যারা অরক্ষিত এবং দুর্বল তারা সর্বদাই ঈশ্বরের অগ্রাধিকার লাভ করেন।দরিদ্রদের সাহায্য করার বিষয়ে বাইবেলে ঈশ্বরের নির্দেশাবলী খুবই স্পষ্ট। কিছু নির্দিষ্ট আচার ব্যবহার আমাদের সংস্কৃতি বা সময়কালের জন্য প্রযোজ্য হতে নাও পারে, কিন্তু মূল উদ্দেশ্য একই।
যারা অভাবী তাদের সুযোগ নষ্ট করবেন নাঃ
আমার কোন অভাবী লোককে যদি তুমি টাকা ধার দাও তবে মহাজনের মত করে তার কাছ থেকে কোন সুদ নিয়ো না।“ – যাত্রাপুস্তক ২২:২৫
কোন গরীব লোকের মকদ্দমায় অন্যায় বিচার কোরো না। সাজানো মামলা থেকে দূরে থাকবে এবং কোন নির্দোষ কিম্বা সৎ লোককে মৃত্যুর শাস্তি দিয়ো না। এই অন্যায় যে করবে তাকে আমি রেহাই দেব না।“ – যাত্রাপুস্তক ২৩:৬–৭
কোন বিধবা বা কোন অনাথ ছেলে বা মেয়েকে কষ্ট দিয়ো না। যদি তা কর এবং সে আমার কাছে কাঁদে তবে নিশ্চয়ই আমি তার কান্নায় কান দেব।“ –যাত্রাপুস্তক ২২:২২–২৩
অতিথিপরায়ণ এবং নিমন্ত্রণকারী হও
কোন বিদেশীর সংগে খারাপ ব্যবহার কোরো না বা তার উপর অত্যাচার কোরো না, কারণ মিসর দেশে তোমরাও একদিন বিদেশী ছিলে।“ – যাত্রাপুস্তক ২২:২১
কোন বিধবা বা কোন অনাথ ছেলে বা মেয়েকে কষ্ট দিয়ো না।“ –যাত্রাপুস্তক ২২:২২
বিদেশীর উপর অত্যাচার কোরো না। বিদেশী হওয়া যে কেমন তা তোমরা নিজেরাই জান, কারণ মিসর দেশে তোমরাও একদিন বিদেশী ছিলে। “ –যাত্রাপুস্তক ২২:২২
তোমাদের কোন ইস্রায়েলীয় ভাই যদি গরীব অবস্থায় পড়ে নিজের খাওয়া–পরার ব্যবস্থা করতে না পারে, তবে যাতে সে তোমাদের মধ্যেই বাস করতে পারে সেইজন্য পরদেশী বাসিন্দাকে যেভাবে সাহায্য করা হয় তাকেও সেইভাবে সাহায্য করতে হবে। তোমরা তার কাছ থেকে কোন রকম সুদ নিতে পারবে না,বরং লোকটি যাতে তোমাদের মধ্যে বাস করতে পারে সেইজন্য তোমাদের ঈশ্বরকে তোমরা ভয় করে চলবে। তবে টাকা ধার দিলে কোন সুদ নেওয়া চলবে না এবং তার কাছে কোন খাবার জিনিস বিক্রি করলে কোন লাভ নেওয়া চলবে না।“ – লেবীয় ২৫:৩৫–৩৭
আপনার কাছে যা আছে তার ব্যাপারে উদার হোন
প্রত্যেক তৃতীয় বছরের শেষে তোমাদের সেই বছরের ফসলের দশ ভাগের এক ভাগ শহরে নিয়ে এসে তোমরা জমা করবে। এতে লেবীয়েরা, যাদের নিজেদের বলতে কোন জায়গা–জমি বা সম্পত্তি নেই এবং সেখানকার বিদেশী বাসিন্দারা, বিধবারা আর অনাথ ছেলেমেয়েরা প্রাণ ভরে খেতে পাবে। এতে তোমাদের সব কাজে তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের আশীর্বাদ করবেন।“ – দ্বিতীয় বিবরণ ১৪:২৮–২৯
লোকদের কাছে আমার, আমার ভাইদের ও আমার কর্মচারীদেরও টাকা ও শস্য পাওনা আছে। কিন্তু আসুন, আমরা এই সব মাফ করে দিই। এখনই আপনারা তাদের জমাজমি, আংগুর ক্ষেত, জলপাইয়ের বাগান ও ঘর–বাড়ী তাদের ফিরিয়ে দিন, আর টাকা, শস্য, নতুন আংগুর–রস ও তেলের দরুন শতকরা যে সুদ আপনারা নিয়েছেন তাও তাদের ফিরিয়ে দিন।” – নহিমিয় ৫:১০–১১
গরীবদের যত্ন নেয়ার আদেশটি নতুন নিয়মেও অব্যাহত রয়েছে মথি ২৫:৩৫–৩৬ পদে যখন যীশু বললেন:
যখন আমার খিদে পেয়েছিল তখন তোমরা আমাকে খেতে দিয়েছিলে; যখন পিপাসা পেয়েছিল তখন জল দিয়েছিলে; যখন অতিথি হয়েছিলাম তখন আশ্রয় দিয়েছিলে; যখন খালি গায়ে ছিলাম তখন কাপড় পরিয়েছিলে; যখন অসুস্থ হয়েছিলাম তখন আমার দেখাশোনা করেছিলে; আর যখন আমি জেলখানায় বন্দী অবস্থায় ছিলাম তখন আমাকে দেখতে গিয়েছিলে।“
তিনি মথি ২৫:৪০ পদেও সেই কথাই পুনরাবৃত্তি করেছেন:
এর উত্তরে রাজা তখন তাদের বলবেন, আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, আমার এই ভাইদের মধ্যে সামান্য কোন একজনের জন্য যখন তা করেছিলে তখন আমারই জন্য তা করেছিলে।“
কিভাবে সাহায্য করব তার উপায়গুলো উপরের পদগুলো থেকে বোঝা যায়
মৌলিক চাহিদা পূরণ (ক্ষুধা, তৃষ্ণা, জামাকাপড়, আশ্রয়)
আতিথেয়তা করা (স্বাগত জানানো, পরিদর্শন করা)
সহানুভূতি এবং সহমর্মিতা দেখানো (অসুস্থদের যত্ন নেওয়া, বন্দীদের দেখতে যাওয়া )
এটা পরিষ্কার যে ঈশ্বর বিভিন্নভাবে আমাদের গরীবদের সাহায্যের জন্য ডেকেছেন। কারো প্রয়োজনে ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দেওয়া মানে যীশুকেই ভালবাসা।
পাস্টর মাসুদ রানা