বৈজ্ঞানিকগণ বিভিন্ন সময় বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে ভুল করেছে কিন্তু পবিত্র বাইবেল কখনও ভুল করেনি- যা সমস্ত বিষয়কে বৈজ্ঞানিকভাবে নির্ভুল দেখিয়েছে। প্রাথমিকভাবে বাইবেল বিজ্ঞান না হলেও, বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক বিষয় এখানে উল্লেখ করা হয়েছে; যা পরে নির্ভুল প্রমাণিত হয়েছে। |
সমগ্র বিশ্বে কেবলমাত্র এক হাজার বারোশত নক্ষত্র আছে। | কোটি কোটি নক্ষত্র আছে; কোনও মানুষের পক্ষে তা গণনা করা সম্ভব নয়! | যিরমিয় ৩৩:২২ক "আকাশ মন্ডলের বাহিনী যেমন গণনা করা যায় না---।" |
পৃথিবী সমতল। | পৃথিবী গোল। | যিরমিয় ৪০:২২ক "তিনিই পৃথিবীর সীমাচক্রের উপরে উপবিষ্ট….।" |
আলো গমনশীল নয়, এটা একই স্থানে থাকে। | আলো গমন করে – এর মধ্যে পদার্থগত ধর্ম আছে; “আলো ঢেউ” অথবা ফোটন কণাসমূহ। | ইয়োব ৩৮:১৯ক "দীপ্তির নিবাসে যাইবার পথ কোথায়?..." |
স্থির অবস্থার তত্ত্ব, নক্ষত্ররা ঠিক তার বাইরে আছে। | প্রত্যেকটি নক্ষত্রই অনুপম এবং দুটি নক্ষত্রপুঞ্জের মধ্যে অভিকর্ষক বন্ধন আছে। | ইয়োব ৩৮:৩১ "তুমি কি কৃত্তিকা নক্ষত্রের (সপ্তর্ষিমন্ডল)হার গাঁথিতে পার? মৃগশীর্ষের (কালপুরুষ) কটি বন্ধ কি খুলিতে পার?" |
একজন ব্যক্তিকে সুস্থ করার জন্য তার মধ্যে থেকে খারাপ রক্ত বের করে দিতে হবে। রক্ত | জীবনের ক্ষেত্রে খুবই গুরিত্বপূর্ণ উপাদান, অনেক সময় রক্ত যোগ করার জন্য রক্তদানের প্রয়োজন হয়। | লেবীয় ১৭:১১ক "কেননা রক্তের মধ্যেই শরীরের প্রাণ থাকে….।" |
বায়ূর কোন ওজন নেই, এটা কেবলমাত্র সেখানে থাকে। | অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, কার্বন ডাই অক্সাইডের নিজস্ব পারমানবিক গুরুত্ব (ওজন) আছে এবং তা পরিমাপ করা যায়। | ইয়োব ২৮:২৫ক "তিনি যখন বায়ূর গুরুত্ব নিরূপণ করিলেন….।" |
পৃথিবী বরাবর বাতাস সরল পথে প্রবাহিত হয়। | বায়ূ প্রবাহের এক বৃহৎ চক্রাকার আকৃতি আছে। | উপদেশক ১:৬খ " …. বায়ূ আপন চক্রপথে ফিরিয়া আইসে।" |
কোনও একজন ব্যক্তির পিঠে পৃথিবী বহন করা হয়েছে। পৃথিবী | মহাকাশে ভাসমান থাকে। | ইয়োব ২৬:৭খ "…অবস্তুর উপরে পৃথিবীকে ঝুলাইয়াছেন।" |
লোকেরা এমনিতেই অসুস্থ হয়, হাত ধোয়ার বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ নয়। | অসংখ্য রোগ সংযোগের দ্বারা ছড়ায়; চালু জলে হাত ধোয়া উচিৎ। | লেবীয় ১৫:১৩খ "..এবং আপন বস্ত্র ধৌত করিবে, ও স্রোতজলে স্নান করিবে; পরে শুচি হইবে.।" |
নক্ষত্রসমূহ পরস্পর একই রকম। | প্রত্যেকটি এবং সমস্ত নক্ষত্রই বাস্তবিক ভাবে অনুপম | ১ম করি ১৫:৪১খ "..কারণ তেজ সম্বন্ধে একটি নক্ষত্র হইতে অন্য নক্ষত্র ভিন্ন।" |
কোনও কারণ ছাড়াই শূন্য থেকে কোনও কিছুর সৃষ্টি – “দি বিগ্ বাং” মডেল – প্রমাণ, একটা বিশ্ব দেখা! | প্রত্যেকটি ক্রিয়ারই একটি সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া থাকে: এটাই বাস্তব বিজ্ঞান। কারণ এবং প্রভাব; কিছু ফল পেতে হলে কিছু বিনিয়োগ প্রয়োজন হয়। | আদি ১:১ "আদিতে ঈশ্বর আকাশমন্ডল ও পৃথিবীর সৃষ্টি করিলেন।" |
গালীলীয় ধর্ম বনাম বিজ্ঞানের একটি উদাহরণ নয়, কিন্তু ‘গালীলীয় এপিসোড’ প্রমাণ করেছিল যে বৈজ্ঞানিকদের প্রচলিত মত ভুল ছিল এবং তারা যাদের বিশ্বাস করতে প্ররোচিত করেছিল তারাও ভূল বিষয় বিশ্বাস করেছিলেন।
মনে রাখবেন, বৈজ্ঞানিকরা সাধারণতঃ জ্যোতিষীবিদ্যা এবং জ্যোর্তিবিদ্যাকে একত্রে মিশিয়ে কাজ করতেন এবং বৈজ্ঞানিকরা সাধারণতঃ অপরসায়ন এবং রসায়নকে একত্রে মিশিয়েও কাচ করতেন এবং অসংখ্য লোককে বোকা বানাতেন। সুতরাং বৈজ্ঞানিকগণ যখন বিভিন্ন সময় বিজ্ঞানের বিষয় ভুলের পর ভুল করে গেছিল, তখন তাদের বিশ্বাসের সঙ্গে ঐ সমস্ত বৈজ্ঞানিকদের বিশ্বাস মিশিয়ে দিচ্ছেন, যদিও বাস্তব বিজ্ঞান দেখায় যে অভিব্যক্তিবাদ সম্ভবতঃ সত্য নয়। কিন্তু বাইবেলে আমাদের উৎস সম্পর্কে বলা হয়েছে। আদি ১:১ পদ, “আদিতে ঈশ্বর আকাশমন্ডল এবং পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলেন।”
অভিব্যক্তিবাদী বৈজ্ঞানিকরা বিজ্ঞানের বিষয় আবার ভুল প্রমাণিত হবেন; কিন্তু বাইবেল নির্ভুল এবং সত্য রূপে প্রতীয়মান হবে।
"Scientific Facts in the Bible" by Ray Comfort, c.2001. Published by Bridge-Logos Publishers, 95 pages. ISBN 0-88270-879-1
"The Vanishing Proofs of Evolution" by Thomas F. Heinze. Published by Chick Publications, 94 pages. ISBN 0-758905-70-X