পৌল কি ভন্ড প্রেরিত ছিলেন ? তিনি কি যীশুর শিক্ষা বিকৃত করেছিলেন ?

ads20
    সূচনা : বিভিন্ন মাধ্যমে অর্থাৎ Facebook, YouTube পত্রিকাসহ বিভিন্ন জায়গায় দেখি :
    ক) সেন্ট পল যীশুর এর ভন্ড অনুসারী ছিলেন,
    খ) যিনি ত্রিত্ববাদ প্রচার করেন ,
    গ) ক্রশে পাপের প্রায়শ্চিত্বের বানী প্রচার করেন
    ঘ) তিনি যীশুর বাণী বিকৃত করেন ।
    এ ভাবে অনেকে অনেক ভিত্তিহীন মন্তব্য দেখি । এই সব মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে আমি কয়েকটি বিষয় এই প্রবন্ধের মধ্যে দিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করব যেন পাঠক খ্রিস্টের মন্ডলীর ইতিহাস, খ্রীষ্ট ধর্মের ও ঈশ্বরের প্রকৃত প্রত্যাশা সত্যতা অনুযায়ী যাচাই করতে পারে ।
    ক) সেন্ট পল যীশুর এর ভন্ড অনুসারী ছিলেন, তা পরীক্ষা করার আগে প্রেরিত পৌল সম্পর্কে জানা দারকার:
    ----------------------------------------------
    তিনি আসলে কে ?
    পূর্বনাম শৌল ।তাঁর জম্ম হয়েছিল সম্ভবত: ৬ খ্রীষ্টাব্দে । স্বয়ং প্রভু যীশুর হস্তক্ষেপের কারনে শৌলের মন পরিবর্তন হয় । যা খ্রীষ্ট ধর্মের ইতিহাসে সম্ভবত সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ( প্রেরিত ৯ অধ্যায়)। ( Merril C. Tenny ,New Testament Survey, pg 276-277)
    জম্ম: প্রথম শতাব্দীর গোড়ার দিকে একটি গোড়া যিহুদা পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন । তার নিজের নগরীর নাম ছিল তার্ষ। এটি কিলিকিযার ব্যস্ত রাজধানী ও শহর ছিল এবং ভূ মধ্যে সাগরের উত্তর কোনে অবস্থিত ছিল ।
    শিক্ষা জীবন : তিনি যিহুদী রীতি অনুসারে যথাযথ ভাবে শিক্ষিত হয়েছিলেন । হিব্রু ভাষা এবং শাস্ত্র অর্থাৎ পুরাতন নিয়ম সম্পরকে সমন্ধে জ্ঞান লাভ করে ছিলেন । পাশাপাশি তাঁবু বানােনর কাজ শিখে ছিলেন । তিনি হিব্রু ভাষার পাশা পাশি অরামীয় , গ্রীক , ল্যাটিন ভাষাও জানতেন ।
    তৎকালীন সবচেয়ে বিখ্যাত যিহুদী শিক্ষক গমলিয়নের কাছে শিক্ষা গ্রহণের জন্য বার বছর বয়সে যিরুশালেমে আসেন ( প্রেরিত ২২: ৩) পদ । তার পড়াশুনার ইচ্ছা ছিল যিহুদী ধর্মের অন্যতম ধর্মীয় দল ফরিসীদের মত হওয়া । তিনি সম্ভবত যিরুশালেমের ধর্ম সভার বিশেষ ব্যক্তিত্বর রুপান্তরিত হয়েছিলেন । উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, স্তিফানের মৃত্যুর সময় উপস্থিত ও সিরিযা দম্মেশকে খ্রীষ্ট বিশ্বাসী কে নির্যাতনের নেতৃত্বে দানকারী ছিলেন । তিনি মহা সভার সদস্যও ছিলেন । ( Merrl C. Tenny ,New Testament Survey, 276-277)
    পৌলের মন পরিবর্তন :
    =======================
    --- সম্ভবত ৩৩ খ্রীষ্টাব্দে সাধু পৌলের পুনরুত্থিত যীশুর হস্তক্ষেপে তাঁর মন পরিবর্তন হয় যখন তিনি সিরিয়ার খ্রীষ্ট ভক্তদের বন্দি করে নিয়ে আনার জন্য দামেস্ক গমন করেন( প্রেরিত ৯ :১) । তাঁর নিজের ব্যক্তিগত সাক্ষ্যে
    তিনি পুনরুত্থিত যীশুর কথা বলেছেন (১করি ১৫ : ৮) পদ ।
    এটা কোন মতিভ্রম বা মানসিক সমস্যা ছিল না । এ জন্যই যীশু অননীয় নামে একজন শিষ্য কে দর্শন দিয়ে পৌলের কথা বলেছিলেন যেন বুঝতে পারেন তাঁর মন পরিবর্তন ঈশ্বর থেকে :(প্রেরিত ৯ :১৫ -১৬) । যিরুশালেমে মন্ডলীর প প্রথম সাক্ষ্যমর পরিচারক
    স্তিফানের মৃত্যুর কথা যীশু স্মরণ
    করিয়ে দিয়েছিলেন কেন তিনি খ্রীষ্ট ভক্তদের কষ্ট দিচ্ছেন ।
