ধিক্ আমাকে, যদি আমি সুসমাচার প্রচার না করি
খ্রীস্টিয় মন্ডলীতে সুসমাচার প্রচার করা একটি গুরত্বপুর্ন বিষয়। একটা শক্তিশালী মন্ডলীর প্রথম চিহ্ন হল সেই মন্ডলী সুসমাচার প্রচারকে সর্বাধিক প্রাধান্য দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে।
প্রাথমিক যুগের মন্ডলীতে সুসমাচার প্রচার ছিল অন্যতম প্রধান কাজ । আর সেই কাজের মধ্য দিয়েপৃথিবীতে যীশু খ্রীস্টের দেওয়া সুখবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল । অনেক অত্যাচার ও মৃত্যুকে উপেক্ষা করে প্রভুর এই মহান আদেশকে এগিয়ে নিয়েছিল আপোষহীন ভাবে যীশু খ্রীস্টের শিষ্যেরা । তবে যুগ যুগ ধরে মন্ডলীতে নানাবিধ শিক্ষা প্রবেশ করে প্রভুর এই মহান কাজকে ব্যাহত করছে ।
এমন পরিস্থিতে হয়েছে যেঅনেক মন্ডলীতে সুসমাচার প্রচার মুলক কোন কার্যক্রম বলতে গেলে নেই । মন্ডলীতে বেশির ভাগ বিশ্বাসীদের এই মহান কাজের প্রতি সক্রিয় অংশগ্রহণ তো দুরের কথা ¯পষ্ট কোন ধারনাও নেই । একারনেই অনেক মন্ডলী সুসমাচার প্রচারকে ভাল চোখে দেখেন না।
ফলে মন্ডলী যেমন বৃদ্ধি পায়নি বরং নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়ে মন্ডলী ভুগছে, এটা সত্যিই দুঃখজনক ব্যাপার । সুসমাচার প্রচারের কাজ অব্যাহত রাখতে আমাদের সকলকে এই কাজে এগিয়ে আসা উচিত, এটাই মন্ডলীর প্রতি প্রভুর একটি বিশেষ ইচ্ছা ও পরিকল্পনা যেন পৃথিবীর সকল মানুষ যীশু খ্রীস্টের পরিত্রানের বাণী শুনতে পায় ।
যীশু খ্রীষ্টের মহান আদেশ যেন আমরা সুসমাচার প্রচার করি । প্রভু যীশু স্বর্গ যাবার পূর্বে তারশিষ্যদের আদেশ দিলেন- “তখন যীশু নিকটে আসিয়া তাঁহাদের সহিত কথা কহিলেন, বলিলেন, স্বর্গে ও পৃথিবীতে সমস্ত কর্তৃত্ব আমাকে দত্ত হইয়াছে। অতএব তোমরা গিয়া সমুদয় জাতিকে শিষ্য কর; পিতার ও পুত্রের ও পবিত্র আত্মার নামে তাহাদিগকে বাপ্তাইজ কর; আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিয়াছি, সেই সমস্তপালন করিতে তাহাদিগকে শিক্ষা দেও। আর দেখ, আমিই যুগান্ত পর্যন্তপ্রতিদিন তোমাদের সঙ্গে সঙ্গেআছি। মথি ২৮:১৮- ২০
যীশু স্বর্গে চলে যাবার আগে কেন এই আদেশ দিলেন ? প্রভু তো অন্য অনেক বিষয়ের উপরে আদেশ দিতে পারতেন । কারন যীশু জানতেন, পৃথিবীতে সকল মানুষের কাছে অনন্ত জীবনের সুখবর পৌঁছে দেওয়াই সবচেয়ে গুরত্ব পূর্ণ স্বর্গীয় পরিকল্পনা এবং এই মহান পরিকল্পনা দায়িত্ব তিনি তার শিষ্য দের কাছে দিয়ে এটাই প্রমাণ করেছেন যদি কেউ নিজেকে যীশুর শিষ্য হিসাবে দাবী করে তবে তাকে এই আদেশ নিখুঁত ভাবে পালন করতে হবে। যদি কেঊ যীশুর এই আদেশ পালন না করেন তবে সে যীশুর শিষ্য কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে । অতএব, সুসমাচার প্রচার কে অবজ্ঞা করার মত কোন অবকাশ খ্রিস্টীয় মন্ডলীর নেই । অথাৎ মন্ডলীর কারো সুসমাচার প্রচারকে অবহেলা করার সুযোগ নাই ।
