প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।কেউ কিছু করতে পারছেন না। বিশ্বের কত মহাশক্তিধর ক্ষমাতাশালী, ব্যক্তিত্ত আছেন,যারা তাদের জাগতিক ক্ষমতায় সারা বিশ্বকে শাসন করছেন। আনবিক শক্তি এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায় সমস্ত বিশ্বকে ধ্বংশ করার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছেন।কিন্তু আজকে তারা কেহই এই মরন-ঘাতী করোনাকে ধ্বংশ করতে পারছেন না।দিন দিন মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোন প্রকার জাগতিক শক্তি বুদ্ধি কৌশল, বিজ্ঞান প্রযুক্তি তাবিজ কবজ মায়ামন্ত্র জড়িবড়ি এমনকি সর্বশক্তি দিয়েও এই মহাশক্তি করোনাকে দমন করা যাচ্ছেনা।
তাহলে কি এই মরনঘাতি করোনা ভাইরাসকে ধ্বংশ করার কোন উপায় নেই?
আমরা যারা ঈশ্বর সর্বশক্তিমানকে বিশ্বাস করি, বিশেষ করে যারা খ্রিস্ট বিস্বাসী আমরা জানি যে পবিত্র বাইবেলে এই ধরনের অনেক ধ্বংশের ঘটনা আছে। এবং মানবজাতির অবাধ্যতা এবং পাপের ফলে ঈশ্বর যুগে যুগে এই ধরনের করোনা এবং মহামারী দিয়ে মানবজাতিকে চরম শিক্ষা দিয়ে থাকেন।যারা তাদের অবাধ্যতা এবং পাপ স্বীকার করে ফিরে আসেন, ঈশ্বর তাদেরকে রক্ষা করেন কিন্তু যারা নিজ পথে চলে ঈশ্বর তাদেরকে ধ্বংশ করেন।
করোনা ভাইরাসকে ধ্বংশ করার একমাত্র উপায় হল পরম করুনা ময় ঈশ্বর।
তিনিই পারেন এই মরনঘাতি করোনা ভাইরাসকে ধ্বংশ করতে। কিন্তু এই পরিস্থিতির জন্য আমরা কি করতে পারি? শুধু কি ঘরে বসে বসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থবিধি মেনে চলা এবং সরকারের নির্দেশ মেনে চললেই করোনা ধ্বংশ হবে? তাতেই কি মানুষ বাঁচবে?। আক্রান্তদের জন্য যে সকল চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হচ্ছে তাতে মানুষ আরো বেশী ভয় পাচ্ছেন। বিদেশে না পারলেও আমাদের বাংলাদেশে হাসপাতালে যাওয়ার নাম করে কেউ কেউ পালিয়ে যাচ্ছে এমনকি হাসপাতাল থেকেও পালাচ্ছে। আশ্চর্য হলেও সত্য যে, যারা রোগীদের চিকিৎসা করছেন, তারাও আজ প্রাণের ভয়ে ভীত। কেননা অনেক ডাক্তার,নার্স এবং স্বাস্থ্য কর্মীগণ করোনার রোগীদের চিকিৎসা করতে গিয়ে ইতিমধ্যে নিজেরাই আক্রান্ত হয়েছেন এবং কয়েকজন মারাও গেছেন। এই কারনে তারা এখন এতো ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা দিতে ভয় পাচ্ছেন।
