খ্রীষ্টই হলো অদৃশ্য ঈশ্বরের দৃশ্যমান প্রকাশ

ads20
    আমরা জানি যীশুর জন্মস্থান বৈৎলেহম এবং তার জীবনেরবহূ বিস্ময়কর ঘটনার সাক্ষীযিরূশালেম নগরী এবং যিহুদা প্রদেশ। যিরুশালেমের কাছেই ছিল বৈথনিয়া শহর। যিশু যে সময়ে এ জগতে এসেছিলেন,সে সময়ে তিনটি প্রধান বৈশিষ্ট হলো রোম সা¤্রাজ্যের ক্ষমতা, গ্রীক সংস্কৃতি এবং ইহুদি ধর্ম । ঈশ্বর কিভাবে এই তিনটি ঘটনাকে সেই সময়ে ভিত্তি স্থাপনের  কাজে লাগিয়েছিলেন, যেন তার পুত্র এ জগতে এসে  তার কাজ শুরু করতে পারেন । যেমন গালাতীয় ৪:৪ পদে বলা হয়েছে, সময় পূর্ণ হলে পর ঈশ্বর তাঁর পুত্রকে আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিলেন।পিতা ঈশ্বর কেমন তা দেখবার জন্য যীশু জগতে এসেছিলেন। তিনি অদৃশ্য ঈশ্বরের দৃশ্যমান প্রকাশ। যীশুর মধ্যে ঈশ্বরের স্বাভাবিক এবং নৈতিক বৈশিষ্টগুলি বর্তমান। অলৌকিক অবতারের মাধ্যমে তিনিমানুষের স্বভাব ও আকার গ্রহন করেন । এই কাজের মাধ্যমে তিনি ঈশ্বরের গুণাবলি প্রকাশ করেছেন এবং এই গুলি মানুষকে প্রদান করেছেন। যীশু বলেছেন, যে আমাকে দেখেছে, সে পিতাকেও দেখেছে”। যোহন ১৪:৯ পদ।
    পবিত্র শা¯্র আমাদের এই শিক্ষা দেয়, আমাদের রক্ষা করার জন্য ঈশ্বরের অনন্ত পুত্র মানব রূপ ধারন করেছিলেন। তাঁর পুত্র দেহ ধারন করলে পর ঈশ্বর সম্পূর্ন নতুন এক পথে জগতে কাজ করেছেন। যীশু পবিত্র আত্মার শক্তিতে কুমারী মরিয়মের গর্ভে এসেছিলেন। এই অসাধারন সৃষ্টি কাজে ঈশ্বর মানুষের বংশগত ধারাবাহিকতা ভেঙ্গে এক ঐশ্বরিক সত্তাকে জগতে এনেছিলেন। আমরা যখন বুঝতে পারি যে, এটি ছিল ঈশ্বরের একটি নতুন কাজের অংশ তখন এই আশ্চর্য ঘটনার রহস্য অনেকাংশে দুর হয় । ঈশ্বর-পুত্র নিজে রক্ত মাংশ হয়ে রক্ত মাংসের জীব মানুষকে উদ্ধার করতে এসেছিলেন। নিজের মৃত্যু দ্বারা মানুষের পরিত্রান অর্জনের জন্য তিনি তা করেছিলেন। ঈশ্বর তার অবতারের মাধ্যমে পৃথিবীতে তার উদ্ধার পরিকল্পনার কাজ করেছিলেন। কিন্তু সময় পূর্ণ হলে পর ঈশ্বর তার পুত্রকে পাঠিয়ে দিলেন। সেই পুত্র স্ত্রীলোকের গর্ভে জন্ম গ্রহণ করলেন;(গালাতীয় ৪:৪পদ)। তার পরিত্রানের উদ্দেশ্য সাধনের অন্য কোন পথ ছিল না ।
    খ্রীষ্টের মানব রুপ ধারন :পবিত্র বাইবেলঅনুযায়ী প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অবতারত্ব বা আবির্ভাব নি:সন্দেহে সবচেয়ে মৌলিক বিষয়।