প্রত্যেকেরই দ্বারা সম্ভব কোন এক জনকে জয় করা
প্রত্যেকেরই দেবার মত কিছু না কিছু আছে
প্রত্যেকেরই শিখতে পারে কিভাবে অন্যদের কাছে
সুসমাচার প্রচার করতে হয়।
STRATEGY- কৌশল:
1. কার্যকর:
বিশ্বের সব খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা নিজের ইচ্চামত, তাদের নিজ নিজ সুযোগ ও যোগ্যতা অনুসারে সুসমাচার প্রচার করবেন।আমাদের লক্ষ্য হলো অনলাইনের মাধ্যমে খ্রীষ্টিয়ান বই/ সহভাগিতা/ বাইবেল ভিত্তিক প্রচার/ বাইবেলের বানী/ আটিকেল/ নুতন বিশ্বাসী/ পুরাতন বিশ্বাসী সবার জন্য বাইবেল বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হতে পারে।সেই সাথে বিশ্বব্যাপী বাংলা ভাষাভাষী খ্রীষ্টিয় মন্ডলীসমূহের আত্মিক বৃদ্ধির জন্য আমাদের চেষ্টা। বিশ্বব্যাপি খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা নিজেদেরকে শিক্ষাদানের মাধ্যমে প্রশিক্ষীত হয়ে সমস্ত পৃথিবীতে সুসমাচার পৌঁছে দিতে সক্ষম; কিভাবে একজনের সংগে কথাপোকথন শুরু করতে হয়, তাদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে হয়,আলোচনায় নেতৃত্ব দান করা যায় এবং সুসমাচারের মূল বিষয় কিভাবে অন্যকে যীশুর কাছে আনতে হয় ও একটি সুসমাচার কেন্দ্রিক জীবন যাত্রার মাধ্যমে কিভাবে নতুন বিশ্বাসীদের শিষ্য করা যায়।
2। প্রত্রিুয়া:
একজন অন্যজনকে- এক কাপ চা/ কফির নিমন্ত্রণ দিন এবং এ সময় তার কাছে যীশুর বিষয় বলুন।অনেক দিন যাবৎ যে সব বন্ধুদের সংগে যোগাযোগ নেই তাদের ফোন করতে পারেন বা বাসায় যেতে পারেন।
দুইজন একত্রে- এক দল বিশ্বাসীদের একত্রিত করে বিষয়টি বর্ণনা করুন ও পরিচিত হউন এবং প্রার্থনা করুন। তারপর দুই দুই জন করে দলে ভাগ হয়ে লোকদের কাছে সুসামাচার পৌঁছে দিতে পারেন।
সেবা করুন এবং সুসমাচার দিন- প্রথমে সেবা করুন তারপর তাদের কাছে সুসমাচার দিন।
নিজ এলাকা জয় করুন- আপনার শহরে, প্রতিবেশীদের কাছে, আপনার এলাকার লোকদেরকে জয় করার একটি পরিকল্পনা করুন।অনেক বিশ্বাসীকে আপনার সংগে সংযুক্ত করুন এবং প্রতিটি বাড়ীতে বাড়ীতে, রাস্তায় রাস্তায় সুসমাচার পৌঁছে দিতে পরিকল্পনা করুন। খুবই সুনিদিষ্ট ভাবে সেই সমস্ত লোকদের কাছে সুসমাচার প্রচার করুন। যারা আগে কখনও শোনেনি।
সুসমাচার প্রচারের সুযোগ কোথায় পাব?
টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া সুসমাচার প্রচারের অসংখ্য সুযোগ রয়েছে। শিশুদের কাছে, ঘরে-ঘরে, পড়ার টেবিলে, বন্ধুত্বের মাধ্যমে, হাসপাতালে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের বাসায়, সভার মাধ্যমে,পারে্, কারাগারে, পাবলিব বাসে, শপিং মলে.....
3। ফলো-আপ করা:
আমাদের লক্ষ্য লোকেরা প্রভুর কাছে আসবে এবং তাঁর অনুসারি হবে। সুতরাং আমাদের প্রত্যেক বিশ্বাসীকে প্রশিক্ষণ দেই যেন তারা অন্যদেরকে শিষ্য তৈরি করতে নেতৃত্ব দেয়, যেভাবে বিশ্বের /বাংলাদেশের প্রতিটি বিশ্বাসীকে এই মহৎ ও মহান আদেীশ সারা জীবনের একটি দায়িত্ব হিসাবে পালন করে।
তাঁহার ইচ্ছা এই, যেন সমুদয় মনুষ্য পরিত্রাণ পায় ও সত্যের তত্ত্বজ্ঞান পয্ন্ত পৌঁছাতে পারে। 1 তীমথিয় 2:4 পদ
তাঁর পুত্র-প্রভু যীশু মৃত্যুবরণ করলেন যেন আমরা অনন্তকালের জন্য রক্ষা পাই।
একটি আদেশ- যীশু আমাদের প্রত্যেককে আদেশ দিয়েছেন যেন আমরা সমুদয় জগতে যাই এবঙ তাঁর সুসমাচারের মাধ্যমে সমস্ত পৃথিবীকে জয় করি।
আর তিনি তাঁহাদিগকে কহিলেন,‘‘ তোমরা সমূদয় জগতে যাও সমস্ত সৃষ্টির নিকটে সুসমাচার প্রচার কর।
90 শতাংশেরও বেশি মন্ডলীর সদস্য/ সদস্যারা কখনোই অন্যদের কাছে সুসমাচার প্রচার করে না।
এসবের কারণ কি?
* খ্রীষ্টিয়ানরা সুসমাচার প্রচারে অভ্যস্ত বা দক্ষ নয়।
* সুসমাচার প্রচারের জন্য খ্রীষ্টিয়ানদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নাই
* তাঁরা মনে করে আমাদের দরকার নেই-পালক, পুরোহিত,যাজক সুসমাচার করবে ।
গুণন প্রক্রিয়ার শক্তি:
যদি আমরা খ্রীষ্টের দেহরূপ মন্ডলীগুলোকে সচল ও প্রচারমুখী করতে পারতাম, তাহলে পৃথিবীর অনেকাংশ,খুব অল্প সময়ের মধ্যে খ্রীষ্টের জন্য জয় করা সম্ভব হতো।
আপনিও অংশ নিন!
সমস্ত পৃথিবীতে প্রভুর সুসমাচার পৌঁছে দিতে সবচেয়ে ফলপ্রসূ উপায় হলো বিশ্বব্যাপী মন্ডলীগুলিকে উদ্ধুদ্ধ ও সম্পূক্ত করা।
* বিশ্বাসীদের ট্রেনিং দেওয়া
* মন্ডলীগুলিকে উৎসাহিত করা যেন তাদের লোকদেরকে জয় করতে আমরা একসংগে কাজ করি।
*প্রতিটি শহর ও প্রতিটি জাতীর লোকদের কাছে পৌঁছানো।