ঈশ্বরের অনুগ্রহ প্রভু যীশু খ্রীষ্ট

ads20

    সৃষ্টির শুরুতেঈশ্বর মহাকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেন।তখন পর্য়ন্ত দুনিয়ার কোন আকার ছিল না , জীবন্ত কোন কিছু ছিল না । ঈশ্বররে আত্মা সেই পানিতে বিরাজ করত । প্রথম দিন ঈশ্বর সৃষ্টি করেন আলো,আলোর নাম তিনি দিলেন দিন আর আধাঁরের নাম তিনি দিলেন রাত ,দ্বিতীয় দিন ঈশ্বর জলকে আলাদা করেছিলেন আলাদা জায়গার নাম তিনি দিয়েছিলেন আসমান ও জমীন,তৃতীয় দিন সৃষ্টি করেন সাগর নদী ,চমৎকার উদ্যান ,চতুর্থ দিন সৃষ্টি করেন চন্দ্র , তারা, গ্রহ , পঞ্চমদিন সৃষ্টি করেন সমুদ্রের জীব জন্তু মাছের সমারহ 

     ঈশ্বর সব কিছু সৃষ্টি করেছেন অনেক সুন্দর ও মনোরম করে , সবকিছু বংশবৃদ্ধি করার ক্ষমতা দিয়েছেন।  ঈশ্বর দেখলেন সব কিছু অতি উত্তম।তাই ৬ষ্ট দিনে ঈশ্বর নিজের {ঈশ্বরীক}মতো করে মানুষ সূষ্টি করেন । সমস্ত সৃষ্টির উপর মানুষকে রাজত্ব ও দেখাশুনার ভার দিয়েছিলেন । আর সপ্তমদিনে ঈশ্বর কোন কিছু সৃষ্টি করেন এই জন্য মানুষ সপ্তাহে কোন এক দিন কোন কাজ করে না । ঈশ্বর নাকেঁ ফুঁ দিয়ে আদমকে জীবন বায়ু দিয়েছিল ।  আর আদমের পাজরের হাড় দিয়ে হবাকে ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন । হবাকে দেখার পর আদম  বলেছেন ,এবার হয়েছে ,এ  আমার অসিÍর অস্তি । হবাকে দেখার পর আদম অনেক খুশি হয়েছেন ।  এদোন বাগানে অনেক সুখে শান্তিতে আদম –হবা ছিল কিন্ত মানুষ আর  ঈশ্বরশ্বরের শত্রæ শয়তান আর ঠিক থাকতে পারলো না । সে মানুকে অবাধ্য করলেন ।ঈশ্বর  আদম –হবা যে নেকি-বন্ধি গাছের ফল খেতে নিষেধ করেছিল । সেই গাছের ফল শয়তান তাদেরকে ফাঁদে ফেলে , লোভ দেখিয়ে খেতে বাধ্য করেছিল ,মানুষ যখন গ›ধব ফল খেয়ে ঈশ্বরের সমান হতে চাইল তখন মানুষ অবাধ্য ও লোভের ফলে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপ করল ,ঈশ্বর পাপ করার আগ পয়ন্ত আদম –হবার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতেন । পূর্বে সেদিন ও ঈশ্বর আদম –হবার সঙ্গে দেখা কররা জন্য এসেছিল । কিন্তু ঈশ্বর যখন আদমকে ডেকেছিল তখন আদম নিজকে লুকিয়ে নিয়েছিল ,ঈশ্বরকে বলেছিল সে নাকী ঊলঙ্গ , ঈশ্বর তাকে জিজ্ঞাস করেছিলেন তোমাকে কে বলেছিল, তুমি যে উলঙ্গ?  আদম তখন হবাকে দোষারোপ করার চেষ্টা করেছে . আর তাদের সেদিন উলঙ্গতা ডাকার জন্য পশুর চামড়া ব্যবহার করেছিলেন অনেকে মনে করেন মানুষের পাপের জন্য এটা প্রথম কোরবানী । তারপর ঈশ্বর আদমকে অভিশাপ করেছিলেন,” তোমাকে সারা জীবন পায়ের ঘাম মাতায় পেলে খেতে হবে ,নারীকে অভিশাপ দিয়েছিল স্বামীর জন্য তোমার প্রচুর মায়া হবে ,প্র¯্রব বেদনায় তুমি কাতরাবে । সাপকে অভিশাপ দিয়েছিল তুমি সারা জীবন বুকেব উপর ভর দিয়ে চলবে ,ধুলা খাবে এবং নারীর বংশের মধ্যে দিয়ে এমন একজন আসবে যে তোমার মস্তক চ্যৃণর্  করবে ” আর আমরা পবিত্র কিতাবে দেখি সৃষ্টির শুরু থেকে আজ পয়ন্ত একমাত্র যীশু খ্রীষ্ট এসেছিলেন । ঈশ্বর অনেক ভালোবেসে মানুষ সৃষ্টি করেছিলেন , রুহানিক (আধ্যাতিক) ভাবে তাঁরেই মত করে। ঈশ্বর মানুষকে বংশবৃদ্ধি করার ক্ষমতা দিয়েছিলেন এবং পৃথিবীর সব কিছুর উপর রাজত্ব করতে বলেছিলেন,মানুষ স্বর্গীয় সুখে-শান্তিতে এদোন বাগানে ছিলেন ,কিন্তু তখনি ঘটল অঘটন,মানুষ ও ঈশ্বর শত্রু শয়তান ,আর স্থীর থাকতে পারলো না। সে মানুষ ও ঈশ্বরের মধ্যে দুরত্ব সৃষ্টি করলেন,সে মানুষকে অবাধ্য করলেন ঈশ্বর থেকে। এতে ঈশ^র অনেক কষ্ট পেলেন তাঁর প্রিয় মানুষের অবাধ্যতায়। যেহেতু ঈশ্বর শতভাগ পবিত্র তাই তাঁর পক্ষে পাপযুক্ত মানুষের সঙ্গে সর্ম্পক রাখা সম্ভব না। অবাধ্যতার মাধ্যমে মানুষ পাপে পতিত হয়েছিলেন।আর এ জন্যই পূর্বের সর্ম্পক ফিরিয়ে আনার জন্য মানুষের পবিত্র হওয়ার দরকার। যুগে যুগে মানুষ পাক-ছাপ হবার জন্য কুরবাণী দিতেন ,কিন্তু এটা ছিল ক্ষণ স্থায়ী । তাই ঈশ্বর সিন্ধান্ত নিলেন তাঁর প্রিয় পুত্র(রুপক অর্থে) এই পৃথিবীতে পাঠাবেন ’’আমি তোমার ও স্ত্রীলোকের মধ্যে এবং তোমার বংশ ও স্ত্রী লোকের মধ্যে দিয়ে আসা বংশের শত্রুতা সৃষ্টি করব । সেই বংশের একজন তোমার মাথা পিষে দেবে আর তুমি তাঁর পায়ের গোড়ালীতে ছোবল মারবে ।(তৌরত কিতাব-পয়দায়েশ ৩ঃ১৫)