    এই কষ্টযে যীশুর নিজের । মেরিল মি: টনি বলেছেন, “ মুহূর্তের মধ্যে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে স্তিফানের এবং শিষ্যদের বিষয় যিহুদীদের সমস্ত যুক্তি কত ভুল ছিল । এটি ঈশ্বররিয় প্রত্যাদেশের নতুন জগত তার সম্মুখে খুলে দেয় । ধর্মীয় দৃষ্টি ভঙ্গিতে পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তার জীবনে আসে পরজাতীযদের কাছে প্রচারের আহবান । তিনি এই আহ্বানে সাড়া দেন এবং নতুন কার্যের জন্য পবিত্র আত্মার পরিপূর্ণ হয়ে প্রভুর নিদর্শনা প্রথমে দামেস্কে যিহুদীদের কাছে প্রচার করেন ‘ যীশুই ঈশ্বরের পুত্র ও সেই প্রতিজ্ঞাত মসীহ ‘। যিহুদীদের উত্তর দেওয়ার কিছু ছিল না ( প্রেরিত ৯ : ২০---২২) পদ । পরে তিনি নাবাতিয়ান আরব দেশে তিন বছরেরজন্য আরব মরুভূমিতে যা সীনয় অঞ্চলে কাছাকাছি ছিল । প্রভু নিজেই প্রেরিত পৌলকে পরিচর্যা কাজের জন্য তৈরি করেন । ( (Merrl C. Tenny ,New Testament Survey, 276-277)
    সাধু পৌলের শিক্ষা কেন বিশ্বাস যোগ্য :---
    -------------------------------------------------
    প্রথমত :-তাঁর প্রেরিত পদ সরাসরি পিতা ঈশ্বর ও যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা নিযুক্ত ( গালা ১: ১---2) । মানুষ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে নয় , বরং সৃষ্টি কর্তার আহবানে সাড়া দিয়ে তিনি প্রচার কাজ শুরু করেন ।
    দ্বিতীয়ত: প্রেরিত হওয়ার অন্যতম যোগ্যতা হচ্ছে খ্রীষ্টের পুনরুত্থানের স্বাক্ষী হতে হবে । যেটা সাধুপৌলের ছিল। (প্রেরিত ১: ১২ ; ১করি ৯ : ১ করিন্থীয় ১৫ ৪-৮) পদ ।
    ৩য়ঃ যীশুর নামের জন্য অনেক অত্যাচার সহ্য করেছেন ঃ " খ্রীষ্টের সেবা করতে গিয়ে আমি তাদের চেয়ে অনেক বেশী পরিশ্রম করেছি, আরও অনেক বার জেল খেটেছি, আরও অনেক বার মার খেয়েছি, অনেক বার মৃত্যুর মুখে পড়েছি। 24যিহূদীদের হাতে পাঁচ বার আমি ঊনচল্লিশ ঘা চাবুক খেয়েছি, 25বেত দিয়ে তিন বার আমাকে মারা হয়েছে। এক বার আমাকে পাথর মারা হয়েছিল। তিন বার আমার জাহাজ-ডুবি হয়েছিল। একদিন ও একরাত আমি সমুদ্রের জলের মধ্যে ছিলাম। 26আমি অনেক দেশ ঘুরেছি। বন্যা, ডাকাত, নিজের জাতির লোক এবং অযিহূদীদের দরুন আমি বিপদে পড়েছি। তা ছাড়া শহরে, মরু- এলাকায়, সমুদ্রে এবং ভণ্ড ভাইদের মধ্যেও আমি বিপদে পড়েছি। 27খ্রীষ্টের সেবা করতে গিয়ে আমি কষ্টের মধ্যেও কঠিন পরিশ্রম করেছি। আমি অনেক রাত জেগেছি, খিদে ও পিপাসায় কষ্ট পেয়েছি, না খেয়ে থেকেছি, ঠাণ্ডায় ও কাপড়-চোপড়ের অভাবে কষ্ট পেয়েছি। 28বাইরের এই সব ব্যাপার ছাড়াও সব মণ্ডলীগুলোর জন্য রোজই আমার উপর চিন্তার চাপ পড়ছে। 29কেউ দুর্বল হলে আমি কি তার দুর্বলতার ভাগী হই না? কারও দরুন কেউ পাপে পড়লে আমি কি অন্তরে জ্বালা বোধ করি না? 30যদি আমাকে গর্ব করতেই হয় তবে আমি আমার দুর্বলতা নিয়েই গর্ব করব। 31আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ঈশ্বর ও পিতা, যিনি চিরকাল গৌরব পাবার যোগ্য, তিনি জানেন আমি মিথ্যা কথা বলছি না।" ( ২ করি ঃ ১১ঃ ২৩-৩১)
    চতুর্থ : চিহ্ন বা আশ্চর্য কাজ করা ( ২ করি ১২: ১২ ; রোমীয ১৫: ১৯ : গালা ৩ : ৫, ১০: ৮--১৩) । এমন কি তাঁর রুমাল দিয়ে অনেকে সুস্হ হয়েছেন(প্রেরিত ১৯: ১২)।
    ৫ম : নৈতিক ও আত্মিকতার জীবন । সাধু পৌলের সেই জীবন যাপন করেছেন তাই তিনি বলতে পেরেছেন যেন তাঁর অনুকারী হয় , “ আমি যেমন খ্রীষ্টের মত চলছি তোমরাও তেমনি আমার মত চল।” ( ১ করিঃ ১১ঃ ১)