এই সমস্যার সমাধান কি? উপায় কি? খ্রিস্টীয় আত্মত্যাগ এবং প্রার্থনা উপবাস কাল তো চলছেই। বিভিন্ন ধর্মের বিস্বাসীগন যার যার বিশ্বাস অনুযায়ী প্রার্থনা পুজা,আরাধনা করছেন। কিন্তু একজন খ্রিস্টিয়ান হিসাবে আমরা কিভাবে প্রার্থনা করবো? এইটাই হল আজকের জানার বিষয়।
বাইবেল বলে আমাদের পবিত্র আত্মার সাহায্য নিয়ে প্রার্থনা করা উচিত।কেননা পবিত্র আত্মার আবেশ ব্যতিরেকে কেহ বলিতা পারেনা, "যীশু প্রভু"(১করি-১২:৩পদ)।
এই বাক্যটি আজ লিখছি, কারন আমরা অনেকেই মনে করি শুধু ঈশ্বরের মনোনীত ভাববাদী, পালক, প্রচারক,শিক্ষক, বিশপ, ফাদার, সিস্টার এবং মন্ডলীর নেতা নেত্রীদেরকেই ঈশ্বর পবিত্র আত্মা দিয়ে পরিচালনা করেন। কিন্তু এখানে আমরা দেখি, ঈশ্বর তাঁর গৌরবের জন্য একজন শিল্পীকে পবিত্র আত্মা দিয়েছিলেন(যাত্রা-৩১:৩)।
বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে আমরা বিশ্বের সমস্ত মানুষের জন্য উপবাস প্রার্থনা করার চেস্টা করছি। আমাদের প্রত্যেককে পবিত্র আত্মার পরিচালনায় গান এবং প্রার্থনা করা দরকার। অনুতাপ সহকারে নিজ নিজ পাপ, পরিবার, সমাজের, জগতের পাপের জন্য উপবাস সহকারে পাপ স্বীকারের প্রার্থনা করা একান্ত প্রয়োজন, পবিত্র আত্মার পরিচালনায় প্রার্থনা করা প্রয়োজন। সাধু পৌল তাঁর পত্রে লিখেছেন- "আর সেইরুপে আত্মাও আমাদের দুর্বলতায় সাহায্য করেন; কেননা উচিত মতে কি প্রার্থনা করিতে হয়, তাহা আমরা জানিনা, কিন্তু আত্মা অবক্তব্য আর্তস্বর দ্বারা আমাদের পক্ষে অনুরোধ করেন(রোমীয়-৮:২৬পদ)। তাই আসুন এই বিশ্ব মানবতার মরন-ঘাতী করোনাকে ধংশ করতে পবিত্র আত্মার সাহায্যে সর্বশক্তিমান পিতা ঈশ্বরের কাছে স্বর্গে ও পৃথিবীতে সমস্ত কত্রিত্তের অধিকারী প্রভু যীশূর নামে প্রার্থনা করি।
প্রার্থনাই হল পৃথিবীর সমস্ত শক্তির উপরে মহাশক্তি" বিশেষ করে উপবাস সহকারে প্রার্থনা। পবিত্র বাইবেলে আমরা দেখি পাপের কারনে ঈশ্বর যুগে যুগে অনেক জাতীকে ধ্বংশ করেছেন। উদাহরনঃ স্বরুপ বলতে গেলে বলতে হয়- যেমনঃ সদোম ঘমোরার ধ্বংশের ঘটনা, নোহের জলপ্লাবনের ঘটনা, আহাব রাজা এবং রানী ঈষেবেলের বংশকে ধ্বংশ হওয়ার ঘটনা। এছাড়াও ঈশ্বর কিভাবে ইস্টের পুস্তকের সেই যিহুদী জাতীকে এবং এক লক্ষ বিশ হাজার নীনবী বাসীকে রক্ষা করেছিলেন সেই ঘটনা। আমাদেরকে স্মরন করিয়ে দেয় যে, পবিত্র পরাক্রমশালী ঈশ্বর, যিনি স্বেচ্ছাকৃত ক্ষমা করেন না(ইব্রীয়-১০:.২৬-২৭পদ)। পাপে অবাধ্য জাতীকে ধ্বংশ করেন। পাপ থেকে মন পরিবর্তন করে ফিরে আসে ঈশ্বর সেই জাতীকে রক্ষা করেন। নিন্মে বাইবেল থেকে সেই চিরন্তন ঐতিহাসিক সত্য ঘটনাগুলি তুলে ধরা হলঃ-
