ইস্টারের তাৎপর্য

ads20
    ইস্টার প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মৃত্যু থেকে জীবিত হওয়ার ক্ষণকে স্মরণ করিয়ে দেয়। খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা প্রত্যেক রবিবার প্রভু যীশুর মৃত্যু থেকে বিজয়ী হওয়ার ঘটনাকে স্মরণ করে চার্চ বা গীর্জায় যায় অথবা কোন জায়গায় মিলিত হয়। কিন্তু ইস্টারের সময় বাৎসরিকভাবে যীশুর মৃত্যু থেকে পুনরুত্থানের বিজয় স্মরণ করে। খ্রীষ্টের এই বিজয় শয়তানের কার্যকে ধ্বংস করার দিনকে বুঝায়। শয়তানের প্ররোচনায় সৃষ্টির শুরুতে আমাদের আদি পিতা-মাতা পাপে পতিত হয়েছিলেন। সেই পাপ শুধু তাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না কিন্তু তা’ সমস্ত মানব জাতির কাছে জীবানুর মতো ছড়িয়ে পড়ে। যে পাপকে ধর্মতাত্বিক দিক থেকে আদি পাপ বা ঙজওএওঘঅখ ঝওঘ হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। মানুষের পাপই খ্রীষ্টকে ক্রুশের দিকে নিয়ে গেছে। ক্রুশেতে তাঁর মহামূল্য জীবন দানের মধ্য দিয়ে মানুষের জন্যে অর্থাৎ তাঁর প্রজাদের জন্য অনন্তকালীন মুক্তি বা উদ্ধার অর্জন করেন। সেইকারণে খ্রীষ্টের মৃত্যু থেকে পুনরুত্থান খ্রীষ্টবিশ্বাসীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা যা খ্রীষ্টবিশ্বাসের একটি শক্তিশালী ও অত্যন্ত গুরুত্বর্পূণ স্তম্ভ।এই প্রবন্ধে খ্রীষ্টের মৃত্যু ও পুনরুত্থানের অর্থাৎ ইস্টারের তাৎপর্য আলোচনা করা হবে। প্রভু যীশুর ক্রুশীয় মৃত্যুর কারণ:-
    খ্রীষ্টের ক্রুশীয় মৃত্যু আমাদের জীবনে বিভিন্ন দিক থেকে আর্শিবাদ বয়ে নিয়ে আসে। ধর্মতাত্বিক ওয়েন গ্রডেম (ডঅণঘঊ এজটউঊগ) তাঁর ঝণঝঞঊগঅঞওঈ ঞঐঊঙখঙএণ পুস্তকে চারটি আর্শিবাদের কথা বলেছেন পাপীর পরিত্রাণের প্রয়োজনীতা মেটায়। প্রথমত: আত্ম বলিদানের জন্য। আমাদের পাপের জন্য বেতন জমা রয়েছে। সেই বেতন মৃত্যু ( রোমীয় ৬:২৩ পদ)। কিন্তু খ্রীষ্ট সেই মূল্য পরিশোধ করেছেন। প্রভুর বাণী এ কথা বলে “-- কিন্তু বাস্তবিক তিনি একবার, যুগপর্যায়ের পরিণামে আত্মযজ্ঞ দ্বারা পাপ নাশ করিবার নিমিত্ত, প্রকাশিত হইয়াছেন।” ( ইব্রীয় ৯:২৬ পদ)। দ্বিতীয়ত: ঈশ্বরের ক্রোধ দূর করার আমাদের পাপের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করেছেন। আমাদের প্রতিটি পাপ ঈশ্বর ঘৃণা করেন। ফলশ্রুতিতে ঈশ্বরের