    ৬ষ্ট :- যে প্ররিত হবেন তিনি ঈশ্বরের কতৃত্বে অধিনে চলবেন । তারা খ্রীষ্টের অধীনে যিনি পূণরুত্থিত যীশু কখনও মন্ডলীর উপর কৃতিত্ব নয় । বরং বিশ্বাসীদের সাথে একই সহভাগিতায় থাকবে। তাই পৌল বলেন " তীমথিয় আর আমি পৌল-আমরা খ্রীষ্ট যীশুর দাস।" ( ফিলি ঃ ১ঃ 1)
    ৭ ম : তিনি অত্যন্ত শাস্ত্রীয় উঁচু মানের পন্ডিত( Scholar) ছিলেন । তাঁর পুর্ব জীবন অধ্যয়ন করলেই তা বুঝা যায় । তিনি পুরাতন নিয়মের অত্যন্ত প্রসার জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন । সমসাময়িক best scholar গমলিয়নের ছাত্র ছিলেন । তিনি পান্ডিত্য কখনও জাহির করেননি বরং তিনি বলেছেন , “ মোশির আইন-কানুন পালনের ব্যাপারে আমি একজন ফরীশী; ধর্মের ব্যাপারে আমি এমন গোঁড়া ছিলাম যে, খ্রীষ্টের মণ্ডলীর উপর আমি অত্যাচার করতাম; আর ঈশ্বরের গ্রহণযোগা্য হবার আশায় মোশির আইন-কানুন পালনের ব্যাপারে কেউ আমার নিন্দা করতে পারত না।” ( ফিলিপিয় ৩: ৫-৬) তাছাড়া তিনি সরাসরি ঈশ্বরের কাছে প্রত্যাদেশ পেয়ে শিক্ষিত হয়েছেন, “ভাইয়েরা, আমি তোমাদের জানাচ্ছি, আমি যে সুখবর প্রচার করেছি তা কোন মানুষের বানানো কথা নয়। 12আমি কোন লোকের কাছ থেকে তা পাই নি বা কেউ আমাকে তা শেখায় নি, বরং যীশু খ্রীষ্ট নিজেই আমার কাছে তা প্রকাশ করেছিলেন।” ( গালা ১ঃ ১১ -১২ )
    ৮ম ঃ সাধু পৌল যীশুর সমসাময়িক ছিলেন । তিনি ২০ থেকে ৩০ খ্রীষ্টাব্দে তিনি গমলিয়নের শিষ্য ছিলেন । তা অবশ্যই যিরুশালেমে যখন যীশু পরিচর্যার কাজের সময় । তিনি ৩০- ৩৩ খ্রীষ্টাব্দে খ্রীষ্ট ভক্তদের অত্যাচার করেছিলেন । তাঁর জম্ম হয়েছিল ৬ খ্রীষ্টাব্দে । সেই জন্য সমসাময়িক যীশুর শিক্ষা ও পরিচর্যা কাজ সম্পর্কে অবগত ছিলেন ।সেই জন্য প্রেরিত পৌলের মিথ্যা বলার কোন অবকাশ নেই কারন তাকে এই বিশ্বাসের কারনে জীবন দিতে হয়েছিল। উল্লেখ্য সম্রাট নিরুর সময় তাকে হত্যা করা হয়।
    ৯ ম: তাঁর শিক্ষা সত্য কিনা তা পরীক্ষিত হয়েছে । প্রেরিত পিতর নিজেই স্বাক্ষী দিয়েছিলেন, প্রেরিত পৌলের শিক্ষা পুরাতন নিয়মের শাস্ত্রের মত পদ । বিরূপ ভাবে ব্যাখ্যা করা মানে নিজেদের ধ্বংস নিয়ে আসবে ( ২পিতর ৩ : ১৬)।
    ১০ম ঃ তিনি ন্ম্র ছিলেন , " তিনি অকপটে তাঁর দুর্বলতা স্বীকার করেছেন , "কি হতভাগা মানুষ আমি! আমার মধ্যে এই যে পাপ-স্বভাব যা মৃত্যু আনে, তার হাত থেকে কে আমাকে রক্ষা করবে? 25আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মধ্য দিয়ে আমি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিই যে, তিনি আমাকে রক্ষা করেছেন। তাহলে দেখা যায় যে, মনের দিক থেকে আমি ঈশ্বরের আইন-কানুনের দাস, কিন্তু পাপ- স্বভাবের দিক থেকে আমি পাপের নিয়মের দাস।" ( রোমীয় ৭ঃ ২৪- ২৫)
    খ ) এখন আমরা আলোচনা করব ত্রিত্ব ঈশ্বর নিয়ে ঃ
    --------------------------------------------
    খ্রীষ্ট ধর্মের অন্যতম বিশ্বাস হচ্ছে ঈশ্বর এক কিন্তু তিন ব্যক্তি কিন্তু তিন ঈশ্বর নয় । কখনও খ্রীষ্ট ধর্ম বহুঈশ্বরবাদে বিশ্বাস করে না যা ঈশ্বরের প্রত্যাদেশের সাথে বেঈমানি করা ও অনন্ত নরকে বাস করার সামিল ।
    ত্রিত্ব ঈশ্বর :----- ত্রিত্ব শব্দ বাইবেলে না থাকলেও পিতা,পুত্র ও পবিত্র আত্মা এই মিলে এক সত্ত্বা ( one substance ) একঈশ্বর .
