খ্রীষ্টিয় নতুন জীবন

ads20
    পবিত্র বাইবেলে লেখা আছে”ফলত কেহ যদি খ্রীষ্টে থাকে, তবে নূতন সৃষ্টি হইল” পুরাতন বিষয়গুলি অতীত হইয়াছে, দেখ সেগুলি নূতন হইয়া উঠিয়াছে’---২য়  করন্থীয় ৫ঃ১৭ পদ। আমরা যারা বিশ্বাসী সকলেই জানি যে, আমাদের শেষ বিচারের সময় প্রভু যীশু খ্রীষ্ট আবার এই ধরা ধামে আসবেন মহা প্রতাপে। আমাদের বিচার হবে। প্রত্যককে তাঁর সম্মুখে দাড়াইতে হবে। আমাদের কর্ম ফল অনুযায়ী আমাদের বিচার হবে। এটা কেবল খ্রীষ্টিয়ান নয়, মুসলমান ভাইয়েরাও বিশ্বাস করে যে ইসা নবী রোজ কেয়ামতের দিন আবার আসবেন। প্রত্যেকের কাজের প্রকাশ পাবে। সেই দিন ঈশ্বর তাঁর একমাত্র প্রিয় পুত্রের মাধ্যমে সকল মানুষের গুপ্ত বিষয়ের বিচার করবেন। যীশু খ্রীষ্ট পূনরুত্থিত হয়ে স্বর্গে আছেন। স্বর্গে যাবার আগে তিনি তার শিশ্যদের বলেছিলেন ’আমি যাচ্ছি এবং আবার আসব এবং তোমাদেরকে আমার পিতার বাটিতে নিয়ে যাওয়া হবে। সুতারং তখন আমাদের একটি নুতন জীবন হবে, আর তা হবে খ্রীষ্টিয় নূতন জীবন।