১।সদোম ঘমোরার ধ্বংশঃ সদোম ঘমোরার মানুষের ছিল ঈশ্বরের অবাধ্য এবং সেচ্ছা পাপে পতিত(আদি-১৮:২০পদ)।সদোম ঘমোরার বাহিরের দিক ছিল সুজলা সুফলা শস্য শ্যমলা কিন্তু সেখানের অধিবাসীরা ছিলেন পবিত্র ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপে পতিত।ঘরে আতিথি এলে তারা নিজেদের কুমারী বিবাহযোগ্যা কন্যাকে দিয়ে তাদের শারীরিক প্রশান্তি দিতেন(আদি-১৯:৭-৮পদ)। কন্যা এবং পিতার সঙ্গে শারিরিক সম্পর্ক করা এবং সন্তান গ্রহন করা সেই দেশে কোন বাঁধা ছিলনা(আদি-১৯:৩০-৩৬পদ। সেই সদোম ঘমোরার বাহিরের দৃশ্য দেখে অব্রাহামের ভ্রাতুষ্পুত্র লোট,তার নিজের ইচ্ছায় সেই দেশকে বেছে নিয়েছিলেন, জাগতিক উন্নতির উচ্চ শিখরে উঠার জন্য। এবং সেই করানে তিনি তার সমস্ত সম্পদ দাস/দাসী নিয়ে সেই সদোম ঘমোরায় বাস করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পরিনাম কি হয়েছিল? পাপের করনে ঈশ্বর সেই জাতীকে সম্পূর্ণরূপে ধংশ করেছিলেন। এমনকি সেই লোট তার কাকা আব্রাহামের কাছে থেকে যে সম্পদ অর্জন করেছিলেন, সদোমে গিয়ে সেইসব হারিয়ে শূধুমাত্র দুই মেয়েকে নিয়ে কোনমতে বেঁচেছিলেন এবং তার স্ত্রী পিছনে তাকিয়ে লবন-স্তম্ভ হয়েছিলেন। চিন্তা করুন ঈশ্বর পাপের বিষয়ে ভয়ংকর। সেই ঈশ্বর এখনও জীবন্ত, এখনো জাগ্রত, এখনও সেই পরাক্রমশালী, এবং পাপের বিষয়ে ভয়ংকর শাস্তিদাতা।সদাপ্রভু কহেন, আমি তোমাদের কর্মের ফলানুসারে তোমাদিগকে সমুচিত দন্ড দিব,আমি তাহার বনে অগ্নি জ্বালাইব,উহা তাহার চারিদিকে সকলই গ্রাস করিবে(যির-২১:১৪পদ)।
বর্তমান পৃথিবীতে জীবনযাপনঃ
উন্নত এবং অত্যাধুনিকতার নামে বর্তমান পৃথিবীতে মানুষ যে কত ঈশ্বরবিহীন জীবন যাপন করছে তা সমাজের নিত্যদিনের হত্যা ধর্ষণের প্রতিযোগিতা এবং বাস্তবতা দেখলেই অনায়াসে বোঝা যায়। প্রতি হাতে হাতে স্মার্ট মোবাইল,স্মার্ট টিভি এবং নানা বর্ণের স্যাটেলাইটের ছড়াছড়ি দেখলেই বোঝা যায় যে মানুষ এখন সেচ্ছাপাপ এবং ঈশ্বর বিহীন কাজের ক্ষেত্রে সদোম ঘমোরার মানুষের থেকেও অনেক এগিয়ে গেছে(২তীম-৩:১-৭)।
“মরার উপরে খাড়া”