    কিন্তুু তিনজন ব্যক্তি যীশু তাঁর মহান আদেশে বলেছেন " �অতএব শিষ্য কর পিতা ও পুত্র এবং পবিত্র আত্মার নামে তাহাদিগকে বাপ্তাইজ কর । যা ত্রিত্ব ঈশ্বরের প্রকাশ করে । যীশুর বাপ্তিস্মের গ্রহণের সময় পিতা, পুত্র ও পবিত্র আত্মার উপস্থিত ছিল। ( মথি ৩: ১৬,১৭)
    ত্রিত্ব শব্দ আমরা কিভাবে পেয়েছি ?
    আমাদের পরিষ্কার হওয়া দরকার যে , সাধু পৌল নিজে ত্রিত্ব শব্দ আবিষ্কার করেন নাই । �‘ত্রিত্ব’ শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন আন্তিয়খিয়ার থিওফিলাস ( Theophilus of Antioch ) – ১৮০ খ্রীঃ তে ।( Dictionary of the Christian Church-1641)
    কেন এই শব্দের প্রয়োজন ছিল ?
    পবিত্র বাইবেলে ঈশ্বরকে যে ভাবে প্রকাশ করা হয়েছে তা প্রকাশ করার জন্যে একটা ধর্মতত্বীয় শব্দের প্রয়োজন দেখা যায় । এ কারণে F.C. Baur বলেন “From the biblical language concerning Father, Son ( or Logos), and Spirit, Trinitarian doctrine developed , as the Church’s expansion led to the need for reflection, confession, and dialogue.” (Dictirtionary of the Christian Church-1641) তার মানে “ চার্চের বিস্তারই কারনেই প্রতিফলন, স্বীকারোক্তি( আমরা কি বিশ্বাস করব ? ) এবং সংলাপের প্রয়োজনের বাইবেলের ভাষা থেকে “পিতা, পুত্র ( Logos ), এবং আত্মা - ত্রিত্ববাদ মতবাদ বিকশিত হতে পরিচালিত করে।
    তা ছাড়া , খ্রিস্টীয় ধর্মতত্ববিদ Loraine Boetter এ প্রসংগে বলেন , “ ‘Trininiy’ is not found in Scripture itself; like the idea which it expresses is scriptural , we do not know any other word that expresses so well the idea we have in mind. In the science of Theology, as in all other sciences, some technical terms are an absolute necessity. When we say, there are three distinct persons in the Godhead we do not mean that each one is as separate from the others as human being is from every other.” (Studies in Theology -109) ("ত্রিত্ব" শব্দ বাইবেল নিজেই পাওয়া যায় না; ..আমরা অন্য কোন শব্দ জানি না যে আমাদের এই ধারণা ভাল মত প্রকাশ করবে ধর্মতত্ত্ব বিজ্ঞানে , অন্যান্য সমস্ত বিজ্ঞানর মতই কিছু টেকনিক্যাল শব্দ খুবই প্রয়োজন। আমরা যখন বলি, ঈশ্বরের মধ্যে তিনটি আলাদা ব্যক্তি আছে, আমরা এর মানে এই নয় যে প্রত্যেকে অন্যের থেকে আলাদা, যেমন মানুষ অন্যের কাছ থেকে ভিন্ন।”) ( Studies of theology -pg 109)
    ত্রিত্ব শব্দ বাইবেল না থাকলেও ত্রিত্ববাদ ধারনা নতুন কিছু নয় । পুরাতন নিয়মেই ঈশ্বর নিজেকে বহু বচন হিসেবে প্রকাশ করেছেন আদি ১ : ২৬ ; আদি ১১ : ১৭ পদ । অন্য দিকে সাধু পৌল তার আশীবচনে ত্রিত্ব ঈশ্বরের কথা বলেছেন ( ১করি ১৩: ১৪) পদ । ��সেই জন্য ত্রিত্ব ঈশ্বরের প্রেরিত পৌলের সৃষ্টি না, সৃষ্টির শুরু থেকে ত্রিত্ব ঈশ্বরের উপস্থিতি আছে ।বাইবেলে প্রথম অধ্যায়ে যেমন : পিতা, তাঁর পুত্র যীশু ( অন্ন্তকালিন বাক্য ) ও পবিত্র আত্মা উপস্থিতি বাইবেলের প্রথম থেকেই (আদি ১ : ১-'২) । এখানে পিতা , পুত্র ও পবিত্র আত্মা সৃষ্টির কাজে অংশ নেয়ার দৃষ্টান্ত দেখা যায় । ( The MacArthur study Bible –pg. 16)��
    সাধুপৌল কি ভাবে ত্রিত্ব ঈশ্বর কে দেখেছেন ?