    খ্রীষ্টের দ্বিতীয় আগমনের ভবিষ্যদ্বাণী ঃ
    বাইবেলের পুরাতন নিয়মে সখরীয় ভাববাদী যীশু খ্রীষ্টের দ্বিতীয় আগমনের বিষয়ে বলেছেন।”তখন সদাপ্রভু বাহির হইবেন,এবং সংগ্রামের দিনে যেমন যুদ্ধ করিয়াছিলেন, তেমনি ঐ জাতিগণের সহিত যুদ্ধ করিবেন। আর সেই দিন তাঁহার চরণ সেই জৈতুন পর্ব্বতের উপরে দাঁড়াইবে, যাহা যিরুশালেমের সম্মুখে পূর্ব্ব দিকে অবস্থিত; তাহাতে জৈতুন পর্ব্বতের মধ্যদেশ পূর্ব্বদিকে ও পশ্চিম দিকে বিদীর্ণ হইয়া অতি বৃহৎ উপত্যকা হইয়া যাইবে, পর্ব্বতের অর্ধ্বেক উত্তর দিকে ও অর্ধেক দক্ষিন দিকে সরিয়া যাইবে। তখন তোমরা আমার পর্ব্বগণের উপত্যকা দিয়া পলায়ন করিবে; কেননা পর্ব্বতগণের সেই উপত্যকা উৎসল পর্যন্ত যাইবে; হাঁ, তোমরা পলায়ন করিবে, যেমন যিহুদা-রাজ উষিয়ের সময়ে ভুমিকম্পের সম্মুখ হইতে পলায়ান করিয়াছিল: আর আমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আসিবেন তোমার সঙ্গে পবিত্রগণ সকলেই আসিবেন----সখরিয় ১৪:৩-৫ পদ। মালাখি ৩: ১,২ পদে ও মালাখি ভাববাদী বলেছেন যীশু খ্রীষ্ট আসবেন।
    যীশু খ্রীষ্ট নিজে তাঁর আগমন সম্বন্ধে বলেছেন-”আর আমি যখন যাই তোমাদের জন্য স্থান প্রস্তুত করি,তখন পুনর্বার আসিব, এবং  আমার নিকটে তোমাদিগকে লইয়া যাইব; যেন আমি যেখানে থাকি, তোমরাও সেখানে থাক” -যোহন ১৪ঃ ৩ পদ। তখন দু’জন ক্ষেত্রে থাকিবে, একজনকে লওয়া যাইবে এবং অন্য জনকে ছাড়িয়া যাওয়া হইবে। দুটি স্ত্রী লোক এক সংগে যাঁতা পিষিবে, একজনকে লওয়া যাইবে এবং অন্যজনকে ছাড়িয়া যাওয়া যাইবে। অতএব জাগিয়া থাক, কেননা তোমাদের প্রভু কোন দিন আসিবেন, তাহা তোমরা জান না। কিন্তু ইহা জানিও, চোর কোন্ প্রহরে আসিবে তাহা যদি গৃহকর্ত্তা জানিত, তবে  জাগিয়া থাকিত, নিজ গৃহে সিঁধ কাটিতে দিত না। এই জন্য তোমরাও প্রস্তুত থাক, কেননা যে দন্ড তোমরা মনে করিবে না, সেই দন্ডে মনুৃষ্যপুত্র আসিবেন”- মথি ২৪ ৪০-৪৪ পদ। পবিত্র বাইবেলে ”মথি ২৪,২৫ অধ্যায়, মার্ক ১৩ অধ্যায় লুক ২১ অধ্যায় গুলোতেও বলা আছে।
    যীশু পিতরকে বলেছিলেন-” আমি যদি ইচ্ছা করি এ আমার আগমন পর্যন্ত থাকে, তাহাতে তোমর কি ? তুমি আমার পশ্চাৎ আইস--”যোহন ২১ঃ২২ পদ। যীশু যে নিজে বলেন, আমার আগমন পর্যন্ত’এতে স্পষ্ট আমরা বুঝতে পাই যে যীশু আসবেন। স্বর্গদূতেরা যীশু খ্রীষ্টের আগমন সম্বন্ধে বলেন-যখন যীশু স্বর্গে চলে গেলেন তখন দ’জন দূত আসলেন এবং শিষ্যদের বললেন- ”হে গালীলীয় লোকেরা তোমরা আকাশের দিকে দৃষ্টি করিয়া দাঁড়াইয়া রহিয়াছ কেন ? এই যে যীশু তোমাদের নিকট হইতে স্বর্গে উর্ধ্বে নিত হইলেন, উহাঁকে যেরুপ স্বর্গে গমন করিতে দেখিলে সেইরুপ উনি আগমন করিবেন”-প্রেরিত ১: ১১ পদ। যীশু আবার আসবেন স্বর্গ দূতেরাই তার সাক্ষ্য দিলেন। প্রেরিতেরা যীশু খ্রীষ্টের আগমন সম্বন্ধে বলেছেন- পৌল বলেছেন-” কারণ প্রভু স্বয়ং আনন্দধ্বনি সহ, প্রধান দূতের রব সহ, এবং ঈশ্বরের তুরীবাদ্য সহ স্বর্গ হইতে নামিয়া আসিবেন, আর যাহারা খ্রীষ্টে মরিয়াছে, তাহারা প্রথমে উঠিবে”-১ থিশলনীকীয় ৪ঃ ১৬ পদ।
    যোহন বলেছেন”আর এখন হে বৎসেরা, তাঁহাতে থাক, যেন তিনি যখন প্রকাশিত হন, তখন আমরা সাহস যুক্ত হই, তাঁহার আগমনে তাঁহা হইতে লজ্জিত না হই,- ১ যোহন ২ঃ২৮ পদ। আর এটাই সত্যি যীশু খ্রীষ্টের আগমনের জন্য যদি আমরা প্রস্তুত থাকি তা হলে আমরা লজ্জিত হব না। তিনি কোন সময় আসবেন তা কেই জানে না, সেই জন্য প্রত্যেকের উচিৎ যীশুর আগমনের জন্য প্রস্তুত থাকা।
    যাাকোব বলেছেন”- ৫: ৮ পদে ”তোমরাও দীর্ঘ সহিষ্ণু  থাক, আপন আপন হৃদয় সুস্থির কর, কেননা প্রভুর আগমন সন্নিকট।” 

