মুক্তিযুদ্ধে খ্রিস্টানদের অবদান

ads20

     দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, আত্মত্যাগ, অসংখ্য নারী পুরুষের জীবনÑ দান, জাতি-বর্ণ-ধর্ম নির্বিশেষে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাÑ এবং ঐক্যের ফলেই আমাদের বিজয় এসেছে। আর বিজয় এনেছে স্বাধীনতা এবং মুক্তি। এই স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামে বাঙালী-মুসলিমদের পাশাপাশি আদিবাসী, বাঙালী ও বিদেশী মিশনারী খ্রীস্টানরাও যার যার অবস্থানে থেকে যুদ্ধ করেছে । খ্রীষ্টানেরা এই দেশের আদিবাসী না অধিবাসী?,তবে আমি বলব মুসলিমদের আগে এসেছে,এই উপমহাদেশের প্রথম খ্রীষ্টানদের বীজ বর্পন করে যিশুর প্রিয় শিষ্য সাধু থোমা ,যিনি কোন কিছু না দেখে বিশ্বাস করতেন না,তিনি এই উপমহাদেশে সুসমাচার প্রচার করে অনেকেই ধর্মান্তিত করেন পরবর্তীতেÑ উইলিয়াম কেরি থোমার অসমাপ্ত কাজÑ শুরু করেন ,বিভিন্ন ভাবে মানুষের মন আকর্ষণ করার চেষ্টা করেন ও স্বার্থক হন,তাদের এই ধারাবাহিকতাই আজকের এই খ্রীষ্টান ,যাদেরকে আজ আমরা সংখ্যা লঘু বলে দুরে সরে দেই,দেশের নাগরিক হিসাবে মানতে চাই না, ঘৃর্ণা করি, কিন্তু তার পরেও তারা আমাদের ভালোবাসে বিপদে পাশে দাঁড়ায়। পারলে জীবনেও দিয়ে দেয়,তাদের ভালোবাসার প্রমান দিয়েছে আমাদের মুক্তি যুদ্ধে , দেশ যখন শএুর কবলে বন্ধি জনগন অত্যাচারিত , দেশের সোনার ছেলেরা স্বাধীনের জন্য পাগল হয়েছিল ঠিক তখনেই জাতির জনকের ডাকে সারা দিয়ে ,দেশকে স্বাধীন করার জন্য ঝাপিয়ে পড়ে সেই সংখ্যালঘু খ্রীষ্টরা,সবার সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে ,কাধেঁ কাঁধ মিলিয়ে ,৯ মাস যুদ্ধ করে দেশকে শএু মুক্ত করে জীবন বিলিয়ে দেয় শহীদ হয়।

    „যুদ্ধেÑ জীবন দেয় সুভাষ বিশ্বাস গোপালগন্জ জেলারÑ মধুমতি নদীর তীরে খলিসাখালা গ্রামে পিতা কেশব লাল বিশ্বাস ,তারেই মত খোকন সলোমনপিউরীফিকেশন পিতা পল পিউরীফিকেশন পৃর্ব রাজারবাগ,টমাস আশিস ব্যাপারি বরিশাল জেলার মি ধীরেন্দ নাথের ছেলে,পরিমলদ্রং ময়মনসিংহ হালুয়াঘাট ,ফাদার. লুকাস মারান্ডী„উইলিয়াম এভাস,সিএমসিথিওথি ল,হাজংপ্যাট্রিক রড্রিন্ন,দীপক সাংমা ,সমর লুইস ডি,কস্তাএক্রিবিশপ বনোয়ারী আর অনেকেই।

    মুক্তিযুদ্ধকালীন খ্রীস্টান প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলোÑ বিশেষভাবে ‘খ্রীস্টান ত্রাণ ও পুনর্বাসন সংস্থা’Ñ দুটি, নটর ডেম কলেজসহ ২ টি কলেজ, ৫০টি হাইস্কুল, ২৬৫টি প্রাইমারী স্কুল, ১২টি হাসপাতাল, অসংখ্য গির্জা ও খ্রীস্টান আবাস, ঘর বহু সংখ্যক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বেসামরিক ব্যক্তিদের আশ্রয় দান ও চিকিৎসাসেবা দিয়েছে খ্রীষ্টান ফাদার ও সিস্টারেরা। তাদের র্গীজা গুলো যুদ্ধের জন্য ব্যবহার করা হয় ,আমরা তা আজ মানতে চাইনা ।এ ইতিহাস

    ভুলে যেতে চাই ,কারণ তা তো যাবই. আমরাতো বাঙ্গালী জাতিÑ,উপকারির উপকার স্বীকারÑ করি না, আজ আমাদের উচিত তাদের আজÑ দুংখের দিনে তাদের পাশে দাড়ানো,তাদের আজ নির্মম ভাবে হত্যা করতেছে ,হুমকি দিতেছে ।তাদের যারা নির্যাতন করতেছে হুমকি দিতেছে ,হত্যা করতেছে ,তাদের যাতে বিচার হয় সেজন্য আমাদের  ঔক্যবদ্ধ হওয়া দরকার , বিচার চাওয়া উচিৎ। সরকারে উচিত তাদের নিরাপত্তা দেওয়া।,কারন খ্রীষ্টানেরা এদেশে সংখ্য লঘু হিসাবে নয় বরং এদের নাগরিকহিসাবে থাকতে চায় ,এদেশের জনগন হিসাবে থাকতে চায় ,সরকারের সব সুবিধা ভোগ করতে পায়,বাঁচার মত বাঁচতে চায়,মাথা উচু করে থাকতে চায় ,কারণ দেশটা সবার, দেশের জন্য সবাই জীবন দিয়েছে,--

    লেখক: নাহিদ বাবু


    পরিচিতদেরকে জানাতে শেয়ার করুন

    আপনার জন্য আরো কিছু পোস্ট

    RELATED ARTICLES

      ADS