প্রভু যীশুর জম্ম কোন ঐতিহাসিক পটভূমিতে লেখা নয় বরং আধ্যাত্নিক,যখন আমরা তাঁকে আমাদের হৃদয়ে ধারণ করি ,যখন তিনি আমাদের জীবনে বাস্তব হয়ে উঠে,যখন আমরা ভালোবাসা মানুষে মাঝে,অকারে বিলিয়ে দেই তখনেই তিনি আমাদের হৃদয়ে জম্মগ্রহণ করেন। অদৃশ্য ঈশ্বর ইম্মেনুয়েল নাম ধারন করে এই পৃথিবীতে জম্মগ্রহণ করেছেন। ইংরেজীতে হ্যাপি ক্রিসমাস বললেও ,বাংলায় একে আমরা শুভ বড় দিন বলি। নামটি দিয়েছেন ঈশ্বরচন্দ্র, তিনি একজন কবি ছিলেন, কেননা ,তার আগে বাংলায় স্বীকৃত হ্যাপি ক্রিসমাস আর কোন নাম ছিল না ।
পৃথিবীতে যীশুর আসার কারণ ঃ ঈশ্বর অনেক ভালোবেসে মানুষ সৃষ্টি করেছিলেন , রুহানিক (আধ্যাত্নিক) ভাবে তাঁরেই মত করে। ঈশ্বর মানুষকে বংশবৃদ্ধি করার ক্ষমতা দিয়েছিলেন এবং পৃথিবীর সব কিছুর উপর রাজত্ব করতে বলেছিলেন,মানুষ স্বর্গীয় সুখে-শান্তিতে এদোন বাগানে ছিলেন ,কিন্তু তখনি ঘটল অঘটন,মানুষ ও ঈশ্বরের শক্র শয়তান ,আর স্থীর থাকতে পারলো না। সে মানুষ ও ঈশ্বরের মধ্যে দুরত্ব সৃষ্টি করলেন,সে মানুষকে অবাধ্য করলেন ঈশ্বর থেকে। এতে ঈশ্বর অনেক কষ্ট পেলেন তাঁর প্রিয় মানুষের অবাধ্যতায়। যেহেতু ঈশ্বর শতভাগ পবিত্র তাই তাঁর পক্ষে পাপযুক্ত মানুষের সঙ্গে সর্ম্পক রাখা সম্ভব না। অবাধ্যতার মাধ্যমে মানুষ পাপে পতিত হয়েছিলেন।আর এ জন্যই পূর্বের সর্ম্পক ফিরিয়ে আনার জন্য মানুষের পবিত্র হওয়ার দরকার। যুগে যুগে মানুষ পাক-ছাপ হবার জন্য কুরবাণী দিতেন ,কিন্তু এটা ছিল ক্ষণ স্থায়ী । তাই ঈশ্বর সিন্ধান্ত নিলেন তাঁর প্রিয় পুত্র(রুপক অর্থে) এই পৃথিবীতে পাঠাবেন ’’আমি তোমার ও স্ত্রীলোকের মধ্যে এবং তোমার বংশ ও স্ত্রী লোকের মধ্যে দিয়ে আসা বংশের শত্রতা সৃষ্টি করব । সেই বংশের একজন তোমার মাথা পিষে দেবে আর তুমি তাঁর পায়ের গোড়ালীতে ছোবল মারবে ।(তৌরত কিতাব-পয়দায়েশ ৩ঃ১৫)
যীশু খ্রীষ্টের জম্ম ঃযীশু খ্রীষ্টের জম্ম এভাবে হয়েছিল,হয়রত ইউসুফের সংগে যীশু/ঈসার মা মরিয়মের বিয়ের ঠিক হয়েছিল, কিন্তু তাঁরা একসংগে বাস করার আগেই পাক-রুহের শক্তিতে মরিয়ম গর্ভবতী হয়েছিলেন। মরিয়মের স্বামী ইউসুফ সৎ লোক ছিলেন ,কিন্তু তিনি লোকের সামনে মরিয়মকে লজ্জায় ফেলতে চাইলেনা ;এজন্য তিনি গোপনে তাকে তালাক দিবেন বলে ঠিক করলেন ।ইউসুফ যখন এই সব ভাবতেছিলেন তখন মাবুদে এক ফেরেস্তা/স্বর্গদূত স্বপ্নে তাঁকে দেখা দিয়ে বললেন “ দাউদের বংশধর ইউসুফ মরিয়মকে বিয়ে করতে ভয় কর না ,কারণ তাঁর গর্ভে যিনি জম্মিছে তিনি পাক রুহের /পবিত্র
আত্মা শক্তিতে জম্মিছে। তাঁর একটি ছেলে হবে । তুমি তার নাম যীশু/ঈসা রাখবে ,( ইনজিল শরীফ মথি ১ঃ১৮-২১)
