মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের মৃত্যু এবং অন্যান্য

ads20

    মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র

    কৃষ্ণাঙ্গদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সবচাইতে বেশি কাজ করে যাওয়া মানুষটি মার্টিন লুথার কিং। ১৯৫০ মধ্যবর্তী সময় থেকে আমৃত্যু তিনি ছিলেন আমেরিকান সিভিল রাইট মুভমেন্টের নেতা। ১৯২৯ সালে জন্মগ্রহন করা এই কিংবদন্তি পৃথিবী জুড়ে তার বিখ্যাত ভাষন, “আই হ্যাভ অ্যা ড্রিম’ এর জন্য বেশি জনপ্রিয়। সর্বকনিষ্ঠ কৃষ্ণাঙ্গ নোবেল জয়ী হিসেবে তার নামই সবার আগে ইতিহাসে আসে। কিন্তু তার পরিচিতি, জনপ্রিয়তা, এমনকি শান্তিতে পাওয়া নোবেল পুরষ্কারও তাকে আততায়ীর হাত থেকে বাঁচাতে পারেনি।
    মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র
    সময়টা ছিল ১৯৬৮ সালের ৪ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার। মেমফিসে অবস্থিত লরাইন মোটেলে অবস্থান করছিল মার্টিন লুথার কিং। সেখানকার সিটি স্যানিটেশন কর্মীদের ধর্মঘটকে সমর্থন দেওয়ার জন্য তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। বায়োগ্রাফার টেইলর ব্রাঞ্চের লেখা মার্টিন লুথারের জীবনী থেকে জানা যায়, সেদিন লুথার সর্বশেষ কথা বলেন বেন ব্রাঞ্চ নামক একজন গায়কের সাথে। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইভেন্টটাতে বেন যাতে “Take my hand, precious lord” গানটা গেয়ে শোনান সেই অনুরোধই করেছিলেন মার্টিন লুথার কিং।
    লরাইন মোটেলের বারান্দায় অজ্ঞান অবস্থায় লুথার কিং এবং তার সঙ্গীরা
    তখন সন্ধ্যা ছয়টা এক মিনিট। লুথার কিং মোটেলের ৩০৬ নাম্বার কামরার বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় জেমস আর্ল রে নামক শ্বেতাঙ্গ উগ্রবাদী যুবকের গুলিতে নিহত হন। হত্যাকান্ডে জেমস রেমিংটন ৩০-০৬ রাইফেল ব্যবহার করে, যা ছদ্মনামে দিন পাঁচেক আগে সে কিনেছিল। গুলি করার পর বুলেটটি লুথারের ডান গাল ভেদ করে, স্পাইনাল কর্ড হয়ে ঘাড়ের শিরা ছিড়ে ফেলে। তিনি জ্ঞান হারিয়ে বারান্দায় পড়ে যান। ঐদিনই রাত সাতটা পাঁচ মিনিটে সেন্ট জোসেফ হসপিটালের  কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
    মৃত মার্টিন লুথার কিং
    পুলিশ রাস্তার পাশে অবস্থিত ক্যানিপ’স অ্যামিউজমেন্ট ষ্টোরের বাইরের একটি বাক্স থেকে কাগজে পেঁচিয়ে ফেলে রাখা রাইফেল, অব্যবহৃত কিছু বুলেট এবং একটি দূরবীন আবিষ্কার করে, যাতে পরবর্তীতে জেমস আর্ল রে এর হাতের ছাপ পাওয়া যায়।  প্রত্যক্ষদর্শী এবং ষ্টোরের মালিকের ভাষ্য অনুযায়ী, কেউ একজন কাগজের মোড়ানো প্যাকেটটা রেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
    হত্যাকারী জেমস আর্ল রে
    হত্যাকান্ডের প্রায় দুই মাস পরে, জুন মাসের আট তারিখে লন্ডন হিথ্রো এয়ারপোর্ট থেকে জেমস ধরা পড়ে। হত্যাকান্ডের দায়ে তার ৯৯ বছরের কারাদণ্ড হয় এবং কারাগারে থাকা অবস্থায় ১৯৯৮ সালে ৭০ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়।
    তথ্যসূত্র ও ছবি

    1) en.wikipedia.org/wiki/Assassination_of_Martin_Luther_King_Jr.
    2) abcnews.go.com/blogs/headlines/2013/04/the-murder-of-martin-luther-king-jr/

    পরিচিতদেরকে জানাতে শেয়ার করুন

    আপনার জন্য আরো কিছু পোস্ট

    RELATED ARTICLES

      ADS