অব্রাহামের মহাপরীক্ষা

ads20

    ভূমিকা ঃ-মানব জীবনে বিভিন্ন রকমের পরীক্ষা হয়। সাধারণতঃ পরীক্ষা স্কুল/কলেজ জীবনে হয়ে থাকে। আবার কর্ম ক্ষেত্রে প্রবেশের পূর্বেও পরীক্ষা দিতে হয়। আসলে মানব জীবনে পরীক্ষার কোন শেষ নাই। প্রতিটি মুহুর্তে প্রতিটি ক্ষণেই আমাদের কোন না কোন পরীক্ষার সম্মূখীন হতে হয়। এসবই জাগতিক পরীক্ষার বিবরণ কিন্তু আমাদের খ্রীষ্টিয় জীবনেও প্রতি নিয়ত পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কারণ খ্রীষ্টিয় জীবনের আরেকটি নাম হইল ‘পরীক্ষা সিদ্ধ’ জীবন। সুতরাং পবিত্র বাইবেলের ইতিহাসে ঈশ্বর ভক্তগণের জীবনে অনেক পরীক্ষার বিবরণ আমরা দেখতে পাই। ঈশ্বরীয় পরীক্ষার পাশাপাশি দিয়াবলের পরীক্ষার বিষয়টিও আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, আমরা মাঝে মাঝে দিয়াবল কর্তৃক পরীক্ষীত হই।


    শিরোনাম ঃ- ঈশ্বরের রবে অবধান করা।

    শাস্ত্রপাঠ ঃ- আদি ২২;১-১৪, ১ পদ।


    প্রার্থনা ঃ- নিজেই।

    কেন্দ্রিয় সত্য ঃ- ঈশ্বর মাঝে মাঝে তার সন্তানদের বিশ্বাস/ভালবাসা পরীক্ষা করে থাকেন- ২পিতর ২;৯ + ১করি ১০;১৩ পদ।

    চুম্বক শব্দ ঃ-পরীক্ষা

    ১ম বিষয় ঃ-ঈশ্বর অব্রাহামের পরীক্ষা করিলেন১ পদ = এই সকল ঘটনার পর ঈশ্বর অব্রাহামের পরীক্ষা করিলেন। (ইস্মায়েলকে দুর করার ঘটনার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা)। ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞানুসারে অব্রাহামের একশত বছর বয়সে সারা পুত্র প্রসব করিলেন। পরে সে স্তন পান ত্যাগ করিলে অব্রাহাম মহাভোজ প্রস্তুত করিলেন। সেই আয়োজনের দিন ইশ্মায়েল ইস্হাককে পরিহাস করলে সারা তাহা দেখিলেন। তাই সারা অনতিবিলম্বে অব্রাহামকে বলিলেন, তুমি ঐ দাসিকে ও উহার পুত্রকে  দূর করিয়া দেও। কেননা আমার পুত্র ইস্হাকের সহিত ঐ দাসির পুত্র উত্তরাধিকারী হইবে না। কিন্তু সারার এই কথায় অব্রাহাম অসন্তোষ্ট হইলে ঈশ্বর অব্রাহামকে কহিলেন, তুমি তোমার স্ত্রী সারার কথা শুন। কেননা ইস্হাকই তোমার বংশ আখ্যাত হইবে। পরে অব্রাহাম প্রত্যুষে উঠিয়া রুটি ও জলপূর্ণ কুপা লইয়া হাগারের স্কন্ধে দিয়া বালকটিকে সমর্পন করিয়া তাহাকে বিদায় করিলেন।

    ঈশ্বরের প্রতি অব্রাহামের বিশ্বাস ও অঈীকারের চরম পরীক্ষা হয়েছিল। ঈশ্বর তাকে সাধারন জ্ঞান, তার পিতৃ সুলভ ভালবাসা এবং তার সারা জীবনের প্রত্যাশার সম্পুর্ণ বিপরীত এক কাজ করতে আদেশ দিলেন- ২ পদ।অব্রাহামের কাহিনীতে আমরা তার বিশ্বাসের তিনটি পরীক্ষার কথা দেখতে পাই। 

    ক) তার আত্নীয় পরিজন ও নিজ দেশ পরিত্যাগ করার আহবান-১২;১,২ এবং কোথায় যাচ্ছেন তাহা না জেনে যাত্রা করা- ইব্রীয় ১১;৮ পদ = বিশ্বাসে অব্রাহাম, যখন আহুত হইলেন, তখন যে স্থান অধিকারার্থে প্রাপ্ত হইবেন, সেই স্থানে যাইবার আজ্ঞা মান্য করিলেন, এবং কোথায় যাইতেছেন, তাহা না জানিয়া যাত্রা করিলেন।

