বাংলাদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায় এবং খ্রিস্টধর্মের গোড়াপত্তন

ads20
    খ্রিস্টান সম্প্রদায়:
    ঈশ্বর পুত্র প্রভু যীশু খ্রিস্টের যাঁরা অনুসারী তাঁদেরকেই খ্রিস্ট বিশ্বাসী বা খ্রিস্টান বলা হয়। খ্রিস্টানগণ যীশু খ্রিস্টের আর্দশ এবং তাঁর প্রদর্শিত পথকে অনুসরণ করেন। যীশু খ্রিস্টের আর্দশ, শিক্ষা এবং প্রদর্শিত পথ সম্পর্কে পবিত্র বাইবেলে বিস্তারিত বলা হয়েছে। পবিত্র বাইবেল খ্রিস্টানদের ধর্মগ্রন্থ। যীশু খ্রিস্ট এখন থেকে ২০১২ বৎসর আগে এই পৃথিবীতে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। বর্তমানে সারা পৃথিবীতে ২৩১ কোটির অধিক মানুষ খ্রিস্টধর্মে বিশ্বাসী। বাংলাদেশে খ্রিস্টান জনগণের সংখ্যা ৫ লক্ষাধিক এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ইতিহাস চারশত বৎসরের অধিক। এদেশের জনপদেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ এই খ্রিস্টান সম্প্রদায়। এদেশেরই আলো,  বাতাস এবং মাটিতে তাদের জন্ম, বেড়েওঠা এবং বসবাস। ইউরোপ, আমেরিকা বা অন্যকোন দেশ থেকে আসা মানুষ তাঁরা নয়।