    আমরা সকলে নিদ্রাগত হইব না, কিন্তু সকলে রুপান্তরীকৃত হইব; এক মুহুর্তের মধ্যে, চক্ষুর পলকে, শেষ তুরীধ্বনিতে হইব; কেননা তুরী বাজিবে,তাহাতে মৃতেরা অক্ষয় হইয়া উত্থাপিত হইবে, এবং আমরা রুপান্তরীকৃত হইব। কারণ এই ক্ষয়নীয়কে অক্ষয়তা পরিধান করিতে হইবে’-১ম করিন্থীয় ১৫ঃ৫১-৫৩ পদ। সুতারং দেখা যাচ্ছে যে যীশু খ্রীষ্ট যখন আসবেন তখন প্রথমে মৃত বিশ্বসীরা উঠবেন এবং পরে জীবিত বিশ্বাসীরা রুপান্তরীকৃত হবে এবং পরে জীবিত ও মৃত বিশ্বসীরা খ্রীষ্টের সঙ্গে মিলিত হয়ে স্বর্গে যাবেন। ”আর এই রুপে সতত প্রভুর সংগে থাকিব”- ১ থিষলনীকীয় ৪ঃ১৭ পদ।


    এই আগমনের মূহুর্তে এমন হবে যে, একদিন কোন কোন মানুষ এখান থেকে সেখান থেকে উধাও হয়ে যাবে। ধরা যাক একজন প্রকৃত খ্রীষ্টিয়ান কয়েকজনকে নিয়ে একটি গাড়ী চালিয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ সেই গাড়ী চলা আবস্থায় তিনি অন্তহিত হয়ে যাবেন। হয়তো কয়েকজন প্রকৃত বিশ্বাসী ছেলে মেয়ে বাসে করে স্কুলে যাবার পথে হঠাৎ বাস থেকে অদৃশ্য হয়ে যাবে। গাড়ী চলন্ত অবস্থায় চালক অন্তহিত হলে গাড়ীর বা গাড়ীর যাত্রিদের অবস্থা কি হবে? একটি উড়োজাহাজ চলা অবস্থায় তার পাইলট অন্তহিত হয়ে গেলে প্লেনটি কোথায় গিয়ে থামবে ? নিশ্চই একটা দুর্ঘটনা হবে। এ সব কখন হবে ? হ্যঁ, যখন যীশু আসবেন তখন হবে। হয়তো একপরিবারে পাঁচজন লোক আছে তাদের মধ্য থেকে যদি তিন জন উদাও হয়ে যায তবে অবস্থাটা কি হবে ? একবার ভেবে দেখুন। 

    খ্রীষ্টে আগমনকে দ’টি  ভাগে ভাগ করা হয়েছে--
    প্রথম ভাগে-যীশু খ্রীষ্ট বিশ্বসীদরে জন্য আসবেন।
    দ্বিতীয় ভাগে- যীশু খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের সঙ্গে আসবেন।

    প্রথম অংশে যা হবে----
    (ক) যীশু খ্রীষ্ট স্বয়ং আসবেন, কারণ প্রভু স্বয়ং আনন্দধ্বনী সহ, প্রধান দূতের রব সহ,এবং ঈশ্বরের তুরিধ্বনী সহ স্বর্গ হইতে নামিয়া  
        আসিবেন।’
    (খ) যীশু আসার পর প্রথমে মৃত বিশ্বাসীদের পুনুরুত্থান হবে। ”আর যাহারা খ্রীষ্টে মরিয়াছে, তাহারা প্রথমে উঠিবে।
    (গ) মৃত বিশ্বাসীদের পুনুরুত্থান হবে।”পরে আমরা যারা জীবিত আছি, যাহারা অবশিষ্ট থাকিব,আমরা আকাশে প্রভুর সহিত সাক্ষাৎ করিবার নিমিত্ত একসঙ্গে তাহাদের সহিত মেঘ যোগে নীত হইব’--১ থিষলনীকীয় ৪: ১৭ পদ। সেই জন্য সাধু পৌল বলেছেন আমরা সকলে নিদ্রাগত হইব না, কিন্তু সকলে রুপান্তরীকৃত হইব;।