    খ) পঁচিশ বছর পর্যন্ত চুক্তির প্রতিজ্ঞাগুলি পরিপুর্ণ হতে না দেখেওঈশ্বরের উপর বিশ্বাস রক্ষাকরা-১২;১-৩,১৫;৬-৮,১৮;৬-১৪   

    গ) প্রতিজ্ঞাত পুত্র ইসহাককে বলিদান করিতে আদেশ - ২ পদ।

    ২য় বিষয় ঃ- ঈশ্বরের রব শুনা = ইতিপূর্বে অব্রাহাম অনেক বার ঈশ্বরের রব শুনে ছিলেন। আজও তিনি ঈশ্বরের রব শুনলেন, ঈশ্বর তাঁহাকে কহিলেন, হে অব্রাহাম; অব্রাহাম ঈশ্বরের রবে সাড়া দিয়ে বললেন, দেখুন, এই আমি। ছোট শমূয়েলকে যখন ঈশ্বর তিন তিনবার ডেকেছিলেন, তখনও ছোট শমূয়েল ঈশ্বরের রব বুঝতে পারে নি, কারণ সেই সময় ছিল শমূয়েলের জীবনে ১ম রব। তাই সে ঈশ্বরের রব রপ্ত করতে পারে নি, কারণ সে অভ্যস্ত ছিল না। তাই সে প্রতিবার এলি যাজকের নিকটে দৌড়াইয়া গিয়া বলল, আপনি তো আমাকে ডেকেছেন।

    (১) অব্রাহাম ঈশ্বরের রব শুনতে শুনতে তাঁর রব রপ্ত করেছিলেন, তাঁর অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিল। আজকের এই মহা পরীক্ষা চলাকালে অব্রাহাম দুই বার ঈশ্বরের রব শুনলেন এবং দুই বারই তিনি ঈশ্বরের রবে অবধান করলেন।আমরা কি ঈশ্বরের রব শুনতে পাই ?

    ৩য় বিষয় ঃ-২ পদ = তুমি আপন পুত্রকে হোমার্থে বলিদান কর ঃ- অব্রাহামকে আদেশ দেওয়া হয়েছিল যেন তিনি আপন পুত্র ইসহাককেবলিদান করেন। সমস্ত বিশ্বাসীদের সঙ্গে ঈশ্বর মুলতঃ যে দুটি বিষয় নিয়ে ব্যবহার করে থাকেন, সেটাই এখানে মুল লক্ষ্য। যথা ঃ-

    ক) ঈশ্বরের জন্য অব্রাহামের অন্যদের প্রতি ভালবাসা,এমনকি তার প্রিযতম পুত্রের প্রতি ভালবাসার চেয়ে কি বেশী ছিল ?

    খ) প্রতিজ্ঞা পুরণের আশা আকাক্সক্ষাগুলি তখনও কি ঈশ্বরের প্রতিই নিবদ্ধ ছিল , না নাকি তিনি তখন অন্য কিছুতে আশা করছিরেন ? 

    এই পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ঈশ্বর অব্রাহামকে এই সমস্ত প্রশ্নের মুখোমুখি হতে বাধ্য করেছিলেন এবংসত্যিসত্যি তিনি সমস্ত অন্তর দিয়ে ঈশ্বরকে ভয় করেন কিনা তা পরিস্কার ভাবে বুঝতে পারেন।

    ৪র্থ বিষয়ঃ- ৮ পদ = ঈশ্বর যোগাইবেন ঃ- ঈশ্বর যোগাইবেন, কথাটি ভাববাণীমুলক এবং দেখিয়ে দেয় যে, এই বলিদানের প্রতিকল্পরুপে একটি ভেরা ঈশ্বর যোগাবেন-১৩ পদ।

    “অব্রাহামের এই কথার চুরান্ত পরিপূর্ণতা দেখা যায় ঈশ্বরের একমাত্র পুত্রকে কারভেরীতে মানব জাতিরমুক্তির জন্য প্রায়শ্চিত্তকারী বলিরুপে দান করা। এভাবে স্বর্গীয় পিতা অব্রাহামকে যা করতে বলেছিলেন, তা তিনি নিজেই করলেন-যোহন ৩;১৬পদ।”

    ৫ম বিষয় ঃ- ৯ পদ = আপন পুত্র ইসহাককে বাঁধিযা ঃ- ইসহাক সম্ভবতঃ তখন এমন যুবা বয়সের ছিলেনযে, ইচ্ছা করলে ভালভাবেই তার পিতাকে বাধা দিতে পারতেন। ঠিক যীশু যেভাবে  সেচ্ছায় ক্রুশের কাছে গিয়েছিলেন, তেমনি ঈশ্বরের প্রতি সম্পুর্ণ আত্নসমর্পন করে তার পিতার প্রতি বাধ্য থেকে তিনি নিজেকে বাঁধতে দিয়ে বেদির উপর শায়িত হলেন।