সুসমাচার প্রচারে অবহেলা করা মানে,
- হারানো মেষ দের জন্য আমাদের কোন ভালবাসা নেই, তাদের জীবনের প্রতি আমরা দায়িত্বশীল না ।
- আমারা ঈশ্বরের বাক্যের অবাধ্য হচ্ছি।
- যীশুকে গভীর ভাবে চেনার আকাক্সক্ষা নেই , তার পরিকল্পনার সঙ্গে চলতে অস্বীকার করি ।
- বাইবেলের মুল উদ্দেশের সাথে আমাদের কোন স¤পর্ক নেই ।
আমদের সকলকে মনে রাখা দরকার শুধু মাত্র পালক বা প্রচারকদের সুসমাচার প্রচার করার দায়িত্ব আছে এটা ভাবা একবারেই ভুল , বাইবেল ভিত্তিক চিন্তা না । মন্ডলী তে সুসমাচার প্রচার ও গেঁথে তোলার জন্য কতগুলি দান দিয়েছেন এবং কিছু পদ দিয়েছেন । ইফিষিয় ৪:১১-১২ পদের মাঝে আমরা সুসমাচার প্রচারক কে দেখতে পাই, যার কাজ হল সুসমাচার প্রচার করা ও মন্ডলীর সকলকে সুসমাচার প্রচার করতে শিক্ষা দেওয়া ও উৎসাহিত করা । যার যার ব্যাক্তিগত অবস্থান থেকে বিশ্বাসীবর্গ সুসমাচার প্রচার করার দায়িত্ব পালন করবেন, যেমন একজন চাকুরীজীবি তার কর্ম স্থলে সকলকে সুসমাচার দিবেন এবং এই ভাবে প্রভুর শিক্ষা সমাজের সর্ব স্থানে ছড়িয়ে পড়বে । প্রচারক হবার আহ্বান পান অল্প লোকে , কিন্তু প্রত্যেক বিশ্বাসীদের আত্মা জয় করারদায়িত্ব আছে ।প্রাথমিক যুগের মন্ডলীতে সাধারন প্রেরিতদের সাথে সাথে বিশ্বাসীদের সুসমাচার প্রচার করতে দেখাযায় । প্রেরিত ৮ : ৪ লেখা আছে “তখন যাহারা ছিন্নভিন্ন হইয়াছিল, তাহারা চারিদিকে ভ্রমণ করিয়া সুসমাচারের বাক্য প্রচার করিল ” , কারন অত্যাচারের কারনে মন্ডলীর লোকেরা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছিল, তারা যেখানে গেছে সেখানে সুসমাচার প্রচার করেছেন। এখানে মন্ডলীর সকল বিশ্বাসীদের প্রচার কার্যে অংশ গ্রহণের সু¯পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় ।
সাধু পৌল তিনি তার পত্রগুলিতে অনেকবার উল্লেখ করেছেন যে, মন্ডলীর একটি প্রধান কাজ হল সুসমাচার প্রচার করা । তিনি মন্ডলীকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন , “মন্ডলী একটি দেহ, দেহের মস্তক হল যীশু খ্রীস্ট আর
বিশ্বাসীরা তার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ”( ১ম করি : ১২ ,ইফিষীয় ১: ২২-২৩ পদ ,কলসীয় ১:১৮ পদ)। পৌল বলতে চেয়েছেন যেন সকল মন্ডলীর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সমভাব দেখায়, একই লক্ষে কাজ করেন ।