    বঙ্গদেশে খ্রিস্টধর্মের গোড়াপত্তন:
    ঐতিহাসিকভাবে জানা যায় যীশু খ্রিস্টের ১২ জন শিষ্যের অন্যতম সাধু টমাস ৫২ খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণ ভারতে আসেন এবং ৭২ খ্রিস্টাব্দে তিনি সেখানে সাক্ষ্যমর বা ধর্মশহীদ হন। এ সময়ের মধ্যে তিনি স্থানীয় কিছু ইহুদী, অগ্নিউপাসক ও সনাতনধর্মে বিশ্বাসী ব্যক্তিবর্গকে খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত করেন। তিনি ভারতের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে ৭টি গির্জা স্থাপন করেন বলেও জানা যায়।
    পর্তুগীজদের আগমন ও খ্রিস্টধর্মের বিস্তার
    উত্তমাশা অন্তরীপ প্রদক্ষিণ করে ভাস্কো-দা-গামা ১৪৯৮ খ্রিস্টাব্দে ভারতে পর্তুগীজ আধিপত্যের  গোড়াপত্তন করেন। পর্তুগীজ বসতিস্থাপনকারী ও ব্যবসায়ীদের সাথে ভারতে খ্রিস্টান মিশনারীদের আগমন ঘটে। ১৫৩৭ খ্রিস্টাব্দে পর্তুগীজরা বর্তমান ভারতের হুগলীর নিকটবর্তী সাতগাঁও ও চট্টগ্রামে বসবাস ও শুল্কগৃহ নির্মাণের অনুমোদন  লাভ করেন। ১৫৭৭ খ্রিস্টাব্দে মোঘল সম্রাট আকবর তাঁদেরকে বঙ্গদেশে স্থায়ী বসতি স্থাপন ও গির্জা নির্মাণের অনুমতি দেন। পর্তুগীজ বসবাসকারীরাই হলেন বাংলার প্রথম খ্রিস্টান, প্রথম দেশীয় খ্রিস্টানরা হলেন তাদের বংশধর এবং পরবর্তীতে ধর্মান্তকরণের মাধ্যমে খ্রিস্টান জনগণের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশে ক্যাথলিক মন্ডলীর বয়সকাল ৪০০ বৎসরেরও অধিক। অপরদিকে প্রটেস্ট্যান্টমন্ডলী সমূহের বয়স ২০০ বৎসরেরও কিছু বেশী সময়কাল।
    বাংলাদেশের বর্তমান সাতক্ষীরা জেলার অর্ন্তগত চান্দিকান বা ঈশ্বরীপুরে ১৫৯৯ খ্রিস্টাব্দে প্রথম একটি  ক্যাথলিক গির্জা নির্মিত হয়, যার নাম ÔHoly Name of Jesus’. ১৬০০ খ্রিস্টাব্দের ২৪ শে জুন দ্বিতীয় গির্জাটি নির্মিত হয় চট্টগ্রামে যার নাম ‘Saint John the Baptist Church’.  ১৬১২ খ্রিস্টাব্দে ঢাকায় প্রথম পর্তুগীজ আগষ্টিনিয়ান পুরোহিতগণ খ্রিস্টধর্মের প্রচার শুরু করেন। ১৬২৮ খ্রিস্টাব্দে ঢাকার নারিন্দায় একটি গির্জা নির্মিত হয় যার নাম রাখা হয় ‘Church of the Assumption’. ঢাকার ঐতিহাসিক তেজগাঁও গির্জা ১৬৭৭ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়। এছাড়া বর্তমান গাজীপুর জেলার নাগরীতে ১৬৯৫ খ্রিস্টাব্দে, ঢাকার নবাবগঞ্জের হাসনাবাদে ১৭৭৭ খ্রিস্টাব্দে এবং বরিশালের পাদ্রীশিবপুরে ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দে একটি করে গির্জা নির্মিত হয়েছিল।
    ১৬৬০ খ্রিস্টাব্দ থেকেই পর্তুগীজ মিশনারীরা বাংলাদেশের শিক্ষা, সভ্যতা ও সামাজিক অবস্থার ভিত্ প্রস্তুত করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করতে থাকেন। ১৬৬৩-১৮৩৪ সাল পর্যন্ত বঙ্গদেশে খ্রিস্ট ধর্মের উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ ঘটে। ১৫৯৯ খ্রিস্টাব্দে সাতক্ষীরা জেলার ঈশ্বরীপুরে জেটুইট মিশনারীদের দ্বারা নির্মিত প্রথম গির্জাটির ধ্বংসাবশেষ এখনো বিদ্যমান আছে।
    বাংলাভাষা ও বাঙ্গালী জাতির শিক্ষার ক্ষেত্রে যে মিশনারী মনীষীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে আছে তাঁর নাম ড. উইলিয়াম কেরী। ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের কলিকাতায় আসেন। ১৭৯৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি অবৈতনিক দৈনিক পাঠশালা খুলেন এবং হিন্দু ও মুসলমান যুবকদের জন্য মদনাবটিতে ১টি ও রামপাল দীঘিতে ১টি কলেজ স্থাপন করেন। তিনি ১৭৯৬ খ্রিস্টাব্দে পবিত্র বাইবেলের নতুন নিয়মের গদ্য অনুবাদ করেন। ১৮০৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি পবিত্র বাইবেলের পুরাতন ও নতুন নিয়ম বাংলায় অনুবাদ করেন ও তা মুদ্রণ করেন।
    ড. কেরী ১৭৯৮ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুরে একখান ছাপাখানা স্থাপন করেন ও ছাপার মান উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখেন। তিনি শ্রীরামপুরে একটি কলেজও স্থাপন করেন। তাঁর কর্মজীবন অবিভক্ত ভারতে খ্রিস্টধর্মের আলো প্রবর্তনের এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। ড. কেরী ছিলেন প্রটেস্ট্যান্ট মন্ডলীর একজন নিবেদতি প্রাণ প্রচারক।
    ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে Baptist Missionary Society (British),, ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দে Church Missionary Society (British), ১৮৫২ খ্রিস্টাব্দে Council for World Mission (British Pressbyterian) প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের স্বাধীনতা যুদ্ধোত্তর প্রটেস্ট্যান্ট মন্ডলী সমূহের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
    বাংলাদেশের ক্যাথলিক মন্ডলী
