যারা যীশুর কথা শুনতে আসত তারা সবাই যে ভাল লোক ছিল তা নয়। তিনি এমন লোকদের সঙ্গে মেলামেশা করতেন যাদের সঙ্গে অন্যেরা কথাও বলত না। সেইজন্য ফরীশীরা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করল যে, তিনি পাপীদের সঙ্গে মেলামেশা করেন। তাই একদিন তিনি এই গল্পটি বললেন।কোন এক গ্রামে এক লোকের দু’টি ছেলে ছিল। ছোট ছেলেটি একদিন তার বাবার কাছে সম্পত্তির ভাগ চাইল। সে তার ভাগ পেয়ে তা বিক্রি করে বাড়ী থেকে চলে গেল। সে বিদেশে গিয়ে খারাপ ভাবে জীবন যাপন করতে লাগল। একসময় তার সব টাকা-পয়সা শেষ হয়ে গেল। তার সেই দেশেও তখন খাবারের অভাব দেখা দিল। লোকেরা খিদেয় কষ্ট পাচ্ছিল। সে একটি শূকর চরাবার কাজ পেল। তার এত খিদে লাগত যে, শূকর যে খাবার খায় সেই খাবারই সে খেতে লাগল! তখন তার বাড়ীর কথা ভীষণ মনে পড়ল।
সে মনে মনে বলল, ‘আমি বোকার মত কাজ করছি। আমার বাবার চাকরেরা এরচেয়ে অনেক ভাল খাবার খেতে পায়। আর এখানে আমি খিদের জ্বালায় কষ্ট পাচ্ছি। আমি বাড়ী যাব। আমি গিয়ে আমার বাবাকে বলব যে, আমি খুবই দুঃখিত, আমি খুব অন্যায় করেছি। আমি তোমার ছেলে হবার যোগ্য নই। হয়তো তিনি আমাকে তাঁর একজন চাকরের মত রাখবেন, তবুও আমি আমার বাবার কাছে যাব।’সে বাড়ীর দিকে রওনা দিল। তার বাবা দেখতে পেলেন যে, তার ছোট ছেলে আসছে। তিনি দৌড়ে তার কাছে গিয়ে দু’হাত বাড়িয়ে তাকে জড়িয়ে ধরলেন!তিনি তার চাকরদের বললেন, ‘নতুন কাপড় চোপড় আন এবং একটি বাছুর কেটে ভোজের ব্যবস্থা কর।
আমার সঙ্গে আনন্দ কর কারণ আমি ভেবেছিলাম আমার এই ছেলেটি মারা গেছে কিন্তু সে এখনও বেঁচে আছে!’তার বড় ভাই মাঠে কাজ করছিল; বাড়ীতে আসার পর এত আয়োজন দেখে সে ভীষণ রেগে গেল!সে তার বাবাকে বলল, ‘আমি এতগুলো বছর ধরে তোমার কাজ করছি কিন্তু তুমি আমার জন্য কোন ভোজের ব্যবস্থা কর নি; কিন্তু যে আমার ভাই হওয়ার যোগ্য না, তুমি তার জন্য বাছুর কেটে ভোজের ব্যবস্থা করেছ এ তুমি কেমন বাবা?তার বাবা বললেন, ‘তুমি তো জানই যে, আমার যা কিছু আছে তা সবই তোমার। আমাদের অবশ্যই আনন্দিত ও খুশি হওয়া উচিৎ, কারণ তোমার যে ভাই হারিয়ে গিয়েছিল তাকে আবার পাওয়া গেছে।’
লূক ১৫:১১-৩২