    ঃ আমরা পূর্বে দেখেছি যে ,ঈশ^র ওয়াদা করেছেন ,স্ত্রীলোকের মধ্যে দিয়ে একজন ব্যাক্তি আসবেন যিনি শয়তানের মস্তক পিষে দিবেন (তৌরত শরীফ পয়দায়েশ ৩:১৫) তাহলে এখন প্রশ্ন স্ত্রী লোকের মধ্যে দিয়ে এ পৃথিবীতে কে এসেছেন । প্রধান দুই ধর্মীয়গ্রন্থ বাইবেল ও কুরআন এক কথায় স্বীকার করে নেয় একমাত্র যীশু খ্রীষ্ট এই পৃথিবীতে বাবা ছাড়া শুধু মায়ের মধ্যে দিয়ে এসেছেন । এটা ঈশ^রের অলৌকিক কাজ । এই পৃথিবীর ইতিহাসে এটাই অদ্বিতীয় । তারপর যদি আমরা দেখি তাহলে হয়রত মুসা নবীর মধ্যে দিয়ে ঈশ^র বলেছেন “ তোমার ভাইদের থেকে তোমার মত একজন দাঁড় করাব ,যার কথায় তোমাদের চলতে হবে ,তার মুখ দিয়ে আমি আমার কথা বলব ,সে আমার বাধ্য থাকবে ,তাঁর কথা যদি কেউ না শোনে তাকে দোষী বলে গণ্য করা হবে ”(তৌরত শরীফ দ্বিতীয় বিবরণ ১৮ঃ১৬-১৬) উক্ত পদ যদি আমরা বিশ্লেষণ করি তাহলে আমরা দেখি যে ,কার মধ্যে দিয়ে ঈশ^র তাঁর মুখের কথা বলেছেন নিশ্চই যীশু খ্রীষ্টের মধ্যে দিয়ে । হয়রত দায়ূত নবীর মধ্যে দিয়ে ঈশ^র ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন তাঁকে ক্রুশে হত্যা করা হবে । কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় দায়ুদের সময় তো লোককে ক্রুশে দিয়ে হত্যা করার নিয়ম ছিল না তাহলে সে কিভাবে জানল ? নিশ্চয় তিনি যীশুর সর্ম্পকে ভবিষ্যৎবাণী করেছেন । প্রায় ৭০০ বছর পূর্বে ঈশ^র ইশাইয়া নবীর মধ্যে দিয়ে ভবিষৎবাণী করেছিলেন খ্রীষ্ট একজন সতী অবিবাহীত কুমারী গর্ভে জম্মীবেন তাঁর নাম রাখা হবে ইম্মানুয়েল ( ইশাইয়া নবীর কিতাব  ৭:২) আর সেই ভবিষ্যৎবাণীর পূর্ণতা আমরা দেখতে পাই( মথি ১ঃ১৮-২৫) মিকার্হ নবীর মধ্যে দিয়ে ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন “ এহুদিয়া দেশের বেথেলহেম এহুদিয়ার মধ্যে তুমি কোনমতেই ছোট নও , কারণ তোমার মধ্যে থেকেই এমন একজন শাসনকর্তা আসবেন ,যিনি আমার ইসরাইল জাতিকে পরিচালনা করবেন এই ভবিষ্যৎবাণীটি করেছিলেন ঈশ^র মির্কাহ নবীর মধ্যে দিয়ে  মির্কাহ ২ঃ৫ আর এর পুর্ণতা আমরা দেখতে পাই  (মথি ২ঃ১) এখানে অত্যন্ত  গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মরিয়ম ও ইউসুফ কিন্তু গালীল প্রদেশে নাসরতের অধিবাসি ছিলেন। কিন্তু যীশুর জম্মেও পূর্বে সম্্রাট অগাস্টান সিজার ঘোষণা করলেন সবাইকে নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে তার নাম লেখাতে হবে(এটাকে আমরা আদমশুমারী বলতে পারি)মরিয়ম ও ইউসুফ ছিল নবী দায়ূদের বংশের লোক তাই তাদেরকে জেরুশালেমে গিয়ে নাম লেখাতে হবে। তাই তারা গালীলের প্রদেশের নাসরত থেকে ্এহুদিয়া প্রদেশের জেরুশালেমে গেলেন্ আর ঠিক তাখনেই যীশুর জম্ম হল।