প্রেয়ময় ঈশ্বর কতই না মনোরম সুন্দর করে ৬ষ্ট দিনে এই সুন্দর পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন । এতেই আমরা ভালোবাসা পূর্ণ ঈশ্বরকে দেখতে পাই। অসীম মহাবিশ্ব থেকে ছোট পিপঁড়া তারেঁই হাতেই গড়া। ঈশ্বর ৬ষ্ট দিনে এই পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। অনেক ভালোবেসে তিনি মানুষ সুষ্টি করেছিলেন ,রুহানীক ভাবে তাঁরেই মতো করে । এখানে আমরা ভালোবাসা পূর্ণ ঈশ্বরকে দেখতে পারি ।সত্যিই অনেক ভালোবেসে ঈশ্বর মানুষ সৃষ্টি করেছিলেন। সৃষ্টির শুরুতে কোন পাপ ,অবিচার, অসুস্থাতা ,যুদ্ধ-বিগ্রহ মহামারি ,হিংসা ,লোভ ছিল না । মানুষ স্বর্গের সুখে এদোন বাগানে বাস করতেন । তাদের কোন কিছু অভাব ছিলো না ঈশ্বর নিয়মিত তাদের খোঁজ খবর নিতেন ।
তখন পর্য়ন্ত সব কিছু ঈশ্বরের ইচ্ছায় চলতেছিল । কিন্তু ঈশ্বর ও মানুষের শত্রæ শয়তান আর ঠিক থাকতে পারল না । নারীর মধ্যে দিয়ে তিনি মানুষকে অবাধ্য করলেন ঈশ্বর থেকে । আর এই অবাধ্যতার মধ্যে দিয়ে মানুষের মধ্যে পাপ প্রবেশ করল ।
ঈশ্বর যেহেতেু শতভাগ পবিত্র ,তাই তার পক্ষে কোন অপবিএ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ / সর্ম্পক রাখা সম্ভব না । তাই ঈশ্বর সিন্ধান্ত নিলেন ,হারিয়ে যাওয়া সর্ম্পক পৃর্ণউদ্ধারের তিনি তাঁর প্রিয় পুএকে এই পৃথিবীতে পাঠাবেন । বিভিন্ন নবী / ভাববাদীদের মধ্যে দিয়ে তিনি তা পূর্বে প্রকাশ করেছিলে । আমরা পূর্বে দেখেছি যে ,ঈশ্বর ওয়াদা করেছেন ,স্ত্রীলোকের মধ্যে দিয়ে একজন ব্যাক্তি আসবেন যিনি শয়তানের মস্তক পিষে দিবেন (তৌরত শরীফ ,পয়দায়েশ ৩:১৫) । তাহলে এখন প্রশ্ন! স্ত্রীলোকের মধ্যে দিয়ে এ পৃথিবীতে কে এসেছেন ? প্রধান দুই ধর্মীয়গ্রন্থ বাইবেল ও কুরআন এক কথায় স্বীকার করে নেয় একমাত্র যীশু খ্রীষ্ট এই পৃথিবীতে বাবা ছাড়া মায়ের মধ্যে দিয়ে এসেছেন । এটা ঈশ^রের অলৌকিক কাজ ।পৃথিবীর ইতিহাসে এটাই অদ্বিতীয় ।
তারপর যদি আমরা দেখি তাহলে হয়রত মুসা নবীর মধ্যে দিয়ে ঈশ্বর বলেছেন “ তোমার ভাইদের থেকে তোমার মত একজন দাঁড় করাব ,যার কথায় তোমাদের চলতে হবে ,তার মুখ দিয়ে আমি আমার কথা বলব ,সে আমার বাধ্য থাকবে ,তাঁর কথা যদি কেউ না শোনে তাকে দোষী বলে গণ্য করা হবে ”(তৌরত শরীফ, দ্বিতীয় বিবরণ ১৮ঃ১৬-১৬) উক্ত পদ যদি আমরা বিশ্লেষণ করি তাহলে আমরা দেখি যে ,কার মধ্যে দিয়ে ঈশ্বর তাঁর মুখের কথা বলেছেন নিশ্চই যীশু খ্রীষ্টের মধ্যে দিয়ে । হয়রত দায়ূত নবীর মধ্যে দিয়ে ঈশ্বর ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন তাঁকে ক্রুশে হত্যা করা হবে । কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় দায়ুদের সময় তো