তার মানে মন্ডলিতে সুসমাচার প্রচারের কাজ শুধু পালক প্রচারক করবে তা নয় কিন্তু মন্ডলীর সকলে মিলে এই কাজে সমর্থন দেবে ও সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করবে। করিন্থীয় মন্ডলিকে তিনি লিখেছেন যে , “আর, সকলই ঈশ্বর হইতে হইয়াছে; তিনি খ্রীষ্ট দ্বারা আপনার সহিত আমাদের সম্মিলন করিয়াছেন, এবং সম্মিলনের পরিচর্যা-পদ আমাদিগকে দিয়াছেন; বস্তুতঃ ঈশ্বর খ্রীষ্টে আপনার সহিত জগতের সম্মিলন করাইয়া দিতেছিলেন, তাহাদের অপরাধ সকল তাহাদের বলিয়া গণনা করিলেন না; এবং সেই সম্মিলনের বার্তা আমাদিগকে সমর্পণ করিয়াছেন।
অতএব খ্রীষ্টের পক্ষেই আমরা রাজ-দূতের কর্ম করিতেছি; ঈশ্বর যেন আমাদের দ্বারা নিবেদন করিতেছেন; আমরা খ্রীষ্টের পক্ষে এই বিনতি করিতেছি, তোমরা ঈশ্বরের সহিত সম্মিলিত হও। ” ২য় করি ৫:১৮ -২০
প্রভু যীশু স্বর্গে নীত হবার পূর্বে মহান আদেশ দিলেন যেন সুসমাচার ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর প্রান্ত র্পযন্ত, মহানকাজের জন্য তিনি মন্ডলীকে ব্যবহার করতে চাইলেন, সেই মন্ডলী যেন পবিত্র আত্মার শক্তির দ্বারা পরিচালিত হয় । তাই তিনি বললেন, “তোমরা যিরুশালেম থেকে যেও না কিন্তু পবিত্র আত্মারজন্য
অপেক্ষা কর, কিন্তু পবিত্র আত্মা তোমাদের উপরে আসিলে তোমরা শক্তি প্রাপ্ত হইবে; আর তোমরা যিরুশালেমে, সমুদয় যিহূদিয়া ও শমরিয়া দেশে, এবং পৃথিবীর প্রান্ত র্পযন্ত আমার সাক্ষী হইবে। “ -প্রেরিত ১: ৪ -৮ । ঐতিহাসিক ভাবে খ্রিস্টীয় মন্ডলি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল পঞ্চাশত্তমীর দিনে পবিত্র আত্মার অবতরণের মাধ্যমে পরবর্তী মন্ডলীর ইতিহাসে সুসমাচার প্রচার বিষয়টি গৌরবের সাথে বড়একটি জায়গা দখল করে আছে।
সুসমাচার প্রচারের সাথে পরিত্রানের একটা অভিন্নতা আছে, অর্থাৎ পরিত্রানের মধ্যে সুসমাচার প্রচারের যদি কোন প্রভাব না থাকে তবে পরিত্রান অস¤পূর্ণ। বিষয়টি অনেকের কাছে গ্রহনযোগ্য নাও হতে পারে তবে শাস্ত্র আমাদের কিন্তু এই কথাই বলে।
কারণ তুমি যদি মুখে, যীশুকে প্রভু বলিয়া স্বীকার কর, এবং হৃদয়ে , বিশ্বাস কর যে, ঈশ্বর তাঁহাকে মৃতগণের মধ্য হইতে উত্থাপন করিয়াছেন, তবে পরিত্রাণ পাইবে। কারণ লোকে হৃদয়ে বিশ্বাস করে, ধার্মিকতার জন্য, এবং মুখে স্বীকার করে, পরিত্রাণের জন্য। কেননা শাস্ত্রে বলে, যে কেহ তাঁহার উপরে বিশ্বাস করে, সে লজ্জিত হইবে না।“
এই পদের আলোকে পরিত্রান প্রাপ্ত সকলের জন্য দুটি বিষয়কে জোর দেয়া হয়েছে একটি হল বিশ্বাস করা এবং অপরটি স্বীকার করা । স্বীকার করা বলতে বোঝায় :-
১।আপনি যীশু খ্রীস্ট কে ত্রানকর্তা প্রভু রূপে ব্যক্তিগত জীবনে ও মান্ডলীক জীবনে স্বীকার করবেন
২। পৃথিবীর কাছে অথাৎ অ- পরিত্রাণ প্রাপ্ত লোকদের কাছে সাক্ষ্য দেবেন যে, আপনি জগত থেকে আলাদা হয়েছেন, যীশু খ্রীস্টকে গ্রহন কারার মাধ্যমে কারন একমাত্র তিনিই মৃত্যুকে পরাজিত করেছেন। আমাদের পাপের জন্য নিজেকে ক্রশারোপিত হয়েছেন , মরেছেন , পুনুরুত্থিত হয়েছেন ও তিনি আবার পৃথীবিতে ফিওে আসবেন ।