    ‘ক্যাথলিক’ শব্দের অর্থ ‘সার্বজনীন’ এবং ‘মন্ডলী’ অর্থ জনগণের সমাহার বা চার্চ। ক্যাথলিক মন্ডলী বলতে বুঝায় ‘সার্বজনীন চার্চ’। ক্যাথলিক মন্ডলী হল বিশ্বের মূলধারার খ্রিস্টিয় সমাজ। পুণ্যপিতা পোপ হলেন বিশ্বের ক্যাথলিক মন্ডলীর প্রধান ধর্মগুরু। বিশ্বের ক্যাথলিক মন্ডলী পরিচালনার কেন্দ্রস্থল হল ইতালীর রোম নগরীর সার্বভৌম ভ্যাটিক্যানসিটি। মহামান্য ষোড়শ বেনেডিক্ট হলেন বর্তমান পোপ। বর্তমানে বাংলাদেশের ক্যাথলিক মন্ডলী ৭টি ধর্মপ্রদেশে (উরড়পবংব) বিভক্ত। বাংলাদেশের খ্রিস্টান জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই এই ক্যাথলিক মন্ডলীর অন্তর্ভুক্ত।
    ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশ : ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা ধর্মপ্রদেশ গঠিত হয়। ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ১৫ জুলাই ঢাকা-কে মহাধর্মপ্রদেশের মর্যাদা দেয়া হয়। এ মহাধর্মপ্রদেশের বর্তমান আর্চবিশপ হলেন পরম শ্রদ্ধেয় প্যাট্রিক ডি’ রোজারিও সিএসসি। এছাড়াও সহকারী বিশপ হিসেবে আছেন শ্রদ্ধেয় থিওটোনিয়াস গমেজ, সিএসসি।
    চট্টগ্রাম ধর্মপ্রদেশ : ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দের ২৫ মে চট্টগ্রাম ধর্মপ্রদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এ ধর্মপ্রদেশের বিশপ হচ্ছেন শ্রদ্ধেয় মজেস মন্টু কস্তা, সিএসসি । সহকারী বিশপ হিসেবে রয়েছেন শ্রদ্ধেয় লরেন্স সুব্রত হাওলাদার, সিএসসি।
    দিনাজপুর ধর্মপ্রদেশ : ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দের ২৫ মে এই ধর্ম প্রদেশ স্থাপিত হয়। এ ধর্মপ্রদেশের বর্তমান  বিশপের নাম শ্রদ্ধেয় সেবাষ্টিয়ান টুডু।
    খুলনা ধর্মপ্রদেশ : ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ৩০ জানুয়ারী এ ধর্মপ্রদেশ স্থাপিত হয়। এ ধর্মপ্রদেশের বর্তমান  বিশপের নাম শ্রদ্ধেয় রমেন বৈরাগী।
    ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশ : ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দের ৮ সেপ্টেম্বর এ ধর্মপ্রদেশ স্থাপিত হয়। এ ধর্মপ্রদেশের বিশপ হচ্ছেন শ্রদ্ধেয় পনেন পল কুবি, সিএসসি।
    রাজশাহী ধর্মপ্রদেশ : ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের ১২ সেপ্টেম্বর এ ধর্মপ্রদেশ স্থাপিত হয়। এ ধর্মপ্রদেশের বিশপ হচ্ছেন শ্রদ্ধেয় জের্ভাস রোজারিও।
    সিলেট ধর্মপ্রদেশ : ২০১১ খ্রিস্টাব্দের ৮ জুলাই এই ধর্মপ্রদেশ গঠিত হয়। বর্তমানে এ ধর্ম প্রদেশের বিশপ হচ্ছেন শ্রদ্ধেয় বিজয় এন ডি’ ক্রুজ, ওএমআই, ডিডি।
    সকল বিশপগণের পক্ষে আর্চবিশপ প্যাট্রিক ডি’ রোজারিও সিএসসি ক্যাথলিক মন্ডলী বা চার্চ পরিচালনা করে থাকেন। বাংলাদেশে মূলতঃ তিনিই খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মগুরু। ৭টি ধর্ম প্রদেশের ৯ জন বিশপকে নিয়ে ‘বাংলাদেশের ক্যাথলিক বিশপ সম্মিলনী’ বা সিবিসিবি গঠিত। ক্যাথলিক মন্ডলী পরিচালনার ক্ষেত্রে এই বিশপ সম্মিলনীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের সকল বিশপগণই বাঙ্গালী কিংবা বাংলাদেশী। আর্চ বিশপ মহোদয়  ঢাকার ১ নং কাকরাইলে অবস্থিত আর্চ বিশপস্ হাউজে বসবাস করেন।
    প্রটেস্ট্যান্ট মন্ডলী : ক্যাথলিক মন্ডলী ছাড়াও বাংলাদেশে প্রটেস্ট্যান্ট মন্ডলী রয়েছে। ষোড়শ শতাব্দীতে ক্যাথলিক মন্ডলীর প্রথা, নিয়মকানুন, বিধি-বিধান এবং রীতি-নীতির প্রতি দ্বিমত পোষণ এবং তার সংস্কার আন্দোলনের মধ্যদিয়েই প্রটেস্ট্যান্ট মন্ডলীর আবির্ভাব। জার্মানীর ক্যাথলিক পুরোহিত মার্টিন লুথার প্রটেস্ট্যান্ট মন্ডলীর একজন অন্যতম প্রবক্তা। ১৫১৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি পুণ্যপিতা পোপ মহোদয়কে ৯৫ দফা সম্বলিত একখানা পত্র লিখেছিলেন। যেখানে তিনি তাঁর মতে ক্যাথলিক মন্ডলীর বিভিন্ন ত্রুুটিবিচ্যুতি তুলে ধরেন এবং মন্ডলীর স্বার্থে তা সংশোধনের আহ্বান জানান, যা পোপ মহোদয় গ্রহণ করেননি। মূলত এ প্রেক্ষাপটেই পুণ্য পিতা পোপ মহোদয়ের পরিচালনাধীন একক মন্ডলীতে বিভাজনের সৃষ্টি হয় এবং গড়ে উঠে প্রটেস্ট্যান্ট মন্ডলী।
    প্রটেস্ট্যান্টদের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন মন্ডলী রয়েছে। বাংলাদেশে প্রটেস্ট্যান্ট মন্ডলীগুলোর মধ্যে প্রধান প্রধান মন্ডলীগুলো হল- চার্চ অব বাংলাদেশ, ব্যাপ্টিষ্ট চার্চ, ব্যাপ্টিষ্ট ফেলোশিপ চার্চ, গারো ব্যাপ্টিষ্ট চার্চ, সেভেন্থ ডে এডভ্যান্টিষ্ট চার্চ, এ্যাসেম্বলীস্ অব গড চার্চ (এজি চার্চ), প্রেসবেটেরিয়ান ফেলোশিপ চার্চ, লুথারিয়ান চার্চ, প্যান্টিকষ্ট চার্চ, গসপেল চার্চ, মেথডিষ্ট চার্চ, নাজরীন চার্চ, তালিতাকুমী চার্চ, ফ্রি খ্রিস্টিয়ান চার্চ অব বাংলাদেশ, চার্চ অব ক্রাইষ্ট, রিডিম্ড চার্চ অব বাংলাদেশ  উল্লেখযোগ্য। চার্চ অব বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান হলেন শ্রদ্ধেয় বিশপ পল শিশির সরকার। তিনি ১৫৪/১, বড়বাগ, মিরপুর-২, ঢাকা-১২১৬ এই ঠিকানায় বসবাস করছেন।

