আমরা কখন কিভাবে পবিত্র আত্মা পাই?

ads20

     প্রেরিত পৌল সুস্পষ্টভাবে শিক্ষা দিয়েছেন যে, যে মুহূর্তে আমরা যীশু খ্রীষ্টকে আমাদের উদ্ধারকর্তা বলে গ্রহণ করি, তখনই পবিত্র আত্মা পাই। প্রথম করিন্থীয় ১২:১৩ পদ বলেছে, “আমরা যিহূদী কি অযিহূদী, দাস কি স্বাধীন, সকলেরই একই পবিত্র আত্মার দ্বারা একই দেহের মধ্যে বাপ্তিস্ম হয়েছে। আমরা সকলেই সেই একই পবিত্র আত্মাকে পেয়েছি।” রোমীয় ৮:৯ পদ আমাদের বলেছে যে, যদি কোন ব্যক্তি পবিত্র আত্মা না পেয়ে থাকে, তাহলে সে খ্রীষ্টের লোক নয়: “কিন্তু ঈশ্বরের আত্মা যদি তোমাদের অন্তরে বাস করেন তবে তোমরা তো পাপ-স্বভাবের অধীন নও বরং পবিত্র আত্মার অধীন। যার অন্তরে খ্রীষ্টের আত্মা নেই সে খ্রীষ্টের নয়।” ইফিষীয় ১:১৩-১৪ পদ এই শিক্ষা দেয় যে, যারা বিশ্বাস করে তাদের জন্য উদ্ধার বা পরিত্রাণের সিলমোহর হচ্ছে প্রতিজ্ঞাত পবিত্র আত্মা: “আর তোমরাও সত্যের বাক্য, অর্থাৎ পাপ থেকে উদ্ধার পাবার সুখবর শুনে খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাস করেছ। খ্রীষ্টের সংগে যুক্ত হয়েছ বলে ঈশ্বর তাঁর প্রতিজ্ঞা করা পবিত্র আত্মা দিয়ে তোমাদের সীলমোহর করে রেখেছেন। যারা ঈশ্বরের নিজের সম্পত্তি তাদের তিনি একটা অধিকার দেবার প্রতিজ্ঞা করেছেন। তাদের যতদিন না সম্পূর্ণভাবে মুক্ত করা হয় ততদিন পর্যন্ত সেই অধিকারের প্রথম অংশ হিসাবে পবিত্র আত্মাকে তাদের দেওয়া হয়েছে। আর এই সবের দ্বারাই ঈশ্বরের মহিমার প্রশংসা হবে।”এই তিনটা পদ থেকে খুব স্পষ্ট বোঝা যায় যে, পরিত্রাণ বা উদ্ধার পাবার মুহূর্তেই পবিত্র আত্মা পাওয়া যায়। যদি করিন্থীয় বিশ্বাসীরা পবিত্র আত্মা না পেত তাহলে পৌল কিছুতেই বলতেন না যে আমরা সকলে একই আত্মায় বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছি এবং একই আত্মা আমাদের সকলকে দেওয়া হয়েছে। রোমীয় ৮:৯ পদ বেশ শক্তভাবে বলেছে, যদি একজন ব্যক্তি পবিত্র আত্মা না পায় তবে সে খ্রীষ্টের নয়। সুতরাং পরিত্রাণ বা উদ্ধার পেয়েছি কি না তার উপরে নির্ভর করে পবিত্র আত্মা পেয়েছি কি না। তাছাড়াও, পবিত্র আত্মা “পরিত্রাণ বা উদ্ধারের সিলমোহর” (ইফিষীয় ১:১৩-১৪ পদ) হতে পারে না, যদি একজন তার পরিত্রাণ বা উদ্ধারের মুহূর্তে তা না পায়। অনেক শাস্ত্র পদ আছে যা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, আমাদের পরিত্রাণ বা উদ্ধার সেই মুহূর্তে নিশ্চিত হয়, যখনই আমরা খ্রীষ্টকে উদ্ধারকর্তা বলে গ্রহণ করি।এই আলোচনা অনেক সময় বিতর্কিত মনে হয়, কারণ পবিত্র আত্মার পরিচর্যা কাজগুলো বেশ দ্বিধার সৃষ্টি করে। তবে, পবিত্র আত্মা পাওয়া বা তাঁর সাথে থাকা ঠিক পরিত্রাণ বা উদ্ধারের মুহূর্ত ঘটে। খ্রীষ্টিয়ান জীবনে আত্মার পরিপূর্ণতা একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। যে মুহূর্তে আমরা পরিত্রাণ বা উদ্ধার পাই সেই মুহূর্তে পবিত্র আত্মার স্পর্শ পাই, তবে অনেক খ্রীষ্টিয়ান পায় না। এজন্য কোন কোন সময় পরিত্রাণ বা উদ্ধার পাওয়ার সাথে, পবিত্র আত্মার বাপ্তিস্ম পাওয়া বিষয়ের সাথে, “পবিত্র আত্মা পাওয়া” পরবর্তীতে একরকম দ্বিধাদ্বন্দের কারণ হয়।

    সবশেষে, প্রশ্ন- কিভাবে আমরা পবিত্র আত্মা পাই? খুব সহজে আমরা পবিত্র আত্মা পাই, যখন আমরা যীশু খ্রীষ্টকে আমাদের পরিত্রাণকর্তা বা উদ্ধারকর্তা বলে গ্রহণ করি (যোহন ৩:৫-১৬ পদ)। আমরা কখন পবিত্র আত্মা পাই? যে মুহূর্তে আমরা বিশ্বাস করি, তখনই পবিত্র আত্মা আমাদের চিরস্থায়ী অধিকার হিসাবে আসে।


    পরিচিতদেরকে জানাতে শেয়ার করুন

    আপনার জন্য আরো কিছু পোস্ট

    RELATED ARTICLES

      ADS