তাহলে আমরা জানতে পারছি যে, ঈশ্বর সদাপ্রভু, শয়তানকে একটি করূব দূত হিসাবে সৃষ্টি করেছিলেন, তাকে অনেক জ্ঞান দিয়েছিলেন, তাকে এদেন উদ্যানে রক্ষাকারী দূত হিসাবে রেখেছিলেন। কারন তাকে এই কাজের জন্যই অভিষিক্ত করা হয়েছিল, (*অভিষিক্ত আচ্ছাদক করূব)। আর তাকে অনেক ক্ষমতা দিয়েছিলেন। যেমন বলা হয়েছে, সে অগ্নিময় পাথরের উপরের উপর দিয়ে চলাচল করতো।
শয়তানের মনে একটি ইচ্ছা জন্ম নিয়েছিল, সে বলেছিল, “আমি মেঘরূপ উচ্চস্থালীর উপরে উঠিব, আমি পরাৎপরের তুল্য হইব।”( যিশাইয় ১৪:১৪;)। শয়তান নিজেকে, সদাপ্রভুর সমান ভাবতে শুরু করেছিল। এই ইচ্ছার দরুন সে নিজেকে শয়তানে পরিনত করল। অর্থাৎ সে প্রথম ব্যক্তি যে সদাপ্রভুর বিপক্ষ হলো এবং আদম -হবাকে বিভ্রন্ত করলো(আদিপুস্তক৩:১-৫) । সেই জন্য শয়তানকে, ঈশ্বর সদাপ্রভু, স্বর্গ হতে এই পৃথিবীতে নিক্ষিপ্ত করলেন।
সেই জন্য প্রভু যীশু খ্রীস্ট বলেছিলেন, “আমি শয়তানকে বিদ্যুৎতের ন্যায় স্বর্গ হইতে পতিত দেখিতে ছিলাম।”(লূক ১০:১৮;)। আরো লেখা আছে,”সমস্ত জগৎ সেই পাপাতœার মধ্যে শুইয়া রহিয়াছে।”(১যোহন ৫:১৯;)। সেই আতিœক প্রাণী অনেক ক্ষমতার অধিকারি। সেইজন্য তাকে এই যুগের দেব(২করিন্থিয়৪:৩-৪;) বলা হয়েছে। এই পৃথিবীতে সেই আতিœক প্রাণীই প্রকৃত শাসক হিসাবে বিদ্যমান রয়েছে। সেই কারনেই তো জগতে মন্দ লোকেরাই বেশী প্রাধাণ্য পায়। শয়তান সকলকে লোভের ফাঁন্দে ফেলতে চায়। প্রভু যীশুর বেলাও তাই ঘটল। সে প্রভু যীশুকে একটি পর্বতের উপরে নিয়ে গিয়ে, “জগতের সমস্ত রাজ্য ও সেই সকলের প্রতাপ দেখাইল, আর তাঁহাকে কহিল, তুমি যদি ভূমিষ্ঠ হইয়া আমাকে প্রণাম কর, এই সমস্ত আমি তোমাকে দিব।”(মথি৪:৮-৯;)। প্রভু যীশু শয়তানের কাছে হেরে জান নি। প্রভু যীশুর বাক্য থেকে প্রমাণিত হয়, ঈশ্বর সদাপ্রভুর রাজ্য পৃথিবীতে স¤পূর্ণভাবে প্রতিষ্টিত হয়নি। কারন প্রভু যীশু, শয়তানের কর্তিত্বকে অস্বিকার করেননি বরং তিনি শয়তানকে এই জগতের অধিপতি বলেছিলেন(যোহন ১২:৩১; ১৪:৩০ ১৬:১১;)। তিনি প্রার্থনাতে শিখিয়ে ছিলেন, “তোমার রাজ্য আইসুক, তোমার ইচ্ছা সিদ্ধ হউক, যেমন স্বর্গে তেমনি পৃথিবীতে হউক।”(মথি ৬:১০)। ঈশ্বরের রাজ্য আসবার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। আমরা এটা বিশ্বাস করি খুব শীঘ্রিয় মন্দ জগতের অবসান ঘাটাতে পিতা ঈশ্বর ও প্রভু যীশু এবং তাদের শক্তিশালি দূতেরা আসবেন। ধ্বংস করে দেবেন পাপের সমস্ত কর্তিত্বকে(প্রকাশিত বাক্য ১৯:১১-২১;)।
আমাদের বিভ্রান্ত করবার জন্য শয়তান অনেক রকমের ফাঁদ পেতে বসে আছে, যেমেনঃ মায়াবিদ্যা,বেশ্যাগিরি, নরহত্যা, প্রতিমাপূজা, মিথ্যা রচনা। এ সমস্ত জঘন্যতম কাজ থেকে আমদের পৃথক থাকতে হবে। কারন যারা এই সমস্ত কাজ করে, তারা প্রভুর কাছে কুকুরের সমতুল্য (প্রকাশিত বাক্য ২২:১৫;) প্রভু যীশু খ্রীষ্টের কথার সারমর্ম এই, “তুমি মন্দের দ্বারা পরাজিত হইও না, কিন্তু উত্তমের দ্বারা মন্দকে পরাজয় কর।”(রোমীয় ১২:২১;)। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। “প্রভু যীশুর অনুগ্রহ পবিত্রগণের সঙ্গে থাকুক। আমেন। – প্রাকশিত বাক্য ২২:২১;।