আমরা কি মরিয়ম এর কাছে প্রার্থনা করব?

ads20
    আপনার জন্য প্রশ্ন: কুমারী মরিয়ম এর কাছে প্রার্থনা করা কি একটি পাপ? ঈশ্বর কি অখুশি হবেন যদি আমরা মরিয়ম এর কাছে যাচ্ঞা করি এবং তাকে মধ্যস্থতা করতে বলি?
    পবিত্র বাক্য বলে একমাত্র একজনের কাছেই তুমি তোমার প্রার্থনা সকল করতে পার, তিনি হলেন স্বয়ং ঈশ্বর। ঈশ্বরের পরিত্রাণ বিষয়ে যীশুর মা মরিয়ম অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।তার ভূমিকাটা হলো যে, তার মধ্য দিয়ে যীশুর আগমন ঘটেছে। সুসমাচার লেখক লূক স্বর্গদূত গাব্রিয়েল মাধ্যমে মরিয়মের কাছে তার দায়িত্ব সম্পর্কে যে সংবাদ এনেছেন তা লিপিবদ্ধ করেছন: ‚মরিয়ম, ভয় কোরো না, কারণ ঈশ্বর তোমাকে খুব দয়া করেছেন। শোন, তুমি গর্ভবতী হবে আর তোমার একটি ছেলে হবে। তুমি তাঁর নাম যীশু রাখবে। তিনি মহান হবেন।তাঁকে মহান ঈশ্বরের পুত্র বলা হবে।প্রভু ঈশ্বর তাঁর পূর্বপুরুষ রাজা দায়ূদের সিংহাসন তাঁকে দেবেন। তিনি যাকোবের বংশের লোকদের উপরে চিরকাল ধরে রাজত্ব করবেন। তাঁর রাজত্ব কখনও শেষ হবে না।“

    যীশুর জন্মগ্রহণ থেকে শুরু করে যীশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা এবং পুনরুত্থিত হওয়া পর্যন্ত মরিয়ম একজন ভালো ও মমতাময়ী মা ছিলেন। প্রেরিত ১:১৪ পদে আমরা পড়ি ‚তাঁরা সবাই বিশ্বাসী স্ত্রীলোকদের সংগে এবং যীশুর মা মরিয়ম ও তাঁর ভাইদের সংগে সব সময় একমন হয়ে প্রার্থনা করতেন।“ মরিয়ম অন্য সকলের মতো ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন। আর পঞ্চসপ্তমীর দিনে মরিয়ম যীশুর অন্যান্য শিষ্যদের সাথে সেখানে ছিলেন। ‚তখন হঠাৎ আকাশ থেকে জোর বাতাসের শব্দের মত একটা শব্দ আসল এবং যে ঘরে তাঁরা ছিলেন সেই শব্দে সেই ঘরটা পূর্ণ হয়ে গেল। শিষ্যেরা দেখলেন আগুনের জিভের মত কি যেন ছড়িয়ে গেল এবং সেগুলো তাঁদের প্রত্যেকের উপর এসে বসল। তাতে তাঁরা সবাই পবিত্র আত্মাতে পূর্ণ হলেন এবং সেই আত্মা যাকে যেমন কথা বলবার শক্তি দিলেন সেই অনুসারে তাঁরা ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় কথা বলতে লাগলেন। “(প্রেরিত ২: ২-৪)।
    মরিয়ম একজন মমতাময়ী মা এবং যীশু খ্রিস্টের বিশ্বস্ত শিষ্য ছিলেন। মরিয়ম ঈশ্বর নন।তাঁর কাছে আমাদের প্রার্থনা করা উচিত নয় এবং তিনি আমাদেরকে তা করতে বলেনওনি। অন্যদিকে যিশু আমাদেরকে তাঁর কাছে প্রার্থনা করতে বলছেন: তোমরা আমার নামে যা কিছু চাইবে তা আমি করব, “যেন পিতার মহিমা পুত্রের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয়।আমার নামে যদি আমার কাছে কিছু চাও তবে আমি তা করব“ (যোহন ১৪: ১৩-১৪)।
    মরিয়ম নন, যীশু খ্রিস্ট যিনি আমাদের জন্য মধ্যস্থতা করেন: এইজন্য যারা তাঁর মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের কাছে আসে তাদের তিনি সম্পূর্ণ ভাবে উদ্ধার করতে পারেন, কারণ তাদের পক্ষে অনুরোধ করবার জন্য তিনি সব সময় জীবিত আছেন (ইব্রীয় ৭:২৫)।
    ১ তিমথীয় ২:৫-৬ পদে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে যে যীশুই শুধুমাত্র আমাদের প্রার্থনা ঈশ্বরের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন: ঈশ্বর ও মানুষের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীও মাত্র একজন আছেন। সেই মধ্যস্থতা কারী হলেন মানুষ খ্রীষ্ট যীশু। তিনি সব মানুষের মুক্তির মূল্য হিসাবে নিজের জীবন দিয়েছেন।
    যীশু খ্রিস্টের মৃত্যুর মাধ্যমে ঈশ্বরের সাথে সম্পর্কযুক্ত হই।
    ঈশ্বর তাঁর দশ আজ্ঞায় বলেছেন: “পূজার উদ্দেশ্যে তোমরা কোন মূর্তি তৈরী করবে না, তা আকাশের কোন কিছুর মত হোক বা মাটির উপরকার কোন কিছুর মত হোক কিম্বা জলের মধ্যেকার কোন কিছুর মত হোক।তোমরা তাদের পূজাও করবে না, তাদের সেবাও করবে না, কারণ কেবলমাত্র আমি সদাপ্রভুই তোমাদের ঈশ্বর। আমার পাওনা ভক্তি আমি চাই“ (যাত্রাপুস্তক ২০:৪-৫)। এখানে ঈশ্বর তাঁর পাওনা ভক্তির স্থানে অন্য কিছুর স্থান দিতে নিষেধ করেছেন। আমরা শুধুমাত্র ঈশ্বরের প্রশংসা করব অন্য ইছুর নয়। তাহলে ঈশ্বর ব্যতীত অন্য কারো কাছে প্রার্থনা করা কি পাপ? হ্যাঁ পাপ।

    পরিচিতদেরকে জানাতে শেয়ার করুন

    আপনার জন্য আরো কিছু পোস্ট

    RELATED ARTICLES

      ADS