বিয়ে সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে?

ads20
    বাইবেলের আদিপুস্তক ২:২৩-২৪ পদে প্রথম বিয়ে হওয়ার কথা লক্ষ্য করা যায়: “তাকে দেখে আদম বললেন, ‘এবার হয়েছে, এর হাড়-মাংস আমার হাড়-মাংস থেকেই তৈরী। পুরুষ লোকের দেহের মধ্য থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে একে “স্ত্রীলোক” বলা হবে।’ এইজন্যই মানুষ মা-বাবাকে ছেড়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে এক হয়ে থাকবে আর তারা দু’জন একদেহ হবে।” ঈশ্বর প্রথমে পুরুষ তৈরী করলেন এবং তারপর তাকে (আদমকে) পূর্ণতা দিতে স্ত্রীলোক তৈরী করলেন। প্রকৃতপক্ষে ঈশ্বর বিবাহকে বাইবেলের মধ্য দিয়ে আমাদের জন্য “নির্ধারণ” করে দিয়েছেন, কারণ ঈশ্বর দেখলেন যে, “মানুষটির পক্ষে একা থাকা ভাল নয়” (আদিপুস্তক ২:১৮ পদ)।
    প্রথম বিবাহ সম্পর্কে বাইবেলের বর্ণনায় হবাকে চিহ্নিত করতে সঙ্গী শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে (আদিপুস্তক ২:২০ পদ)। এক্ষেত্রে কাউকে “সাহায্য” করার অর্থ হলো “কাউকে ঘিরে থাকা, তাকে রক্ষা করা বা তাকে সহযোগিতা করা।” ঈশ্বর আদমকে সাহায্য করার জন্য এবং তার সাহায্যকারীরূপে আদমের নিজের “এক অঙ্গ” হওয়ার জন্য হবাকে সৃষ্টি করলেন। বাইবেল এ কথা বলে যে, কোন পুরুষ ও স্ত্রীলোকের মধ্যে বিবাহ সংঘটিত হয় যেন তারা “একদেহ” হয়। এই এককত্ব হচ্ছে অন্তরঙ্গতম যৌনতায় সম্পূর্ণভাবে এক দেহে মিলিত হওয়ার মত একটি বিষয়। বাইবেলের নতুন নিয়মে এই এককত্বকে বিশেষভাবে সতর্ক করে বলা হয়েছে, “এইজন্য তারা আর দুই নয়, কিন্তু একদেহ। তাই ঈশ্বর যা একসঙ্গে যোগ করেছেন মানুষ তা আলাদা না করুক” (মথি ১৯:৬ পদ)।
    প্রেরিত পৌলের লেখা কতিপয় চিঠিতে বিবাহের বিষয় এবং বিশ্বাসীরা কিভাবে তাদের বৈবাহিক সম্পর্ককে পরিচালনা করবে সে সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। এ রকম একটি অনুচ্ছেদ হলো ইফিষীয় ৫:২২-৩৩ পদ। এটি অধ্যয়ন করার মধ্য দিয়ে আমরা বাইবেল বিবাহের মধ্যকার যে সত্য বিষয়গুলো প্রকাশ করে সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারি।
    ইফিষীয় ৫ অধ্যায়টি একটি সফল বিবাহের বাইবেলসম্মত কথাবার্তা প্রকাশ করে যেখানে স্বামী ও স্ত্রী উভয়কেই নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম-কানুন বা রীতিনীতি পালন করতে হয়: “তোমরা যারা স্ত্রী, প্রভুর প্রতি বাধ্যতার চিহ্ন হিসাবে তোমরা নিজের নিজের স্বামীর অধীনতা মেনে নাও, কারণ খ্রীষ্ট যেমন মন্ডলীর, অর্থাৎ তাঁর দেহের মাথা, স্বামীও তেমনি স্ত্রীর মাথা। তাছাড়া খ্রীষ্টই এই দেহের উদ্ধারকর্তা” (ইফিষীয় ৫:২২-২৩ পদ)। আবার একই পুস্তকের ৫:২৫ পদে লেখা আছে, “তোমরা যারা স্বামী, খ্রীষ্ট যেমন মন্ডলীকে ভালবেসেছিলেন এবং তার জন্য নিজেকে দান করেছিলেন ঠিক তেমনি তোমরাও প্রত্যেকে স্ত্রীকে ভালবেসো।” ইফিষীয় ৫:২৮-২৯ পদ আমাদের এ কথা বলে যে, “স্বামী যেমন নিজের দেহকে ভালবাসে ঠিক সেইভাবে নিজের স্ত্রীকেও তার ভালবাসা উচিত। যে নিজের স্ত্রীকে ভালবাসে সে নিজেকেই ভালবাসে। কেউ তো কখনও নিজের দেহকে ঘৃণা করে না, বরং সে তার দেহের ভরণ-পোষণ ও যত্ন করে। ঠিক সেইভাবে খ্রীষ্টও তাঁর মন্ডলীর যত্ন করেন।” আবার লেখা আছে, “এইজন্যই মানুষ মা-বাবাকে ছেড়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে এক হয়ে থাকবে আর তারা দু’জন একদেহ হবে” (ইফিষীয় ৫:৩১ পদ)।
    বাইবেলে উল্লেখিত ঈশ্বরের দেওয়া বিবাহ সংক্রান্ত নীতিগুলো যখন কোন বিশ্বাসী স্বামী ও স্ত্রী সুসম্পন্ন করে তখন তার ফলস্বরূপ একটি নিখুঁত ও ফলবান বা সমৃদ্ধ বৈবাহিক অবস্থা পরিলক্ষিত হয়। বাইবেলসম্মত বিবাহগুলোতে খ্রীষ্টকে স্বামী ও স্ত্রীর মস্তক হিসাবে স্থাপন করা হয়ে থাকে। বিবাহ সংক্রান্ত বাইবেলভিত্তিক ধারণায় স্বামী-স্ত্রীর এককত্ব বা একদেহ হওয়াকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয় ঠিক একইভাবে খ্রীষ্টও হলেন তাঁর মন্ডলীর সাথে একীভূত হওয়ার একটি প্রতিচ্ছবি বিশেষ।
    Christo Sangeet Presenter

    খ্রীষ্ট সঙ্গীত অ্যাপ

    আপনার উপাসনার সঙ্গী, এখন আপনার হাতের মুঠোয়।

    সহজ ও নিরাপদ এবং সম্পূর্ণ অফলাইন সুবিধা।

    আজই ডাউনলোড করুন

    পরিচিতদেরকে জানাতে শেয়ার করুন

    আপনার জন্য আরো কিছু পোস্ট

    RELATED ARTICLES

      ADS