অবতার আর্বিভাব কথাটি যীশুর মধ্যে ঈশ্বরত্ব ও মানবত্বের মিলনের প্রতি ইঙ্গিত করে। আমাদের পবিত্র শাস্ত্র স্পষ্টরুপে এই শিক্ষা দেয় যে, আমাদের রক্ষা করার জন্যঈশ্বরের অনন্ত পুত্র মানব রুপে আর্বিভাব হয়েছিলেন। তার পুত্র ”দেহ ধারণ ” করলে পর ঈশ্বর সম্পূর্ণ নতুন এক পথে জগতে কাজ করেছেন। যীশু পবিত্র আত্মার শক্তিতে কুমারী মরিয়মের গর্ভে এসেছিলেন। এই অসাধারন সৃষ্টি কাজে ঈশ্বর মানুষের বংশগত ধারাবাহিকতা ভেঙ্গে এক ঐশ্বরিক সত্তাকে জগতে এনেছিলেন। আমরা যখন বুঝতে পারি যে, এটি ছিল ঈশ্বরের একটি নতুন কাজের অংশ তখন এই আশ্চর্য ঘটনার রহস্য অনেকাংশে দুর হয়। ঈশ্বর পুত্র নিজে রক্ত মাংস হয়ে রক্ত-মাংসের জীব মানুষকে উদ্ধার করতে এসেছিলেন । নিজের মৃত্যুর দ্বারা মানুষের পরিত্রান অর্জনের জন্য তিনি তা করেছিলেন।ঈশ্বর তার নিজের অবতারের মাধ্যমে পৃথিবীতে তার উদ্ধার পরিকল্পনার কাজ শুরু করেছিলেন:কিন্তু সময় পূর্ণ হলে পর ঈশ্বর তার পুত্রকে পাঠিয়ে দিলেন। মানুষের পরিত্রানের উদ্দেশ্য সাধনের অন্য কোন পথ ছিল না।
    সুতরাং অবতার ছিল পাপমানুষের একটি পরিবর্তনের কেন্দ্র বিন্দু: কারন এর ফলেই ঈশ্বর ও মানুষের মধ্যে পুর্নমিলন সম্ভব হয়েছে। ঈশ্বরের পরিত্রান পরিকল্পনায় যীশুর মানব হওয়া বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ঈশ্বরের পরিত্রান পরিকল্পনায় যেহেতু যীশুর মানব হওয়া বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, তাই আমরা তার মানবত্বের কতিপয় নিদর্শন সম্পর্কে জানতে পারব। তাঁর মানব পূর্ব পুরুষগণ, মানব-সুলভ বৃদ্ধি, মানব চেহারা, মানব-সুলভ সীমাবদ্ধতা এবং মানব-সুলভ নাম,ইত্যাদি এর অন্তভুক্ত ।
    মানব পূর্ব পুরুষগণ, মানব-সুলভ বৃদ্ধি : বাইবেল অনুযায়ী মথি ও লুক লিখিত সুসমাচারে লেখক খ্রীষ্টের মানব বংশ সুত্র দেখিয়েছেন। মথি লিখিত সুসমাচরে যীশুকে দায়ুদের বংশ বলে উল্লেখ করেছেন। যীশু যে দায়ুদের বংশজাত তা প্রমান করাই ছিল তার উদ্দেশ্য। অব্রাহমের বংশ হিসেবে তিনি ছিলেন সেই প্রতিজ্ঞাত শিশু যার মাধ্যমে পৃথিবীর সকল পরিবার আর্শীবাদ লাভ করবে(আদি ২২:১৭-১৮ পদ)। যদিও তিনি মানব রুপে এসেছিলেন তথাপি এটি মনে রাথা উচিত তার জন্ম অন্য রকর ভাবে অলৌকিক,তবুও তা ছিল মানব জন্ম।
    মানব চেহারা ও সীমাবদ্ধতা : সমস্ত প্রমান বা নিদর্শন এই ইংগিত করে যে, যীশুর দৈহিক চেহারা অন্যান্য লোকদের মতই ছিল। প্রকৃত পক্ষে লোকদের দৈনন্দিন কার্যক্ষেত্রে যীশু এতই তাদের মত ছিলেন যে, তিনি নিজেকে স্বর্গীয় পিতার সাথে এক বলে দাবি করলে শ্রোতারা অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হয়েছিল। যোহন লিখিত সুসমাচারের ১০:৩৩ পদে দেখতে পাই, সাধারনের মধ্য থেকে ক্রুদ্ধ হয়ে সাড়া দিয়েছিল যে তিনি একজন সাধারন মানুষ ছিলেন, আর তাই নিজেকে ঈশ্বর বলে দাবি করবার কোন অধিকার তার নেই। যীশুর ঘনিষ্ট সঙ্গী সাথীরা কেউই কখনও সন্দেহ করেনি যে তিনি একজন মানুষ। অনেক সময়,তিনি একজন অসাধারন মানুষ, এই সত্যটি উপলব্ধি করে তারা মুগ্ধ হয়েছেন: ইনি কে যে, বাতাস এবং সাগরও তার কথা শোনে ?