নামকরণ ঃ যীশু নাকি ঈসা । কুরআন শরীফে যীশু খ্রীষ্টকে ঈসা বলা হয়েছে । উভয় নাম এক ব্যাক্তির।উভয় শব্দের অর্থ এক।যীশু/ ঈসার জম্মেও পূর্বে স্বর্গদূত ফেরেস্তা সেই নবযাতকের কি নাম হবে বলে দিয়েছেন (মথি ১ঃ২১)। ঈসা শব্দের অর্থ নাজাত/পরিত্রাণদাতা । যিনি মানুষকে পাপ থেকে পরিত্রাণ /মুক্তি দেন ।আর খ্রীষ্ট শব্দটি গ্রীক ভাষা থেকে এসেছে ইব্রীয় ভাষায় খ্রীষ্টকে মসীহ বলা হয়েছে( ইনজিল শরীফ,ইউহোন্ন ৪ঃ২৫) “মসীহ মানে “য়াঁকে অভিষেক করা হয়েছে (জবুর শরীফ ২ঃ২)প্রভু যীশুকে“ খ্রীষ্ট বা মসীহ বলা হয়েছে ( মথি ১;১) কারণ ঈশ^র একটি বিশেষ কাজের জন্য অর্থাৎ মানুষকে পাপ থেকে উদ্ধার করার জন্য প্রভু যীশুকে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন ।
নবীদের ভবিষ্যৎবানী ঃ আমরা পূর্বে দেখেছি যে ,ঈশ্বর ওয়াদা করেছেন ,স্ত্রীলোকের মধ্যে দিয়ে একজন ব্যাক্তি আসবেন যিনি শয়তানের মস্তক পিষে দিবেন (তৌরত শরীফ পয়দায়েশ ৩:১৫) তাহলে এখন প্রশ্ন স্ত্রী লোকের মধ্যে দিয়ে এ পৃথিবীতে কে এসেছেন । প্রধান দুই ধর্মীয়গ্রন্থ বাইবেল ও কুরআন এক কথায় স্বীকার করে নেয় একমাত্র যীশু খ্রীষ্ট এই পৃথিবীতে বাবা ছাড়া শুধু মায়ের মধ্যে দিয়ে এসেছেন । এটা ঈশ্বরের অলৌকিক কাজ । এই পৃথিবীর ইতিহাসে এটাই অদ্বিতীয় । তারপর যদি আমরা দেখি তাহলে হয়রত মুসা নবীর মধ্যে দিয়ে ঈশ্বর বলেছেন “ তোমার ভাইদের থেকে তোমার মত একজন দাঁড় করাব ,যার কথায় তোমাদের চলতে হবে ,তার মুখ দিয়ে আমি আমার কথা বলব ,সে আমার বাধ্য থাকবে ,তাঁর কথা যদি কেউ না শোনে তাকে দোষী বলে গণ্য করা হবে ”(তৌরত শরীফ দ্বিতীয় বিবরণ ১৮ঃ১৬-১৬) উক্ত পদ যদি আমরা বিশ্লেষণ করি তাহলে আমরা দেখি যে ,কার মধ্যে দিয়ে ঈশ্বর তাঁর মুখের কথা বলেছেন নিশ্চই যীশু খ্রীষ্টের মধ্যে দিয়ে । হয়রত দায়ূত নবীর মধ্যে দিয়ে ঈশ্বর ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন তাঁকে ক্রুশে হত্যা করা হবে । কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় দায়ুদের সময় তো লোককে ক্রুশে দিয়ে হত্যা করার নিয়ম ছিল না তাহলে সে কিভাবে জানল ? নিশ্চয় তিনি যীশুর সর্ম্পকে ভবিষ্যৎবাণী করেছেন । প্রায় ৭০০ বছর পূর্বে ঈশ^র ইশাইয়া নবীর মধ্যে দিয়ে ভবিষৎবাণী করেছিলেন খ্রীষ্ট একজন সতী অবিবাহীত কুমারী গর্ভে জম্মীবেন তাঁর নাম রাখা হবে ইম্মানুয়েল ( ইশাইয়া নবীর কিতাব ৭:২) আর সেই ভবিষ্যৎবাণীর পূর্ণতা আমরা দেখতে পাই( মথি ১ঃ১৮-২৫) মিকার্হ নবীর মধ্যে দিয়ে ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন “ এহুদিয়া দেশের বেথেলহেম এহুদিয়ার মধ্যে তুমি কোনমতেই ছোট নও , কারণ তোমার মধ্যে থেকেই এমন একজন শাসনকর্তা আসবেন ,যিনি আমার ইসরাইল জাতিকে পরিচালনা করবেন এই ভবিষ্যৎবাণীটি করেছিলেন ঈশ^র মির্কাহ নবীর মধ্যে দিয়ে মির্কাহ ২ঃ৫ আর এর পুর্ণতা আমরা দেখতে পাই (মথি ২ঃ১) এখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মরিয়ম ও ইউসুফ কিন্তু গালীল প্রদেশে নাসরতের অধিবাসি ছিলেন। কিন্তু যীশুর জম্মেও পূর্বে সম্্রাট অগাস্টান সিজার ঘোষণা করলেন সবাইকে নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে তার নাম লেখাতে হবে(এটাকে আমরা আদমশুমারী বলতে পারি)মরিয়ম ও ইউসুফ ছিল নবী দায়ূদের বংশের লোক তাই তাদেরকে জেরুশালেমে গিয়ে নাম লেখাতে হবে। তাই তারা গালীলের প্রদেশের নাসরত থেকে ্এহুদিয়া প্রদেশের জেরুশালেমে গেলেন্ আর ঠিক তাখনেই যীশুর জম্ম হল।এ দ্বারা সেই নবীর ভবিষ্যৎবাণীর পূর্ণতা লাভ করে।এখানে মির্কাহ নবী ভঃবি করে বলেছিলেন তিনি ইসরাইল জাতির রাজা হবেন । আর এ কথা এহুদিয়া প্রদেশের বাদশা হেরোদ জানতেন । যখন সেই পন্ডিতেরা রাজার কাছে এসে যীশুর বিষয়ে বললেন এবং জিজ্ঞাস করলেন সেই মসীহ কোথায় জম্মগ্রহণ করেছেন ।পন্ডিতেরা হয়তবা ভেবেছিলেন তিনি কোন রাজ প্রসাদে জম্মগ্রহণ করবেন। যখন রাজা মসীহের বিষয়ে জানতে পারলেন তখন তিনি অস্থীর হয়ে ইঠলেন তিনি সকল আলেম-ইমাদের ডাকলেন এবং বললেন সেই মসীহ কোথায় জম্মীবেন ? তখন তারা তাকে বললেন বেথেলহামে জম্মীবেন । আর কৌশলে রাজা পন্ডিতদের বললেন আপনারা গিয়ে সেই শিশুটিকে দেখে এসে আমাকে বলেন, যাতে আমি গিয়েও সেই শিশুকে মাঠিতে উপুড় হয়ে সেজদা করতে পারি । কিন্তু ¯^র্গদূত রাখালদের সাবধান করে দিলে পরে তারা আর রাজার কাছে ফিরে গেল না । ভিন্ন পথে দেশে চলে যান ,আর রাজা হেরোদ এ বিষয় জানার পর ভীষণ রেগে যান ,পন্ডিতেরা তাকে ঠগিয়েছে বলে ।তাই তিনি পন্ডিতের কথা অনুয়ায়ী সে সময় হতে ২ বছরের নিতে যত শিশু ছিল সবাই কে হত্যা করার নিদের্ষ দেন । কেননা ঈশ^র হয়রত ইয়ারমিয়া নবীর মাধ্যমে এই ভঃবি করেছিলেন “রামায় ভীষণ কান্নাকাটির শব্দ শোনা যাচ্ছে; রাহেলা তার সন্তানদের জন্য কাঁদছে,কিছুতেই শান্ত হচ্ছে না,কারণ তারা আর নেই”( ইয়ারমিয়া ৩১ঃ১৫)এই ঘটনার আগে ¯^র্গদূত ইউসুফকে ভঃবি করেছিল তারা যেন শিশু যীশুকে নিয়ে মিশরে চলে যায় । মিশরে চলে গিয়ে শিশু যীশু রাজা হেরোদের হাত থেকে রেহাই পায় ।