ক্রোধ পাপীদের প্রতি বর্তমান থাকে। কিন্তু ঈশ্বর পাপীদের প্রতি তাঁর ভালবাসা প্রকাশ করেছেন প্রভু যীশুর কৃত বলিদানের মধ্য দিয়ে। “পাপার্থক প্রায়শ্চিত্ত” একটি বলিদান যা ঈশ্বরের ক্রোধকে শান্ত করে। বাইবেল এ সম্পর্কে বলে, “ কিন্তু তিনিই আমাদিগকে প্রেম করিলেন; এবং আপন পুত্রকে আমাদের পাপার্থক প্রায়শ্চিত্ত হইবার জন্য প্রেরণ করিলেন। ” ( ১ যোহন ৪:১০ পদ)। তৃতীয়ত: পুর্নমিলনের জন্য। পাপই ঈশ্বরের সাথে আমাদের বিচ্ছেদ ঘটায়। “কিন্তু তোমাদের অপরাধ সকল তোমাদের ঈশ্বরের সহিত তোমাদের বিচ্ছেদ জন্মাইয়াছে ” ( যিশাইয় ৫৯:২ পদ )। এই বিচ্ছেদের দেওয়াল ভাঙ্গার জন্য একজন প্রয়োজন যিনি পিতা ঈশ্বরের সাথে মিলন করিয়ে দিবেন। তাই ঈশ্বরের পবিত্র বাণী এই কথা বলে, “কিন্তু এখন খ্রীষ্ট যীশুতে, পূর্বে দূরবর্তী ছিলে যে তোমরা, তোমরা খ্রীষ্টের রক্ত দ্বারা নিকটবর্তী হইয়াছ। কেননা তিনিই আমাদের সন্ধি; তিনি উভয়কে এক করিয়াছেন, এবং মধ্যবর্তী বিচ্ছেদের দেওয়াল ভাঙ্গিয়া ফেলিয়াছেন। ” ( ইফিষীয় ২:১৩ পদ)। খ্রীষ্ট ক্রুশীয় মৃত্যু দ্বারা তিনি হারানো সম্পর্ক ফিরিয়ে দিয়েছেন। “তিনি (ঈশ্বর) খ্রীষ্ট দ্বারা আপনারা সহিত আমাদের সন্মিলন করিয়াছেন” ( ২ করি ৫:১৮)। চতুর্থত: তিনি আমাদের মুক্ত করেছেন। আমরা পাপী হিসাবে পাপ ও শয়তানের কাছে বিক্রিত। তাই আমাদের এমন একজন প্রয়োজন যিনি এই বন্ধিত্ব থেকে মুক্ত করবে। যখন আমরা মুক্তির কথা বলি তখন মুক্তির মূল্য বা পণের কথা চলে আসে। প্রভু যীশু তাঁর মিশন সম্পর্কে বলেন, “কারণ বাস্তবিক মনুষ্যপুত্র পরিচর্য্যা পাইতে আসেন নাই, কিন্তু পরিচর্য্যা করিতে এবং অনেকের পরিবর্তে আপন প্রাণ মুক্তির মূল্যরূপে দিতে আসিয়াছেন।” ( মার্ক ১০:৪৫ পদ)। খ্রীষ্টের মৃত্যু আমাদের শয়তানের কারা থেকে মুক্ত করেছে কারণ শয়তান সমস্ত জগতে বিরাজমান ( ১ যোহন ৫:১৯ পদ)। তাছাড়া খ্রীষ্টের বাক্য আরও সাক্ষ্য দেয়,” মৃত্যু দ্বারা মৃত্যুর কর্তৃত্ব বিশিষ্ট ব্যক্তিকে অর্থাৎ দিয়াবলকে (শয়তান) শক্তিহীন করেন, (ইব্রীয় ২:১৪ পদ)। এ প্রসঙ্গে খ্রীষ্ট সঙ্গীতের একটা গান মনে পড়ে, “রক্ত দিয়ে যীশু কিনেছেন আমায়, দাবী নেই কারো আর, আমি যে তাঁর।” এই সুন্দর গানটি’ প্রভু যীশুর ক্রুশীয় মৃত্যুর অন্যতম কারণটি স্মরণ করিয়ে দেয়। 