(মার্ক -৪:৪১)। মানুষের চেহারা গ্রহণ করবার সময় যীশু স্বেচ্ছায় মানুষের সীমাবদ্ধতার কাছে নিজেকে সঁপে দিয়েছেন। ফলে অনেক সময় তিনিও শারীরিক ভাবে ক্লান্ত, ক্ষুধার্ত  এবং তৃষনার্থ হয়েছেন। তিনি পরীক্ষিত হয়েছেন এবং  প্রার্থনার ফলে পিতার দ্বারা শক্তি প্রাপ্ত হয়েছেন। তিনি কষ্ট ভোগ করেছেন এবং তিনি পরে মৃত্যু বরণ করেছেন। তাঁর মানবত্ব তাঁর উপরে যে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছেন এটি ছিল তার সর্বশ্রেষ্ঠ প্রমান। (যাহন ৪:৬,মার্ক ১১:১২,যোহন ১৯:২৮, মথি ৪:১-১১, লুক ২২:৪২-৪৪,১ম পিতর ৪:১, ১ম করিন্থীয় ১৫:৩পদ)। যীশুর প্রদত্ব নামগুলিও তাঁর মানবত্বের প্রতিও ইংগিত করে। স্বর্গদূত যখন যোষেফকে শিশুটির বিষয়ে বলেছিলেন তখন তিনি তাঁর নাম রাখতে বলেছিলেন ’যীশু’ যা আসলে পুরাতন নিয়মের যিহোশুয় নামেরই গ্রীক  রুপ এবং যার অর্থত্রানকর্তা (মথি ১:২১পদ)। তাকে দায়ুদ সন্তান এবং অব্রাহমেরর সন্তান বলা হয়েছে(মথি ১:১পদ)।

    খ্রীষ্টের ঈশ্বরত্ব  : যীশু এমন সব ঐশ্বরিক অধিকার অনুশীলন করেছেন, যেগুলি শুধুমাত্র ঈশ্বরেরই আছে। মানুষের আরাধনা গ্রহণ,পাপ ক্ষমা,মৃতকে জীবিত করা এবং বিচারের ক্ষমতা, ইত্যাদি ঐশ্বরিক অধিকারগুলির অন্তর্ভুক্ত। পুরাতন নিয়মে দশ আজ্ঞায়(যাত্রা ২০:৩-৫পদ) ঈশ্বর অপর কোন দেবতার আরাধনা করতে নিষেধ করেছেন, তাই যীশু প্রকৃত ঈশ্বর না হলে তাঁর এইরুপ দাবি ঈশ্বর নিন্দা হত। দিয়াবলের দ্বারা পরীক্ষিত হওয়ার সময় যীশু সদাপ্রভুর আরাধনা করবার এবং একমাত্র তাঁরই সেবা করবার আদেশটি পুনরায় দৃঢ়ভাবে ঘোষনা করেছেন (মথি ৪:১০পদ)। একমাত্র ঈশ্বরই যে ক্ষমতার অধিকারী, আমরা যীশুকে সেই পাপ ক্ষমা করবার অধিকার ব্যবহার করতে দেখেছি(মার্ক২:৭ পদ)। যীশুর শত্রুরা এ সম্পর্কে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হলেও যীশু তাঁর পাপ ক্ষমা করবার অধিকার ব্যবহারে দ্বিধা করেন নি (মথি ৯:২-৬পদ)। যীশু জীবন দেওয়ার অধিকারব্যবহার করেছেন। কমপক্ষে তিনটি ক্ষেত্রে যীশু মৃতকে জীবন দান করেছিলেন(লুক ৭:১১-১৭, ৮:৪০-৫৬, যোহন ১১:১-৪৪,)। মৃতকে জীবন দান করা এমন একটি কাজ যা সাধারন মানুষ তার নিজের ক্ষমতায় করতে পারে না। 