    ------------------------------------------------
    ** পিতা ঈশ্বর: “ তবুও আমাদের জন্য ঈশ্বর মাত্র একজনই আছেন। তিনিই পিতা; তাঁরই কাছ থেকে সব কিছু এসেছে আর তাঁরই জন্য আমরা বেঁচে আছি। আর প্রভুও আমাদের মাত্র একজন, তিনি যীশু খ্রীষ্ট। তাঁরই মধ্য দিয়ে সব কিছু এসেছে এবং তাঁরই মধ্য দিয়ে আমরা বেঁচে আছি।” ( ১করি ৮:৬ ) পাঠক গন আরও পড়তে পারেন গালা ১:১; ফিলিপীযার ২ : ১১ পদ থেকে।
    ** পুত্র ঈশ্বর : “ পিতৃপুরুষেরা তাহাদের, এবং মাংস অনুসারে তাহাদেরই মধ্য হইতে খ্রীষ্ট উৎপন্ন হইয়াছেন, যিনি সর্বোপরিস্থ ঈশ্বর, যুগে যুগে ধন্য, আমেন।
    ( রোমীয ৯:৫ ) ; এই পদে প্রেরিত পৌল খ্রিস্টের সার্বভৌমত্ব এবং ঈশ্বরত্বের প্রমাণ হিসাবে দেখানো হয়েছে ।
    ---পাপ নাই যেমন ঈশ্বরের খ্রীষ্টের ও কেনো পাপ নাই। ঈশ্বর ছাড়া সবাই পাপী তদ্রুপ প্রভু যীশুর কেনো পাপ নেই (২য করি ৫: ২১) পদ ।
    পাঠকগন আরও পড়তে পারেন কলসীয ২: ৯ ; তীত ২: ১৩ পদ থেকে।
    ** পবিত্র আত্মা ঈশ্বর : ঈশ্বরের আশীবচন ( ২ করি ১৩:১৪) পদ । এখানে পিতা ও পুত্রের মাজখানে পবিত্র আত্মাকে সমর্মযাদায় বসানো হয়েছে । আপনি তুলনা করতে পারেন ১ করি ঃ ২২, ৫ঃ ৫ সাথে (The MacArthur study Bible –pg. ১৭৮৫ )
    এখন আমরা দেখব যীশু কিভাবে ত্রিত্ব ঈশ্বরকে দেখেছেন :
    ��ত্রিত্ব ঈশ্বর যীশু উপস্থাপন করেছেন:
    পিতা ঈশ্বর ঃ “যীশু তাঁহাকে কহিলেন, আমাকে স্পর্শ করিও না, কেননা এখনও আমি ঊর্ধ্বে পিতার নিকটে যাই নাই; কিন্তু তুমি আমার ভ্রাতৃগণের কাছে গিয়া তাহাদিগকে বল, যিনি আমার পিতা ও তোমাদের পিতা, এবং আমার ঈশ্বর ও তোমাদের ঈশ্বর, তাঁহার নিকটে আমি ঊর্ধ্বে যাইতেছি.” ( যোহন ২০: ১৭)
    “কিন্তু এমন সময় আসিতেছে, বরং এখনই উপস্থিত, যখন প্রকৃত ভজনাকারীরা আত্মায় ও সত্যে পিতার ভজনা করিবে; কারণ বাস্তবিক পিতা এইরূপ ভজনাকারীদেরই অন্বেষণ করেন।” (যোহন ৪ :২৩)
    যীশু নিজেকে পুত্র ঈশ্বর হিসেবে দেখেছেন :
    যখন প্রেরিত থোমা বলেছিলেন , “থোমা উত্তর করিয়া তাঁহাকে কহিলেন, প্রভু আমার, ঈশ্বর আমার!” ( যোহন ২০ : ২৮) যীশু তা অস্বীকার করেননি ।।
    ��পিতা ও পুত্র সমান (যোহন ১০:৩০) পদ ।
    �বিশ্রাম বারের কর্তা ( যোহন ৫ : ১৮) পদ ।
    �পাপ ক্ষমা করা ঈশ্বরের মত ( মার্ক ২ : ৫) পদ ।
    �অনন্তকালীন বাক্যে হিসেবে ঈশ্বর ( যোহন ১: ১) পদ ।
    �তিনি ঈশ্বরের মত পবিত্র ( ১১: ২৫) পদ ।�তিনি একমাত্র পথ, সত্য ও জীবন ( ১৪ : ৬) পদ ।
    � তিনি পুনরূথান ও জীবন ( যোহন ১১ : ২৫)পদ ।
    �সব সময়ই ঈশ্বরের মত অপরিবতনশীল ( মথি ২৮ : ২০) পদ ।
    �সব জানেন (যোহন ২: ২৫) পদ ।
    �আরাধনা , প্রশংসা , প্রাথনা যীশুর নামে । (যোহন ১৪ : ১৪)পদ । �একই সম্মান পিতা ঈশ্বরের সাথে ( যোহন ৫ : ২৩) পদ । �
    পবিত্র আত্মা ঈশ্বরঃ
    পিতা ও পুত্রের সাথে সমকক্ষ ঃ( মথি ২৮:১৯ তুলনীয় ২ করিঃ ১৩:১৪, ১ করি ঃ ১২:৬,১১;)
    প্রজ্ঞার উৎস ঃ যোহন ১৬ঃ ১৩ ; ১৪ঃ ২৬; তুলনীয় ১২ঃ ৮ )
    তিনি যীশু সম্পর্কে সাক্ষ্য দিবেন ( যোহন ১৫ : ২৬ পদ)
