কিভাবে-একজন-ভাল-স্বামী-হও

ads20
    যদি ঈশ্বর আপনাকে একজন স্ত্রী দিয়ে থাকেন তাহলেতিনি আপনাকে তাকে ভালোবাসতে, বুঝতে, পরিচালনা করতে, তার যাবতীয় প্রয়োজন মেটাতে এবং এমনকি তার সাথে ঘুমাতে বলেছেন
    তাকে ভালোবাস ‚তোমরা যারা স্বামীখ্রীষ্ট যেমন মণ্ডলীকে ভালবেসেছিলেন এবং তার জন্য নিজেকে দান করেছিলেন ঠিক তেমনি তোমরাও প্রত্যেকে স্ত্রীকে ভালবেসো খ্রিস্ট মণ্ডলীকে এত ভালবাসলেন যে তিনি আপন প্রা দিয়ে দিলেন কই ভাবে স্বামীরও স্ত্রীকে এমনভাবে ভালবাসা উচিৎ যেন তার জন্য জীবন উৎসর্গ করতে পারে কেউই যীশুর মত ভালবাসতে পারে নাতাই বাইবেলে যে ভালবাসার কথা বলা আছে পুরোপুরি সেইরকম ভালবাসা অসম্ভব কিন্তু তা একজন স্বামীকে মনে করিয়ে দেয় যে তাকে প্রতিদিন ঈশ্বরের উপর নির্ভরতায় তার স্ত্রীকে যতটা সম্ভব ভালবাসতে হবে
    তাকে বুঝেন ‚ঠিক সেইভাবে তোমরা যারা স্বামীতোমরা বুদ্ধিবিবেচনা করে স্ত্রীর সংগে বাস কর (১ পিতর ৩) যদিও অনেক পুরুষ ভাবেন যে নারীদের বুঝ অসম্ভব যদি আপনি স্বামী হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে আহব্বান করা হয়েছে যেন আপনি অন্তত একজনকে বুঝতে পারেনসে হল আপনার স্ত্রী আপনাকে তার কথা শুনতে হবে তাকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে হবেআপনাকে এটা বুঝতে হবে যে আপনার অনুভূতির থেকে তার অনুভূতিগুলোভিন্ন রকমের হয়।
    তাকে শ্রদ্ধা করেন। সেইজন্য তাদের সম্মান কোরো যেন তোমাদের প্রার্থনা বাধা না পায়“(১ পিতর ৩:) কারণ আপনি এবং আপনার স্ত্রী, দুজনেরই একটি অনন্তকালীন জীবন আছে, সেখানে দুজনের মূল্যই সমান। আপনার স্ত্রী আপনার তুলনায় দুর্বল, তাকে সম্মান করতে হবে একটি বিশেষ ভাবে যে আপনি তার মূল্য বুঝতে পারেন। তাকে আপনার রক্ষা করতে হবে। নারীবাদ চেতনা পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে পার্থক্যের সমতার উপর জোর দেয়। এই উপলব্ধি আমাদের একটি সংকটে ফেলে যে নারীদেরকে পুরুষদের শ্রদ্ধা এবং রক্ষা করা প্রয়োজন। বিশেষ করে স্বামীদের তাদের স্ত্রীদের প্রতি এই দায়িত্ব অবশ্যম্ভাবী। দৈনন্দিন জীবনযাত্রায়, স্বামীদের প্রতি আদেশ, স্ত্রীদের সঙ্গে “কঠোর হইয়ো না” (কলসীয় ৩:১৯) এবং স্ত্রীদের প্রাপ্য সম্মান দেখানোর এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায়।
    তাকে পরিচালনা করুন কারণ খ্রীষ্ট যেমন মণ্ডলীরঅর্থাৎ তাঁর দেহের মাথা,স্বামীও তেমনি স্ত্রীর মাথা “(ইফিষীয় ৫:২৩)। বিয়েতে স্বামী ও স্ত্রীর নিজস্ব ভূমিকা এবং দায়িত্ব রয়েছে। এখানে আমরা দেখি যে একটি সুখী বিবাহ সেই রকম যেখানে, স্বামী তার স্ত্রীকে প্রেমময় পরিচালনা দান করেন। তিনি তার এবং সম্পূর্ণ পরিবারের জন্য সবচেয়ে ভালো বিষয়গুলো দিতে চান।
    তার প্রয়োজন মেটান। সে তার দেহের ভরণপোষণ ও যত্ন করে“ (ইফিষীয় ৫:২৯)। স্বামী তার স্ত্রীর জৈবিক এবং আধ্যাত্মিক অন্ন ও বাসস্থান এর চাহিদা পূরণ করবে।
    তার সাথে শয়ন করুন। ‚দেহের দিক থেকে স্ত্রল যা পাওনা, তার স্বামী তাকে তা দিক; (১ করিন্থীয় ৭: ৩)। এই পদ থেকে আমরা দেখতে পাই যে, এমনকি যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্বামী তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করবে, শুধু গ্রহণ করবে না। শুধু তার নিজের নয় কিন্তু তার স্ত্রীর আনন্দের বিষয়টিো তিনি গুরুত্ব দিবেন। দৈহিক সম্পর্কের বিষয়টি বাইবেল সমর্থিতও (সলোমনের গীত, হিতোপদেশ ৫ দেখুন)। এই উপভোগ যাতে করে স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে সংগঠিত হয় এজন্য ঈশ্বর একটি পুরুষ ও একজন নারীর মধ্যে বিয়ে সংক্রান্ত একটি বন্ধন সৃষ্টি করেছেন। স্বামী সবসময় তার স্ত্রীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকবেন (ইব্রীয় ১৩: ৪)।
    স্ত্রী পাওয়া ঈশ্বরের কাছ থেকে একটি আশির্বাদের মতো (হিতোপদেশ ১৮:২২)। যদি আপনি এই আশীর্বাদ পেয়ে থাকেন, তাহলে ঈশ্বরকে সম্মানিত করুন এবং ঈশ্বরের নির্দেশনা অনুসারে তার সাথে ব্যবহার করে আপনার স্ত্রীকে সম্মান করুন।

    পরিচিতদেরকে জানাতে শেয়ার করুন

    আপনার জন্য আরো কিছু পোস্ট

    RELATED ARTICLES

      ADS