লোককে ক্রুশে দিয়ে হত্যা করার নিয়ম ছিল না তাহলে সে কিভাবে জানল ? নিশ্চয় তিনি যীশুর সর্ম্পকে ভবিষ্যৎবাণী করেছেন । প্রায় ৭০০ বছর পূর্বে ঈশ^র ইশাইয়া নবীর মধ্যে দিয়ে ভবিষৎবাণী করেছিলেন খ্রীষ্ট একজন সতী অবিবাহীত কুমারী গর্ভে জম্মীবেন তাঁর নাম রাখা হবে ইম্মানুয়েল ( ইশাইয়া নবীর কিতাব ৭:২) আর সেই ভবিষ্যৎবাণীর পূর্ণতা আমরা দেখতে পাই( মথি ১ঃ১৮-২৫) মিকার্হ নবীর মধ্যে দিয়ে ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন “ এহুদিয়া দেশের বেথেলহেম এহুদিয়ার মধ্যে তুমি কোনমতেই ছোট নও , কারণ তোমার মধ্যে থেকেই এমন একজন শাসনকর্তা আসবেন ,যিনি আমার ইসরাইল জাতিকে পরিচালনা করবেন এই ভবিষ্যৎবাণীটি করেছিলেন ঈশ^র মির্কাহ নবীর মধ্যে দিয়ে মির্কাহ ২ঃ৫ আর এর পুর্ণতা আমরা দেখতে পাই (মথি ২ঃ১) এখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মরিয়ম ও ইউসুফ কিন্তু গালীল প্রদেশে নাসরতের অধিবাসী ছিলেন। কিন্তু যীশুর জম্মেও পূর্বে সম্্রাট অগাস্টান সিজার ঘোষণা করলেন সবাইকে নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে তার নাম লেখাতে হবে (এটাকে আমরা আদমশুমারী বলতে পারি) মরিয়ম ও ইউসুফ ছিল নবী দায়ূদের বংশের লোক তাই তাদেরকে জেরুশালেমে গিয়ে নাম লেখাতে হবে। তাই তারা গালীলের প্রদেশের নাসরত থেকে ্এহুদিয়া প্রদেশের জেরুশালেমে গেলেন আর ঠিক সে সময়ই যীশুর জম্ম হল।এ দ্বারা সেই নবীর ভবিষ্যৎবাণীর পূর্ণতা লাভ করে।এখানে মির্কাহ নবী ভঃবি করে বলেছিলেন তিনি ইসরাইল জাতির রাজা হবেন । আর এ কথা এহুদিয়া প্রদেশের বাদশা হেরোদ জানতেন । যখন সেই পন্ডিতেরা রাজার কাছে এসে যীশুর বিষয়ে বললেন এবং জিজ্ঞাস করলেন সেই মসীহ কোথায় জম্মগ্রহণ করেছেন । পন্ডিতেরা হয়তবা ভেবেছিলেন তিনি কোন রাজ প্রসাদে জম্মগ্রহণ করবেন। যখন রাজা মসীহের বিষয়ে জানতে পারলেন তখন তিনি অস্থীর হয়ে উঠলেন তিনি সকল আলেম-ইমাদের ডাকলেন এবং বললেন সেই খ্রীষ্ট/ মসীহ কোথায় জম্মীবেন ? তখন তারা তাকে বললেন বেথেলহামে জম্মীবেন । আর কৌশলে রাজা পন্ডিতদের বললেন আপনারা গিয়ে সেই শিশুটিকে দেখে এসে আমাকে বলেন, যাতে আমি গিয়েও সেই শিশুকে মাঠিতে উপুড় হয়ে সেজদা করতে পারি । কিন্তু ¯^র্গদূত রাখালদের সাবধান করে দিলে পরে তারা আর রাজার কাছে ফিরে গেল না । ভিন্ন পথে দেশে চলে যান ,আর রাজা হেরোদ এ বিষয় জানার পর ভীষণ রেগে যান ,পন্ডিতেরা তাকে ঠগিয়েছে বলে ।