    দ্বিতীয় ভাগে কি হবে --------------
    (ক) যে বিশ্বাসীরা যীশুর সাথে স্বর্গে গিয়েছে যীশু তাদের নিয়ে আসবেন। ”আমাদের জীবন স্বরুপ খ্রীষ্ট যখন প্রকাশিত হইবেন, তখন তোমরাও তাঁহার সহিত সপ্রতাপে প্রকাশিত হইবে।  সে হেতু প্রত্যেক বিশ্বাসীর আনন্দ করা উচিৎ।
    (খ) যাহারা সুসমাচার গ্রহণ করে নাই তাদের তিনি দন্ড দিবেন। ”তিনি তাহাদিগকে প্রতিফলরুপে ক্লেশ দিবেন, এবং ক্লেশ পাইতেছ যে তোমরা, তোমাদিগকে আমাদের সহিত বিশ্রাম দিবেন,(ইহা তখন হইবে) যখন প্রভু যীশু খ্রীষ্ট স্বর্গ হইতে আপনার পরাক্রমের দূতগণের সহিত জ্বলন্ত অগ্নিবেষ্টনে প্রকাশিত হইবেন,এবং যাহারা ঈশ্বরকে জানে না ও যাহারা আমাদের প্রভু যীশুর সুসমাচারের আজ্ঞাবহ হয় না, তাহাদিগকে সমূচিত দন্ড দিবেন’। ২ থিষলনীকীয় ১: ৭, ৮ পদ।
    (গ) শয়তানকে স্পূর্ণরুপে ধ্বংস করবেন । ”কারণ অধর্মের নিগূঢ়তত্ত্ব এখনই কার্য্য সাধন করিতেছে; কেবল এখন এক জন যে পর্যন্ত সে দূরীভুত না হয়, বাধা দিয়া রাখিতেছে। আর তখন সেই মূখের নি:শ্বাস দ্বারা সংহার করিবেন।’-- ২ থিষলনীকীয় ২: ৭, ৮ পদ। কেবল শয়তান নয় কিন্তু যারা যীশুর কাছে আসে নাই তাদেরও সেই অগ্নীময় হ্রদে নিক্ষিপ্ত করা হবে। প্রকাশিত বাক্য ২০:১৪,১৫ পদ, এ ছাড়াও প্রকাশিত বাক্য ২:৭-১০, ২১:১ পদে যীশু তার করণীয় সম্পর্কে বলেছেন।

