মূল্যবান জীবনের পথ Life Worth Living

ads20
     অস্থির জগৎ
    এই পৃথিবী একটা অস্থির জায়গা । আমরা দেখি, মানুষ ইতস্তত ছুটাছুটি করে চলেছে তাদের জীবনকে খুশী করার জন্য ধন-সম্পদ আয় করতেও অনেকে নিজেদের একান্তভাবে ব্যস্ত রাখে। অন্য অনেকে জগতের সব রকম ভোগ-বিলাসে নিজেদের সময় কাটায়। আবার. কেউ কেউ অলস অবসর কাটাতে পছন্দ করে এবং কম খাটুনি করে বেশী অর্থ উপার্জন
    করতে চেষ্টা করে ও খেলাধুলায় বেশী সময় ব্যয় করে। তবুও তাদের আত্মা তৃপ্ত হয় না। খেলার সরঞ্জাম, আনন্দ-স্ফুতি  ও সম্পত্তির প্রতি তাদের আকর্ষণ অবশেষে শেষ হয়ে যায়।কারণ প্রতিটা নতুন নতুন ভোগ-বিলাস ও তার চাহিদা কিছুদিন থাকে, কিন্তু আবার হারিয়ে যেতেও সময় লাগে না। তবু মনে হয় জীবনে আরো কিছু দরকার ।

    আমরা সকলেই কম-বেশি হতাশায় ভুগি। শারীরিক দোষ ত্রুটির জন্য আমাদের কাজকর্ম সীমিত হয়। পরিবারের লোকদের দেখাশুনা করতে হয়। অনভিজ্ঞতার কারণে আমরা আমাদের চাকুরী বা পেশায় আটকে পড়ি এবং অন্য অনেক  কাজ করতে পারি না। আমরা টাকা-পয়সা খরচ করি, ঋণ করি আর ভাবি- পরবর্তী  সময় জীবনযাত্রা আরো সহজ হবে। বিয়ে করে আমরা যা আশা করি তা অনেক সময়ই পাই না। প্রায় অযথাই আমরা পরিপূর্ণতা ও উদ্দেশ্য খুঁজি।

    এই কি আমাদের জীবনের সব? আমাদের জীবনে কি অর্থবহ কিছু থাকা উচিত নয়, যা আমাদের সন্তুষ্টি এবং কোন স্থায়ী কিছু দিতে পারে? নিশ্চয়ই, এর একটা সমাধান আছে!

    জীবন কি?
    জীবনটা হচ্ছে একটা মূল্যবান কিছু সময় যা সৃষ্টিকর্তা  আমাদের জন্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। বাইবেল বলে, জীবন একটা ছায়ার মত, (১ বংশাবলি ২৯:১৫), ঘাস ও ফুলের মত অল্প স্থায়ী, (১ পিতর ১:২৪) এবং বাম্পমাত্র, (যাকোব ৪:১৪ পদ)।

    আমরা যখন তরুণ , তখন আমরা মনে করি, আমরা অনেকদিন বাচব। আর যখন বুড়ো হই, মনে হয় সময় খুব তাড়াতাড়ি চলে যাচ্ছে। হতে পারে, আমরা আমাদের প্রথম জীবনের উদ্দেশ্য অর্জন করতে ব্যর্থ। এইভাবে আমরা আমাদের জীবন সম্পর্কে হতাশ হই।

    সমস্যাটা কিঃ
    কোন্‌ বিষয়গুলি আমাদের আত্মাকে অসন্তুষ্ট করে? জীবনটা আমাদের জন্য একটা সুযোগ, কিন্তু দায়িতৃও বটে। যে সব ভাল কাজগুলি আমরা করতে জানি অথচ করি না, তখন আমরা অসুখী হয়ে পড়ি । কোন মানুষের বিরুদ্ধে কোন পাপ করলেও অস্বস্থি ও অন্যায় বোধ আমাদের বিরক্ত করে। আমাদের নিজেদের পাপ, আমাদের মনের শান্তি নষ্ট করে। আমরা আমাদের কাজের জন্য নিজেদেরই দায়ী করে থাকি। অনেক মানুষ হৃদয়ে অনুভব করে যে, পৃথিবীতে অল্প কিছুকাল বেঁচে থাকার চেয়েও জীবনটা অনেক বড়। তাদের বোঝা দরকার যে এই মহা বিশ্বে মহৎ উদ্দেশ্যে কাজ করার জন্য একটা বড় আত্মিক শক্তি আছে। অথচ তারা হয়তো জানে না, তিনি কে? দেখতে ব্যর্থ হয়। তারা ঈশ্বরের ইচ্ছা সম্পর্কে ও মানুষের জন্য তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে ইচ্ছা করেই বুঝতে চায় না। অনেক লোকই বিশ্বাসীদের অনন্তকালীন সুখ দেখতে ব্যর্থ, আবার অন্যদিকে দুষ্ট ও অধার্মিকদের শেষ বিচারের কথা জেনেও না জানার ভান করে। বাইবেলে পড়ুন (রোমীয় ৬:২০-২৩)।