তাই তিনি পন্ডিতের কথা অনুয়ায়ী সে সময় হতে ২ বছরের নিতে যত শিশু ছিল সবাই কে হত্যা করার নিদের্ষ দেন । কেননা ঈশ^র হয়রত ইয়ারমিয়া নবীর মাধ্যমে এই ভঃবি করেছিলেন “রামায় ভীষণ কান্নাকাটির শব্দ শোনা যাচ্ছে; রাহেলা তার সন্তানদের জন্য কাঁদছে,কিছুতেই শান্ত হচ্ছে না,কারণ তারা আর নেই”( ইয়ারমিয়া ৩১ঃ১৫)এই ঘটনার আগে স্বর্গদূত ইউসুফকে ভঃবি করেছিল তারা যেন শিশু যীশুকে নিয়ে মিশরে চলে যায় । মিশরে চলে গিয়ে শিশু যীশু রাজা হেরোদের হাত থেকে রেহাই পায় ।রাজা হেরোদ মারা গেলে পরে তারা মিশর দেশ থেকে ফিরে এসে গালিল প্রদেশের নাশরত গ্রামে বাস করেছিলেন কেননা নবীদের মধ্যে দিয়ে এই কথা বলা হয়েছিল তাকে নাসরতীয় বলা হবে । “কাল পূর্ণ হলো” (গালাতীয় ৪ঃ৫) ,হয়রত মালাখী নবীর পর প্রায় ৪০০ বছর পর্য়ন্ত কোন নবী ছিল না। তখনকার লোকেরা মসীহের আশায় ছিল । রোমীয়রা সারা পৃথিবী শাসন করতেছিল ।ইহুদিরা রোমীয়দের দ্বারা অত্যাচারিত ও নির্য়াতনে নিপীড়িত। তারা আশা করেছিল মসীহ আসবেন এবং তাদের উদ্ধার করবেন । আর এ কারণে রাজা হেরোদ সেই সময়ের সেই সব অবুঝ ও নীঅপরাধী শিশুদের উপর এই হত্যা কান্ড চালিয়েছিলেন । সত্যিই যীশু এসেছিলেন তবে রাজা বেশে নয় দারিদ্র বেশে পাপীদের মুক্তি দিতে । এ রকম প্রায় একশত- তিনটির মত ভবিষৎবাণীর পূর্ণতা ঘটে যীশু খ্রীষ্টের জীবনে । আর এভাবে যীশুর জম্ম হয় । প্রভু যীশুর জীবনিতে প্রায় ১০৩ টি ভবিষ্যৎবাণীর পূর্ণতা ঘটে । প্রভু যীশুর জম্ম কোন ঐতিহাসিক পটভূমিতে লেখা নয় বরং আধ্যাতিক , যখন আমরা তাঁকে হৃদয়ে ধারণ করি তখন তিনি আমাদের জীবনে বাস্তব হয়ে উঠেন । যখন আমরা ভালোবেসে মানুষের মাঝে অকাতরে বিলিয়ে দেই তখন তিনি আমাদের হৃদয়ে জম্মগ্রহণ করেন ।
যীশুর জম্ম দিনকে বড়দিন বলার অনেক কারণ আছে ,যদিও দিনটি অন্য দিনের চেয়ে ছোট তারপরেও আমরা দিনটিকে বড়দিন বলি ,কারণ পবিএ বাইবেলে ,”ঈশ্বর জগৎকে এত ভালোাবাসলেন যে তাঁর প্রিয় পুত্রকে দান করলেন যে কেউ তার উপর বিশ্বাস স্থার্পন করে সে বিনষ্ট হয় না কিন্তু অনন্ত জীবন পায় (ইনজিল শরীফ, যোহন ৩:১৬)। ইনজিল শরীফ, মার্ক পুস্তক ১০: ৪৫ আয়াতে ,মনে রেখো মানুষ্য পুএ সেবা পেতে আসে নি বরং সেবা করতে এসেছে অনেক লোকের মুক্তির মূল্য হিসাবে নিজের নিজের প্রাণ দিতে এসেছে ।
ইংরেজী ক্রিসমাস হলেও বাংলায় তা বড়দিন নামকরণ করেন ঈশ্বরচন্দ্র নামে একজন করি । তিনি যীশুকে গ্রহণ না করলেও যীশুর জীবনি বাইবেল পড়েছেন হৃদয়ে আনুধাবন করেছেন আর তাৎপর্য .মর্য়াদায় ও গুরুত্বে তিনি যীশুর জম্মদিনকে বড় দিন বলেছেন । বড়দিন নামকরণ করেছেন
প্রাচীনকালে জম্মদিন পালন করা একটি প্রচলিত প্রথা ছিল । আইয়ুব নবীর কিতাবে,আইয়ুব ১:৪,১৩,১৪ । মিশর দেশে বিশেষভাবে দিনটি ¯^রণ করা হত,তৌরত পয়দা ৪০:২০। জম্মদিন ইহুদিরা বিশেষভাবে পালন করেছে এমন কোন উল্লেখ নেই । হেরোদ আন্তিপাসের এমনই এক জম্মদিনের আনন্দ অনুষ্টানে তার কন্যাকে খুশি করবার জন্য তরিকাবন্দীদাতা হয়রত ইয়াহিয়া মাথা কেটে থালায় আনা হয়েছিল মথি ১৪:৬-১২, মার্ক ৬:২১ ।