    যীশু খ্রীষ্ট কবে আসবেন ?
    যীশু খ্রীষ্ট কখন আসবেন তা কেউ বলতে পারে না। কোন মানুষ কোন স্বর্গদূত এমন কি যীশু নিজেও তা জানেন না।”সেই দিনের ও সেই দন্ডের তত্ত্ব কেহই জানে না- মথি ২৪:৪০ পদ। পবিত্র বাইবেলে যীশুর আগমন সম্বন্ধে লেখা আছে-মথি : ২৪,২৫ মার্ক ১৩ ও লুক ২১ অধ্যায়। যীশু পিতরকে যে কথা বলেছিলেন তার মধ্য দিয়েও আমরা বুঝতে পারি যীশু আসবেন। স্বর্গদুতেরা যীশু খ্রীষ্টের আগমন সম্বন্ধে যে কথা বলেছে তার মধ্য দিয়েও আমরা বুঝতে পারি যীশু আবার আসবেন- যখন যীশু স্বর্গে চলে গেলেন তখন দ’জন দূত আসলেন এবং শিষ্যেদের বললেন, হে গালীলীয় লোকেরা তোমরা আকাশের দিকে দৃষ্টি করিয়া দাঁড়াইয়া রহিয়াছ কেন ? এই যে যীশুকে তোমাদের নিকট হইতে স্বর্গে নীত হইলেন উহাঁকে যেরূপ স্বর্গে গমন করিতে দেখিলে সেইরুপ উনি আগমন করিবেন”- প্রেরিত ১: ১১ পদ। যীশু যে আবার আসবেন স্বর্গ দূতেরা তার সাক্ষ্য দিলেন। প্রেরীতেরা যীশু খ্রীষ্টের আগমন সম্বন্ধে বলেছেন- আর এখন হে বৎসেরা তাঁহাতে থাক, যেন তিনি যখন প্রকাশিত হন, তখন আমরা সাহস যুক্ত হই, তাঁহার আগমনে তাঁহা হইতে লজ্জিত না হই”- ১ যোহন ২ঃ ২৮ পদ। এ ছাড়াও  ১ থিষলনীকীয় ৪ঃ১৬  পদে সাধু পৌল ও যাকোব ৫ঃ৮ পদে যোহনের কথা থেকে আমরা বুঝতে পারি যীশু আসবেন।

    বিশ্বাসীদের জন্য পুরস্কার -
    আমরা বিশ্বাসীরা জানি যে যীশু স্বর্গে গিয়ে আমাদের জন্য স্থান প্রস্তুত করছেন এবং আমাদের প্রত্যেকের কার্য্যানুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন পুরস্কার দিবেন। 
    ১) জীবন মুকুট ---- যে সকল বিশ্বাসীরা খ্রীষ্টের জন্য সাক্ষ্য দিতে গিয়ে নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছেন তারা এই মুকুট পাবেন। যাকোব ১:১২ পদে বলা হয়েছে-”ধন্য সেই ব্যক্তি, যে পরীক্ষা সহ্য করে; কারণ পরীক্ষা সিদ্ধ হইলে পর সে জীবন মুকুট  প্রাপ্ত হইবে, তাহা প্রভু তাহাদিগকেই দিতে অঙ্গীকার করিয়াছেন, যাহারা তাঁহাকে প্রেম করে।” প্রকাশিত বাক্য ২: ১০ পদে বলা আছে- ”তুমি মরণ পর্যন্ত বিশ্বস্থ থাক তাহাতে আমি তোমাকে জীবন মুকুট দিব”।
    ২) আনন্দের মুকুট---যারা অন্যদের যীশু খ্রীষ্টকে মুক্তিদাতা হিসেবে গ্রহণ করতে এবং তাঁর উপরে বিশ্বাস করতে সাহায্য করেছেন তাহাদের এই মুকুট দেওয়া হবে। ১ থিষলনকীয় ২:১৯, ২০ পদে বলা আছে- ”কেননা আমাদের প্রত্যাশা, বা আনন্দ,বা শ্লাঘার মুকুট কি ? আমাদের প্রভু যীশুর সাক্ষাতে তাঁহার আগমনকালে তোমরাই কি নও ? বাস্তবিক তোমরাই আমাদের গৌরব ও আনন্দভুমি।”
    ৩) গৌরব মুকুট-----যে সকল পালক, প্রচারকেরা বিশ্বস্থভাবে ঈশ্বরের বাক্য শিক্ষা দেয় তাদের এই মুকুট দেওয়া হবে। ১ম পিতর ৫: ১-৪ পদে বলা আছে-”অতএব তোমাদের মধ্যে যে প্রাচীনবর্গ আছেন তাহাদিগকে আমি-সহ-প্রাচীন, খ্রীষ্টের দুঃখ ভোগের সাক্ষী, এবং  প্রকাশিতব্য ভাবী প্রতাপের সহভাগী আমি-বিনতি করিতেছি; তোমাদের মধ্যে ঈশ্বরের যে পাল আছে, তাহা পালন কর, অধ্যক্ষের কার্য্য করা, আবশ্যকতা প্রযুক্ত নয়, কিন্তু ইচ্ছাপূর্ব্বক, ঈশ্বরের  অভিমতে, কুৎসিত লাভার্থে নয়, কিন্তু উৎসুকভাবে কর, নিরুপিত অধিকারের উপরে কর্ত্তৃত্ত্বকারীরুপে নয়, কিন্তু পালের আদর্শ হইয়া কর। তাহাতে প্রধান পালক প্রকাশিত হইলে তোমরা অম্লান প্রতাপমূকুট পাইবে। ১ পিতর ৫:১Ñ৪পদ।
    ৪) ধার্মিকতার মুকুট--- যারা যীশু খ্রীষ্টের দ্বিতীয় আগমনের জন্য অধীর হয়ে আছেন, যাদের মনে খ্রীষ্টের আগমনের জন্য কোন লজ্জা ভয়-ভীতি নেই তাদের ধার্মিকতার মুকুট দেওয়া হবে। ২ তীমথিয় ৪:৬-৮ পদ।