রাজা হেরোদ মারা গেলে পরে তারা মিশর দেশ থেকে ফিরে এসে গালিল প্রদেশের নাশরত গ্রামে বাস করেছিলেন কেননা নবীদের মধ্যে দিয়ে এই কথা বলা হয়েছিল তাকে নাসরতীয় বলা হবে । “কাল পূর্ণ হলো” (গালাতীয় ৪ঃ৫) ,হয়রত মালাখী নবীর পর প্রায় ৪০০ বছর পর্য়ন্ত কোন নবী ছিল না। তখনকার লোকেরা মসীহের আশায় ছিল । রোমীয়রা সারা পৃথিবী শাসন করতেছিল ।ইহুদিরা রোমীয়দের দ্বারা অত্যাচারিত ও নির্য়াতনে নিপীড়িত। তারা আশা করেছিল মসীহ আসবেন এবং তাদের উদ্ধার করবেন । আর এ কারণে রাজা হেরোদ সেই সময়ের সেই সব অবুঝ ও নীঅপরাধী শিশুদের উপর এই হত্যা কান্ড চালিয়েছিলেন । সত্যিই যীশু এসেছিলেন তবে রাজা বেশে নয় দারিদ্র বেশে পাপীদের মুক্তি দিতে । এ রকম প্রায় একশত- তিনটির মত ভবিষৎবাণীর পূর্ণতা ঘটে যীশু খ্রীষ্টের জীবনে ।
দিনটির তাৎপর্য ঃ যীশুর জম্ম হয়েছিল গভীর রাতে ,তাছাড়া এ মাসের দিন গুলো বিজ্ঞান মতে, অন্য দিনের চেয়ে ছোট ।তার পরেও কেন বড় দিন ? ইশ^রচন্দ্র তিনি একজন কবি ছিলেন ,তিনি যীশুকে গ্রহণ করেনি ,কিন্তু যীশুর জীবনি পড়েছেন হৃদয়ে উপলব্ধি করেছেন ,তিনি যীশুর সর্ম্পকে লিখেছেন তিনি তাৎপর্যে ,গুরুত্বে,মর্যাদায় এ দিনটিকে বড় দিন বলেছেন । তার আগে বাংলা ভাষার যীশুর ¯^ীকৃত জম্মদিনের কোন নাম ছিল না । আর খ্রীষ্টান সমাজ সদরে নামটি গ্রহণ করে নেন ।“মনে রেখে ,ইবনে আদম সেবা পেতে আসেনি বরং সেবা করতে এসেছেন এবং অনেক লোকের মুক্তির মৃল্য হিসাবে নিজের প্রাণ দিতে এসেছেন”(ইনজিল শরীফ, মার্ক১০ঃ৪৫) এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা ,মুক্তির মূল্য কিসের মুক্তি? একজন কয়াদীর কাছে তার কাছে আনন্দের দিন হচ্ছে ,যে দিন সে মুক্তি পাবে , এ দিনের অপেক্ষায় সে থাকে ,তার মুক্তির দিনেই হচ্ছে তার কাছে বড় দিন।ঠিক তেমনি মানুষ শয়তানের পাপ জগতে বন্ধি ,আর এই পাপ জগত থেকে বেরিয়ে আসতে মুক্তিপর্ণ একটি মাধ্যম বা উপায় একারণে যীশুর মধ্যে দিয়ে সব পাপের মুক্তি পায়। তাই তাদের কাছে যীশুর জম্মদিনেই বড় দিন,তাদের কাছে সবচেয়ে আনন্দের দিন,তাই রবীন্দ্রনাথের ভাষায় ;
“ যাকে আমরা পরম মানব বলে স্বীকার করি ,
তাঁর জম্ম ঐতিহাসিক নয়,আধাত্নিক
প্রভাতের আলো,সে চির প্রভাতের ,প্রভাতের ন্যায়
আমরা যখন তাঁকে দেখি ,তখনে তিঁনি নতুন
কিন্তু তিনি চিরন্তন”
