একটি খোঁড়া লোক ও সাবধান বাণী

ads20

    প্রতিদিন যীশুর শিষ্যেরা ও যারা নতুনভাবে যীশুর প্রতি বিশ্বাস এনেছে তারা যিরূশালেম মন্দিরের বারান্দায় একত্রিত হত। পিতর ও অন্যেরা তাদের শিক্ষা দিতেন। তারা একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করত ও তাদের যে টাকা-পয়সা ছিল তা তারা একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে নিত।একদিন পিতর ও যোহন উপাসনা করার জন্য মন্দিরে গেলেন। মন্দিরে ঢোকার পথে তারা একজন খোঁড়া লোককে দেখতে পেলেন। সে ছিল জন্ম থেকেই খোঁড়া। সে সেখানে বসে ভিক্ষা করছিল।পিতর তার সঙ্গে কথা বললেন।তিনি বললেন, ‘আমার কাছে টাকা-পয়সা নেই কিন্তু আমি এরচেয়েও ভাল কিছু দিতে পারি। যীশু খ্রীষ্টের নামে দাঁড়াও ও হেঁটে বেড়াও।’পিতর হাত বাড়িয়ে তাকে সাহায্য করলেন। এতে সেই লোকটির পায়ে শক্তি ফিরে এল এবং সে হাঁটুতে বল পেল। আর তখনই সে উঠে দাঁড়িয়ে হাঁটতে ও লাফাতে লাগল!পিতর বললেন, ‘হে ঈশ্বর, ধন্যবাদ, তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।’ যেসব লোকরা এসব দেখল তারা অবাক হয়ে গেল।এতে পুরোহিতেরা যীশুর শিষ্যদের উপর ভীষণ রেগে গেল কারণ তারা সকলের কাছে বলছে যে, যীশু মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠেছেন। আবার এখন তারা একটি খোঁড়া লোককে সুস্থ করে তুলেছেন। তাই পুরোহিতেরা পিতর ও যোহনকে বন্দি করে আনার জন্য পাহারাদারদের পাঠাল।এই দু’জন শিষ্য যিহূদীদের মহাসভার সামনে বিচারের জন্য দাঁড়ালেন। সেখানে একজন প্রশ্ন করল, ‘কেমন করে আপনারা এই খোঁড়া লোকটিকে সুস্থ করলেন?’উত্তরে তারা বললেন,


     ‘যীশুই তাকে সুস্থ করে তুলেছেন।’মহাসভা তাদের এই বলে সাবধান করে দিল, ‘খবরদার এই নাম আর কখনও মুখে আনবেন না।’পিতর ও যোহন জানতেন যে, তাদের জীবন বিপদের মুখে। কয়েক সপ্তাহ আগেই তারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়তে পারতেন। কিন্তু এখন ঈশ্বরের আত্মা তাদের সংগে আছেন।উত্তরে তারা সাহসের সঙ্গে মহাসভাকে বললেন, ‘আপনাদের কথা পালন করা নাকি ঈশ্বরের কথা পালন করা ঠিক? আমরা যা দেখেছি ও শুনেছি তা না বলে থাকতে পারি না।’মহাসভা আরেকবার সাবধান করে দিয়ে পিতর ও যোহনকে ছেড়ে দিল। সেখান থেকে তারা সোজা অন্যান্য শিষ্যদের কাছে ফিরে গিয়ে সেখানে প্রার্থনা করতে আরম্ভ করলেন। তারা তাদের নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করেন নি, কিন্তু ঈশ্বরের সাহায্য চাইলেন যেন সাহসের সঙ্গে যীশুর কথা বলতে পারেন। প্রেরিত ৩-৪


    পরিচিতদেরকে জানাতে শেয়ার করুন

    আপনার জন্য আরো কিছু পোস্ট

    RELATED ARTICLES

      ADS