খোদাবন্দ যীশু/ঈসা মসীহ/খ্রীষ্ট জম্মদিন , ইংরেজী ক্রিসমাস বাংলায় বড়দিন। বিশ্বের সকল প্রটেষ্ট্যান্ট ও রোমান ক্যাথলিক মন্ডলি ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উদযাপন করলেও ইস্টার্ন অর্থোডক্স মন্ডলী ৬ই জানুয়ারী এবং আর্মেনীয় মন্ডলি ১৯ জানুয়ারী বড়দিন উদযাপন করেন । কারণ ঈসার জম্মের সুনিদিষ্ট দিন তারিখ সঠিক ভাবে জানা যায়নি । সর্বপ্রথম ৩২৫ খ্রীষ্টাব্দে রোম সম্রাট কনস্ট্যানটাইনের সময় বড়দিন পালন করা হয় । ক্রিসমাস শব্দটি ক্রাইস্ট ও মাস এই দুটি শব্দ থেকে এসেছে ।
মানুষ শয়তানের পাপের দেওয়ালে বন্ধি । আদম হবার পাপে আমরা সবাই পাপী । আর পাপে অনন্ত শাস্তি আগুন । যেহেতু যীশুর মধ্যে দিয়ে সে আগুন থেকে রেহাই পাই সেহেতু যীশুর জম্মদিনকে অনেক আনন্দে পালন করা হয়। এই ছোটদিনকে বড়দিন নামকরণ করা হয় ,দিনটি অন্য সব দিনের চেয়ে তাৎপর্যে ,মর্য়াদায় গুরুত্বে গুরুত্বপূর্ণ । তাই কবি গুরু রবীন্দনাথের ভাষায়,
যাকে আমরা পরম মানব বলে স্বীকার করি
তার জম্ম ঐতিহাসিক নয় আধ্যাতিক
প্রভাতে আলো ,সেচির প্রভাতের ,প্রভাতের ন্যায়
যখন আমরা তাকে দেখি তখন তিনি নতুন
কিন্তু চিরন্তন
দিনটি শুধু ধর্মীয় ভাবে পালন করা হয় না বরং সবার প্রতি সহানুভ’তি ও ভালোবাসা দেখানো হয় । ২৫ শে ডিসেম্বর বিরাট আকারে আনন্দের সহিত পালন করা হয় ।
আজ থেকে ২০০০ বছর পূর্বে বেথেলহামে যীশু খ্রীষ্টের জম্ম হয়। বেথেলহাম ছিল জেরুশালেম মন্ধিরে কাছাকাছি একটা বিখ্যাত স্থান। যীশুর জম্মের সময় জেরুশালেম তথা পুরো ইসরাইলদেশ রোম স¤্রাজের অধিনে ছিল,যীশু খ্রীষ্ট ঈশ^রের রাজ্যার তবলিক করছেন ,পাপীদের মন ফিরাতে বলতেন । তিঁনি এই পৃথিবীতে মাত্র ৩২/৩৩ বছর বেঁচে ছিলেন ,তাঁকে ঈশ^রের বিশেষকার্য্য সাধনের জন্য ক্রুশে জীবন দিতে হয়েছিল ,যদিও বা তাঁকে ক্রুশে/মৃত্যদন্ড দেওয়ার মত কোন দোষ খুঁজে পাননি রোমীয় সম্রাট পন্তিয় পীলাত ,তারপরেও তাঁকে এই শান্তি ভোগ করতে হয়েছিল।যীশু অত্যন্ত সাধারণ জীবন যাপন করতেন ,তিনি পেশায় ছিলেন একজন ছুতার মি¯্রি ,তিনি ন্যায় ,আর্দশবান ও কর্মট পুরুষদের আদর্শ । তিনি ছিলেন ঈশ^রের মেশশাবক ও চুড়ান্ত কোরবানি “ ঈশ^র মানুষকে এত ভালোবাসলেন যে তাঁর প্রিয় পুত্রকে দান করলেন ,যে কেউ সেই পুত্রের উপর ঈমান/বিশ্বাস আসে সে বিনষ্ট না হয় কিন্তু অনন্ত জীবন পায়( ইনজিল শরীফ ইউহোন্না ৩ঃ১৬) ,প্রতি বছর ঘুরে-ফিরে “বড়দিন” আসে ,আমাদের এই বারতা দিয়ে যায়,মানুষ্যপুত্র দারিদ্রবেশ ধারণ করে এসেছিল এই ধরণীতে ,তিনি মানুষকে ভালোবাসে অন্যান্য দৃষ্ঠান্ত রেখে গেছেন , পৃথিবী আজ বড়ই নিস্তব্ধ ।