মুখে স্বীকার করাটা অনেক মন্ডলীতে শিক্ষা দেওয়া হয় না বলে আমার ধারনা । কারো কাছে আপনার পরিত্রানের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করা ই সুসমাচার প্রচার করা, স্বাক্ষ্য বহন করা ।
সহজ কথায় বললে এভাবে বলা যায় যে , যিনি পরিত্রান পেয়েছেন তিনিই বাক্য প্রচার করেন এবং এই কাজে কোথাও না কোথায় তাকে স¤পৃক্ত পাওয়া যাবে। বাইবেলে একটা ঘটনা আছে যেখানে অশুচি আত্মায় বন্দি একজন লোককে যীশু সুস্থ করার পর সেই লোকটি যীশুর সঙ্গে যেতেচেয়েছিলেন, কিন্তু যীশু তাকে বললেন , “কিন্তু তিনি তাহাকে অনুমতি দিলেন না, বরং কহিলেন, তুমি বাটীতে তোমার আত্মীয়গণরে নিকটে চলিয়া যাও, এবং প্রভু তোমার জন্য যে যে মহৎ কার্যকরিয়াছেন, ও তোমার প্রতি যে কৃপা করিয়াছেন, তাহা তাহাদিগকে জ্ঞাত কর। তখন সে প্রস্থান করিয়া, যীশু তাহার জন্য যে যে মহৎ কার্য করিয়াছিলেন, তাহা দিকাপলিতে প্রচার করিতে লাগিল; তাহাতে সকলেই আশ্চর্য জ্ঞান করিল।“ মার্ক ৫ : ১৯ ,২০
আমাদের মনে রাখা দরকার, প্রভু যীশু আপনার জন্য যে মহৎ কাজ করেছেন সেই বিষয়ে অন্যএকজন যিনি যীশুকে জানেনা তাকে সঠিক ভাবে খুলে বলাই স্বাক্ষ্য বহন করা, আর জীবন থেকে স্বাক্ষ্য বহন করাই হল জীবন দিয়ে সুসমাচার প্রচার করা । ঈশ্বরের বাক্য আপনি বহন করবেন তাই ঈশ্বর আপনাকে বহন করবেন ।
আর যদি সে এই মহান কাজের সাথে কোন যোগাযোগ না থাকে তবে এখানে বিশ্বাসের কোথাও ঘাটতি আছে ।
সুতারং সকল পরিত্রাণ প্রাপ্ত বিশ্বাসীদের সুসমাচার কাজে অংশগ্রহন করাই হল ঈশ্বরের ইচ্ছা ও নির্দেশ , শুধু মাত্র পালক - প্রচারকদের কাজ নয় । প্রভু যীশু এই পৃথিবীতে আসবার উদ্দেশ ছিল যেন মানুষ পরিত্রান পায় ( যোহন ৩ :১৬ পদ )
আদি পুস্তক থেকে প্রকাশিত বাক্য এই ছেষট্টি পুস্তকরে মুল চন্তিা হল পরিত্রান, মানুষ যেন ঈশ্বরেরইচ্ছাকে জানতে পারে সেই জন্য তিনি আমাদেরকে তার বাক্য দিয়েছেন । এই বাক্য সবার জন্য শুধুমাত্র নেতাদের জন্য নয় । সবাইকে প্রচার করার ব্যাপারে ভিতরে তাগিদ অনুভব করা বাঞ্ছনীয় । বাক্যবলে, “আর সর্ব জাতির নিকটে সাক্ষ্য দিবার নিমিত্ত রাজ্যের এই সুসমাচার সমুদয় জগতে প্রচার করা যাইবে; আর তখন শেষ উপস্থিত হইবে।“ (মথি ২৪ :১৪ পদ)
আমদের বাক্য প্রচার করা স¤পর্কে গভীর শিক্ষা না থাকা যেমন একটি বড় প্রতিবন্ধকতা তেমনি আরেকটি প্রতিবন্ধকতা হল, সত্য জেনেও প্রয়োগ না করা। বিশেষ করে অনেকেই সুসমাচার প্রচার করতে লজ্জা বোধ করেন, সংশয় বোধ করেন। যীশু খুব ¯পষ্ট ভাবে বলেছেন , “কেননা যে কেহ আমাকে ও আমার বাক্যকে লজ্জার বিষয় জ্ঞান করে, মনুষ্যপুত্র যখন নিজ প্রতাপে এবং পিতার ও পবিত্র দূতগণের প্রতাপে আসিবেন, তখন তিনি তাহাকে লজ্জার বিষয় জ্ঞান করিবেন।“ লুক ৯ :২৬ পদ ।
