করোনা ভাইরাস এবং পবিত্র বাইবেলের ভবিষ্যৎবাণী

ads20
    বাইবেল বিশ্বাস করি আর তাই খুব সহজেই আমরা ঈশ্বরের আগাম জানিয়ে দেওয়া বিষয় গুলো জানতে পারি এবং সেই বিষয়ে সতর্ক হতে পারি। তবে ঈশ্বর যা আমাদের জানিয়েছেন তাঁর মনোনীত লোকদের দ্বারা এবং স্বয়ং যীশু খ্রিষ্ট আমাদের যা জানিয়েছেন তা আমরা আজকের দিনে দেখতে পারছি যা সময়ের সাথে সাথে প্রকাশ পাচ্ছে।
    তাহলে যীশু খ্রিষ্ট কি এই করোনা ভাইরাসের কথাই তাঁর শিষ্যদের কাছে বলেছিলেন ? এবং প্রকাশিতবাক্যে যোহন যা প্রকাশ করেছেন; যে যে কারণে পৃথিবীর ২৫% মারা যাবে সেই-সেই কারণের মাধ্য কি করোনা ভাইরাসও একটি ?
    [ লূক ২১:১১ পদ ] মহৎ মহৎ ভূমিকম্প এবং স্থানে স্থানে দুর্ভিক্ষ ও মহামারী হইবে, আর আকাশে ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর লক্ষণ ও মহৎ মহৎ চিহ্ন হইবে।
    আমরা যারা সত্যই বাইবেল বিশ্বাসকরি আমাদের একটা জানার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে; সত্যি কি বাইবেলে এই মরণঘাতী ভাইরাসের কথা বলা আছে আগে থেকে; যা আজ মহামারীতে প্রকাশ পাচ্ছে ?  আজ থেকে প্রায় চার মাস আগেও আমরা ভাবিও নাই যে; কয়েক দিন পরে সারা পৃথিবীতে এক ভয়াবহ বিষয় হতে চলেছে, এক ভয়ানক হাহাকার গ্রাস করতে আসছে। আমরা অনেক সময় বাইবেলের প্রকাশ করা ভবিষ্যতবাণী কে তুচ্ছ করি, তবে অনেকেই এখন মানছে যে ২০০০ বছর আগে যীশু খ্রীষ্ট এমন এক মহামারীর কথা তাঁর শিষ্যদের কাছে প্রকাশ করছিলেন।
    প্রভু যীশু তাঁর শিষ্যদের এবং বাক্যের মাধ্যমে আমাদের কাছে প্রকাশ করছেন যে, তাঁর দ্বিতীয় বার ফিরে আসার আগে ভিন্ন ভিন্ন যায়গায় ভূমিকম্প, দুর্ভিক্ষ, আর মহামারী হবে। আমরা সুনিদিষ্ট ভাবে এটা বলতে পারি না যে, প্রভু যীশু একটি মহামারীর কথা বলেছেন কিনা ! তবে এটাই হবার সম্ভাবনা বেশি বা এটাই সত্য যে, আমাদের আরো মহামারী দ্বারা আক্রান্ত হতে হবে; কারণ একটা মহামারী অন্য একটা মহামারীকে ডেকে আনবে। কেননা শেষ সময়ের আগে এগুলো আসবেই আসবে। তাহলে আমরা মেনে নিতেই পারি যে, প্রভু যীশু সুনিদিষ্ট ভাবে করোনার কথা বলেনি; কিন্তু তিনি ওই সব মহামারীর কথাই বলেছেন যা তাঁর আগমনের আগেই পৃথবীতে প্রকাশ পাবে। তবে এটা ঠিক যে ওই সব মহামারীর মাঝে করোনাও একটি। তবে এটা সত্য যে, অনেকের জানার আগ্রহ বাইবেল আসলে কি প্রকাশ করছে শেষ সময়ের ব্যাপারে এবং শেষ সময়ের আগের মুহূর্তের ব্যাপারে।
    [ প্রকাশিতবাক্য ৬:৮ পদ ] পরে আমি দৃষ্টি করিলাম, আর দেখ, এক পাণ্ডুবর্ণ অশ্ব, এবং যে তাহার উপরে বসিয়া আছে, তাহার নাম মৃত্যু, এবং পাতাল তাহার অনুগমন করিতেছে; আর তাহাদিগকে পৃথিবীর চতুর্থ অংশের উপরে কর্ত্তৃত্ব দত্ত হইল, যেন তাহারা তরবারি, দুর্ভিক্ষ, মারী ও বনপশু দ্বারা বধ করে।