    পরিপূর্ণ জীবন
    যোহন ১৬:২৪ পদে বীশু বলেছেন, “এখনও পর্যন্ত তোমরা আমার নামে কিছুই চাও নি। চাও, তোমরা পাবে যেন তোমাদের আনন্দ পূর্ণ হয়।” একজন খ্রষ্টিয়ানের জীবন থেকে যীশুর দেওয়া আনন্দ সহজে মুছে ফেলা যায় না। কোন কোন সময় প্রলোভনে পড়ে আমাদের হৃদয় ভারাক্রান্ত হয়। কিন্তু পবিত্র আত্মার দেওয়া ফল হল আনন্দ তা আমাদের অন্তরে থাকে এবং সকল প্রলোভনের ভিতর দিয়েও হৃদয়ের আরো গভীরে প্রবেশ করে । এতে হয়তো সব সময় আনন্দ করা যায় না, কিন্তু প্রভুর উপর শান্তভাবে বিশ্বাস রেখে প্রলোভনের সময় আমাদের স্থির থাকতে এবং যে কোন ঝড়কে জয় করতে সাহায্য করে। হয়তো কেউ আপনাকে বলবে, খ্ীষ্টিয়ান জীবন-যাপনের পথ এত সীমাবদ্ধ যা ইচ্ছা মত উপভোগ করা যায় না। তারা চিন্তা করে, সুখী হতে হলে অবশ্যই যা খুশী তা-ই করেই সুখী হওয়া যায়। কিন্তু শুধু পরীক্ষামূলকভাবেই প্রভুর কাছে আসুন!

    তার সেবা করে আপনি আনন্দ পাবেন, যিনি আপনার জন্য প্রাণ দিয়েছেন। এতে আপনি আরো পরিস্কার বুঝতে পারবেন,
    যে নিজের সেবা করে সে-ই আসলে দাতের বাধনে জড়ানো; আর খ্রীষ্টের সেবক একজন স্বাধীন ব্যক্তি।

    আদব-কায়দা বা ফ্যাশন কিন্তু আমাদের জীবনে সত্যিকার আনন্দ দিতে পারে না। এই ধরনের জীবন-যাপন প্রবল আকর্ষণীয় হলেও তা পরিনামে আমাদের দাসতেের বাধনে বেঁধে ফেলে। কিন্তু যখন আমরা নম্র হই, তখন আমরা স্বাচ্ছন্দ বোধ করি এবং মুক্তি পাই। তখন অন্যেরা আমাদের নিয়ে কি ভাবে, সেই চিন্তা আমাদের মনকে প্রভাবিত করতে পারে না।

    যীশু আমাদের বেঁচে থাকার ইচ্ছা দেন

    মথি ১১:২৮ পদে আমরা পড়ি, “তোমরা যারা ক্লান্ত ও বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছ, তোমরা সবাই আমার কাছে এস; আমি তোমাদের বিশ্রাম দেব।” ঈশ্বরের পুত্র যীশু শ্রীষ্ট এখানে পাপের ভারে ক্লান্ত সবাইকে বিশ্রাম দিতে চেয়েছেন। যাদের কাছে তাদের জীবনের ভার বেশী, যাদের জীবন অপরিপূর্ণ, উদ্দেশ্যবিহীন, তাদের সবাইকে বিশ্রাম দেবার কথাও বলেছেন।

    প্রভুর কাছে আসুন, এবং আপনার পাপের ভার, আপনার সমস্যা, আপনার অপূর্ণ জীবনের শৃণ্যতা আর আপনার নিরাশাও তুলে ধরুন; স্বীকার করুন আপনার সমস্যাবহুল জীবন পরিচালনা করার অক্ষমতার কথা । জানা মতে আপনার জীবনে যা কিছু ভুল আছে, তা থেকে ফিরে আসুন । আপনার জীবন যীশুর কাছে সমর্পণ করুন। তার উপর বিশ্বাস করুন
    তাহলে তিনি আপনার হাত ধরে আপনাকে পরিচালনা
    করবেন।

    আপনার জীবনে সাহায্যের প্রয়োজন আছে- একথা যদি বুঝতে পারেন, তাহলে আপনি যীশুর কাছে এসে তার সাহায্য গ্রহণ করুন। তিনি আপনার জন্য কিছুই করতে পারবেন না, যতক্ষণ আপনি নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং স্বাধীন ভাবেন। কিন্তু যখন আপনি নিজেকে তার তন্তাবধানে ছেড়ে দেবেন, তখন আপনার জীবনে আশার আলো জনলবে। আপনার প্রাণের গভীরে যে আকুল আকাঙ্খা রয়েছে, তা মীন শরীষ্ট পূর্ণ করতে পারেন। তাই, আপনার জীবন ও আপনার সব ইচ্ছাকে যীশুর হাতে দিয়ে দিন। যদি তার কাছে চান, তাহলে তিনি তার পূর্ণতা দিয়ে আপনার জীবনকে ভরে দেবেন।


    পরিচিতদেরকে জানাতে শেয়ার করুন

    আপনার জন্য আরো কিছু পোস্ট

    RELATED ARTICLES

      ADS