---কিন্তু---
ভূমিকা ঃ- ছোটবেলায় শুনতাম, স্বপ্নের দেশ “আমেরিকার” কথা। বিশ্বের মধ্যে ধনী ও শক্তিশালি এই দেশ। শুধু তাই
নয়, খ্রীষ্টিয়ান রাষ্ট্রও বটে। এমনকি দেশটি বিশ্বের প্রতিটি দরিদ্র দেশকে সাহায্য করে থাকে। তাহলে সত্যিই না কত বড় ও সমৃদ্ধিশালী দেশ ! তাহলে আমাদের দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে পকেটে কিছু টাকা নিয়ে যাত্রা শুরু করা যাবে ? তা একেবারেই না। কারণ এর জন্য দরকার ভিসা, ভিসার জন্য দরকার প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র (জন্ম নিবন্ধনের সার্টিফিকেট, চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট, চার্চের সার্টিফিকেট, পাসপোর্ট, ছবি, প্রয়োজন যথেষ্ট পরিমানে অর্থ ও ব্যাংক ব্যালেন্স ইত্যাদি ইত্যাদি। ঠিক তদ্রুপ, আমাদের অনেকের ধারণা, খ্রীষ্টিয়ান ঘরে জন্ম নিলেই খ্রীষ্টিয়ান হওয়া যায় না অথবা স্বর্গরাজ্যে যাওয়া যায় না। তাই পবিত্র বাইবেল আমাদের বলে, যাহারা আমাকে হে প্রভূ, হে প্রভূ বলে, তাহারা সকলেই যে স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করিতে পাইবে, এমন নয়, কিন্তু যে ব্যক্তি আমার স্বর্গস্থ পিতার ইচ্ছা পালন করে, সেই পাইবে। মথি ৭;২১ পদ।
অনেক সময় আমরা খবরের কাগজে অথবা টিভির পর্দায় দেখতে পাই এত টাকা রিচার্জ করলে এত টাকা বোনাস এবং এত টক টাইম ফ্রি এমনকি এত জিপি ইন্টারনেট ফ্রি। কিন্তু নীচে ছোট অক্ষরে লেখা রয়েছে শর্ত /ভ্যাট প্রযোজ্য, সেটা আমরা দেখি না, অমনি আনন্দে মেতে উঠি।
আজ আমরা এই “কিন্তু” শর্ত নিয়ে আলোচনা করব।
১ম শর্ত ঃ- পিতা ঈম্বরের সন্তান হবার অধিকার অর্জন করতে হবে। যোহন ১;১২ পদে এই কথা লেখা আছে, কিন্তু
যত লোক তাহাকে গ্রহণ করিল, সেই সকলকে, যাহারা তাঁহার নামে বিশ্বাস করে তাহাদিগকে, তিনি ইশ^রের সন্তান হইবার ক্ষমতা দিলেন। এখানেই আমরা দেখি যে, কিন্তু শর্ত দিয়ে শুরু হয়েছে এবং এই কিন্তু শর্ত পূরণের মধ্য দিয়েই স্বর্গ রাজ্যে প্রবেশ করা যাবে, তাহা দেখব। অর্থাৎ ব্যক্তিগত জীবনে প্রভূ যীশু খ্রীষ্টকে ত্রাণকর্ত ও মুক্তিদাতা হিসাবে বিশ্বাস করা এবং হৃদয়ে গ্রহণ করা।
এই ক্ষেত্রে বলে রাখি, প্রতিটি দারাবাহিক নাটকে/ছবিতে বিরতি দিয়ে আবার শুরু হয়। যখন পূনরায় শুরু হয় তখন পূর্বের ঘটনার/পর্বের শেষ অংশ দিয়ে শুরু হয়।
আমরা সকলে জানি যে, ইস্রায়েল জাতি ঈশ্বরের প্রথম সন্তান ও মনোনীত জাতি। সেই জাতি ঈম্বরের দেওয়া প্রতিγাত দেশে যাত্রা শুরু করেছিল বটে, কিন্তু তাঁরা একবারেই কনান দেশে প্রবেশ করতে পরিনি, বরং স্থানে স্থানে তাঁদেরবিরতি দিয়ে পূনরায় যাত্রা করতে হয়েছিল। কেন আমি এখানে ইস্্রায়েল জাতির ইতিহাসের কথা টেনে এনেছি ? কারণ ইতিহাস থেকেই আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। এটাই ঠিক, এটাই সত্যি। কারণ এক লাফে কেউ তাল গাছের মাথায় উঠতে পারে না।