এ দ্বারা সেই নবীর ভবিষ্যৎবাণীর পূর্ণতা লাভ করে।এখানে মির্কাহ নবী ভঃবি করে বলেছিলেন তিনি ইসরাইল জাতির রাজা হবেন । আর এ কথা এহুদিয়া প্রদেশের বাদশা হেরোদ জানতেন । যখন সেই পন্ডিতেরা রাজার কাছে এসে যীশুর বিষয়ে বললেন এবং জিজ্ঞাস করলেন সেই মসীহ কোথায় জম্মগ্রহণ করেছেন ।পন্ডিতেরা হয়তবা ভেবেছিলেন তিনি কোন রাজ প্রসাদে জম্মগ্রহণ করবেন। যখন রাজা মসীহের বিষয়ে জানতে পারলেন তখন তিনি অস্থীর হয়ে ইঠলেন তিনি সকল আলেম-ইমাদের ডাকলেন এবং বললেন সেই মসীহ কোথায় জম্মীবেন ? তখন তারা তাকে বললেন বেথেলহামে জম্মীবেন । আর কৌশলে রাজা পন্ডিতদের বললেন আপনারা গিয়ে সেই শিশুটিকে দেখে এসে আমাকে বলেন, যাতে আমি গিয়েও সেই শিশুকে মাঠিতে উপুড় হয়ে সেজদা করতে পারি । কিন্তু স্বর্গদূত রাখালদের সাবধান করে দিলে পরে তারা আর রাজার কাছে ফিরে গেল না । ভিন্ন পথে দেশে চলে যান ,আর  রাজা হেরোদ এ বিষয় জানার পর  ভীষণ রেগে যান ,পন্ডিতেরা তাকে ঠগিয়েছে বলে ।তাই তিনি পন্ডিতের কথা অনুয়ায়ী  সে সময় হতে ২ বছরের নিতে যত শিশু ছিল সবাই কে হত্যা করার নিদের্ষ দেন । কেননা ঈশ^র হয়রত  ইয়ারমিয়া নবীর মাধ্যমে এই ভঃবি করেছিলেন “রামায় ভীষণ কান্নাকাটির শব্দ শোনা যাচ্ছে; রাহেলা তার সন্তানদের জন্য কাঁদছে,কিছুতেই শান্ত হচ্ছে না,কারণ তারা আর নেই”( ইয়ারমিয়া ৩১ঃ১৫)এই ঘটনার আগে স্বর্গদূত ইউসুফকে ভঃবি করেছিল তারা যেন শিশু যীশুকে নিয়ে মিশরে চলে যায় । মিশরে চলে গিয়ে শিশু যীশু রাজা হেরোদের হাত থেকে রেহাই পায় ।রাজা হেরোদ মারা গেলে পরে তারা মিশর দেশ থেকে ফিরে এসে গালিল প্রদেশের নাশরত গ্রামে বাস করেছিলেন কেননা নবীদের মধ্যে দিয়ে এই কথা বলা হয়েছিল তাকে নাসরতীয় বলা হবে । “কাল পূর্ণ হলো” (গালাতীয় ৪ঃ৫) ,হয়রত মালাখী নবীর পর প্রায় ৪০০ বছর পর্য়ন্ত কোন নবী ছিল না। তখনকার লোকেরা মসীহের আশায় ছিল । রোমীয়রা সারা পৃথিবী শাসন করতেছিল ।ইহুদিরা রোমীয়দের দ্বারা অত্যাচারিত ও নির্য়াতনে নিপীড়িত। তারা আশা করেছিল মসীহ আসবেন এবং তাদের উদ্ধার করবেন । আর এ কারণে রাজা হেরোদ সেই সময়ের সেই সব অবুঝ ও নীঅপরাধী শিশুদের উপর এই  হত্যা কান্ড চালিয়েছিলেন । সত্যিই যীশু এসেছিলেন তবে রাজা বেশে নয় দারিদ্র বেশে পাপীদের মুক্তি দিতে । এ রকম প্রায় একশত- তিনটির মত ভবিষৎবাণীর পূর্ণতা ঘটে যীশু খ্রীষ্টের জীবনে । 