    সুতারং আমরা যারা বিশ্বাসী আমরা সান্তনা পেতে পারি কারণ আমরা প্রভুর সাথে মিলিত হব। আমরা অন্যান্য বিশ্বাসীদের সাথে একত্রিত হব। তাই সাধু পৌল বলেছেন- তোমরা এই সকল কথা বলিয়া একজন অন্য জনকে সান্তনা দেও।” ১ থিষলনীকীয় ৪: ১৮ পদ।  আমরা প্রত্যাশা রাখতে পারি ও নিজের জীবন প্রস্তুত রাখতে পারি। আপনি কি তাঁর আগমনের জন্য প্রস্তুত আছেন ? আপনি যদি প্রস্তুত থাকেন তবে লজ্জা পাবেন না কিন্তু আনন্দিত হবেন। যখন কোন বড় নেতা বা কোন অতিথি কোন রাষ্ট্রে বা বাড়ীতে বেড়াতে আসেন তখন প্রায়ই তাঁকে স্বাগতম জানাবার জন্য একটা তোরণ তৈরী করা হয় এবং উপরে লেখা হয় স্বগতম। যীশু খ্রীষ্ট নিশ্চই আসবেন। আমরা কি যীশুকে স্বাগতম জানাবার জন্য প্রস্তুত আছি ? পবিত্র বাইবেল বলে যদি আমরা প্রস্তুত না থাকি তবে তিনি আমাদের সমূচিত দন্ড দিবেন।  


    উপসংহার :
    আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে উদ্ধারকর্তা হিসেবে গ্রহণ করে ঈশ্বরের সন্তান হোন। যোহন ১:১২ পদে বলা আছে ”কিন্তু যত লোক তাঁহাকে গহণ করিল, সেই সকলকে, যাহারা তাঁহার নামে বিশ্বাস করে তাহাদিগকে, তিনি ঈশ্বরের সন্তান হইবার ক্ষমতা দিলেন।” তাঁকে গহণ করার মধ্য দিয়ে তাঁর আগমনের পথ প্রস্তুত হবে। প্রভু যীশু খ্রীষ্ট নিয়ত আপনার জন্য অপেক্ষা করে আছেন। আপনি কি যীশু খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাস করেছেন ? আজই উপযুক্ত সময় তাঁকে গহণ করার। স্বীকার করুন আমি পাপী এবং যীশুর রক্ত আমার সমস্ত পাপ পরিস্কার করে।  আমেন।

    পরিচিতদেরকে জানাতে শেয়ার করুন

    আপনার জন্য আরো কিছু পোস্ট

    RELATED ARTICLES

      ADS