কিন্তু যত লোক --------------------সকলকে তিনি ঈম্বরের সন্তান হবার ক্ষমতা দিলেন, স্বর্গে যাবার ক্ষমতা নয়। আমরা কেবল মাত্র সন্তান হবার ক্ষমতা পেলাম অর্থাৎ অনন্ত জীবনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু। প্রভূ যীশু খ্রীষ্টকে বিশ্বাস করা ও হৃদয়ে গ্রহণ করার বহিঃ প্রকাশ হল, “নতুন জন্ম” লাভ করা। ফরিশীদের মধ্যে এক ব্যক্তি ছিলেন, তার নাম নীকদীম। তিনি যিহুদিদের এক জন অধ্যক্ষ। তিনি রাত্রিকালে যীশুর নিকটে আসিলেন এবং কহিলেন, রব্বি, আমরা জানি, আপনি ঈম্বরের নিকট হইতে আগত গুরু, কেননা আপনি এই যে সকল চিহ্ন কার্য্য করিতেছেন, ঈশ্বর সহবর্তী না থাকিলে এ সকল কেহ করিতে পারে না। যীশু তাহাকে কহিলেন, সত্য সত্য আমি তোমাকে বলিতেছি,“ নতুন জন্ম” না হইলে কেহ ঈশ্বরের রাজ্য দেখিতে পায় না। নীকদীম যীশুকে কহিলেন, মনুষ্য বৃদ্ধ হইলে কেমন করিয়া তাহার জন্ম হইতে পারে ? সে কি আবার মাতার গর্ভে প্রবেশ করিয়া জন্মিতে পারে ? যীশু উত্তর করিলেন, সত্য সত্য আমি তোমাকে বলিতেছি, যদি কেহ জল এবং আত্মা হইতে না জন্মে, তবে সে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করিতে পারে না।
জলের বাপ্তিস্ম প্রতিটি খ্রীষ্টিয় মন্ডলীতে প্রতি বছর বছর অনেক ছেলেমেয়েদের জলে বাপ্তিস্ম দিয়ে থাকে। আমিও নিয়েছি। যীশু খ্রীষ্টের জন্মের পূর্বে যোহন বাপ্তাইজক মন পরিবর্তনের বাপ্তিস্ম প্রচার করতেন এবং যাহারা মন পরিবর্তন করত, তাঁরা সকলে যর্দন নদীতে যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত হইত। যোহন আরও বলতেন, আমি তোমাদিগকে জলে বাপ্তাইজ করিতেছি বটে, কিন্তু এমন একজন আসিতেছেন, যিনি আমা অপেক্ষা শক্তিমান, যাঁহার পাদুকার বন্ধন খুলিবার যোগ্য আমি নই, তিনি তোমাদিগকে পবিত্র আত্মা ও অগ্নিতে বাপ্তাইজ করিবেন। লূক ৩;১৬ পদ। তাহলে এখানে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, প্রভূ যীশুকে বিশ্বাস করা এবং হৃদয়ে গ্রহণ করার ১ম ধাপ হচ্ছে, জলে বাপ্তিস্ম গ্রহন করা। ২য় ধাপ হচ্ছে, পবিত্র আত্মায় বাপ্তিস্ম নেওয়া।
পবিত্র আত্মায় বাপ্তিস্ম ঃ- আমি সকলকে আবার ইস্রায়েল জাতির ইতিহাসে নিয়ে যেতে চাই, যেখানে পাওয়া যায় ই¯্রায়েল জাতি কিভাবে এবং কখন সকলে এক সঙ্গে বাপ্তাইজিত হয়েছিল। করিন্থীয় মন্ডলীর নিকট সাধু পৌলের ১ম পত্রে সেখানকার বিশ্বাসীদের উপদেশ দিবার সময়ে বলেছিলেন, হে আমার ভ্রাতৃগণ, আমার ইচ্ছা নয় যে, তোমরা অজ্ঞাত থাক যে, আমাদের পিতৃপুরুষেরা সকলে সেই মেঘের নীচে ছিলেন ও সকলে সমূদ্রের মধ্য দিয় গমন