আশীষের স্নেহ

ads20
    ভুমিকা:- এই পৃথিবীর সাধারণ নিয়মে দেখা যায় যে, বাবা চেয়ে মা সন্তানদের একটু বেশী স্নেহ করেন। আবার আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট অনুসারেও দেখা যায় যে, বাবাদের চেয়ে মায়েরা সন্তানদেরকে বরাবরই একটু বেশী  স্নেহ করে থাকেন। বিষয়টি কিন্তু কোন বই পুস্তকের সুত্র ধরে নয় কিন্তু এর সুত্রপাত পবিত্র বাইবেল থেকেই। আর পবিত্র বাইবেলের শিক্ষা-মালার আদর্শেই আমাদের খ্রীষ্টিয় জীবন পরিচালিত হয়ে আসছে।

    বরিশাল জেলার ইন্দুরকানি গ্রামের বাসিন্দা সরকার পরিবারের পাঁচ ভাইয়ের চতুর্থ ভাই। বড় ভাই গত বছরের শেষের দিকে প্রভুতে নিদ্রিত হয়েছেন। তারও অনেক বছর পূর্বে মেঝ ভাই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে পর জগতে পাড়ি দিয়েছেন। মৃত্যু কালে তিনি দুই পুত্র সন্তান আর এক কন্যা সন্তান রেখে যান। কিন্তু তখনও কোন সন্তানই খুব একটা পড়াশুনা করতে পারে নি। মা অল্প শিক্ষিত হওয়ায় প্রাইভেট কোন এক প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। অভাবের এই সংসারে ছেলেমেয়েদের নিয়ে কোন প্রকার দিন চলতে থাকে। পরিবারে তিন ছেলেমেয়ে, মেয়ে ছোট, তার পর দুই ছেলে। টাকা-পয়সার অভাবে মেয়েকে অল্প
    বয়সেই বিয়ে দেওয়া হয়। ছোট ছেলেও খুব বেশী দুর পড়াশুনা করতে পারি নি। তবে বড় ছেলেমোটামোটি পড়াশুনা করেছে কাকা জ্যাঠাদের সহযোগিতায়, তাহাও আবার ইন্টার পর্যন্ত। এই যুগেএসে ইন্টার পর্যন্ত পড়াশুনার কিই বা মূল্য! জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে কমপক্ষে বি, এ অনার্স পাশ করা চাই। কিন্তু তার পরেও নানা প্রতিকুলতার মাঝে সংগ্রাম করে পথ চলা। বাঁচতে তো হবেই, বাঁচতে যখন হবেই, তখন আর যেনো তেনো ভাবে কেন? বাঁচার মতই বাঁচতে চাই। ইতি মধ্যে সে (বড় ছেলে) বিভিন্ন রেষ্টেুরেন্টে কাজ করতে থাকে। কিন্তু এতে করে খুব একটা ভালভাবে সংসার চলে তাহাও নয়। এই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে আরও একটু সচ্ছলতার সঙ্গে জীবন চালাতে কে না চায়। যে চিন্তা সেই কাজ, হৃদয়ের প্রবল ইচ্ছা শক্তি আর মনোবল নিয়ে চাকুরী ছেড়ে দিয়ে নিজেই ব্যবসা শুরু করে দেয়। আজ সে সমাজে আরও পাঁচ জনের মতো করে ব্যবসা করছে। ইতিমধ্যে ছোট ভাইও একটি বিদেশী প্রতিষ্ঠানে সম্মানের সহিত চাকুরী করছে। দু’ভাই বিয়ে করে সংসারি হয়েছে। কিন্তু তারপরেও একটি বিষয় গুপ্ত থেকেই যায়, আর তা হল, কে এদের পিতৃ স্নেহআগলে রাখবে ?