একেতো করোনার ভয়াল থাবার ভয়ে মানুষ আতংকিত তার উপরে আবার আম্ফানের মত প্রলয়ঙ্করী ঘুনিঝড়ের তাণ্ডব, মানুষের জীবন জীবিকাকে লন্ডভন্ড করে ফেলেছে। এই দুর্যোগের কারনও হল মানুষের পাপ এবং অবাধ্যতা(আদি-৩:১৭)। এছাড়া ব্যভিচার, অবৈধ যৌনাচার, মাদক সেবন অনৈতিকতা অন্যয্যতা ঈশ্বরবিহীন জীবন যাপন ঈশ্বরের পবিত্র সৃষ্টিকে দিন দিন অনন্ত নরকের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
উদাহরনঃ এই করোনা ভাইরাসের কয়েকদিন পূর্বে থেকে আমাদের এলাকায় পরিচিত দুইজন যুবক/যুবতীর চলাফেরা লক্ষ্য করে আমি একদিন জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে তোমাদের দুজনের মধ্যে সম্পর্ক কি? তারা বললেন আমরা বিয়ে করিনি কিন্তু একসাথে বাস করি। তারা আরও বললেন যে আংকেল, এটা এখন ২০২০সাল। আপনাদের মত যুগ আর এখন নাই। আপনাদের যুগে যুবক/যুবতীরা বোকা ছিল। আজকাল আর এইসব নিয়ে মানুষের ভাবার সময় কোথায়? আমি অবাক হলাম যে কিভাবে মানুষের জীবন এখন চলছে? মানুষের কার্যক্রম এখন পশু পাখিদেরকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হল যে, বর্তমান খ্রিস্টিয়ান বিশ্বে, সমাজে, পরিবারে এখন আর আগের মত জীবনযাপন নাই। পিতা জানেনা পুত্র কার সাথে বন্ধুত্ব করে? মা জানেনা কন্যা বান্ধবীর বাসায় থাকার কথা বলে কার সাথে থাকে? পরিবারে কেউ কারো খোঁজ রাখেনা। ভালোবাসার নামে কতযে অপকর্ম প্রতিদিন ঘটছে কয়জনই বা সেই খবর রাখে। এই করনা পরিস্থিতির মধ্যেও গতকাল একজন যুবতী আমার কাছে ফন দিয়ে বললেন পালক আংকেল আমার জন্য প্রার্থনা করবেন আমি আমেরিকায় যাচ্ছি। জিজ্ঞাসা করলাম কবে? কিভাবে? সে উত্তর দিল যে একজন বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর একজন বিবাহিত, বাবার বয়সী লোকের সাথে বিয়ে করলেই আমি আমেরিকা যেতে পারবো। আমি অবাক হলাম। সে বলল আজকাল এগুলি কোন ব্যাপারই নয়, আমেরিকা যাওয়ার জন্য আমি যে কোন ঝুকী নিতে প্রস্তুত। বাবা মা ভাইএরা জানে? নানা তাদের জানালে হবেনা। আমেরিকায় গিয়ে জানাবো। আমি প্রার্থনা প্রভু তার জীবনে তোমার অনুগ্রহ এবং পরিচালনা দাও। সে বলল আপনার প্রার্থনা ঠিক হলোনা।
২।নোহের সময়ের প্রলয়ংকরি বন্যাঃ আমরা কি করে ভুলে যাই সেই প্রলয়ংকরি বন্যার কথা।আদি পুস্তক-৬-৭অধ্যায় আমরা সেই বিষয় জানতে পারি।
ঐ প্রলয়ঙ্করী বন্যার একটাই কারন ছিল। আর তা হল মানুষের পাপ মানুষের অনৈতিকতা, মানুষের ব্যভিচার, মুরতিপুজা, জীবন্ত ঈশ্বর এবং তাঁর বাক্যকে অগাহ্য করা।