করিয়াছিলেন; এবং সকলে মোশির উদ্দেশে মেঘে ও সমূদ্রে বাপ্তাইজিত হইয়াছিলেন। -----------আর সেই শৈল খ্রীষ্ট। ১ম করি ১০;১-৪ পদ। প্রভূ যীশু এই জগৎ থেকে স্বর্গে পিতার নিকটে চলে যাবার পূর্বে শিষ্যদের বলেছিলেন, কিন্তু পবিত্র আত্মা তোমাদের উপরে আসিলে তোমরা শক্তি প্রাপ্ত হইবে, আর তোমরা যিরুশালেমে, সমূদয় যিহুদীয়া ও শমরিয়া দেশে, এবং পৃথিবীর প্রান্ত পর্যন্ত আমার সাক্ষী হইবে।প্রেরিত ১;৮ পদ।
আমি আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, কিন্তু, যদি, নতুবা, বরং, তবে, বটে শব্দের শর্ত গুলো। যাহা আমরা এরিয়ে যাই/গুরুত্ব সহকারে দেখি না, দেখার চেষ্টাও করি না সেই এ্যাড দেওয়ার মত, ছোট করে লেখা শর্ত গুলোর মত।
অনেকে মনে করে, পবিত্র আত্মায় বাপ্তিস্ম আবার কেমন ? কিভাবে হয় ? কখন হয় ? ইত্যাদি ইত্যাদি। ভাল, আমরা সকলে প্রতিদিন শিখছি, জানছি। কারণ জানার কোন শেষ নেই, বয়স নেই। আমি প্রতিদিন শিখছি, কারণ যতটা জানতে হয়, ততটা এখনও জানি না।
প্রভূ যীশু খ্রীস্ট এই জগৎ থেকে চলে যাবার পর পδাশত্তমীর দিনে শিষ্যগণ যখন এক জায়গায় ছিলেন, অর্থাৎ পবিত্র আত্মার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন, ঠিক সেই সময় হঠাৎ পবিত্র আত্মা তাদের সকলের উপরে আসল এবং তাঁরা পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হল, ফলে প্রত্যেকে ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় কথা বলতে লাগলেন। প্রেরিত ২ অধ্যয়। যার ফল শ্রুতিতে যীশুর এই শিষ্যগণ গোটা বিশ্বকে লন্ড ভন্ড করে দিয়েছিল।
২য় শর্ত ঃ- প্রতিবেশীকে নিজের মত প্রেম করা। প্রতিবেশীকে প্রেম করার বিষয়ে প্রভূ যীশু তাঁর শিষ্যদেও
বলেছিলেন,“তোমরা যদি পরস্পর প্রেম কর, তবে তাহাতেই সকলে জানিবে যে, তোমরা আমার শিষ্য”। যোহন ১৩;৩৫ পদ। অপর দিকে এক জন ব্যবস্থাবেত্তা অর্থাৎ যিনি ব্যবস্থা/আইন-কানুন, নিয়ম-নীতি সম্পর্কে লোকদের শিক্ষা দিতেন, এমন এক জন লোক পরীক্ষাভাবে যীশুকে বলেছিল, হে গুরু কি করিলে আমি অনন্ত জীবনের অধিকারী হইব ? -- কিন্তু সে আপনাকে নির্দোষ দেখাইবার ইচ্ছায় যীশুকে বলেছিল, ভাল, আমার প্রতিবেশী কে ? উত্তওে যীশু তাকে দয়ালু শমরীয়ের গল্প/উদাহরণ বলেছিলেন। লূক ১০;২৫-৩৭ পদ। এখানেও অনেকে মনে করেন যে প্রতিবেশীকে নিজের মত প্রেম করা কোন দিনই সম্ভব না। সত্যিই যদি তাই হত তাহলে আমাদের সমাজের/মন্ডলীর মধ্যে কোন পার্থক্য/ভেদাভেদ/উচুঁ-নীচু থাকত না। তাহলে যিনি মন্ডলীর পরিচালক/চেয়ারম্যান, তাঁর সন্তানেরা যে স্কুলে যায়, সাধারণ বিশ^াসীদের সন্তানও প্রায় একই স্কুলে যেতে পারত, একই ধরণের জামা-কাপড় পড়ত, একই জায়গায় থাকত, একই খাবার খেত এমনকি নিজের সন্তানকে বিদেশে পাঠালে, ঐ গরীবের সন্তানকেও বিদেশে পাঠাত। প্রকৃত পক্ষে পবিত্র বাইবেল আমাদের যে প্রেমের কথা বলেছে তাহা হইল “প্রতিবেশীর বিপদে,সংকটে,রোগ-পীড়ায় তাঁর পাশে এসে দাড়ান, তাঁর জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথাই বলা হয়েছে। যদি আমরা অনন্ত জীবনে প্রবেশ করতে চাই।
