ads20
যীশু খ্রীষ্টের সর্বাধিক ব্যবহৃত ৫টা নাম হচ্ছেঃ
যোষেফ যখন এই সব ভাবছিলেন তখন প্রভুর এক দূত স্বপ্নে দেখা দিয়ে তাঁকে বললেন, “দায়ূদের
বংশধর যোষেফ, মরিয়মকে বিয়ে করতে ভয় কোরো না, কারণ তাঁর গর্ভে যিনি জন্মেছে তিনি
পবিত্র আত্মার শক্তিতেই জন্মেছেন। তাঁর একটি ছেলে হবে। তুমি তাঁর নাম যীশু রাখবে, কারণ
তিনি তাঁর লোকদের তাদের পাপ থেকে উদ্ধার করবেন।” মথি ১:২০-২১
হিব্রু শব্দ যিহোশূয় (যিহোঃ ১:১, সখঃ ৩:১) থেকে গ্রীক নাম যীশু বা যেশূয় (ইস্রা ২:২) এসেছে।
যার অর্থ “উদ্ধার পাওয়া”। এই নামের মাধ্যমে যীশু খ্রীষ্টকে উদ্ধারকর্তা হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে
(মথি ১:২১)। পুরাতন নিয়মে দুইজনকে এই নাম দেয়া হয়েছে, নুনের ছেলে যিহোশূয় এবং
যিহোষাদকের ছেলে যিহোশূয়।
শিমন-পিতর বললেন, “আপনি সেই মশীহ, জীবন্ত ঈশ্বরের পুত্র।”মথি ১৬:১৬
নতুন নিয়মে মশীহ শব্দটিকে খ্রীষ্ট বলা হয়েছে, এর অর্থ হচ্ছে অভিষিক্ত।
পুরাতন নিয়ম অনুসারে ভাববাদী (১রাজা ১৯:১৬) এবং রাজাদের (১শমু ১০:১) অভিষিক্ত করা হত। এতে তারা নিজ নিজ অবস্থানের জন্য যোগ্য বলে গণ্য হত। যীশু খ্রীষ্টকে অভিষিক্ত করা হয়েছে তিনি যখন মরিয়মের গর্ভে
এসেছে এবং যখন তিনি বাপ্তিস্ম নিয়েছেন (মথি ৩:১৩-১৬)।
মনে রেখো, মনুষ্যপুত্র সেবা পেতে আসেননি বরং সেবা করতে এসেছেন এবং অনেক লোকের মুক্তির
মূল্য হিসাবে তাদের প্রাণের পরিবর্তে নিজের প্রাণ দিতে এসেছেন।” মার্ক ১০:৪৫
যীশু খ্রীষ্টের এই নাম প্রথম বলা হয়েছে দানিয়েল ৭:১৩ পদে। এই নামটি যীশু খ্রীষ্ট নিজের পরিচয়
দিতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেছেন। যদিও অন্যেরা এই নাম খুব কমই ব্যবহার করত।
এই নাম যীশু খ্রীষ্টের মানুষরূপে প্রকাশ করে। একই সাথে এই নামের মাধ্যমে তার অতিমানবীয়
রূপ ও স্বর্গের মেঘ নিয়ে গৌরবের সাথে দ্বিতীয় আগমনকে প্রকাশ করে দানিয়েল ৭:১৩,
মথি ১৬:২৭, ২৮, ২৬:৬৪, লূক ২১:২৭)।
যে কেউ স্বীকার করে যীশু ঈশ্বরের পুত্র, ঈশ্বর তার মধ্যে থাকেন এবং সেও ঈশ্বরের মধ্যে থাকে।
১যোহন ৪:১৪
যীশু খ্রীষ্টকে ঈশ্বরের পুত্র বলার কয়েকটা কারণ রয়েছে। তিনি ত্রিত্ব ঈশ্বরের একজন তাই তিনি নিজেই
ঈশ্বর (মথি ১১:২৭) । আরেকটি কারণ হচ্ছে তিনিই মশীহ (মথি ১৬:১৬)। এবং তার জন্ম
হয়েছে অতিমানবীয় প্রক্রিয়ায় (লূক ১:৩)।
তোমরা আমাদের প্রভু ও উদ্ধারকর্তা যীশু খ্রীষ্টের দয়ায় ও তাঁর সম্বন্ধে জ্ঞানে বেড়ে উঠতে থাকে।
এখন এবং অনন্ত কাল পর্যন্ত তাঁরই গৌরব হোক। আমেন। ২পিতর ৩:১৮
সাধারণত লোকেরা যীশু খ্রীষ্টকে প্রভু বলে সম্মান করত, ঠিক যেমন আমরা সম্মানিত লোককে “স্যার”
বলে সম্মোধন করি। কিন্তু তাঁর পুনরুত্থানের পর এই নামের গভীরতা প্রকাশ পায়।
কয়েকটি বাইবেল পদে যীশু খ্রীষ্টকে মণ্ডলীর স্বত্বাধিকারী ও শাসক হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে
(রোমীয় ১:৭, ইফিষীয় ১:১৭) আবার কয়েক জায়গায় তাঁর ঈশ্বরত্বের জন্যই এই নাম বলা হয়েছে।