    খ্রীষ্টের পুনরুত্থানের তাৎপর্য :- প্রথমত: খ্রীষ্টের পুনরুত্থান আমাদের পুনরুত্থান নিশ্চিত করে। বাইবেল পরিষ্কারভাবে বিশ্বাসীদের পুনরুত্থানের কথা প্রতিশ্রুতি দেয়। যেমন- যিশাইয় ২৬:১৯ পদ “তোমরা মৃতেরা জীবিত হইবে, আমার শবসমূহ উঠিবে; হে ধূলি নিবাসীরা তোমরা জাগ্রত হও, আনন্দ কর” ভাববাদী দানিয়েল ভাববাণী করেন এভাবে, “আর মৃত্তিকার ধূলিতে নিদ্রিত লোকদের মধ্যে অনেকে জাগরিত হইবে- কেহ কেহ অনন্ত জীবনের উদ্দেশ্যে, এবং কেহ কেহ লজ্জার ও অনন্ত ঘৃণার উদ্দেশ্যে।” (দানিয়েল ১২:২ পদ)। নতুন নিয়মে পুনরুত্থানের শিক্ষা আরও পরিষ্কার (মথি ২২:২৯-৩২ পদ, মার্ক ১২:২৪-২৭; লূক ২০:৩৪-৩৮ পদ)। প্রেরিত যোহন যীশুর বাক্য এভাবে ধারণ করেছেন, “সত্য, সত্য; আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, এমন সময় আসিতেছে, বরং এখন উপস্থিত, যখন মৃতেরা ঈশ্বরের পুত্রের (যীশুর) রব শুনিবে, এবং যাহারা শুনিবে, তাহারা জীবিত হইবে।” ( যোহন ৫:২৫ পদ)। যীশু আরও বলেন, “আমিই পুনরুত্থান ও জীবন; যে আমাতে বিশ্বাস করে, সে মরিলেও জীবিত থাকিবে। ” ( যোহন ১১:২৫ পদ)। তাই খ্রীষ্টের পুনরুত্থান আমাদের পুনরুত্থানের প্রথম ফল (১ করি ১৫:২৩ পদ)। সত্যিকার অর্থে কেউই পুনরুত্থান থেকে বঞ্চিত হবে না; কেউবা স্বর্গের জন্য অন্য কেউ অনন্ত নরকের জন্যে। আমরা দেখেছি খ্রীষ্টের কন্ঠস্বরের মধ্য দিয়ে মৃতেরা কবর থেকে বেরিয়ে আসবে। দ্বিতীয়ত: খ্রীষ্টের পুনরুত্থান খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের ধার্মিক গণিত করে। পিতা ঈশ্বর খ্রীষ্টকে পুনরায় জীবিত করার মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেন খ্রীষ্টের প্রায়শ্চিত্ত বলিদান তিনি গ্রহণ করেছেন। খ্রীষ্টের বলিদান যথেষ্ট পাপী মানুষকে ক্ষমা করে ধার্মিক গণিত করা, তাইতো শাস্ত্র আমাদের এভাবে আশ্বস্থ করে,” সেই যীশু আমাদের অপরাধের নিমিত্ত সমর্পিত হইলেন, এবং আমাদের ধার্মিক গণনার নিমিত্ত উত্থাপিত হইলেন।” (রোমীয় ৪:২৫ পদ)। ঈশ্বর তাঁর করুণায় যারা খ্রীষ্টের মৃত্যু ও পুনরুত্থানকে বিশ্বাস করে, তাদের ঈশ্বরের দৃষ্টিতে ধার্মিক গণিত হয়। এটা প্রভুর দেওয়া দান কারণ মানুষের কৃত ব্যবস্থা পালন দিয়ে কেউই ঈশ্বরের কাছে ধার্মিক বলে গ্রহিত হয় না ( রোমীয় ৩:২০, গালাতীয় ৩:১১ পদ)। তাই খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের ঈশ্বরের ধন্যবাদ ও সৎ জীবন যাপন চেষ্টা করা ছাড়া কিছুই নেই।