৩য় শর্ত ঃ- সেই দন্ডে শিষ্যেরা যীশুর নিকটে আসিয়া বলিলেন, তবে স্বর্গ-রাজ্যের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কে ? মথি ১৮;১ পদ।
আমার মনে হয় শিষ্যদের মধ্যেও দ্বিধা-দ্বন্দ ছিল। জগতে তাদেও মধ্যে কে বড়, কে শ্রেষ্ঠ/মহান এ নিয়ে হয়ত তাদের মধ্যে দলা-দলি হত, যেমন আজও আমাদের মন্ডলীর ভিতরে দেখা যায়। উত্তরে যীশু তাঁদের সামনে একটি শিশুকে ডাকিয়া তাঁদের মধ্যে দাড় করাইলেন ও কহিলেন, আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি, তোমরা যদি না ফির ও শিশুদের ন্যায় না হইয়া উঠ, তবে কোন মতে স্বর্গ-রাজ্যে প্রবেশ করিতে পারিবে না। মথি ১৮;১-৩ পদ। আজও আমাদের সমাজ তথা পবিত্র মন্ডলী গুলোর মধ্যে দেখা যায় একই চিত্র। কেউ ছোট/নীচু হতে চায় না, সবাই বড় বড় চেয়ার/পজিশন পেতে চায়, পাড়লে কাউকে সড়িয়ে হলেও নিজের চেয়ার/পজিশন ঠিক করে নেয়। আবার যারা নীচু হয়ে ন¤্রতার সাথে বিশ^স্থতার সাথে কাজ করে, তাঁদেও উৎখাত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। ঈশ^রের ইচ্ছা পালনের প্রতি কারোরও বিন্দু মাত্র বাধ্যতা নেই। তাহলে আমরা কিভাবে ঈশ^রের রাজ্যে প্রবেশ করব ?
৪র্থ শর্ত ঃ- অনেক পরিবারে কিছু অবাধ্য সন্তান আছে, যাদের পরিবর্তনের জন্য পিতা-মাতা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যান
যেন তাদের সন্তান ভাল হয়, তাদের বাধ্য থাকে এবং সুন্দর সূখী জীবন-যাপন করে। কিন্তু দেখা যায় যে তাদেও সকল চেষ্টা ব্যর্থ। কারণ সময় থাকতে তাদের সন্তানদের সঠিক শিক্ষা দেওয়া হয়নি। প্রবাদে আছে, “সময়ের এক ফোর, অসময়ের দশ ফোর”। সন্তান যখন পরিবর্তন হয় না তখন তাকে ত্যাজ্য/পরিত্যাগ করা হয় অথবা আশা ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের স্বর্গীয় পিতার ইচ্ছা সেই রকম নয়। “কতক গুলি লোক যে বিনষ্ট হয়, এমন বাসনা তাঁহার নাই, বরং সকলে যেন মন পরিবর্তন পর্যন্ত পঁহুছিতে পায়, এই তাঁহার বাসনা”। ২ পিতর ৩;৯ পদ। অর্থাৎ কোন পিতা-মাতা চান না যে, তাদের সন্তানেরা বিনষ্ট/ধ্বংস হউক। তাহলে যিনি সকলের পিতা, সেই ধর্মময় পিতা, তিনিও চান না আমরা বিনষ্ট হই। তিনি চান যেন আমরা মন পরিবর্তন করি। উদাহরণ স্বরুপ বলতে পারি ঃ-
ক) হারানো ছেলের মন পরিবর্তনের কথা। লূক ১৫;১১-২৪ পদ
খ) সক্কেয়ের মন পরিবর্তনের কথা। লূক ১৯;১-১০ পদ