    ব্যাপ্টিষ্ট চার্চ সমূহের কেন্দ্রীয় সংগঠনের নাম-বাংলাদেশ ব্যাপ্টিষ্ট চার্চ সংঘ (বিবিসিএস) যার ঠিকানা-৩৩, সেনপাড়া পর্বতা, মিরপুর-১০, ঢাকা-১২১৬ এবং ব্যাপ্টিষ্ট ফেলোশিপ চার্চের কেন্দ্রীয় সংগঠনের নাম-বাংলাদেশ ব্যাপ্টিষ্ট চার্চ ফেলোশিপ (বিবিসিএফ) যার ঠিকানা-৭ গ্রীনস্কয়ার, গ্রীনরোড, ঢাকা-১২১৫। গারো সম্প্রদায়ের ব্যাপ্টিষ্ট চার্চসমূহের কেন্দ্রীয় সংগঠন হল-গারো ব্যাপ্টিষ্ট কনভেনশন (জিবিসি) যার ঠিকানা-বিরিশিরি মিশন, পোঃ বিরিশিরি, থানা- সুসংদূর্গাপুর, জেলা-নেত্রকোনা। এছাড়াও বিভিন্ন চার্চের সমন্বয়ে রয়েছে ন্যাশনাল কাউসিল অব চার্চেস ইন বাংলাদেশ (এনসিসিবি) যা বিশ্ব চার্চ পরিষদের সাথে সম্পৃক্ত, ঠিকানা- ৩৯৫ নিউ ইস্কাটন রোড, ঢাকা-১০০০ এবং ন্যাশনাল খ্রিস্টান ফেলোশিপ ইন বাংলাদেশ (এনসিএফবি) যার ঠিকানা-মল্লিকা হাউজিং সোসাইটি, মিল্কভিটা রোড, মিরপুর-৬, ঢাকা-১২১৬। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় এ সমস্ত চার্চের সদস্যগণ বসবাস করেন।

    পরিচিতদেরকে জানাতে শেয়ার করুন

    আপনার জন্য আরো কিছু পোস্ট

    RELATED ARTICLES

      ADS