    আমরা খুব সহজেই বুঝতে পারি যে, প্রকাশিত বাক্য যা প্রকাশ করে বা করেছে তা শেষ সময়ের বিষয়েই বলেছে। আমরা যদি খেয়াল করি তবে প্রকাশিত বাক্য ৬:৮ পদে দেখতে পাই যে, পৃথিবীর ৪ ভাগের ১ ভাগ মারা পরবে “তরবারি (যুদ্ধ), দুর্ভিক্ষ, মারী (মহামারী রোগে) ও বনপশু দ্বারা” । আমাদের প্রশ্ন আসতে পারে যে, “বনপশু দ্বারা” আবার কিভাবে ? বন্যপশু কি তেড়ে এসে খেয়ে খেলবে নাকি তারা আমাদের নিহত করবে। তবে চিন্তা করলে বোঝা যায় যে; বন্যপশু হতে মরণব্যাধী রোগ জীবানু বের হবে। উদাহরণ আমাদের জানাই আছে।
    আমরা দেখতে পাই বিভিন্ন দেশ করোনা ভাইরাসের কারণে “ কেয়ারেন্টিন” জারি করেছেন। কেয়ারেন্টিন মানে সংক্রামন ঝুঁকি এড়ানোর উদ্দেশ্যে ব্যক্তির চলাফেরা সীমাবদ্ধ করা । কেয়ারন্টিন তাদের জন্য প্রযোজ্য, যারা আক্রান্ত হননি কিন্তু রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন, রোগের প্রদুর্ভাবযুক্ত এলাকায় থেকেছেন, অর্থাৎ যারা রোগ ছড়াতে পারে বলে সন্দেহ করা হয়। আমরা মোশীর সময়ে দেখতে পাই, সংক্রামন রোধ ঠেকাতে ঈশ্বর তাদের বলেছিলেন যারা সংক্রামন রোগে আক্রান্তা তাদের যেনো আলাদা রাখা হয় [ লেবীয় ১৩:৪৬ পদ ]। মানে কেয়ারেন্টিন ইস্রায়েল আগে থেকেই জেনেছেন ঈশ্বরের কাছ থেকে। এমন কি সংক্রামন রোগ যেনো না ছড়ায় তাঁর ব্যবস্থাও তারা নিতেন। [ যিশাইয় ২৬:২০ ] হে আমার জাতি, চল, তোমার অন্তরাগারে প্রবেশ কর, তোমার দ্বার সকল রুদ্ধ কর; অল্পক্ষণ মাত্র লুক্কায়িত থাক, যে পর্য্যন্ত ক্রোধ অতীত না হয়।
    এই ভয়াবহ সময়ে; এখন কি করণীয় আছে আমাদের, যারা আমরা বাইবেল কে বিশ্বাস করি ঈশ্বরের বাক্য হিসেবে ? আমাদের সত্যই এটা মানতে হবে যে, ঈশ্বর যা প্রকাশ করেছেন তা হবেই হবে। কোন প্রার্থনাই পারবে না তা ঠেকাতে। এটা এমন নয় যে, হবে বলেই শেষ হয়ে গেছে হাজার হাজার বছর আছে। এটা সত্য আর এটার মুখোমুখী আমাদের হতেই হবে। তবে বাক্যে আমাদের জন্য সান্তনা রয়েছে। 
    [ গীতসংহিতা ৯১:৩-৭ পদ ] হাঁ, তিনিই তোমাকে ব্যাধের ফাঁদ হইতে, ও সর্ব্বনাশক মারী হইতে রক্ষা করিবেন। তিনি আপন পালখে তোমাকে আবৃত করিবেন, তাঁহার পক্ষের নীচে তুমি আশ্রয় পাইবে; তাঁহার সত্য ঢাল ও তনুত্রাণস্বরূপ। তুমি ভীত হইবে না—রাত্রির ত্রাস হইতে, দিবসে উড্‌ডীয়মান শর হইতে, তিমির-বিহারী মারী হইতে, মধ্যাহ্নের সাংঘাতিক ব্যাধি হইতে। পড়িবে তোমার পার্শ্বে সহস্র জন, তোমার দক্ষিণে দশ সহস্র জন, কিন্তু উহা তোমার নিকটে আসিবে না।
    “পড়িবে তোমার পার্শ্বে সহস্র জন, তোমার দক্ষিণে দশ সহস্র জন, কিন্তু উহা তোমার নিকটে আসিবে না।” মানে অনুগ্রহ প্রাপ্ত বাক্তির ডানে-বামে, আগে-পিছে হাজার হাজার মানুষ মারাও যায় তবু তাঁর নিকটে বিপদ আসবে না।