    আজ থেকে ২০০০ বছর পূর্বে বেথেলহামে যীশু খ্রীষ্টের জম্ম হয়। বেথেলহাম ছিল জেরুশালেম মন্ধিরে কাছাকাছি একটা বিখ্যাত স্থান। যীশুর জম্মের সময় জেরুশালেম তথা পুরো ইসরাইলদেশ রোম স¤্রাজের অধিনে ছিল ,যীশু খ্রীষ্ট ঈশ^রের রাজ্যার তবলিক করছেন ,পাপীদের মন ফিরাতে বলতেন । তিঁনি এই পৃথিবীতে মাত্র ৩২/৩৩ বছর বেঁচে ছিলেন ,তাঁকে ঈশ^রের বিশেষকার্য্য সাধনের জন্য ক্রুশে জীবন দিতে হয়েছিল ,যদিও বা তাঁকে ক্রুশে/মৃত্যদন্ড দেওয়ার মত কোন দোষ খুঁজে পাননি রোমীয় স¤্রাট পন্তিয় পীলাত ,তারপরেও তাঁকে এই শান্তি ভোগ করতে হয়েছিলল ।যীশু অত্যন্ত সাধারণ জীবন যাপন করতেন ,তিনি পেশায় ছিলেন একজন ছুতার মি¯্রি ,তিনি ন্যায় ,আর্দশবান ও কর্মট  পুরুষদের আদর্শ । তিনি ছিলেন ঈশ^রের মেশশাবক ও চুড়ান্ত কোরবানি “ ঈশ^র মানুষকে এত ভালোবাসলেন যে তাঁর প্রিয় পুত্রকে দান করলেন ,যে কেউ সেই পুত্রের উপর ঈমান/বিশ^াস আসে সে বিনষ্ট না হয় কিন্তু অনন্ত জীবন পায়( ইনজিল শরীফ ইউহোন্না ৩ঃ১৬) ,প্রতি বছর ঘুরে-ফিরে “বড়দিন” আসে ,আমাদের এই বারতা দিয়ে যায়,মানুষ্যপুত্র দারিদ্রবেশ ধারণ করে এসেছিল এই ধরণীতে ,তিনি মানুষকে ভালোবাসে অন্যান্য দৃষ্ঠান্ত রেখে গেছেন,প্রভু যীশু এই পৃথিবীতে যে শান্তি স্থাপন করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করিয়েছিলেন,তা আবার ফিরে আসুক,পৃথিবীতে। মানুষ মানুষের জন্য, মানবতার সেবাই সবচেয়ে উত্তম ধর্ম। সব ধর্মই স¤প্রীতির কথা বলে। এ স¤প্রীতি বজায় রাখলেই বিশ্ব শান্তিময় হবে। মানুষে- মানুষে বন্ধুত্ব ও প্রীতি বাড়বে। একে-অপরের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়বে। সমাজ শান্তি হবে, অসা¤প্রদায়িক দাঙ্গা থামবে। ভালোবাসা দিয়ে থামাতে হবে হানাহানি। আমরা এক হব, ভালো থাকব, সুখে থাকব।’ আমদের এই দেশ থেকে চলে যাক অসাম্প্রদায়িকতা ,পৃথিবী হোক শান্তিময় ,বন্ধ হোক সকল হানাহানি ,ফিরে আসবে পৃথিবীতে শান্তি , 