    ৬ষ্ঠ বিষয় ঃ- ১০ পদ = পরে অব্রাহাম হস্ত বিস্তার করিলেন ঃ- শাস্ত্র এই কথা বলে যে, অব্রাহাম যখন তার পুত্র ইস্হাককে বেদির উপর অর্পন করছিলেন, তখন তারকাজের দ্বারা তিনি ধার্মিক গণিত হইলেন (যাকোব ২; ২১), অর্থাৎ ঈশ্বরের প্রতিতার বিশ্বাস, অকপট বাধ্যতায় প্রকাশিত হয়েছিল = তখন তিনি সদাপ্রভূতে বিশ্বাস করিলেন, আর সদাপ্রভূ তাঁহার পক্ষে তাহা ধার্মিকতাবলিয়া গননা করিলেন- আদি ১৫;৬ পদ। প্রকৃত বিশ্বাসের জীবন গোপন থাকলেও অবশ্যই তা কোন একদিন বাধ্যতার জীবনের মাধ্যমে প্রকাশিত হবে - রোমীয় ১;৫, ২;৭ পদ।

    ৭ম বিষয় ঃ- ১২ পদ = এখন আমি বুঝিলাম, তুমি ঈশ্বরকে ভয় কর ঃ-সাধু দায়ুদ তাঁর ৩৪ গীতের ১১ পদে বলেছেন, ‘ আইস, বৎসগণ, আমার বাক্য শুন, আমি তোমাদিগকে সদাপ্রভুর ভয় শিক্ষা দিই। জ্ঞানী রাজা শলোমন তাঁর লেখার উপদেশের শেষে বলেছেন, ‘ আইস, আমরা সমস্ত বিষয়ের উপসংহার শুনি; ঈশ্বরকে ভয় কর, ও তাঁহার আজ্ঞা সকল পালন কর, কেননা ইহাই সকল মনুষ্যের কর্তব্য- উপ ১২;১৩ পদ।’অব্রাহাম যখন বলিদানের জন্য এগিয়ে গেলেন, তখন ঈশ্বর দেখলেন যে, অব্রাহামের হৃদয়ে চুরান্ত আত্নসমর্পণ সাধিত হয়েছে, তখন সদাপ্রভু বুঝলেন যে, অব্রাহাম একজন ঈশ্বর ভয়শীল লোক, যার প্রধান চিন্তা ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করা।১ শমূয়েল ১৫;২২ পদ = সদাপ্রভূর রবে অবধান করিলে যেমন, তেমন কি হোমে ও বলিদানে সদাপ্রভূ প্রসন্ন হন ? দেখ, বলিদান অপেক্ষা আজ্ঞা পালন উত্তম; এবং মেষের মেদ অপেক্ষা অবধান করা উত্তম। তাই তো পবিত্র শাস্ত্রে বলা হয়েছে, ‘অতএব তুমি জ্ঞাত হও, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুই ঈশ্বর; তিনি বিশ্বসনীয় ঈশ্বর, যাহারা তাঁহাকে প্রেম করে ও তাঁহার 


    (২)আজ্ঞা পালন করে, তাহাদের পক্ষে সহস্র  পুরুষ পর্যন্ত নিয়ম ও দয়া রক্ষা করেন’- ২বিবরণ ৭;৯ পদ।

    ৮ম বিষয় ঃ- ১৪ পদ = যিহোবা যিরি- এই নামের অর্থ (সদাপ্রভূ যোগাইবেন)।কিভাবে ঈশ্বর ইস্রায়েল জাতিকে প্রান্তরে খাদ্যদ্রব্য যোগাইয়া দেন, সেই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা।ঈশ্বর যে অব্রাহামকে পরীক্ষা করলেন, তা থেকে আমরা জানতে পারি যে 

    ক) ঈশ্বর মাঝে মাঝে তার সন্তানদের বিশ্বাস / ভালোবাসা পরীক্ষা করে থাকেন-১পিতর ১;৬,৭ = ইহাতে তোমরা 

    উল্লাস করিতেছ, যদিও অবকাশমতে অল্প কাল নানাবিধ পরীক্ষায় দুৎখার্ত হইতেছ, যেন, যে সূবর্ণ নশ্বও হইলেও অগ্নি দ্বারা পরীক্ষিত হয়, তাহা অপেক্ষাও মহামূল্য, তোমাদের বিশ্বাসের পরীক্ষাসিদ্ধতা , যীশু খ্রীষ্টের প্রকাশকালে প্রশংসা, গৌরব ও সম্মানজনক হইয়া প্রত্যক্ষ হয়। 