আমাদের সমস্যা হল যেখানে আমাদের লজ্জা থাকা দরকার সেখানে আমার লজ্জা বোধ করিনা কিন্তু যেখানে লজ্জা করা উচিত না সেখানেই লজ্জা করি । স্বাক্ষ্য বহনে লজ্জা করা মানে হল ঈশ্বরকে অপমান করা ও তা গৌরবকে অস্বীকার করা আর যারা ঈশ্বরকে সন্মান করবেন না তাদের কে ঈশ্বর সন্মান দেবেন না ।
অনেকে প্রচার করতে ভয় পান, যীশু তাদেরকে অভয় দিয়ে বলছেন, “আর যাহারা শরীর বধ করে, কিন্তু আত্মা বধ করিতে পারে না, তাহাদিগকে ভয় করিও না; কিন্তু যিনি আত্মাও শরীর উভয়ইনরকে বিনষ্ট করিতে পারেন, বরং তাঁহাকেই ভয় কর। দুইটি চড়াই পাখী কি এক পয়সায় বিক্রয় হয় না? আর তোমাদের পিতার অনুমতি বিনা তাহাদের একটিও ভূমিতে পড়ে না। কিন্তু তোমাদের মস্তকরে কেশগুলিও সমস্ত গণিত আছে। অতএব ভয় করিও না, তোমরা অনেক চড়াই পাখী হইতে শ্রেষ্ঠ। অতএব যে কেহ মনুষ্যদের সাক্ষাতে আমাকে স্বীকার করে, আমিও আপন স্বর্গস্থ পিতার সাক্ষাতে তাহাকে স্বীকার করিব। কিন্তু যে কেহ মনুষ্যদের সাক্ষাতে আমাকে অস্বীকার করে, আমিও আপন স্বর্গস্থ পিতার সাক্ষাতে তাহাকে অস্বীকার করিব। “ মথি ১০ : ২৮-৩৩ পদ ।
তিনি অভয় দিয়ে বলেছেন, “প্রচার করার সময় তিনি আমাদের সঙ্গে সঙ্গে থাকেন।“ মথি ২৮ :১৮-২০ পদ ।
অনেক খ্রীষ্টিয়ান মনে করেন নারীদের প্রচার করা ঠিক না কিন্তু বাইবেল বলে, প্রভু বাক্য দেন,শুভবার্তার প্রচারিকাগণ মহাবাহিনী। গীত ৬৮ :১১ পদ এখানে বরং মন্ডলীতে নারীদের সুসমাচার প্রচারে ও প্রসাওে সক্রিয় অংশ গ্রহনের কথা বলা হয়েছে । আপনি যে কাজ করুন না কেন, যদি খ্রীষ্টের প্রতি আপনার গভীর প্রেম থাকে তবে আপনার সকলকাজের মধ্যেও আপনি সুসমাচার প্রচার করতে পারেন, স্বাক্ষ্য বহন করতে পারেন। প্রচার করা মানে এই নয় যে আপনি একজন কে প্রভু যীশুর অনুসারী বানাচ্ছেন। আমাদেরকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে যে, আমাদের দায়িত্ব শুধু প্রচার করা, কনভার্ট করা না। প্রভু মানুষের মন পরিবর্তন করবেন, এটা তার দায়িত্ব।
আমাদের বয়স কিংবা শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, সুসমাচার প্রচারে বাঁধা হতে পারেনা। এখানে কোন অজুহাত নেই যে আমি একজন প্রকৃত বিশ্বাসী কিন্তু প্রচার করার সুযোগ নেই। আপনার অবস্থান যেখানেই থাকুক না কেন এবং সময় যতটুকু থাকুক না কেন , প্রভুর বাক্যের প্রতি বাধ্যতা দেখাতে সুসমাচার প্রচার করুন।
সাধু পৌল বলছেন, “কারণ আমি যদিও সুসমাচার প্রচার করি, তবু আমার শ্লাঘা করিবার কিছুই নাই; কেননা অবশ্য বহনীয় ভার আমার উপরে অর্পিত; ধিক্ আমাকে, যদি আমি সুসমাচার প্রচার না করি। “ (১ম করি ৯:১৬ পদ)