যীশু মথি 5:21-28 পদে ব্যভিচার করাকে মনে মনে কুকামনা করার সাথে এবং কাউকে হত্যা করাকে মনের মধ্যে কারও প্রতি রাগ বা ঘৃণা পোষণ করার সাথে তুলনা করেছেন। যাহোক , এটি এই অর্থ প্রকাশ করে না যে, সব পাপই সমান। যীশু ফরীশীদের যা বুঝোতে চেষ্টা করেছিলেন তা হলো পাপ পাপই, এক্ষেত্রে এটির কোনরূপ বাহ্যিক প্রকাশ না থাকলেও পাপ পাপই। যীশুর সময়কালীন ধর্মীয় নেতারা শিক্ষা দিতেন যে, আপনি চাইলে কোন কিছু সম্বন্ধে চিন্তা করতে পারেন তাতে কিছু-যায়-আসে না যদি না আপনি আপনার আকাঙ্খা অনুসারে বাহ্যিকভাবে তা প্রকাশ করেন। যীশু তাদের এই বিষয়টি বোঝাতে জোর দিলেন যে, ঈশ্বর কোন ব্যক্তির শুধু কাজ নয়, কিন্তু সেই সঙ্গে সঙ্গে তিনি তার চিন্তা-ভাবনাগুলোও বিচার করেন। তিনি দাবী করেন যে, আমরা মনে মনে যা চিন্তা করি সেগুলোই আমার আমাদের কাজের মধ্যে দিয়ে প্রকাশ করে থাকি (মথি 12:38 পদ)।
কাজেই দেখা যাচ্ছে যে, যীশু ব্যভিচার এবং কামনা -বাসনাকে একই রকম বললেও এর অর্থ এই যে, এই দুটি পাপই সমান। তাছাড়া এমনকি এগুলো ঈশ্বরের দৃষ্টিতে পাপ হিসাবেÑ বিবেচিত হলেও কাউকে সাধারণভাবে ঘৃণা করার তুলনায় কাউকে সত্যি Ñসত্যি হত্যা করাটা অনেকÑ বড় একটি ব্যাপার এবং জঘন্য অপরাধ বা পাপ। এমন অনেক পাপ আছে যেগুলো একটির তুলনায় অন্যটি অনেক বেশী খারাপ। কিন্তু অনন্ত পরিত্রাণ ও অনন্ত পরিণতি অর্থাৎ অনন্ত নরকের বিচারে সমস্ত পাপই সমান । কারণ প্রত্রেকটি পাপই মাদের মৃত্যু্র দিকে পরিচালিত করে থাকে (রোমীয় 6:23 পদ) অনন্ত ও অসীম ঈশ্বরের বিরুদ্ধে করা পাপ তা সে যত- ছোট হোক না কেন তার জন্য নির্ধারিত রয়েছে অনন্ত ও অসীম শাস্তি স্বরূপ অনন্ত মৃত্যু। আবার এমন কোন পাপ নেই তা সে যত বড় হোক না কেন ঈশ্বর ক্ষমা করতে পারেন না। যীশু আমাদের পাপের শাস্তি স্বরূপ ক্রুশে নিজের জীবন উৎসর্গ করলেন (1 যোহন 2:2পদ)। তিনি আমাদের সমস্ত পাপের জন্যই মরলেন (2 করি 5:21 পদ) এখন প্রশ্ন হলো-আমাদের সমস্ত পাপই কী ঈশ্বরের কাছে সমান? এর উত্তর হতে পারে হ্যাঁ এবং না। কঠোরতা বা মাত্রার বিচারে এর উত্তর কী হবে? উত্তর হবে না। শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রেই বা এর উত্তর কী হবে? এর উত্তর হবে হ্যাঁ। আর ক্ষমা পাওয়ার ক্ষেত্রে এর উত্তর কী হবে? এক্ষেত্রে উত্তর হবে হ্যাঁ, কারণ যদি আমরা অনুতপ্ত হৃদয়ে ঈশ্বরের কাছে আমাদের পাপের ক্ষমা চাই তাহরে ইশ্বর অবশ্যই আমাদের সমস্ত পাপই খ্রীষ্টের মধ্যে দিয়ে সমভাবে ক্ষমা করে থাকেন।
( সংগ্রহীত লেখা )