গ) সাধু পৌলের মন পরিবর্তনের কথা। প্রেরিত ৯;১-২২ পদ
কারণ পবিত্র বাইবেল (ঈশ^রের বাক্য ) “শিক্ষার, অনুযোগের, সংশোধনের, ধার্ম্মিকতা সন্মন্ধীয় শাসনের নিমিত্ত উপকারী”। ২তীমথিয় ৩;১৬ পদ।
পবিত্র বাইবেল বলে, “ সদাপ্রভু ¯েœহশীল ও কৃপাময়, ক্রোধে ধীর ও দয়াতে মহান” গীত ১০৩;৮ পদ। এই জন্য আমাদের মন পরিবর্তনের যথেষ্ট সময় তিনি দিয়েছেন যেন আমরা বিনষ্ট না হই কিন্তু অনন্ত জীবনের অধিকারী হয়ে স্বর্গে প্রবেশ করতে পারি।
ছোট বেলায় শুনতাম, ক্যান্সারের নাই এ্যান্সার। এটি একটি মরণ ব্যধি রোগ। আমার মনে হয় এর চেয়েও মারাত্তক ব্যধি বর্তমানে আমাদের খ্রীষ্টিয় পরিবার গুলোর মধ্যে মহামারীর মত ছড়িয়ে পরেছে। যার নাম “বহু বিবাহ/বিবাহ বিচ্ছেদ”। এমন কোন পরিবার নাই যেখানে এই উদাহরণ নাই। অথচ পবিত্র বাইবেল এই কথা বলে,“ ঈশ^র যাহার যোগ করিয়াছেন, মনুষ্য তাহার বিয়োগ না করুক”। মথি ১৯;৬ পদ। তাহলে দেখা যায় যে, আমরা ঈশ^রের ইচ্ছা পালন করছি না।
৫ম শর্ত ঃ- তুমি মরণ পর্যন্ত বিশ^স্ত থাক, তাহাতে আমি তোমাকে জীবন মুকুট দিব। প্রকা ২;১০ পদ। সাধু পৌল স্পষ্ট
ভাবে বলেছেন, কিন্তু একটি কাজ করি, পশ্চাৎ স্থিত বিষয় সকল ভুলিয়া গিয়া সন্মূস্ত বিষয়ের চেষ্টায় একাগ্র হইয়া লক্ষের অভিমুখে দৌড়াতে দৌড়াতে আমি খ্রীষ্ট যীশুতে ঈশ^রের কৃত উর্দ্ধদিকস্থ আহ্বানের পথ পাইবার জন্য যতœ করিতেছি। ফিলি ৩;১৩,১৪ পদ। পৌল তীমথিয়ের ২য় পত্রে তাঁর জীবনের শেষ উপদেশে বলেছেন, আমি উত্তম যুদ্ধে প্রাণ পণ করিয়াছি, নিরুপিত পথের শেষ পর্যন্ত দৌড়িয়াছি, বিশ^াস রক্ষা করিয়াছি। এখন অবধি আমার নিমিত্ত ধার্ম্মিকতার মুকুট তোলা রহিয়াছে, প্রভূ , সেই ধমময় বিচারকর্ত্তা, সেই দিন আমাকে তাহা দিবেন, কেবল আমাকে নয়, বরং যত লোক তাঁহার প্রকাশ প্রাপ্তি ভালবাসিয়াছে, সেই সকলকেও দিবেন। ২তীম ৪;৭,৮ পদ। প্রকাশিত বাক্যে ৭টি মন্ডলীর মধ্যে ২য় মন্ডলীর দূতকে বলা হয়েছিল, তুমি মরণ পর্যন্ত বিশ^স্ত থাক, সাধু পৌলও তাঁর জীবন দিয়ে যেমন প্রমাণ করেছেন, আমরাও কি প্রমাণ করছি যে আমরাও শেষ পর্যন্ত বিশ্বস্ত?
উপসংহার ঃ- এই ক্ষেত্রে আমি সকলকে এক নিগুঢ়তত্ব বলি, ইস্রায়েল জাতির জন্য প্রতিজ্ঞাত দেশ ছিল “কনান”
দেশ। সেই দেশে প্রবেশ করতে তাদের সময় লেগেছিল চল্লিশ বছর। এর মধ্যে যারা ঈশ^রের ও মোশির বিরুদ্ধে নিন্দা/বচসা করেছিল, তাঁরা এক জনও সেই কনান দেশে প্রবেশ করতে পারিনি। আর এখন আমাদের জন্য প্রভু যীশু স্বর্গ-রাজ্যে নিয়ে যাবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন- আমরা কি সকলে ঈশ^রের রাজ্যে প্রবেশ করতে পারব ? যদি কিনা তাঁর ইচ্ছা পালন না করি। ঈশ্বর আমাদের সকলকে আশীর্বাদ করুন, আমেন।
হাউজ চার্চ অব বাংলাদেশ, ঢাকা।
মোবাইল ০১৬৭৬২৬৭৪০২