    স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য সমূহ :বাইবেলে দেখতে পাই, প্রেরিত পৌল বলেন যে,যীশু খ্রীষ্ট হলেনঈশ্বরের ক্ষমতা এবং প্রজ্ঞা স্বরুপ(১ করিন্থীয় ১:২৪), এবং তাঁর সমস্ত পূর্ণতা পুত্রের মধ্যে প্রদান করে তিনি সন্তষ্ট(কলসীয় ১:১৯, ২:৯পদ)। মথি লিখিত সুসমাচারে বলা হয়েছে স্বর্গে ও পৃথিবীর সমস্ত ক্ষমতা আমাকে দেওয়া হয়েছে(মথি ২৮:১৮পদ)। বাইবেলে আরও দেখতে পাই ঈশ্বর সব কিছুই পুত্রের অধীন করেছেন,এবং পুত্র সব দিক থেকে সব কিছু পূর্ণ করেন”(ইফিষীয় ১:২২-২৩)। যীশু খ্রীষ্ট সর্বজ্ঞ, তিনি সব কিছুই জানেন (যোহন-২:২৪-২৫, ১৬:৩০, ২১:১৭পদ)। যীশু সম্পর্কে প্রেরিত পৌল বলেছেন খ্রীষ্টই সেই রহস্য, যার মধ্যে সমস্ত জ্ঞান ও বুদ্ধি লুকানো আছে।(কলসীয় ২:২-৩পদ)। তিনি শমরীয় স্ত্রীলোকটির পাপ জীবনের কথা, ফরীশীর মনের চিন্তা এবং বর্তমান যুগের প্রকৃতি ও শেষ ইত্যাদি সবই জানতেন।
    যে নামগুলি ঈশ্বরত্ব ইংগিত করে: যে নামগুলো কেবলমাত্র ঈশ্বরের জন্য ব্যবহার করা যায়,সমগ্র নূতন নিয়মে সেগুলিই যীশু খ্রীষ্টের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। স্বর্গ থেকে একটি রব দুটি ভিন্ন ভিন্ন উপলক্ষ্যে তাঁকে ঈশ্বরের পুত্র বলে ঘোষনা করেছে ( মথি ৩: ১৭, ১৭:৫ পদ)। যীশু তার নিজের জন্যও এই নাম ব্যবহার করেছেন।(যোহন ১০:৩৬ পদ)। পুরাতন নিয়মে যিশাইয় ভাববাদী ভাববাণী করেছিলেন এবং যোষেফের সঙ্গে কথা বলার সময় স্বর্গদূত যা পূনরায় উল্লেখ করেছিলেন (যিশাইয় ৭:১৪ পদ),মথি ১:২২-২৩পদ। শিশুটিকে ইম্মানয়েল বলা হবে যার মানে”আমাদের সহিত ঈশ্বর । ঈশ্বর কিছু কালের জন্য মানুষের মাঝে বাস করতে এসেছিলেন (যোহন ১:১৪পদ)। যোহন লিখেছেন যে যীশু ঈশ্বরের বাক্য। যোহনও বলেন যে,বাক্য(যীশু) অনাদি কাল থেকে ঈশ্বর ছিলেন(যোহন ১:১-২পদ)। যীশু নামটির গ্রীক রুপ হচ্ছে খ্রীষ্ট। এই নামের আর একটি অনুবাদ হলো অভিষিক্ত। আমাদের প্রভুর জন্য প্রায়শ: ব্যবহৃত এই নামটির হিব্রু যিহোবা শব্দের অনুবাদ।
    খ্রীষ্টের কার্যাবলী: খ্রীষ্টের কাজ মানুষের জন্য খুবই গুরুত্ব বহন করে। তাঁর জীবনের সমস্ত কর্মকান্ডই ছিল অসাধরণ। তাঁর জগতের সমস্ত কাজের মধ্যে এক অলৌকিকত্ব বিদ্যমান ছিল। আমরা যদি একটু লক্ষ্য করি তা হলে দেখতে পাই তাঁর জন্মের মধ্যে,কাজের মধ্যে,মৃত্যুর মধ্যে, পূণরুত্থান ও স্বর্গারহনের মধ্যেই ছিল অলৌকিকত্ব,যা আর কোন মহামানবের মধ্যে বিদ্যমান ছিল না। 
