ঈশ্বরকে কেন পিতা বলা হয়?

ads20
    ঈশ্বরকে কেন পিতা বলা হয়?
    সহজভাবেই বলা যায় যে পবিত্র বাক্যে ঈশ্বরকে পিতা বলে সম্বোধন করা হয়েছে তাই, উদাহরণস্বরূপ, যীশু আমাদেরকে প্রভুর প্রার্থনা শিখিয়েছেন, “এইজন্য তোমরা এইভাবে প্রার্থনা কোরো: হে আমাদের স্বর্গস্থ পিতা, তোমার নাম পবিত্র বলে মান্য হোক…… ” (মথি ৬:৯)। যাহোক, এ বিষয়ে আরো গভীরভাবে চিন্তা করা ভালো ও সুবিধাজনক হবে। কেন বাক্যে ঈশ্বরকে পিতা“ বলা হয়েছে?
    এই প্রশ্নটি আমাদেরকে আরো একটি বিষয় জিজ্ঞাস করতে অনুপ্রাণিত করে, ঈশ্বর কে? তিনি কেমন?
    যোহন ১:১-২ পদ বলে, প্রথমেই বাক্য ছিলেন, বাক্য ঈশ্বরের সংগে ছিলেন এবং বাক্য নিজেই ঈশ্বর ছিলেন। আর প্রথমেই তিনি ঈশ্বরের সংগে ছিলেন। অন্যকথায় সৃষ্টির পূর্বে ঈশ্বর এবং বাক্যের যে অস্থিত্ব ছিল তারা দুজনই ঈশ্বর, যদিও তাদের আলাদা স্বত্বা ছিল। যোহন ১:১৪ পদ বলে, সেই বাক্যই মানুষ হয়ে জন্মগ্রহণ করলেন“, এখানে যীশুর মানুষ হিসেবে জন্মগ্রহনের কথা বুঝান হয়েছে। অতএব, যীশু এবং বাক্য দুজনই ঈশ্বর।
    যোহন ৫ অধ্যায়ে যীশু তিনি নিজেকে পুত্র“ বলে আখ্যায়িত করেন, এবং তাঁর পিতার কথাও বলেন (৫:১৯-২৩), ৫:১৮ তেও তিনি পিতার কথা উল্লেখ করেন। ঈশ্বরকে কেন পিতা বলা হয়? কারণ, তিনি অনন্তকাল পিতা: ঈশ্বর অনন্তকাল পিতা, অনন্তকাল পুত্র। (এবং অনন্তকাল পবিত্র আত্মা, যোহন ১৫:২৬)। এখানে শিক্ষণীয় বিষয় হল, ঈশ্বর কে? তিনি “ত্রিত্ব ঈশ্বর” – “ত্রিত্ব“কথাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি শব্দ যার মানে, ঈশ্বর; যিনি একমাত্র ঈশ্বর, যিনি তিনটি সত্ত্বায় বিদ্যমান।
    তাই, ঈশ্বর পিতা, যৌক্তিকভাবে তা সঠিক না হলেো এভাবে বলা ভাল তিনি ত্রিত্ব ঈশ্বর, তার মধ্যে একজন পিতা ঈশ্বর (পিতা ঈশ্বর, পুত্র ঈশ্বর এবং পবিত্র আত্মা ঈশ্বর)। বাইবেলে ঈশ্বরকে সহজভাবেই পিতা বলা হয় কারণ তিনি তো পিতা: তিনি ঈশ্বর এবং আমাদের প্রভু যীশু খ্রিস্টের পিতা (ইফিষীয় ১:৩)।
    যাইহোক, মজার ব্যাপার হলো, তিনি শুধুমাত্র তাঁর পুত্র যীশু খ্রিস্টেরই পিতা তা নয়। আমরাও তার সন্তান হতে পারি, তাঁকে পিতা ঈশ্বর বলে ডাকতে পারি। পুরাতন নিয়মে যখন ঈশ্বর ইস্রায়েল জাতিকে মিসর দেশ থেকে রক্ষা করতে যাচ্ছিলেন, তিনি বললেন, “ সদাপ্রভু বলেছেন ইস্রায়েল আমার প্রথম ছেলে…“ (যাত্রাপুস্তক ৪:২২)। ঈশ্বর ইস্রায়েল জাতিকে নিজের ছেলে বলেন। পুরো পুরাতন নিয়ম জুড়ে আমরা দেখি ইস্রায়েল ঈশ্বরের ভাল সন্তান ছিল না, তারা ছিল বিদ্রোহী, অব্যধ্য (উদাহরণস্বরূপ, গীতসংহীতা ১০৬:৭, ৪৩; যিশাইয় ১:২; যিহিস্কেল ২:৫)

    ঈশ্বর তার রাজ্যের জন্য নতুন মানুষদের খুঁজছেন (মার্ক ১২:১-১২)। গালাতীয় ৪:৪-৭ পাঠ করলে দেখা যায়:
    এটি খ্রিষ্টানুসারীদের জন্য একটা অতি চমৎকার সুসমাচার। ৩ পদে পৌল এটা বলে শুরু করেন যে, গালাতীয়রা ছিল এই পৃথিবীর দাস। কিন্তু, এরপর ঈশ্বর তার পুত্র যীশুকে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন। তার ক্রুশীয় মৃত্যুতে তিনি নতুন মানুষদের পেয়েছেন এবং তাদেরকে তার পরিবারে যুক্ত করলেন; এর মানে তারাও ঈশ্বরের সন্তান হলেন, ঈশ্বর তাদের পিতা, যার ফলে তারা এখন ঈশ্বরকে ‚আব্বা! পিতা“ বলে ডাকতে পারেন। তারা আর দাস নয় কিন্তু ঈশ্বরের সন্তান।
    এটি সত্যিই গৌরবের বিষয় : আমরা সেই ঈশ্বরের প্রতি অধিকার স্থাপন করতে পারি যিনি এই পৃথিবী এবং স্বর্গের সৃষ্টিকর্তা, যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং আমাদের উপর তার কর্তৃত্ব, আমরা তাকে পিতা বলে ডাকতে পারি এবং তাঁর সন্তান হতে পারি।


    পরিচিতদেরকে জানাতে শেয়ার করুন

    আপনার জন্য আরো কিছু পোস্ট

    RELATED ARTICLES

      ADS