আদিপুস্তকে উল্লেখিত লোকেরা কেন এত দীর্ঘকাল বেঁচে ছিলেন বা দীর্ঘায়ু হয়েছিলেন?

ads20
    আদিপুস্তকে উল্লেখিত লোকেরা কেন এত দীর্ঘকাল বেঁচে ছিলেন বা দীর্ঘায়ু হয়েছিলেন?
    এটি একটি রহস্যে ঘেরা ব্যাপার যে, আদিপুস্তকের শুরুর অধ্যায়গুলোতে উল্লেখিত লোকেরা কেন এত দীর্ঘকাল বেঁচে ছিলেন। এ ব্যাপারে বাইবেল বিশারদদের সামনে অনেকগুলো তত্ত্ব রয়েছে। আদিপুস্তক ৫ অধ্যায়ে উল্লেখিত বংশ তালিকায় আদমের ধার্মিক বা ঐশ্বরিক বংশধরদের বিষয় বলা হয়েছে- এই ধারাবাহিকতায় মশীহের উদ্ভব হয়েছিল। এই সব লোকদের ধার্মিকতা এবং বাধ্যতার ফলস্বরূপ সম্ভবত ঈশ্বরের বিশেষ আশীর্বাদের কারণে তারা এত দীর্ঘকাল বেঁচে ছিলেন। যখনি এটিই সম্ভাব্য ব্যাখ্যা হয়ে দাঁড়ায় তখন ঈশ্বর আর অন্য কোথাও কোন ব্যক্তির জীবনকাল বিশেষভাবে সীমাবদ্ধ করেন না। একমাত্র ইনোক ছাড়া আদিপুস্তক ৫ অধ্যায় অন্য আর কাউকেই এরূপ ধার্মিক বলে চিহ্নিত করে না। বিষয়টি এমন, ঐ সময়ে বসবাসরত প্রায় সকরলেই কয়েক শ’ বছর বেঁচেছিলেন। তাদের এই দীর্ঘ জীবন লাভের পিছনে সম্ভবত তাদের নিজেদের বেশ কিছু বিষয় যথেষ্ট অবদান রেখেছিল। 

    আদিপুস্তক ১:৬-৭ পদে উল্লেখ আছে যে, বিস্তীর্ণ অঞ্চলের উপরে জলরাশি ছিল, এই জলরাশি বা জলের চাঁদোয়া সমস্ত পৃথিবীকে বেষ্টন করে রেখেছিল। সম্ভবত, এই বিশাল জলরাশি (স্তর) চারিদিকে একটি সবুজবেষ্টনীর সৃষ্টি করেছিল যা তৎকালীন লোকদের সূর্যের প্রচন্ড তাপ-বিকিরণ থেকে তাদের রক্ষা করেছিল, কিন্তু বর্তমানে সূর্যের এই প্রচন্ড তাপ বা তাপের বিকিরণ পৃথিবীকে আঘাত করছে। আর এ জন্য ভালোভাবে বেঁচে থাকবার একটি সুন্দর বা আদর্শ পরিবেশ গড়ে উঠেছিল যা মানুষের সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর জীবন ধারনের নিয়ামক হিসাবে কাজ করেছিল। আদিপুস্তক ৭:১১ পদ ইঙ্গিত করে যে, বন্যার সময়ে পৃথিবী জলে ভরে গিয়েছিল এবং আদর্শ জীবন ধারনের সমস্ত শর্ত/উপাদানগুলো ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। বন্যার আগের জীবনধারার (আদিপুস্তক ৫:১-৩২ পদ) সঙ্গে বন্যা পরবর্তী জীবনধারা (আদিপুস্তক ১১:১০-৩২ পদ) তূলনা করা প্রয়োজন। বন্যার পর পরই খুব দ্রতই মানুষের বয়স নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছিল।
    অন্য একটি বিষয় বিবেচনা করা প্রয়োজন, কারণ সৃষ্টি পরবর্তী প্রথম দিককার কয়েকটি প্রজন্মের মধ্যে কতিপয় জীনগত ত্রুটি বৃদ্ধি পেয়েছিল। আদম ও হবাকে নিখুঁতভাবে সৃষ্টি করা হয়েছিল। তাদের রোগ ও অসুস্থতাকে জয় করার প্রবল প্রতিরোধ ক্ষমতা ছিল। উত্তরাধিকারী হিসেবে স্বল্প মাত্রায় হলেও তাদের পরবর্তী বংশধরদেরও এরূপ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সময় পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাপের কারণে মানুষের জীনগত বিষয়গুলো কলঙ্কিত হয়ে পড়ল এবং মানবজাতি আগের তুলনায় আরও বেশী পরিমাণে রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ও মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যেতে থাকল। মানুষের দীঘায়ু কমে যাওয়ার পিছনে এটিও একটি অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচিত।
    সূত্র: ইন্টারনেট, 

    পরিচিতদেরকে জানাতে শেয়ার করুন

    আপনার জন্য আরো কিছু পোস্ট

    RELATED ARTICLES

      ADS