যেহেতু ১ করিন্থীয় ৭:২ পদে সুস্পষ্টভাবে বিয়ের আগে যৌন সম্পর্ককে যৌন অনৈতিকতা বলে উল্লেখ করেছে এবং বাইবেলে বলা অনেক পদে যৌন অনৈতিকতাকে পাপ বলা হয়েছে, সেই অর্থে বিয়ের আগে যৌন সম্পর্কও পাপ বলে ধরা যায়। বাইবেলের সংজ্ঞা অনুসারে বিয়ের আগে যৌন সম্পর্ক মূলত যৌন অনৈতিকতার পর্যায়ে পড়ে। বাইবেলে এমন অনেক পদ রয়েছে, যা বিয়ের আগে যৌন সম্পর্ককে পাপ বলে (প্রেরিত ১৫:২০; ১ করিন্থীয় ৫:১; ৬:১৩, ১৮; ১০:৮; ২ করিন্থীয় ১২:২১; গালাতীয় ৫:১৯; ইফিষীয় ৫:৩; কলসীয় ৩:৫; ১ থিষলনীকীয় ৪:৩; যিহূদা ৭ পদ দ্রষ্টব্য)।
অন্যদিকে, প্রায়শই আমরা যৌন সম্পর্ক স্থাপন “আনন্দের” বিষয় বলে মনে করি; কখনও চিন্তা করি না, এর ফলে সন্তান জন্ম হওয়ার মত একটা নেতিবাচক দিক আছে। বিয়ের মধ্য দিয়ে যৌন সম্পর্ক আনন্দের এবং ঈশ্বর এভাবেই তা সাজিয়েছেন। ঈশ্বর চান যেন পুরুষ ও স্ত্রী তাদের বিয়ের গন্ডীর মধ্যে থেকে যৌন আনন্দ উপভোগ করে। শলোমনের লেখা পরমগীত এবং বাইবেলের অন্যান্য পদে (যেমন, হিতোপদেশ ৫:১৯) সুস্পষ্টভাবে যৌন আনন্দের কথা বলেছে। যাইহোক, স্বামী-স্ত্রীকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, সন্তান জন্ম দেবার উদ্দেশ্যেই ঈশ্বর যৌনতা দিয়েছেন। সেইজন্য, বিয়ের আগে নারী-পুরুষের যৌন মিলন চরম ভুল- কারণ তারা তো শুধুমাত্র আনন্দের জন্য এটা করছে এবং পারিবারিক কাঠামোর বাইরে সন্তান জন্ম দিতে সুযোগ নিতে যাচ্ছে, যা তাদের প্রত্যেক সন্তানের জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্য নয়।
যখন বাস্তবভাবে কোনটা ঠিক, কোনটা ভুল তা এভাবে নির্ণয় করা যায় না, তবু বিয়ের আগে যৌনতা সম্পর্কে বাইবেলের উপদেশ মেনে নিলে যৌন রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকবে না, অবৈধ গর্ভপাতের সম্ভাবনা থাকবে না, বিয়ে ছাড়াই মা হওয়ার সম্ভাবনা এবং অনিচ্ছায় গর্ভ হবারও সম্ভাবনা থাকবে না। তাছাড়াও, পিতা-মাতা উভয়ের সাহচর্য ছাড়া সন্তানের বেড়ে ওঠার সুযোগ তাদের জীবনে থাকবে না। বিয়ের আগে যৌনতা বর্জন বিষয়ে ঈশ্বরের দেওয়া একমাত্র নীতি হচ্ছে সংযম পালন করা। সংযম পালন করলে জীবন রক্ষা পাবে, বাচ্চারা রক্ষা পাবে, যৌন সম্পর্ক সঠিক মূল্য পাবে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ- ঈশ্বরকে সম্মান দেওয়া হবে।