    এবার করোনায় বড়দিনের এই বারতা হোক ,প্রভু যীশু এই পৃথিবীতে যে শান্তি স্থার্পন করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করিয়েছিলেন,তা ফিরে আসুক,পৃথিবীতে থেকে মহামারী থেমে যাক। থেমে যাক অসা¤প্রদায়িক দাঙ্গা । সব ধর্মই স¤প্রীতির কথা বলে। এ স¤প্রীতি বজায় রাখলেই বিশ্ব শান্তিময় হবে। মানুষে- মানুষে বন্ধুত্ব ও প্রীতি বাড়বে। একে-অপরের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়বে। সমাজ শান্তি হবে, থামবে। ভালোবাসা দিয়ে থামাতে হবে হানাহানি। আমরা এক হব, ভালো থাকব, সুখে থাকব। মানুষ মানুষের জন্য, মানবতার সেবাই সবচেয়ে উত্তম ধর্ম।  আমদের এই দেশ থেকে চলে যাক অসাম্প্রদায়িকতা ,পৃথিবী হোক শান্তিময় ,বন্ধ হোক সকল হানাহানি ,ফিরে আসবে পৃথিবীতে শান্তি ,এটাই হোক বড় দিনের বারতা।

    লেখক: নাহিদ বাবু



    পরিচিতদেরকে জানাতে শেয়ার করুন

    আপনার জন্য আরো কিছু পোস্ট

    RELATED ARTICLES

      ADS