ঈশ্বরের মনোনীত প্রচারক নোহ ১২০বছর প্রচার করেও যখন মানুষ পাপের পথ থেকে ফিরেনি, আর তখনই ঈশ্বর সেই প্রলয়ংকরি বন্যার মাধ্যমে চল্লিশ দিবারাত্রের জল বর্ষণের মাধ্যমে মাত্র নোহের পরিবারের ৮জন-কে এবং সমস্ত প্রাণীদের জোড়া জোড়াকে একটি নৌকায় সুরক্ষা করে বাকী সমস্ত মানুষ এবং প্রাণীকে ধ্বংশ করেছিলেন।দীর্ঘ এক বছর স্থায়ী রাখার পর ঈশ্বর সেই বন্যার জল শুকিয়ে আবার সেখানে নুতন করে প্রান সঞ্চার করেন। নোহ তার পরিবার এবং সমস্ত প্রাণিদ্বারা ক্রমান্বয়ে আবার পৃথিবীকে পরিপূর্ণ করেন। পৃথিবীকে আবার ফুলে ফলে ভরে যায়। কিন্তু মানুষের পাপ স্বভাবের পরিবর্তন হয়না। বার বার মানবজাতি পাপে পতিত হতো। আর সেই করনে ঈশ্বর মানুষকে সৃষ্টি করে অনুশোচনা করেছিলেন। কেননা মানুষের হৃদয়ের চিন্তা নিরন্তর মন্দ। তাই ঈশ্বর মানুষ এবং মানুষের পাপের দ্বারা কলুষিত সকল সৃষ্টিকে ধ্বংশ করবেন বলেছিলেন(আদি-৬:৬-৭পদ)। তাই এই করোনা ভাইরাসের ধ্বংশ পৃথিবীতে কোন নুতন ঘটোনা নয়।
ধ্বংশ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় হলঃ
১। ঈশ্বরের মহানামের ধন্যবাদ করা। কারন তিনি সদোম ঘমোরা এবং নোহের জল-প্লাবনের মত এই পাপে পুণ্য পৃথিবীকে একেবারে ধংশ করছেননা।কারন তিনি “ক্রোধে ধীর এবং দয়াতে মহান”(যোনা-৪:৩)। মানুষকে পাপের জীবন থেকে ফিরে আসার সুযোগ দিচ্ছেন এবং স্মরন করিয়ে দিচ্ছেন যা “তিনি যা ছিলেন তাই আছেন” তাঁর কোন পরিবর্তন নাই। তাঁহার বিবিধ দয়ার গুনে আমরা নষ্ট হই নাই(বিলাপ-৩:২২)।
২।পাপের জন্য অনুতাপ করাঃ(১যোহন-১:৯)।
করোনা ভাইরাস মানুষের পাপের শাস্তি হিসাবে জগতে আসছে। তাই পাপের জন্য অনুতাপ করে পাপ থেকে মন পরিবর্তন করা এবং ঈশ্বরীয় পথে ফিরে আশা ছাড়া আর উপায় নাই। বিশেষ করে প্রতিজন খ্রিস্টীয় বিস্বাসী, পরিবার, মন্ডলী সমাজ এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অবিরামভাবে উপবাস প্রার্থনা ঘোষনা করা দরকার।একাধারে উপবাস সহকারে প্রার্থনা চালিয়ে যাওয়া। যতদিন না ঈশ্বর তার ক্রোধ প্রশমিত না করেন। নীনবীর মত সমস্ত মানুষ এবং প্রাণীদের উপবাস প্রার্থনা করার সময় এসেছে। আর তাহলেই যদি ঈশ্বরের ক্রোধ প্রশমিত হয় (যোনা-৩:৭-৯) ইস্টের পুস্তকে আমরা দেখতে পাই কিভাবে ৩দিনের উপবাস প্রার্থনা করার ফলে ঈশ্বর তার মনোনীত জাতীকে ধ্বংশের হাত থকে রক্ষা করেছিলেন(ইস্টের-৩:১৬)। এবং সর্বশক্তিমান ঈশ্বর তাঁর মহাপরাক্রমে এবং দয়ায় এই মরনব্যাধী থেকে মানুষকে করবেন।
