যীশু এখন যিরূশালেমের কাছাকাছি এসে গেছেন। তিনি সেখানে গিয়ে উদ্ধার-পর্বের ভোজ খেতে চান। যীশু তাঁর দুই শিষ্যকে ডেকে বললেন, ‘সামনের গ্রামে যাও। সেখানে একটি গাধাকে গাছের সঙ্গে বাঁধা দেখতে পাবে। ওটার উপর কেউ কখনও চড়ে নি। ওটি খুলে আমার কাছে নিয়ে এস। যদি কেউ জিজ্ঞেস করে তোমরা কি করছ তবে তাদের বলবে যে, আমি তোমাদের পাঠিয়েছি।’সেই দুই শিষ্য গিয়ে গাধাটিকে যীশুর কাছে নিয়ে এলেন। তারপর তারা তাদের গায়ের কাপড় ও চাদর সেই গাধার পিঠে পেতে দিলেন যেন যীশু সেখানে উঠে বসতে পারেন। অনেক লোক যীশুর সঙ্গে যিরূশালেমে রওনা হল। লোকেরা যখন শুনতে পেল যে, যীশু আসছেন তখন সবাই তাঁকে দেখতে ঘর থেকে বের হয়ে এল। তাদের মধ্যে কেউ কেউ তাদের গায়ের চাদর তাঁর সামনে রাস্তার উপর পেতে দিল। অন্যেরা গাছের ডালপালা কেটে পথে বিছিয়ে দিল। তারা জোরে জোরে চিৎকার করে বলতে লাগল, ‘এখানে ঈশ্বরের রাজা এসেছেন, ঈশ্বরের প্রশংসা হোক!’সুতরাং
যীশু গাধায় চড়ে রাজার মতই যিরূশালেম শহরে ঢুকলেন। শান্তিদাতা হিসেবেই সেখানে ঢুকলেন।এরপর তিনি মন্দিরে গেলেন। তিনি সেখানে দেখতে পেলেন লোকেরা উৎসর্গের জন্য কবুতর ও ভেড়া বিক্রি করছে, টাকা বদল করার লোকেরা মন্দিরের বিশেষ টাকা বিক্রি করছে- এসব দেখে তিনি ভীষণ রেগে গেলেন। কারণ যারা ঈশ্বরের উপাসনা করতে মন্দিরে আসত এই ব্যবসায়ীরা তাদের ঠকিয়ে ব্যবসা করত।যীশু চিৎকার করে বললেন, ‘ঈশ্বরের মন্দির হল প্রার্থনার জায়গা। কিন্তু আপনারা এটাকে ডাকাতের আড্ডাখানা করে তুলেছেন। তারপর তিনি তাদের টেবিল উল্টিয়ে দিয়ে তাদের তাড়িয়েদিলেন। এতে সেখানে ভীষণ গোলামাল বেধে গেল।সেখানকার পুরোহিতেরা ভীষণ রেগে গেল। যীশুকে অবশ্যই বন্দি করতে হবে- কিন্তু কিভাবে? তারা কোন দাঙ্গা-হাঙ্গামার ঝুঁকি নিতে চাইল না।মার্ক ১১:১-১১, ১৫-১৮