    বাপ্তিস্ম সূত্র মথি ২৮ :১৯ পদ ।�শিক্ষা দাতা লূক ১২ : ১২ পদ । �তাঁর বিরুদ্ধে পাপের ক্ষমা নেই (১২: ৩১, ৩২) পদ । �যার মধ্যে দিয়ে অনন্তকালীন সম্মান ও ঈশ্বরের প্রকাশিত হয় । �তাঁর শক্তিতে যীশুর জম্ম কুমারীর গর্ভে । ( লূক ১ :৩৫)পদ । �তিনি যীশুর বাপ্তিস্মে উপস্থিত ছিলেন ( মথি ৩: ১৬) পদ ।
    তিনি নতুন জম্ম দান করেন ( যোহন ৩ : ৫) পদ ।
    গ ) সাধু পৌল কি পাপের প্রায়শ্চিত্বের বানী প্রচার করেন ও তিনি যীশুর বাণী বিকৃত করেন ?
    -------------------------------------------------
    পবিত্র বাইবেল ঈশ্বর বলেন :" কেননা রক্তের মধ্যেই শরীরের প্রাণ থাকে, এবং তোমাদের প্রাণের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করণার্থে আমি তাহা বেদির উপরে তোমাদিগকে দিয়াছি; কারণ প্রাণের গুণে রক্তই প্রায়শ্চিত্ত-সাধক।" ( লেবিয় ১৭ঃ ১১ )
    --
    যে অভিযোগ সাধুপৌল যীশুর ক্রশের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে পাপ মোচন শিক্ষা দান করেন অর্থাৎ বলিদান প্রথার মধ্যে দিয়ে ক্ষমা লাভ করার কথা বলা হয় তা দোষ না বরং বিশ্বাসীদের জন্য আশীর্বাদ ।
    আসলে সাধু পৌল কি মতবাদের প্রথম প্রচার করেছিল না স্বয়ং সৃষ্টিকতা ঈশ্বর তা আমরা শাস্ত্রের আলোকে প্রমাণ করব । সৃষ্টির প্রথমে ঈশ্বর বলিদান প্রথার কাযকারী করেন (আদি ৩:২১ ) । তিনি পশু বলিদান পূর্বক আদম ও হবাকে স্থায়ী ধামিকতার বস্ত্র হিসেবে চামড়া দিয়ে বস্ত্র পরিধান করান যা ভবিষ্যতে তার পুত্র যীশু যিনি ঈশ্বরের মেষশাবক হিসাবে পাপের প্রায়শ্‌চিত্ত বলি হিসাবে উৎসর্গ করবেন , জগতে পাপের জন্য বলিকৃত হবেন ।
    অব্রাহামের বলিদান :--- ইশাহাককে অব্রাহাম ফেরত পেযেছিলেন একটি মেষের বলিদানের বিনিময়ে । একমাত্র পুত্র হিসেবে ইসাহাক বলিদান ভবিষ্যত ঈশ্বর পুত্র যীশু বলি দান ইঙ্গিত করে। ( আদি ২২ )
    ঈশ্বর মোশীর মধ্যে দিয়ে বলিদান ব্যবস্থা করেছেন যা তিনি ইসরায়েল জাতির জন্য পাপ মোচন এর ব্যবস্থা করেন ঃ
    ++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
    প্রতিটি বলিদানই যীশুর বলিদানকে ইংগিত দেয় ।
    যেমন ঃ নিস্তার পর্বের মেষ শাবক ( আদি ১২ঃ ৩-৬;যোহন ১৯ঃ ৩৬ ; ১ করি ঃ ৫ঃ ৭)
    মঙ্গলাথক বলিদান হিসাবে ঃ লেবীয় ৩: ১ ; ইফিঃ ২ঃ ১৪, ১৬)
    পাপারথক বলিদান হিসাবে ঃ লেবীয় ৪:২; ৩, ১২ ইব্রীয় ১৩:১১,১২ )
    দোষআরথক বলিদান হিসাবে ঃ লেবীয় ৬:১-৭ ; যিশাইয় ৫৩:১০ )
    মহা প্রায়চিত্ত দিনের মেষ বলিদান হিসাবে ঃ লেবীয় ১৬ঃ ১৫, ১৬; ইব্রীয় ৯ঃ ১২, ২৪)
    শেষ বলিদানের ভবিষ্যত বাণী :--
    যিশাইয ৫৩ অধ্যায়ে প্রভু যীশুর শেষ বলিদানের কথা ভবিষ্যত বানি করা হয়েছে । যেখানে যীশু ঈশ্বরের দাস হিসেবে দোষাথক; পাপাথক বলিদান উপসর্গ করবেন ।
    যীশুর নিজের শিক্ষা :
    --------------------
    * মার্ক ৮: ৩১ তার নিজের মৃত্যু ও পূণরুত্থানের সম্পর্কে ভবিষ্যৎ বাণী বলেন ।
    �* তার আগমন �মুক্তির মূল্য উপসর্গ করা ( মার্ক ১০:৪৫) পদ ।