৩। আজ ঈশ্বর আমাদের উপরে মহা ক্রোধান্নিত।
কারন বর্তমানে মন্ডলীতে ঈশ্বরকে গৌরব না দিয়ে আমরা মানুষকে গৌরব দিচ্ছি। ঈশ্বরকে প্রাধান্য না দিয়ে জাগতিকতাকে প্রাধান্য দিচ্ছি। নিজের ইচ্ছামত করে পবিত্র বাইবেলের ব্যখ্যা দেওয়া হচ্ছে। বাক্যকে নিজের মত করে মানুষকে খুশী করার জন্য ঈশ্বরীয় সত্যগুলিকে প্রচার করা হছে। ফলে ঈশ্বরের বাক্য যে শিক্ষার, অনুযোগের,সংশোধনের, ধার্মিকতা সম্বন্ধীয় শাসনের নিমিত্ত উপকারী তা হচ্ছেনা। ঈশ্বরের লোকেরা পরিপক্ক হচ্ছেনা, সৎকর্মের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেনা(২তীম-৩:১৬-১৭পদ)। ভ্রান্ত শিক্ষা আশে আশে পরিবারে প্রবেশ করে সন্তানদেরকে বিপথে নিয়ে যাচ্ছে কিন্তু কিছু করার নাই। কারন সঠিক বাক্যরুপ খাদ্য না পাওয়ার ফলে মন্ডলী দিন দিন জাগতিক প্রতিষ্ঠানের মত চলছে। এমনকি মাঝে মাঝে কার্যক্রম দেখলে মনে হয় যে, প্রভু যীশুর পবিত্র রক্তে গড়া পবিত্র আত্মায় প্রতিষ্ঠিত মন্ডলীতে এখন মানুষের পরিচালনায় চলছে। খ্রিস্টীয় মন্ডলীতে এবং ব্যক্তি জীবনে এখন পবিত্রতার বড়ই অভাব। আর সেই কারনেই পৃথিবীতে এত বিপদ এতো মহামারী, ধ্বংশ এবং দুর্ভোগ।
উপসং-হারঃ
তবে বিস্বাসী হিসাবে অবশ্যই আমাদিগকে খ্রিস্টীয় গান, উপবাস সহকারে প্রার্থনা এবং বাইবেলে পাঠের দিকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। বিশেষ করে এই বিশ্ব করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে আমাদিগকে সদোম ঘমোরার ধ্বংশ(আদি), যিহুদী জাতি ধ্বংশ থেকে রক্ষা(ইস্টের)এবং কিভাবে নীনবী রক্ষা পেয়েছিল? সেই বিষয়গুলি এখন বেশী বেশী অধ্যয়ন করা প্রয়োজন।
তাই আসুন এখনো সময় আছে। সমস্ত পৃথিবীকে করোনার মরন ছোবল থেকে রক্ষা করতে যথাসাধ্য একাধারে উপবাস সহকারে পবিত্র ঈশ্বরের কাছে নত নম্র হয়ে, তাঁর মুখের অন্নেষন করে, আপন আপন পাপ স্বীকার করে এই জগত-কে রক্ষা করার জন্য প্রার্থনায় মনোযোগ দেই। হয়তো ঈশ্বর নীনবীর মত এই বিশ্ব জগতকেও রক্ষা করবেন। এই প্রত্যাশায় আজকের লেখার ইতি টানছি। প্রেমময় পবিত্র ঈশ্বর পৃথিবীর সমস্ত সৃষ্টিকে এই মরনঘাতী করোনাকে ধ্বংশ করে তাঁর নিজ প্রতিমূর্তিতে সৃষ্টি মানুষকে সুরক্ষা করুন, আমেন।
বিনীত
রেভাঃ সাইমন সরকার( পালক এবং ধর্মতত্ত্ব শিক্ষক)।
ফেসবুক-Simon Sircar.