    খ্রীষ্টের মৃত্যু : খ্রীষ্টের মৃত্যু ছিল অন্য যে কোন লোকের মৃত্যুর চেয়ে ভিন্ন। প্রথমত তাঁর মৃত্যু ছিল সম্পুর্ণরুপে স্বেচ্ছাকৃত। তিনি তাঁর মৃত্যু সম্পর্কে বলেছেন,কেউ আমার প্রান আমার কাছ থেকে নিয়ে যাবে না, কিন্তু আমি নিজেই তা দেব।(যোহন ১০:১৮ পদ)। তাঁর মৃত্যু একটি কাজ ছিল, কারণ তাঁর মৃত্যুর দ্বারা খ্রীষ্ট আমাদের পাপের পাওনা পরিশোধ করেছেন। পাপের পাওনা হচ্ছে ঈশ্বরের কাছ থেকে বিচ্ছেদ। আমদের পাপের জন্য তাঁকে এই মূল্য পরিশোধ করতে হয়েছিল।  ক্রুশের উপর মৃত্যুবরণ করবার সময় তিনি এই ভয়াবহ বিচ্ছেদের সময় তিনি এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা লাভ করেছিলেন। তিনি চিৎকার করে বলেছিলেন, ঈশ্বর আমার ঈশ্বর আমার, কেন তুমি আমায় পরিত্যাগ করিয়াছ ?মার্ক ১৫:৩৪পদ)। তিনি এই কাজ করেছেন, যেন আমরা ক্ষমা লাভ করে ঈশ্বরের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ অবস্থানে ফিরে যেতে পারি ।
    স্বর্গারোহন ও মহিমা প্রাপ্ত : আমরা পবিত্র বাইবেলে দেখতে পাই যীশু পূণরুত্থানের পরে ৪০ দিন পর্যন্ত পরিচর্যা করে স্বর্গারোহন করেন বা স্বর্গে চলে যান। শিষ্যদের চোখের সামনেই যীশুকে তুলে নেওয়া হোল এবং তিনি একটা মেঘের আড়ালে চলে গেলেন”(প্রেরিত ১:৯ পদ)। এই ঘটনা হচ্ছে আমাদেরক্রুশারোপিত প্রভুর মহিমা প্রাপ্তির শুরু । খ্রীষ্টের স্বর্গে ফিরে যাবার ঘটনাই স্বর্গারোহণ নামে পরিচিত। যীশুকে পিতার দক্ষিণ পার্শ্বে এক সম্মান জনক ও গৌরব জনক অবস্থানে উন্নীত করা হয়েছে।  তাঁর সব কাজই আমাদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তাঁর মৃত্যুর মাধ্যমে তিনি আমাদের পাপের পাওনা পরিশোধ করেছে। তাঁর পূনরূত্থান আমাদেরকে তাঁর সাথে অনন্ত জীবন যাপনের নিশ্চয়তা দান করে। তাঁর স্বর্গারোহণ ও মহিমা প্রাপ্তির মাধ্যমে আমাদের সার্বভৌম প্রভু হিসাবে তাঁকে তাঁর উপযুক্ত স্থানে উন্নীত করা হয়েছে। এখন তিনি আমাদেরআত্মিক জীবনের পরিপক্কতার জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছু সরবরাহ করেন এবং এইভাবেই মন্ডলীকে সমাজকে, পরিবারকে ও নিজেকে তত্বাবধান করেন।
    উপসংহার :
    যীশুর সমস্ত দাবি ও বিবৃতি, বিভিন্ন আশ্চর্য কাজ, তৎসহ যীশুর মৃত্যু সমাধি ও পূণরুত্থানই প্রমান করে যে তিনি ঈশ্বর, তাঁর এই দাবির সমর্থনে শক্তিশালী প্রমান দান করে।তাঁর নৈতিক ও স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্যগুলিই যীশুকে ঈশ্বর হিসেবে সনাক্ত করে।সুতারং খ্রীষ্টই হলো অদৃশ্য ঈশ্বরের দৃশ্যমান প্রকাশ ।


     আইভান সমদ্দার
    চেয়ারম্যান-ক্রাইষ্ট ফাইন্ডেশন অব বাংলাদেশ চার্চ ট্রাষ্ট,মৌলভীবাজার

    পরিচিতদেরকে জানাতে শেয়ার করুন

    আপনার জন্য আরো কিছু পোস্ট

    RELATED ARTICLES

      ADS