তৃতীয়ত: খ্রীষ্টের পুনরুত্থানের মধ্য দিয়ে খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের নতুন জন্ম হয়। ( ১ পিতর ১:৩ পদ)। খ্রীষ্টের পুনরুত্থানের সাথে খ্রীষ্ট বিশ্বাসীর সরাসরি যোগাযোগ সম্বন্ধ রয়েছে। খ্রীষ্টের পুনরুত্থিত জীবনের মধ্য দিয়ে তিনি বিশ্বাসীদের নতুন জীবন দান করেন। যদিও পৃথিবীতে থাকতে থাকতে খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা সমস্ত দুর্বলতা, প্রলোভন, দেহক্ষয় এবং মৃত্যুর সম্মুখীন হয় তবুও তাদের নতুন জীবন অনন্তের পথে নিয়ে যায়। সেইজন্য খ্রীষ্টের পুনরুত্থান নতুন জন্মের নতুন প্রত্যাশা ও সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার নতুন শক্তি দান করে। কারণ যখন কোন পাপী খ্রীষ্টের কাছে আসে এবং তাঁর বিশ্বাস তাঁর উপরে রাখে তখন একজন পাপী ঈশ্বরের পরিবারে জন্মগ্রহণ করে এবং নতুন প্রকৃতি পায় ( যোহন ১:১৭ পদ, ৩:১-২১ পদ)। চতুর্থত:- শেষ বিচারের নিশ্চয়তা দান করে:- প্রতিটি মানুষকে এক সময় ঈশ্বরের সাক্ষাতে দাঁড়াতে হবে। মানুষ যুগে যুগে ঈশ্বরের সাধারণ বিচারের ও শাস্তির সম্মুখীন হয়েছে। যেমন নোহের জলপ্লাবন, সদোম ও ঘোমরার বিনাশ, ই¯্রায়েল জাতির উপর ঈশ্বরের শাস্তি। এই সকল ঘটেছে মানুষের পাপের জন্য। বর্তমান সময়ে ঈশ্বর মানুষের শেষ বিচারের জন্য তাগিদ দিচ্ছে। শেষ বিচার যে তিনি প্রভু যীশুর মধ্য দিয়ে করবেন তাঁর প্রমাণ খ্রীষ্টের পুনরুত্থান। প্রভুর বাক্য এই কথা বলে, “কেননা তিনি একটি দিন স্থির করিয়াছেন, সে দিনে তিনি আপনার নিরূপিত ব্যক্তি দ্বারা ন্যায়ে জগৎ-সংসারে বিচার করবেন; এই বিষয়ে সকলের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ দিয়েছেন, ফলত মৃতগণের মধ্য হইতে তাঁহাকে উঠাইয়াছেন। ( প্রেরিত ১৭:৩১ পদ)। খ্রীষ্টবিশ্বাসীদের আমার বাণী হচ্ছে, “সত্য, সত্য আমি তোমাদিগকে বলিতেছি যে ব্যক্তি আমার বাক্য শুনে, যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন, তাঁহাকে বিশ্বাস করে, সে অনন্ত জীবন পাইয়াছে। সে বিচারে আনীত হয় না; কিন্তু সে মৃত্যু হইতে জীবনে পার হইয়া গিয়াছে।” ( যোহন ৫:২৪)। বিচার সামনে উপস্থিত। ঈশ্বর মানুষকে মন পরিবর্তন করে খ্রীষ্টের কৃত বলিদান ও পুনরুত্থান গ্রহণের আমন্ত্রণ সবাইকে জানাচ্ছে। ( প্রেরিত ১৭:৩০)। আসন্ন ঈশ্বরের ক্রোধ থেকে বাঁচার উপায় হচ্ছে ঈশ্বর প্রদত্ত ব্যবস্থা যা তিনি প্রভু যীশুর মধ্য দিয়ে সম্পন্ন করেছেন তা গ্রহণ করে সৎ জীবন যাপন করা। তা না হলে, শেষ বিচরের কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করছে। পঞ্চমত:- খ্রীষ্টের পুনরুত্থান তাঁর ঈশ্বরের দাবী পূর্ণতা দান করে। খ্রীষ্ট তাঁর ক্রুশীয় মৃত্যুর পূর্বে অনেক দাবী করেছেন। তাঁর অন্যতম দাবী ছিল তিনি ঈশ্বরের পুত্র। তাঁর এই দাবীর সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে তাঁর পুনরুত্থানের মধ্য দিয়ে। পবিত্র শাস্ত্র এ কথা বলে, “যিনি পবিত্রতার আত্মার সম্বন্ধে মৃতগণের পুনরুত্থান দ্বারা সপরাক্রমে ঈশ্বরের পুত্র বলিয়া নির্দিষ্ট, তিনি যীশু খ্রীষ্ট।” (রোমীয় ১:৪ পদ)। প্রভুর আরও বলে. “যে কেহ স্বীকার করিবে যে, যীশু ঈশ্বরের পুত্র, ঈশ্বর তাহাতে থাকেন এবং সেও ঈশ্বরে থাকে।” ( যোহন ৪:৪ পদ)। তাই খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা খ্রীষ্টের পুত্রত্বের দাবী নিয়ে বিশ্বাস করে ঈশ্বরীয় প্রদত্ত জীবন চলতে উৎসাহিত হয়। কারণ খ্রীষ্টের পুত্রত্বের মধ্যই অনন্ত জীবন।
    উপসংহার:- সমস্ত মানুষের জন্য আনন্দের সংবাদ হচ্ছে, খ্রীষ্ট মানুষের পাপের জন্যে ঈশ্বরীয় পরিকল্পনা অনুসারে ক্রুশে মরেছিলেন এবং তৃতীয় দিবসে মৃত্যু থেকে জীবিত হয়েছিলেন। মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো মৃত্যু। খ্রীষ্ট মৃত্যুর হুলকে তাঁর মৃত্যু ও পুনরুত্থান দ্বারা ধব্ংস করেছেন। উপরোক্ত আলোচনায় আমরা দেখেছি খ্রীষ্ট সত্যিই ক্রুশে মরেছিলেন ও উত্থিত হয়েছেন শুধু আমাদের পাপ থেকে মুক্তি দেবার জন্যে। আজকে আপনিও খ্রীষ্টের বাণী শ্রবণ করে ঈশ্বরের পরিবারে জন্ম নিতে পারেন পাপের ক্ষমা ও পরিত্রাণের নিশ্চয়তায়। প্রভুর বাক্য বলে, “তুমি যদি মুখে যীশুকে প্রভু বলিয়া স্বীকার কর, এবং ‘হৃদয়ে’ বিশ্বাস কর যে, ঈশ্বর তাঁহাকে মৃতগণের মধ্য হইতে উত্থাপন করিয়াছেন, তবে পরিত্রাণ পাইবে।” ( রোমীয় ১০:৯ পদ)। তাই আসুন প্রভুর মৃত্যু ও পুনরুত্থানকে ধ্যান করতে করতে তাঁকে অনুধাবন ও অনুসরণ করি। আর তাতেই ইস্টারের আনন্দের পূর্ণতা পাবে। আমেন।।
     লেখকঃ আমোষ দেউড়ী

    পরিচিতদেরকে জানাতে শেয়ার করুন

    আপনার জন্য আরো কিছু পোস্ট

    RELATED ARTICLES

      ADS