25 ডিসেম্বর সত্যিই কি যীশু খ্রীষ্টের জন্মদিন?

ads20

    প্রভু যীশুর মৃত্যুর পর প্রায় 300 বছর পর্যন্ত যীশুর জন্মদিন স্মরণ করে খ্রীষ্ট মন্ডলীতে কোন উৎসব পালন করা হয়নি, কারণ সে যুগে জন্মদিন, উৎসব হিসেবে পালিত হতো না। তাই প্রথম  খ্রীষ্ট ভক্তগনের কাছে বড় পর্ব ছিল শুধু যীশুর পুনরুত্থান। জন্মদিন নিয়ে তাদের কোন  কৌতূহল ছিল না। কারণ পুনরুত্থানের মাধ্যমেই যীশু আত্মার মাধ্যমে সকলের অন্তরে বিরাজ করেছেন এবং পরিত্রাণ এনে দিয়েছেন। তাই পুনরুত্থানের মর্যাদা দিতে শনিবারের পরিবর্তে তারা রবিবারকে পবিত্র ‍দিন হিসেবে গ্রহন করেন। রবিবার তাদের স্মরণ করিয়ে দিত যে, যীশু এখন ও জীবিত। প্রকাশিত বাক্যে এ দিনকে বলা হয় ‘প্রভুর দিন’ কিন্তু আস্তে আস্তে যীশুর জন্মদিন হয়ে উঠল সবচেয়ে বড় ও তাৎপর্যপূর্ণ উৎসব, যা 25 ডিসেম্বর।300 খ্রীষ্টাব্দ থেকে 1500 খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এক বৎসরের মধ্যে প্রায় 135 টি দিনে যীশুর জন্মদিন পালন করা হতো। যেমন 15 ডিসেম্বর,25 ডিসেম্বর, 6 জানুয়ারি, 28 মার্চ, 19 এপ্রিল, 17 নভেম্বর ও আরও অনেক তারিখ।


    পরে রোম সম্রাট কন্সটানটাইন যীশুর একটি নির্দিষ্ট জন্মদিন ধার্য করতে চাইলেন। তখন স্যাটার্ণেলিয়া বা সূর্যদেবের নামে একটি বিশেষ ভোজ উৎসব পালন করা হতো। এই পর্ব পালিত হতো 17 থেকে 23 ডিসেম্বর, যা একান্তই পৌত্তলিকদের উৎসব। কিন্তু খ্রীষ্টধর্ম গ্রহণ করার পর থেকে সম্রাট ঐ দিনকেই যীশুর জন্মদিন হিসেবে পালন  করতে শুরু করলেন। এত খ্রীষ্টিয়ানগণ খুশি হতে পারলেন না, কারণ যেদিন পৌত্তলিকরা সূর্যদেবের উদ্দেশে উৎসব করে, সেদিন তারা যীশুর জন্মদিন হিসেবে পালন করতে চাইল না।

    সর্বশেষে, 361 খ্রীষ্টাব্দে পোপ জুলিয়াস 25 ডিসেম্বরকে যীশুর জন্মদিন হিসেবে ধার্য করলেন এবং তা অনেকের কাজেই গ্রহণযোগ্য হওয়ায়, এ পর্যন্ত 25 ডিসেম্বরকেই অধিকাংশ খ্রীষ্ট ভক্তগণ যীশুর জন্মদিন হিসেবে পালন করে আসছেন।

    যীশুর জন্মদিনকে এক এক দেশে সেই দেশের ভাষায় ডাকা হয় যেমন, তার কয়েকটি হলো:

    ইংরেজী ভাষাভাষী দেশগুলিতে- Christmas

    ইটালী- নাতালে

    ফ্রান্স- নোয়েল

    ভারত, বাংলাদেশ- বড়দিন



    তথ্য: এই চিহ্নে তুমি জয়লাভ করবে।


    পরিচিতদেরকে জানাতে শেয়ার করুন

    আপনার জন্য আরো কিছু পোস্ট

    RELATED ARTICLES

      ADS