কিন্তু এবার বড়দিন ঘুরে ফিরে এমন সময় আসল যখন শোকের ছায়া ভারী পৃথিবী । মৃত্যু মিছিল কিছুতেই থামতেছে না। পৃথিবী আজ অবরুদ্ধ । সবকিছু যেন থেমে গেছে । জমদূত যেন হাজির হয়েছে , ঈশ্বরের ক্রেধ কিছুতে শান্ত হচ্ছে না । সবাই যেন উপরের দিকে তাকিয়ে , আমরা নবীদের কিতাবে তাকালে দেখব মানুষ যখন বিপথে চলে গিয়েছিল তখনই ঈশ্বর বিভিন্ন ভাবে শাস্তি দিয়েছিলেন , যেমনটা তিনি নূহ নবীর সময় বন্যা দিয়ে সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছিলেন । তাই ঈশ্বরের ক্রোধ না করা পর্য়ন্ত আমারে কিছুটা সাবধানতা অবলম্বন করে চলা উচিত । আমরা বিশ্বাস করি যে ঈশ্বর মানুষকে উদ্ধারের জন্য তাঁর প্রিয় পুত্রকে পাঠাতে পারেন । সেই ঈশ্বর অবশ্যই তাঁর প্রিয় মানুষকে এই মহামারীর হাত খেকে উদ্ধার করবেন । আমাদের কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা করা দরকার ,
১.জ্বর ,কাশি সর্দি হলে তাৎক্ষণিক আপনাকে হোম কোয়ারেন্টানে থাকতে হবে ।
খুব প্রয়োজন না হলে বাহিরে না যাওয়াই উত্তম।
২.বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক । বাইওে গেলে অবর্শ্যই এসে স্যানিটাইজার দিয়ে ভালভাবে হাত পরিস্কার করতে হবে ।
৩.জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে ।
৪.অযথা নাকে মুখে হাত দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা ভাইরাস নাক মুখ দিয়ে প্রবেশ করার সম্ভবনা থাকে ।
৫.মানসিকভাবে শক্ত থাকতে হবে।
৬. নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া এবং ব্যায়াম করতে হবে ।
এবার করোনায় বড়দিনের এই বারতা হোক ,প্রভু যীশু এই পৃথিবীতে যে শান্তি স্থার্পন করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করিয়েছিলেন,তা ফিরে আসুক,পৃথিবীতে থেকে মহামারী থেমে যাক। থেমে যাক অসা¤প্রদায়িক দাঙ্গা । সব ধর্মই স¤প্রীতির কথা বলে। এ স¤প্রীতি বজায় রাখলেই বিশ্ব শান্তিময় হবে। মানুষে- মানুষে বন্ধুত্ব ও প্রীতি বাড়বে। একে-অপরের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়বে। সমাজ শান্তি হবে, থামবে। ভালোবাসা দিয়ে থামাতে হবে হানাহানি। আমরা এক হব, ভালো থাকব, সুখে থাকব। মানুষ মানুষের জন্য, মানবতার সেবাই সবচেয়ে উত্তম ধর্ম। আমদের এই দেশ থেকে চলে যাক অসাম্প্রদায়িকতা ,পৃথিবী হোক শান্তিময় ,বন্ধ হোক সকল হানাহানি ,ফিরে আসবে পৃথিবীতে শান্তি ,এটাই হোক বড় দিনের বারতা।
তথ্যসুত্র : এই চিহৃ তুমি জয় লাভ করবে লেখক- বিশপ হেমেন হালদার ,কিতাবুল মোকাদ্দস ডিকশনারী-প্রকাশক বাচিব ,ইন্টারনেই
লেখকঃ নাহিদ বাবু