । তাঁরা আবার সেখানে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে তাদের কাছে কি প্রচার করবেন ? ক্রুশারোপীত মশীহ. যিনি যিহুদীদের পথের বিঘœস্বরুপ., তাঁকেই প্রচার করবেন। গ্রীকদের কাছে যিনি মূর্খতার মূর্ত প্রতীক---প্রচার করবেন তাঁরা তাঁরই সুসমাচার। জৈতুন পাহাড় থেকে দেখলেন তাঁরা ভুমধ্য সাগরের ওপারে রোম নগরীর দিকে। সমগ্র পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল এই রোম নগরী। কিন্তু সেখান থেকে এই রোম নগরী তাঁদের কাছে কিছু মাত্র উজ্জল বলে মনে হলো না। এখানে তাঁদের হতে হবে এক বিরাট শক্তিশালী স¤্রাজ্যের, যে স¤্রাজ্যে সেই সময়কার পৃথিবীর অতি পরিচিত বিপুল শিক্ষা সংস্কৃতি আর বি˜গ্ধ জীবন যাত্রার সমন্বয় করেছেন। এই সময় গালীল থেকে এগারোজন নগণ্য সাধারণ কর্মীকে খ্রীষ্টের রাজ্য বিস্তারের জন্য এই শক্তিশালী সংস্কৃতিপূর্ণ রাজ্য জয় করতে পাঠানো একান্ত বিদ্রুপ আর প্রহসনেরই নামান্তর। যিনি তাদের এই মহান দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়েছিলেন তিনি জানতেন যে, তিনি কি করেছেন এবং এদের দিয়ে কি করাচ্ছেন। তাই এই কাজের জন্য তিনি দুইভাবে তৈরী করেছিলেন। বস্তু নিষ্ঠুভাবে তিনি মশীহের সব কিছু দানে পরিপূর্ণ করে দিলেন তাঁদের । সেই সঙ্গে দিলেন পবিত্র আত্মা, যাঁর সাহায্যে সমগ্র অতিমানবীয় জগত এই ক্ষুদ্র খ্রীষ্টিয় দলটির অধিকারে এসেছিল । ব্যক্তিগতভাবে তাদের প্রত্যেককে প্রার্থনা দিয়ে তৈরী করে দিলেন। এ হোল এমন একটি উপায় যার সাহায্যে বস্তুনিষ্ঠু অতিমানবীয় সমস্ত শক্তি এই সংগঠনের প্রত্যেকজন বিশ্বাসীর সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে সংযুক্ত থাকবে ।
পবিত্র শা¯েত্র বলা আছে; মঙ্গল ও দয়াই আমার জীবনের সমুদয় দিন আমার অনুচর হইবে” -–গীতসংহিতা ২৩: ৬ পদ । সত্যিই প্রার্থনার উত্তর আপনার অনুগমন করবে তাহার একটিও বিফলে যাবে না। যে মূহুর্ত থেকে আপনি যীশুর নামে প্রার্থনা করবেন, সেই মূহুর্ত থেকে আপনারই, তবে খুব তাড়াতাড়ি তারা আপনার কাছে আসবে না। আপনার নামে চিঠি লিখে আপনার ঠিকানায় দেওয়ার পরে সেই চিঠি পাওয়ার জন্য যেমন কোন চেষ্টার দরকার হয় না, আমাদের সুযোগ্য ডাকবিভাগের মারফতে সেগুলি সোজা আমাদের দরজায় এসে হাজির হয়; তেমনি প্রার্থনা করার পর এর উত্তর পাওয়ার জন্য আপনার নিজেকে কোন চেষ্টাই করতে হবে না। প্রার্থনার এই বর্ষণ আপনার মৃত্যু পর্যন্ত অব্যহত থাকবে। পুষ্টিকর খাবার যেমন মানুষের দেহের ক্ষয়পূরণ করে, শক্তি যোগায়, রোগ প্রতিরোধে সহায়ক ভুমিকা রাখে, তেমনি প্রার্থনা মানুষকে আত্মিক শক্তি যোগায়, মনোবল বৃদ্ধি করে, অসহায়ত্ব দুর করে, ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবে শান্তিদেয় ।
প্রার্থনা আমরা কেন করব তার পাঁচটি রুপের কথা আমরা জানি -১। অনুনয়ের জন্য প্রার্থনা ২।ধন্যবাদের জন্য প্রার্থনা ৩। প্রশংসার জন্য প্রার্থনা ৪। কথোপকথোনের জন্য প্রার্থনা ৫। নি:শব্দ প্রার্থনা ।
উপসংহার :
প্রকৃতপক্ষে জীবন ধারনের জন্য আমাদের দেহের খাদ্যের একান্ত প্রয়োজন এবং দেহকে রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে, ক্ষয়পূরণ করতে, শক্তি যোগাতে, তাপ উৎপাদন করতে এবং রোগ প্রতিরোধ করতে, পুষ্টিকর বা সুষম খাদ্যের প্রয়োজন হয়, তেমনি প্রতি নিয়ত বাইবেল অধ্যায়ন ও প্রার্থনা আমাদের পবিত্র ও সুশৃংক্ষল জীবন যাপনে আমাদের প্রভুর সাথে যোগাযোগের জন্য একান্তভাবে সহায়ক ভুমিকা পালন করে। যোহন ১৪: ১৩ পদে বলা হয়েছে -’তোমরা আমার নামে যাহা কিছু যাঞ্চা করিবে, তাহা আমি সাধন করিব, যেন পিতা পুত্রে মহিমান্বিত হন’ । একজন খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হিসাবে আপনার উচিত হবে প্রতি নিয়ত বাইবেল পাঠ ও প্রার্থনা করা । পবিত্র বাক্য সেই কথাই বলে- কোন বিষয়ে ভাবিত হইও না, কিন্তু সর্ব্ব বিষয়ে প্রার্থনা ও বিনতি সহকারে তোমাদের যাঞ্চা সকল ঈশ্বরকে জ্ঞাত কর-(ফিলিপীয় ৪:৬ পদ)।
আমেন ।