    খ) ঈশ্বর বিশ্বাসযোগ্য ঃ- তার ইচ্ছার অধীনে যে কোন অবস্থায় তিনি তার উপস্থিতি, তার অনুগ্রহ এবং অন্যান্য সব প্রয়োজন যুগিয়ে  থাকেন- ২ করি ৯;৮ = আর ঈশ্বর তোমাদিগকে সর্বপ্রকার অনুগ্রহের উপচয় দিতে সমর্থ; যেন সর্ববিষয়ে সর্বদা সর্বপ্রকার প্রাচুর্য থাকায় তোমরা সর্বপ্রকার সৎকর্মের নিমিত্ত উপচিয়া পড়।

    গ) ঈশ্বর প্রায়ই কোন প্রত্যাশা বা কোন একটি দর্শনের অবসান ঘটিয়ে তার পরিত্রানকারী উদ্দেশ্য সাধন করে থাকেন 

    অর্থাৎ তিনি আমাদের জীবনে এমন সব ঘটনা ঘটতে দিতে পারেন যা আমাদের আশা ও স্বপ্নকে মনে হয় যেন সম্পূর্ণ ধুলিষাৎ করে দিচ্ছে- আদি ১৭;১৫-১৭, ২২;১-১২, ৩৭;৫-৭, ২৮ পদ। মার্ক ১৪;৪৩-৫০, ১৫;২৫,৩৭ পদ।

    ঘ) বিশ্বাসের পরীক্ষার পরে ঈশ্বরসাধারণতঃ বিশ্বাসীদেরকে সুস্থির, সবল ও পুরস্কৃত করেথাকেন- ১পিতর ৫;১০।

    ঙ) ঈশ্বরের অভিপ্রেত খাঁটি জীবন পেতে হলে ঈশ্বর যা কিছু চান সেগুলি সেচ্ছায় উৎসর্গ করতে হবে- মথি ১০;৩৭-৩৯ = যে কেহ পিতা কি মাতাকে আমা হইতে অধিক ভালবাসে, সে আমার যোগ্য নয়; এবং যে কেহ পুত্র কি 

    কন্যাকে আমা হইতে অধিক ভালবাসে, সে আমার যোগ্য নয়।আর যে কেহ আপন ক্রুশ তুলিয়া লইয়া আমার পশ্চাৎ না আইসে, সে আমার যোগ্য নয়। যে কেহ আপন প্রাণ রক্ষা করে; সে তাহা হারাইবে, এবং যে কেহ আমার নিমিত্ত আপন প্রাণ হারায়, সে তাহা রক্ষা করিবে।

    চ) দুঃখ কষ্ট ও বিশ্বাসের পরীক্ষার পরে বিশ্বাসীর প্রতি সদাপ্রভুর আচরণের পরিণাম এই যে, “ তিনি  স্নেহপূর্ণ ও দযাময় ”- যাকোব ৫;১১ পদ।

    উপসংহার ঃ-অব্রাহাম যখন বলিদানের জন্য এগিয়ে গেলেন, তখন ঈশ্বর দেখলেন যে, অব্রাহামের হৃদয়ে চুরান্ত 

    আত্মসমর্পণ সাধিত হয়েছে। সদাপ্রভু তখন বুঝলেন যে, অব্রাহাম একজন ঈশ্বর ভয়শীল লোক, যার প্রধান চিন্তা “ ঈশ্বরের আজ্ঞা পালন করা ”। লূক ৬;৪৬ পদে যীশু খ্রীষ্ট বলেছেন, “আর তোমরা কেন আমাকে হে প্রভু, হে প্রভু, বলিয়া ডাক, অথচ আমি যাহা বলি, তাহা কর না ?আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টও মৃত্যু পর্যন্ত পিতার আজ্ঞাবহ হয়ে তাঁর ইচ্ছা পালন করেছেন- ফিলি ২;৬-৮ পদ।

    আহবান ঃ- ধন্য সেই ব্যক্তি, যে পরীক্ষা সহ্য করে; কারণ পরীক্ষাসিদ্ধ হইলে পর সে জীবন মুকুট প্রাপ্ত হইবে, তাহা প্রভু তাহাদিগকেই দিতে অঙ্গীকার করিয়াছেন, যাহারা তাঁহাকে প্রেম করে- যাকোব ১;১২ পদ। সদাপ্রভূর রবে অবধান করিলে যেমন, তেমন কি হোমে ও বলিদানে সদাপ্রভূ প্রসন্ন হন ? দেখ, বলিদান অপেক্ষা আজ্ঞা পালন উত্তম; এবং মেষের মেদ অপেক্ষা অবধান করা উত্তম।

    ঈশ্বর তাঁর জীবন্ত বাক্যের আলোকে আমাদের সকলকে আশীর্বাদ দান করুন, আমেন।


    পালক কিশোর তালুকদার

    হাউজ চার্চ অব বাংলাদেশ, ঢাকা।


    পরিচিতদেরকে জানাতে শেয়ার করুন

    আপনার জন্য আরো কিছু পোস্ট

    RELATED ARTICLES

      ADS