    �* মেষদের জন্য জীবন দেওয়া ( যোহন১০ ঃ ১৫)
    * নতুন নিয়ম প্রতিষ্ঠা করা (মথি ২৩: ২৮) প ।
    * �তার মৃত্যু বাপ্তিস্মের সাথে তুলনা করেছেন (লূক ১২ :৫০) ।
    * �তার ভাববানীর পূণতা লূক ২৩: ২৮পদ ।
    * �ক্রশে প্রভু যীশুর বানী :---- পাপের কারণে ঈশ্বরের সাথে ক্ষণিক পৃথকী করন ( মথি ২৭: ৪) পদ ।
    * সমাপ্ত হইল তার পাপের প্রাযশ্চিত্ব সমপন্ন হইল ( যোহন ১৯: ৩০) পূণতা দিয়েছেন ।
    �অন্যান্য যারা প্রেরিত পৌলের পূর্বে ছিলেন তারা যীশুর প্রাযশ্চিত সম্পর্কে বললেন ।
    �+ যোহন বাপ্তাইজ ( যোহন ১: ২১)পদ ।
    + �প্রেরিত পিতর (১পিতর ১ :২২) পদ ।
    + �প্রেরিত যোহন কি বলেন ( ১ যোহন ২ : ১-২ ), " হে আমার বৎসেরা, তোমাদিগকে এই সকল লিখিতেছি, যেন তোমরা পাপ না কর। আর যদি কেহ পাপ করে, তবে পিতার কাছে আমাদের এক সহায় আছেন, তিনি ধার্মিক যীশু খ্রীষ্ট। 2আর তিনিই আমাদের পাপার্থক প্রায়শ্চিত্ত, কেবল আমাদের নয়, কিন্তু সমস্ত জগতেরও পাপার্থক।"
    �ইব্রীয লেখক সম্পূর্ণ পুস্তকেই প্রভু যীশুর বলিদানের প্রাযশ্চিত্বের কথা বলে ঃ যেমন ঃ " কিন্তু খ্রীষ্ট, আগত উত্তম উত্তম বিষয়ের মহাযাজকরূপে উপস্থিত হইয়া, যে মহত্তর ও সিদ্ধতর তাম্বু অহস্তকৃত, অর্থাৎ এই সৃষ্টির অসমপর্কীয়, সেই তাম্বু দিয়া- ছাগদের ও গোবৎসদের রক্তের গুণে নয়, 1কিন্তু নিজ রক্তের গুণে- একবারে পবিত্র স্থানে প্রবেশ করিয়াছেন, ও অনন্তকালীয় মুক্তি অর্জনক রিয়াছেন।" ( �ইব্রীয ৯ :১১-১২)
    �প্রকাশিত বাক্য কি বলে ঃ 6পরে আমি দেখিলাম, ঐ সিংহাসনের ও চারি প্রাণীর মধ্যে ও প্রাচীনবর্গের মধ্যে এক মেষশাবক দাঁড়াইয়া আছেন, তাঁহাকে যেন বধ করা হইয়াছিল; তাঁহার সপ্ত শৃঙ্গ ও সপ্ত চক্ষু; সেই চক্ষু সমস্ত পৃথিবীতে প্রেরিত ঈশ্বরের সপ্ত আত্মা। ( প্রকাশিত বাক্য ৫:৬)
    প্রেরিত পিতর আরও পরিষ্কার ছিলেন নতুন নিয়মের লেখক পৌল ঈশ্বরের আত্মায অবশ্যই তার পত্র গুলো লিখে ছিলেন । ��পঞ্চম :--- সরাসরি ঈশ্বরের কাছথেকে প্রত্যাদেশ তিনি নিজে বলেন । ( ১করি ১১ ২৩ ; গালা ১ : ১২ ; ১করি ১২ :৩) পদ ।
    ঘ ) এখন আমরা দেখব প্রভু যীশুর দখলে সব প্রেরিত পৌলের সাথে শিক্ষা কি বৈসাদৃশ্য আছে ।
    ��একেশ্বরবাদ :--- প্রভু যীশু শিক্ষা দিয়েছিলেন ঈশ্বর এক ( মার্ক ২২ ; ২৯) পদ ।
    সাধুপৌল ও শিক্ষা দিয়েছেন ঈশ্বর এক ( গালা ৩ : ২০) পদ । তিনি এই শিক্ষার সাথে কখনও আপোষ করেন নাই । তিনি সমস্ত পৌওলিকতার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন ( গালা ২ : ৮ ১করি ৮ :৪ , ৫, ৬)। পবিত্র বাইবেলে আদিপুস্তক থেকে প্রকাশিত বাক্য পর্যন্ত - “ঈশ্বর এক” ।