দিনটি যে ভাবে পালিত হয় ঃ রোমানদের মধ্যে জম্মদিন পালনের কোন রীতি –নীতি ছিলনা । আর এ কারণে যিহুদীরা জম্মদিন পালনে বিশ^াসী ছিলেন না । তারা শুধু রাজা যে দিন সিংহাসনে বসবে সে দিন পালন করতেন । যীশুর প্রথম জম্মদিন পালন করেন আমেনির্য়ানের খ্রীষ্টানেরা , তারা অনেক গোরা খ্রীষ্টান ছিলেন ,তারা এক সঙ্গে পুরো জাতি যীশুকে গ্রহণ করেছিলেন ।তারা যখন দেখলেন যীশুর ¯^ীকৃত কোন জম্মদিন নেই তখন তারা ৬ই জানুয়ারী যীশুর জম্মদিন হিসাবে পালন করতে শুরু করলেন । এর পর ৩৩৬ খ্রীষ্টাব্দে রাজা কনস্টাইন যখন যীশুকে গ্রহন করলেন , তখন থেকে ২৫ ডিসেম্বর যীশুর জম্মদিন হিসাবে ¯^ীকৃত ভাবে পালিত হয়ে আসছে ।সারা র্পথিবীর খ্রীষ্টারা অনেক আনন্দে এই দিন পালন করে আসছেন ।খ্রীষ্টানেরা এই দিনটিতে শুধু আনন্দ উপভোগ করে না । বরং সবার প্রতি সহানুভৃতি ও ভালোবাসা দেখায় ।
এই দিনের বারতা ঃ আজ থেকে ২০০০ বছর পূর্বে বেথেলহামে যীশু খ্রীষ্টের জম্ম হয়। বেথেলহাম ছিল জেরুশালেম মন্ধিরে কাছাকাছি একটা বিখ্যাত স্থান। যীশুর জম্মের সময় জেরুশালেম তথা পুরো ইসরাইলদেশ রোম স¤্রাজের অধিনে ছিল ,যীশু খ্রীষ্ট ঈশ^রের রাজ্যার তবলিক করছেন ,পাপীদের মন ফিরাতে বলতেন । তিঁনি এই পৃথিবীতে মাত্র ৩২/৩৩ বছর বেঁচে ছিলেন ,তাঁকে ঈশ^রের বিশেষকার্য্য সাধনের জন্য ক্রুশে জীবন দিতে হয়েছিল ,যদিও বা তাঁকে ক্রুশে/মৃত্যদন্ড দেওয়ার মত কোন দোষ খুঁজে পাননি রোমীয় স¤্রাট পন্তিয় পীলাত ,তারপরেও তাঁকে এই শান্তি ভোগ করতে হয়েছিলল ।যীশু অত্যন্ত সাধারণ জীবন যাপন করতেন ,তিনি পেশায় ছিলেন একজন ছুতার মি¯্রি ,তিনি ন্যায় ,আর্দশবান ও কর্মট পুরুষদের আদর্শ । তিনি ছিলেন ঈশ^রের মেশশাবক ও চুড়ান্ত কোরবানি “ ঈশ^র মানুষকে এত ভালোবাসলেন যে তাঁর প্রিয় পুত্রকে দান করলেন ,যে কেউ সেই পুত্রের উপর ঈমান/বিশ^াস আসে সে বিনষ্ট না হয় কিন্তু অনন্ত জীবন পায়( ইনজিল শরীফ ইউহোন্না ৩ঃ১৬) ,প্রতি বছর ঘুরে-ফিরে “বড়দিন” আসে ,আমাদের এই বারতা দিয়ে যায়,মানুষ্যপুত্র দারিদ্রবেশ ধারণ করে এসেছিল এই ধরণীতে ,তিনি মানুষকে ভালোবাসে অন্যান্য দৃষ্ঠান্ত রেখে গেছেন ,এবার বড় দিনের এই বারতা হোক ,প্রভু যীশু এই পৃথিবীতে যে শান্তি স্থাপন করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করিয়েছিলেন,তা ফিরে আসুক,পৃথিবীতে। মানুষ মানুষের জন্য, মানবতার সেবাই সবচেয়ে উত্তম ধর্ম। সব ধর্মই স¤প্রীতির কথা বলে। এ স¤প্রীতি বজায় রাখলেই বিশ্ব শান্তিময় হবে। মানুষে- মানুষে বন্ধুত্ব ও প্রীতি বাড়বে। একে-অপরের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়বে। সমাজ শান্তি হবে, অসা¤প্রদায়িক দাঙ্গা থামবে। ভালোবাসা দিয়ে থামাতে হবে হানাহানি। আমরা এক হব, ভালো থাকব, সুখে থাকব।’ আমদের এই দেশ থেকে চলে যাক অসাম্প্রদায়িকতা ,পৃথিবী হোক শান্তিময় ,বন্ধ হোক সকল হানাহানি ,ফিরে আসবে পৃথিবীতে শান্তি ,এটাই হোক বড় দিনের বারতা।
লেখক: নাহিদ বাবু