    অথবা যদি আমি ( সদাপ্রভু ) দেশের বিরুদ্ধে খড়্‌গ আনিয়া বলি, ‘দেশের সর্ব্বত্র খড়্‌গ গমন করুক,’ আর তথাকার মনুষ্য ও পশু উচ্ছিন্ন করি, অথচ তাহার মধ্য ঐ তিন ব্যক্তি থাকে, প্রভু সদাপ্রভু কহেন, আমার জীবনের দিব্য, তাহারাও পুত্র কিম্বা কন্যাদিগকে উদ্ধার করিতে পারিবে না, কেবল আপনারাই উদ্ধার পাইবে। অথবা আমি যদি সেই দেশে মহামারী প্রেরণ করি, এবং তথাকার মনুষ্য ও পশু উচ্ছিন্ন করিবার জন্য তাহার উপরে আপন ক্রোধ ঢালিয়া রক্ত বহাই, অথচ দেশের মধ্যে নোহ, দানিয়েল ও ইয়োব থাকে, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা কহেন, আমার জীবনের দিব্য, তাহারাও পুত্র কিম্বা কন্যাকে উদ্ধার করিতে পারিবে না; আপন আপন ধার্ম্মিকতায় আপন আপন প্রাণমাত্র উদ্ধার করিবে। [ যিহিষ্কেল ১৪:১৭-২০ পদ ]

    এই অংশ হতে এটাই বোঝা যায় যে, সদাপ্রভুর ৪টা মহাদন্ড-  খড়্‌গ (যুদ্ধ), দুর্ভিক্ষ, হিংস্র পশু ( বন্য প্রণী হতে জীবানু) ও মহামারী [ যিহিষ্কেল ১৪:২১ পদ ] কোন দেশে প্রেরণ করে তবে সেখান থেকে কেবল মাত্র; নোহ-দানিয়েল-ইয়োবের মত লোকেরাই নিজেদের উদ্ধার করতে পারবে, যদি তাদের ছেলে মেয়েরা তাদের মত না হয় তবে তারাও মারা পড়বে। আমরা যারা এখনও বেঁচে আছি আমাদের মাঝে এমন অনেক বিশ্বাসী ভাই-বোন আছে যারা মানতে চায় আ যে, আমরা সত্যই শেষ সময়ে বসবাস করছি। আমরা নিজেদের সত্যি যদি বাক্যের শিক্ষায় নোহ-দানিয়েল-ইয়োবের বিশ্বাসের/সদাপ্রভুর উপর নির্ভরের; মত করতে না পারি তাহলে আমাদের জন্য কি কি অপেক্ষা করছে তা একমাত্র সদাপ্রভুই জানে।
    পরিশেষ এটাই আমাদের নিশ্চয়তা যে আমরা বিশ্বাসে থেকেও; কোন কারণে যদি মারা যাই তাহলেও যেনো এটা মনে রাখি ,  [ রোমীয় ১৪:৮-৯ পদ ] কেননা যদি আমরা জীবিত থাকি, তবে প্রভুরই উদ্দেশে জীবিত থাকি; এবং যদি মরি, তবে প্রভুরই উদ্দেশে মরি। অতএব আমরা জীবিত থাকি বা মরি, আমরা প্রভুরই। কারণ এই উদ্দেশে খ্রীষ্ট মরিলেন ও জীবিত হইলেন, যেন তিনি মৃত ও জীবিত উভয়েরই প্রভু হন।
    [ ১ যোহন ২:৪-৬ পদ ] যে ব্যক্তি বলে, আমি তাঁহাকে জানি, তথাপি তাঁহার আজ্ঞা সকল পালন না করে, সে মিথ্যাবাদী এবং তাহার অন্তরে সত্য নাই। কিন্তু যে তাঁহার বাক্য পালন করে, তাহার অন্তরে সত্যই ঈশ্বরের প্রেম সিদ্ধ হইয়াছে। ইহাতেই আমরা জানিতে পারি যে, তাঁহাতে আছি; যে বলে, আমি তাঁহাতে থাকি, তাহার উচিত যে তিনি যেরূপ চলিতেন, সেও তদ্রূপ চলে।


    পরিচিতদেরকে জানাতে শেয়ার করুন

    আপনার জন্য আরো কিছু পোস্ট

    RELATED ARTICLES

      ADS