    উপসংহারে বলতে হয় , প্রথমত আমরা দেখেছি , সেন্ট পল যীশুর কখনও ভণ্ড অনুসারি ছিলেন না। তিনি তাঁর জীবন দিয়ে তা প্রমাণ করেছেন। দ্বিতীয়ত, আমরা দেখেছি ঈস্বর নিজেকে পিতা , পুত্র ও পবিত্র আত্মা হিসাবে নিজেকে প্রকাশ করেছেন তা পৌলের মনগড়া প্রচার ছিলনা । এই শিক্ষা পবিত্র বাইবেলের প্রথম অধ্যায়ে আছে পিতা , তাঁর অনন্তকালিন বাণী ও আত্মা একই সাথে উপস্থিত আছেন। ৩য় আমরা দেখেছি, ক্রশে পাপের প্রায়শ্চিত্বের বানী প্রচার প্রেরিত পৌলের মনগড়া শিক্ষা নয় বরং তা ঈশ্বর থেকে আগত , কেননা প্রভুর বাক্য এই কথা বলে , " রক্তসেচন ব্যতিরেকে পাপমোচন হয় না।" ( ইব্রিয় ৯:২২খ ) সর্বশেষে আমরা দেখলাম , যীশু যেমন এক ঈশ্বরের কথা বলেন তেমনি প্রেরিত পৌলও । সে জন্য দু জনের শিক্ষায় কোনো বৌসাদৃশ্য নেই ।
    অতএব, মিথ্যা বিশ্বাস না করে সত্যের আলোতে এসে প্রভুকে গ্রহণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাই কেননা যীশু বলেন , ' পরে যীশু আবার লোকদের বললেন, “আমিই জগতের আলো। যে আমার পথে চলে সে কখনও অন্ধকারে পা ফেলবে না, বরং জীবনের আলো পাবে।" ( যোহন ৮:১২)।
    সেই জন্য পবিত্র বাইবেলের শিক্ষা মানুষের মনগরা শিক্ষা নয় যেমন প্রেরিত পিতর বলেছেন ,
    "" কারণ আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের পরাক্রম ও আগমনের বিষয় যখন তোমাদিগকে জ্ঞাত করিয়াছিলাম, তখন আমরা কৌশল-কল্পিত গল্পের অনুগামী হই নাই, কিন্তু তাঁহার মহিমার চাক্ষুষ সাক্ষী হইয়াছিলাম। 17ফলতঃ তিনি পিতা ঈশ্বর হইতে সমাদর ও গৌরব পাইয়াছিলেন, সেই মহিমাযুক্ত প্রতাপ কর্তৃক তাঁহার কাছে এই বাণী উপনীত হইয়াছিল, ‘‘ইনিই আমার পুত্র, আমার প্রিয়তম, ইহাতেই আমি প্রীত।” 18আর স্বর্গ হইতে আগত সেই বাণী আমরাই শুনিয়াছি, যখন তাঁহার সঙ্গে পবিত্র পর্বতে ছিলাম। 19আর ভাববাণীর বাক্য দৃঢ়তর হইয়া আমাদের নিকটে রহিয়াছে; তোমরা যে সেই বাণীর প্রতি মনোযোগ করিতেছ, তাহা ভালই করিতেছ; তাহা এমন প্রদীপের তুল্য, যাহা যে পর্যন্ত দিনের আরম্ভ না হয় এবং প্রভাতী তারা তোমাদের হৃদয়ে উদিত না হয়, সেই পর্যন্ত অন্ধকারময় স্থানে দীপ্তি দেয়।
    20প্রথমে ইহা জ্ঞাত হও যে, শাস্ত্রীয় কোন ভাববাণী বক্তার নিজ ব্যাখ্যার বিষয় নয়; 21কারণ ভাববাণী কখনও মনুষ্যের ইচ্ছাক্রমে উপনীত হয় নাই, কিন্তু মনুষ্যেরা পবিত্র আত্মা দ্বারা চালিত হইয়া ঈশ্বর হইতে যাহা পাইয়াছেন, তাহাই বলিয়াছেন।" ( ২ পিতর ১:১-২১ )।
    মিথ্যা আর নয় , সত্যের হোক জয় ।।
    আমেন।।
    Bibliography:
    Boettner Loraine , Studies in Theology ( The Presbyterian and reformed publishing Company : Pennsylvania),1970
    Louis Berkhof, a Summary of Christian doctrine (The banner of trust : London),1960
    John R.W. Stott, The message of Galatians, (IVP: Leicester)1968
    Merril C. Tenney , New Testament Survey, Bengali Translation by Michael Susmay Das ( CDC Publication : Dhaka) 1978
    The MacArthur Study Bible, Author & Edit. John MacArthur (Thomas Nelson : Nashville ) 1979
    Walter A. Elwell, Evangelical Dictionary of Theology Edit. ( Baker Book House : Michigan)1984               লেখকঃ Amos Deori

    পরিচিতদেরকে জানাতে শেয়ার করুন

    আপনার জন্য আরো কিছু পোস্ট

    RELATED ARTICLES

      ADS