    আশীষ সরকার, যিনি ওদের কাকা, যিনি একজন পালক। যিনি দীর্ঘ্য দিন যাবৎ প্রভুর পক্ষে পরিচর্যার কাজ করে যাচ্ছেন। সমাজে যার সুনাম আছে, পরিচিতি আছে। তিনি জানেন, যে নিজের আত্মীয়দের বিশেষ করে নিজের পরিবারের দেখাশোনা করে না, সে তার দ্বারা তার বিশ্বাসকে অ¯^ীকার করেছে, সে অবিশ্বাসীদের চেয়েও খারাপ- ১ম তীমথিয় ৫;৮ পদ। পাষ্টর আশীষ সরকারের একটি মাত্র মেয়ে, সে বর্তমানে আমেরিকায় বসবাস করছে। ওনার স্ত্রী একজন সরকারী নার্স। প্রায়ই ওনার স্ত্রী ব্যস্ত থাকেন, তাই তিনি তার পিতৃহারা ভাইয়ের সন্তানদের প্রতি একটু দুর্বল, আর এটিই হওয়া ¯^াভাবিক। দুটো ঘটনার বর্ণনা দিতে চাই। একবার একজন পালক ওনার ঘরে আসেন। চা- খাওয়া আর গল্প-
    গুজব চলছে, ইতিমধ্যে একজন যুবক এসেই গামছা নিয়ে বাথরুমে যায়। বাথরুম থেকে বের হয়েই ফ্রিজ খুলে প্রয়োজনীয় খাবার-দাবার বের করে ইচ্ছা মত খেয়ে চলে যায়। ঠিক এই দৃশ্য দেখে ঐ পালক পাষ্টর আশীষকে জিজ্জাসা করেন, ছেলেটি কে ? উত্তরে তিনি বলেন, ও আমার ভাইপো, ওর বাবা নেই। এই কথা শুনে ঐ পালক তার দু’নয়নের জল গড়িয়ে পড়তে থাকে। তা দেখে তিনি বলেন, কাঁদছেন কেন ? উত্তরে ঐ পালক বলেন, আমার ভাই কটিপতি, আমার ছেলের এতোবড় সাহস নাই, একগ্লাস জল খেতে রান্নাঘরে যাবে, খাওয়া তো দূরের কথা! আর আপনার ভাইপো, সে তো ছেলের
    অধিকার নিয়ে আপনার কাছে ছুটে আসে। কারণ আপনি ওদেরকে পিতৃস্নেহ দিয়ে আগলে রেখেছেন। দ্বিতীয় ঘটনা:- একদিন আমি ওনার চার্চে প্রচার করতে যাই, প্রচারের শেষে উনি ার ভাইদের ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনিদের বড়দিনের উপহার তুলে দিলেন। আমেরিকা থেকে ওনার মেয়েও ওদের জন্য নির্দিষ্ট অংকের মোটা অর্থ পাঠিয়েছে, যেন ওরা বড়দিনে আনন্দে থাকে। আর একদিন দেখলাম, হই চই, বিষয়টা কি ? জিজ্ঞাসা করলে উনি বলেন, আজ ওনার ঘরে ভোজের আয়োজন করা হয়েছে। এটি ওদের কাকীমার ইচ্ছা, ওরা কখন কি করে, কি খায়, আজ ওরা যেন আনন্দে থাকে। এভাবে প্রায়ই ওনার বাসায় ওনার ভাইদের সন্তানদের আনাগোনা, আর নাতিনাতনিদের হইহোল্লা। উপসংহার:- আমাদের সমাজে অনেক খ্রীষ্টিয় পরিবার আছে। অনেক পরিবার আছে, যে সমস্ত পরিবারে প্রাচুর্য আছে, কিন্তু ভালোবাসা নেই। কিভাবে ভাইকে ঠকাবে, কাঁদাবে, নিচে রাখবে, এ নিয়েই ব্যস্ত। যেখানে থাকার কথা একে অন্যের প্রতি ভালোবাসা, আদর- স্নেহ, মায়া-মমতা, এতটুকু সহানুভুতি। আজকের এই আশীষের মতো ভরে উঠুক আমাদের সমাজের প্রতিটি খ্রীষ্টিয় পরিবার যেখানে দেখা যাবে আদর,  স্নেহ, আর ভালোবাসা। যেখানে থাকবে একে আন্যেও প্রতি সহানুভুতি আর অকৃতিম মমতা, তবেই হবে খ্রীষ্টিয় জীবনের ¯^ার্থকতা, আশীষের স্নেহ-ভালোবাসা।

    সে অবিশ্বাসীদের চেয়েও খারাপ- ১ম তীমথিয় ৫;৮ পদ। পাষ্টর আশীষ সরকারের একটি মাত্র মেয়ে, সে বর্তমানে আমেরিকায় বসবাস করছে। ওনার স্ত্রী একজন সরকারী নার্স। প্রায়ই ওনার স্ত্রী ব্যস্ত থাকেন, তাই তিনি তার পিতৃহারা ভাইয়ের সন্তানদের প্রতি একটু দুর্বল, আর এটিই হওয়া ¯^াভাবিক। দুটো ঘটনার বর্ণনা দিতে চাই। একবার একজন পালক ওনার ঘরে আসেন। চা- খাওয়া আর গল্প- গুজব চলছে, ইতিমধ্যে একজন যুবক এসেই গামছা নিয়ে বাথরুমে যায়। বাথরুম থেকে বের হয়েই ফ্রিজ খুলে প্রয়োজনীয় খাবার-দাবার বের করে ইচ্ছা মত খেয়ে চলে যায়। ঠিক এই দৃশ্য দেখে ঐ পালক পাষ্টর আশীষকে জিজ্জাসা করেন, ছেলেটি কে ? উত্তরে তিনি বলেন, ও আমার ভাইপো, ওর বাবা নেই। এই কথা শুনে ঐ পালক তার দু’নয়নের জল গড়িয়ে পড়তে থাকে। তা দেখে তিনি বলেন, কাঁদছেন কেন ? উত্তরে ঐ পালক বলেন, আমার ভাই কটিপতি, আমার ছেলের এতোবড় সাহস নাই, একগ্লাস জল খেতে রান্নাঘরে যাবে, খাওয়া তো দূরের কথা! আর আপনার ভাইপো, সে তো ছেলের অধিকার নিয়ে আপনার কাছে ছুটে আসে। কারণ আপনি ওদেরকে পিতৃস্নেহ দিয়ে আগলে রেখেছেন। দ্বিতীয় ঘটনা:- একদিন আমি ওনার চার্চে প্রচার করতে যাই, প্রচারের শেষে উনি ার ভাইদের ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনিদের বড়দিনের উপহার তুলে দিলেন। আমেরিকা থেকে ওনার মেয়েও ওদের জন্য নির্দিষ্ট অংকের মোটা অর্থ পাঠিয়েছে, যেন ওরা বড়দিনে আনন্দে থাকে। আর একদিন দেখলাম, হই চই, বিষয়টা কি ? জিজ্ঞাসা করলে উনি বলেন, আজ ওনার ঘরে ভোজের আয়োজন করা হয়েছে। এটি ওদের কাকীমার ইচ্ছা, ওরা কখন কি করে, কি খায়, আজ ওরা যেন আনন্দে থাকে। এভাবে প্রায়ই ওনার বাসায় ওনার ভাইদের সন্তানদের আনাগোনা, আর নাতিনাতনিদের হইহোল্লা। উপসংহার:- আমাদের সমাজে অনেক খ্রীষ্টিয় পরিবার আছে। অনেক পরিবার আছে, যে সমস্ত পরিবারে প্রাচুর্য আছে, কিন্তু ভালোবাসা নেই। কিভাবে ভাইকে ঠকাবে, কাঁদাবে, নিচে রাখবে, এ নিয়েই ব্যস্ত। যেখানে থাকার কথা একে অন্যের প্রতি ভালোবাসা, আদর-স্নেহ, মায়া-মমতা, এতটুকু সহানুভুতি। আজকের এই আশীষের মতো ভরে উঠুক আমাদের সমাজের প্রতিটি খ্রীষ্টিয় পরিবার যেখানে দেখা যাবে আদর, স্নেহ, আর ভালোবাসা। যেখানে থাকবে একে আন্যেও প্রতি সহানুভুতি আর অকৃতিম মমতা, তবেই হবে খ্রীষ্টিয় জীবনের ¯^ার্থকতা, আশীষের স্নেহ-ভালোবাসা।


    পাষ্টর কিশোর তালুকদার
    ১লা ফেব্রæয়ারী ২০২১ খ্রীষ্টাব্দ

    পরিচিতদেরকে জানাতে শেয়ার করুন

    আপনার জন্য আরো কিছু পোস্ট

    RELATED ARTICLES

      ADS